আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

নজরুল স্মৃতিবিজড়িত নামাপাড়া

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ময়মনসিংহের ত্রিশাল নামাপাড়ায় শুকনি বিলের পাশে যে বটবৃক্ষে বসে বিদ্রোহী কবি নজরুল আনমনে বাঁশি বাজাতেন, সেটা এখন কালজয়ী সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বিদ্রোহী কবির প্রতি শ্রদ্ধা ও তার গৌরবগাথা স্মৃতিকে চিরকালের জন্য অম্লান করে রাখতে ত্রিশালবাসী প্রতিষ্ঠা করেছেন নজরুল একাডেমি (নজরুলের বাল্য বিদ্যাপিঠ), বিদ্রোহী কবি নজরুল স্মৃতি পাঠাগার, কবি নজরুল স্মৃতি সংসদ, কবি নজরুল জামে মসজিদ ও দুখুমিয়া থিয়েটারসহ আনাচে-কানাচে অসংখ্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। ১৯১৪ সালে ত্রিশালের কৃতী সন্তান কাজী রফিজ উল্লাহ দারোগার সঙ্গে আসানসোলের একটি রুটির দোকানে পরিচয় হয় কবির।

সেখান থেকে ত্রিশালের কাজীর শিমলা দারোগাবাড়িতে কবিকে নিয়ে আসেন কাজী রফিজ। তাকে লেখাপড়ার জন্য ভর্তি করা হয় তৎকালীন দরিরামপুর হাইস্কুলে (বর্তমান সরকারি নজরুল একাডেমিতে)। তখন এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন বিপিন চন্দ্র। তিনি শিক্ষার্থীদের কঠোর শাসনের মধ্যে রাখতেন। ওই শিক্ষকের স্মরণে শ্রেণিকক্ষের সামনে কবির লেখা আমি এক পাড়াগাঁয়ে স্কুল পালান ছেলে, তার ওপর পেটে ডুবুরি নামিয়ে দিলেও অক্ষর খুঁজে পাওয়া যাবে না। স্কুলের হেডমাস্টারের চেহারা মনে করতেই আজও আমার জল তেষ্টা পেয়ে যায় ওই উক্তিটি মোজাইক করে রাখা হয়েছে।

কাজীর শিমলা গ্রামের রফিজ উল্লাহ দারোগাবাড়ির আঙ্গিনায় গড়ে উঠেছে নজরুল স্মৃতিকেন্দ্র। যেখানে কেটেছে কবির কৈশোর জীবন। বংশধররা কবির স্মৃতিকে ধরে রাখতে স্মৃতিকেন্দ্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দিয়েছেন জমি। রফিজ উল্লাহ দারোগাবাড়ি স্মৃতিকেন্দ্রে রয়েছে কবির থাকার ব্যবহৃত খাট। পাঠাগারে আছে প্রায় পাঁচ হাজার বই। বিচুতিয়া বেপারিবাড়িতে রয়েছে আরেকটি স্মৃতিকেন্দ্র। কবির বংশধর হাফেজ আবুল কাশেম বলেন, আমি বিচুতিয়া বেপারিবাড়ির চতুর্থ বংশধর।

আমার বড় বাপ নজরুলকে জায়গির রাখেন। বিশ্ববিদ্যালয় ও স্মৃতিকেন্দ্রে আমরা জমিদান করেছি। কাজী রফিজ উল্লাহ দারোগাবাড়ির বংশধর নাতি কাজী মোকলেছুর রহমান বলেন, কবি নজরুলের নামে এখানে একটি পাঠাগার ছিল, তা বন্ধ করে স্মৃতিকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে।

দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে দর্শনার্থী ছুটে আসেন কবির স্মৃতিবিজড়িত স্থান দেখতে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নামে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সবুজেঘেরা এক মনোরম পরিবেশ। সকাল-বিকাল আসছে দূরদূরান্ত থেকে কবিভক্ত দর্শনার্থী। কবির নামে স্মৃতিকেন্দ্র ঘুরে দর্শনার্থী সম্ভাবনাময় পর্যটন এলাকার কথা বলছেন। স্মৃতিবিজড়িত ত্রিশালে কবি যে পুকুরে গোসল করতেন, মাছ ধরতেন, সেই পুকুরঘাট দেখতে প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থী আসছেন।

নিউজ ট্যাগ: নামাপাড়া

আরও খবর
সময় এখন ক্যাম্পিংয়ের

বুধবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩




রাতের মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের তিনটি অঞ্চলে রাতের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

শনিবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, কুমিল্লা, সিলেট এবং ময়মনসিংহ অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দরকে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফ ও মোংলায় ৩৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজারহাটে ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময়ে ঢাকায় কোনো বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়নি।


আরও খবর
ঢাকার বায়ু আজও অস্বাস্থ্যকর

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




সম্পদ নিয়ে দ্বন্দ্ব, ৯ ঘণ্টা পর বাবার মৃতদেহ দাফন

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
যশোর প্রতিনিধি

Image

বাবার মৃত্যুর পর সম্পদ বণ্টন নিয়ে ১০ ভাই-বোনের মধ্যে দ্বন্দ্ব এবং সালিশ শেষে ৯ ঘণ্টা পর মৃতদেহ দাফন করা হয়েছে। গত শুক্রবার যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ইউপি (ইউনিয়ন পরিষদ) সদস্য গোলাম রসুল জানান, বিষ্ণুপুর গ্রামের আবদুল মজিদ স্ত্রী, সাত পুত্র ও তিন কন্যা এবং ৪৫ বিঘা জমি রেখে শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে ইন্তেকাল করেন। তার মৃতদেহ দাফনের জন্য সবাই যখন ব্যস্ত, তখন তার চার সন্তান আবদুল মান্নান, আবদুল হাকিম, আবদুস সালাম ও আবদুল আহাদ অভিযোগ করেন, তাদের অন্য তিন ভাই আবদুর রাজ্জাক, আবদুস সামাদ ও আসাদুজ্জামান তাদের পিতা আবদুল মজিদকে ফুসলিয়ে ৫ বিঘা জমি লিখে নিয়েছে। এ ছাড়া পিতার জমি বিক্রয় করে ১৬ লাখ টাকা নিয়েছে। জমি এবং টাকার সঠিক হিসাব না হওয়া পর্যন্ত পিতার মৃতদেহ দাফন হবে না বলে তারা জানিয়ে দেন।

ছেলে আবদুল আহাদ বলেন, তার পিতা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে অসুস্থ ছিলেন। এই সুযোগে তার তিন ভাই রাজ্জাক, সামাদ ও আসাদুজ্জামান বাবার কাছ থেকে এক বিঘা করে জমি রেজিস্ট্রি করে নিয়েছে। আমরা যখন জানতে পারি, তখন থেকে তাদের জমি ফেরত দেওয়ার কথা বললেও তারা জমি ফেরত দেয়নি। সে জন্য এই বিষয়টি আজকেই সমাধান হতে হবে। তা না হলে ওরা এই জমি আর কোনোদিন ফেরত দেবে না। বিষয়টি নিয়ে বিকালে ওই বাড়িতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিশ বসে। তারা সিদ্ধান্ত নেন পিতার সম্পদ সমান বণ্টন হবে। কেউ বেশি নিতে পারবে না। সবাই এ সিদ্ধান্তে সম্মতি প্রকাশ করলে মৃতদেহ দাফন করা হয়।


আরও খবর



ডিসিদের আগে নিজের ঘর দুর্নীতিমুক্ত করতে বললেন দুদক চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নিজের ঘর দুর্নীতিমুক্ত করে তারপর অন্যদের দুর্নীতির খোঁজখবর রাখতে বলেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ।

সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে দুদকের অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা তুলে ধরেন দুদক চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, আমি জেলা প্রশাসকদের বলেছি, আপনি নিজে দুর্নীতিমুক্ত কি না, আপনার অফিস দুর্নীতি মুক্ত কি না, আগে নিজের কাছে প্রশ্ন করুন। তাদের বলেছি, যদি আপনার অফিস দুর্নীতিমুক্ত না হয়, নিজের অফিসকে দুর্নীতিমুক্ত করুন। জেলা-উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে আপনাদের অধীনে যেসব অফিস আছে সেগুলো দুর্নীতিমুক্ত করার চেষ্টা করেন। নিজের ঘর দুর্নীতি মুক্ত করুন, তারপর অন্যান্য দুর্নীতির খোঁজখবর রাখুন।

জেলা প্রশাসকদের সরকারের প্রতিনিধি উল্লেখ করে মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, তারা ৩০-৩৫টা কমিটির প্রধান। জেলার সমস্ত কার্যক্রম সম্পর্কে তারা অবহিত থাকেন। এজন্য অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্যগুলো তাদের কাছে আগে আসে। জেলা প্রশাসকদের আমরা এই বিষয়ে সচেতন থাকতে বলেছি। তাদের বলেছি, কোথায় দুর্নীতি-অনিয়ম হচ্ছে এইগুলো আপনাদের কাছে আগে আসে। কীভাবে সব তথ্য আসতে পারে সেই ম্যাকানিজম তৈরি করে, তথ্য সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। যেগুলো দুদকে পাঠানো দরকার ওইগুলো পাঠিয়ে দেবেন। কোন কারণে যদি সরাসরি পাঠাতে সমস্যা হয় তাহলে প্রতি ১৫ দিন পর পর একটা গোপন প্রতিবেদন দেন মন্ত্রিপরিষদে। সেখানে দিলে আমরাও জেনে যাব।

প্রতিকার ও প্রতিরোধ দুদকের প্রধান দুই কাজ উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনুসন্ধান তদন্ত করে মামলার মাধ্যমে আদালতে সোপর্দ করি, এটা প্রতিকার। জেলা প্রশাসকের সাহায্য ছাড়া প্রতিরোধ আমরা সুচারুভাবে করতে পারি না। দুর্নীতি যেন না হয় সেজন্য আমাদের সাহায্য করতে তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। জেলা ও বিভাগীয় অফিসে তারা যেন সার্বিক সহায়তা করেন। জেলা পর্যায়ে আমাদের লোকবল যথেষ্ট নয়, এজন্য প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমে তাদের সহায়তা চেয়েছি।


আরও খবর



রুফটপ রেস্টুরেন্টগুলো পরিচালনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ঢাকার রেস্টুরেন্টগুলোর অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রুফটপ রেস্টুরেন্টগুলো পরিচালনা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আদালত।

আজ সোমবার (৪ মার্চ) বিচারপতি নাঈমা হায়দারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, যেভাবে একের পর এক রুফটপ রেস্টুরেন্ট হচ্ছে তাতে আমরা অবাক হচ্ছি। এসব রেস্টুরেন্ট একটা ফ্যান লাগিয়ে চালু করে দিচ্ছে। কি একটা অবস্থা চলছে।

এ সময় রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনা বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়ে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, রাজউক, ফায়ার সার্ভিস, বুয়েটের বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে বলেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ বিল্ডিংয়ের বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা চার মাসের মধ্যে জানানোর নির্দেশও দেন হাইকোর্ট।

গতকাল (৩ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইসরাত জাহান সান্ত্বনা জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির অনুমতি নেওয়া হয়।

এর আগে রোববার সকালে রাজধানীর বেইলি রোডসহ সব আবাসিক স্থাপনায় রেস্টুরেন্ট বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে। একই সঙ্গে রিটে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দায়ীদের গ্রেপ্তার ছাড়াও আহত, নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, রাজউকের চেয়ারম্যান, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত গ্রিন কোজি কটেজভবনে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে পরিবারের কাছে। দুজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে রয়েছে। গতকাল তাদের ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ১৪ জনের মধ্যে বাসায় ফিরেছেন ১১ জন। এখনো ভর্তি আছেন তিনজন। আর ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন আরও দুজন।


আরও খবর



এসব ফাজলামি, ব্যাপারটা দেখছি আমি: পাপন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের দুই ক্রিকেটার তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজের ফোনালাপ নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি। এরপর বুধবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যা সাতটায় ফেসবুক লাইভে আসার ঘোষণা দিয়ে স্ট্যাটাস দেন তামিম। পরে সেখানে খোলাসা করেন সেই ফোনালাপের নেপথ্যের কাহিনী।

তামিম লাইভে আসেন মিরাজসহ আরও দুই ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে। লাইভে যুক্ত ছিলেন-আর্থিক লেনদেন প্রতিষ্ঠান নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর আহমেদ মিশুকও। মূলত, নগদের প্রচারকে কেন্দ্র করেই মঞ্চায়িত হয়েছে মিরাজ ও তামিমের ফোনালাপ।

লাইভে এসে তামিম জানিয়েছেন, ঈদ উপলক্ষে একটি ক্যাম্পিং শুরু হয়েছে নগদের। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় ২৪ জন গ্রাহককে উপহার দেওয়া হবে জমি। তবে শর্ত হচ্ছে, এই ক্যাম্পেইনে জিততে হলে দুজন বা তিনজন করে দল গঠন করে লেনদেন করতে হবে। সেই দলেই তিনি রেখেছিলেন। তবে দল থেকে বের হয়ে গেছেন মুশফিক। এটিই ভাইরাল সেই ফোনালাপের কাহিনী।

মঙ্গলবার একটি বেসরকারি টিভি তাদের ইউটিউব চ্যানেলে দাবি করেছিল, তামিম ইকবালের ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে এবং সেটা তারা পেয়েছে। সে ফোনালাপে তামিমকে মিরাজের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে। সর্বশেষ বিপিএল-জয়ী ফরচুন বরিশাল দলে থাকা সতীর্থের কাছে দলটির আরেক সদস্য মুশফিকুর রহিমের নামে বিষোদ্‌গার করতে দেখা গেছে।

অবশ্য জাতীয় দলকে টেনে এনে এমন বিতর্কিত বক্তব্য সম্বলিত ফোনালাপ বিজ্ঞাপনের অংশ হলেও তাতে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। সমর্থকরা বিষয়টি ভালোভাবে নেননি।

বুধবার (২০ মার্চ) তামিমের ফেসবুক লাইভ শেষ হওয়ার পর একটি সংবাদমাধ্যম এ বিষয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের মন্তব্য জানতে চায়। দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা যে বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি তার প্রমাণ মেলে পাপনের কথায়। বিরক্তি প্রকাশ করে পাপন বলেন, এসব ফাজলামি, আমি কী বলব? ব্যাপারটা দেখছি আমি।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪