আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

নজর কাড়ছে দৃষ্টিনন্দন শকুনী লেক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১০ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মাদারীপুর পৌর শহরের শকুনী লেক এখন বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। বিশাল এলাকাজুড়ে এ লেকের সৌন্দর্য মানুষের নজর কাড়ছে। এখানে প্রতিদিন বিকেলে সব বয়সী মানুষের আনাগোনা বাড়তে থাকে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৩৭-৩৮ সালের দিকে প্রমত্তা পদ্মা ও আড়িয়ালখাঁ নদীর ভাঙা-গড়ার খেলায় মাদারীপুরের মূল শহরের অস্তিত্ব বিলীন হতে থাকে।

নতুন করে শহর স্থানান্তরের জন্য মাটির প্রয়োজনে ১৯৪২-৪৩ সালে লেকটি খনন করা হয়। সে সময় এ এলাকাটি ছিল জনমানবহীন এবং বনজঙ্গলে ভরা একটি নিন্মভূমি। নদী ভাঙন কবলিত তৎকালীন মহকুমা শহরের কোর্ট-কাচারি, অফিস-আদালত, হাসপাতাল, থানা, জেলখানাসহ সরকারী কর্মকর্তাদের বাংলো স্থানান্তরের জন্য এলাকাটি বেছে নেওয়া হয়। ২০১৭ সালে পৌরসভার তত্ত্বাবধানে সাড়ে ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে লেকটি আরও দৃষ্টিনন্দন করা হয়। লেক দেখতে দূরদূরান্ত থেকে আসছেন বহু মানুষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, সৌন্দর্যময় লেকের পশ্চিম পাড়ে আছে লেক ভিউ ক্লাব, ডিসি একাডেমি, ঐতিহাসিক জামে মসজিদ ও ময়দান। দক্ষিণে সার্কিট হাউস, মুক্তিযোদ্ধা মিলনায়তন, জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর ভবন, চৌধুরী ক্লিনিক। লেকের পূর্ব পাড়ে জেলা পরিষদের ডাক বাংলো, সদর হাসপাতাল, সিভিল সার্জন ভবন, পুলিশ লাইনস ময়দান। উত্তরে বঙ্গবন্ধু কলেজ, সরকারি পাবলিক লাইব্রেরি, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, স্বাধীনতা অঙ্গন, মাদারীপুর সরকারি সমন্বিত অফিস ভবন।

অপরদিকে লেকের এই বিনোদন কেন্দ্রকে ঘিরে এক শ্রেণির গরীব মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ভাসমান ফেরিওয়ালারাও পেয়েছে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা।

ঘুরতে আসা সুইটি আক্তার, জেবু, মারিয়াসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা সব বয়সী মানুষের জন্য আছে মুখরোচক নানা ধরনের খাবার দোকান। আরও আছে মিনি চাইনিজ রেস্তোরাঁ ও ফাস্টফুডের দোকান। আছে পিঠাপুলি ও নামী-দামী চটপটি-ফুসকার সমাহার। শিশুদের জন্য আছে আকর্ষণীয় খেলনার দোকান। তাই এখানে দিন দিন মানুষের উপস্থিতি বাড়ছে।

মাদারীপুরের ইতিহাস গবেষক, সাংবাদিক, লেখক সুবল বিশ্বাস বলেন, চল্লিশ দশকে বিশাল এ লেকটি খনন করতে বহু সংখ্যক মাটিকাটা শ্রমিক দরকার হয়। কিন্তু এত বিপুল সংখ্যক শ্রমিক এ অঞ্চলে না থাকায় তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের সময় ভারতের বিহার ও ওড়িশা অঞ্চল থেকে ২ হাজার শ্রমিক আনা হয়। ৯ মাসে লেকের খনন কাজ শেষ। সেদিনের সেই কৃত্রিম লেক আজ দৃষ্টিনন্দন সরবর-মানুষের একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র। বহিরাগত যে কেউ মাদারীপুর শহরে প্রবেশ করেই লেকের মনোরম দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হবেই।

মাদারীপুরের পরিবেশবাদী সংগঠন ফ্রেন্ডস অব নেচারের সদস্য কেএম জুবায়ের জাহিদ বলেন, লেকটি মাদারীপুর পৌর শহরের ঐতিহ্যবহন করে। একই সঙ্গে মাদারীপুর শহরের ইতিহাস ঐতিহ্যকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলেছে এ লেক। তবে সুদূর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে লেকের পানি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। কোনো প্রকার ময়লা আবর্জনা ফেলতে দেওয়া যাবে না। তবেই আমাদের এই ঐতিহ্য রক্ষা পাবে।

মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র মো. খালিদ হোসেন ইয়াদ বলেন, লেকটি মাদারীপুরের সৌন্দর্য। এটি রক্ষা করা সবার দায়িত্ব। দিনে দিনে লেকটি পরিচিত ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে প্রায় প্রতিদিনই এই লেকের সৌন্দর্য দেখাসহ বিনোদনের জন্য সব বয়সের মানুষের উপস্থিতি লক্ষণীয়। আশা করছি ভবিষ্যতে লেকটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিণত হবে।

নিউজ ট্যাগ: শকুনী লেক

আরও খবর
সময় এখন ক্যাম্পিংয়ের

বুধবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩




চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

চিত্রনায়ক জায়েদ খানের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। শনিবার (০২ মার্চ) অনুষ্ঠিত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বার্ষিক বনভোজনে দ্বি-সাধারণ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেন বর্তমান কমিটি।

কমিটির ঘোষণাপত্রে জানানো হয়, কোনরূপ সাংগঠনিক দুর্বলতা না পেয়ে ব্যক্তিগত আক্রোশে ধারাবাহিকভাবে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিসহ সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তারের নামে মিথ্যা, মনগড়া ও কুরুচিপূর্ণ তথ্য প্রচার করায় জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান নির্বচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু।

এদিকে শনিবারের বনভোজনে দাওয়াত না পাওয়ায় অবাক হওয়ার কথা জানিয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। তিনি বলেন, আমি তিন-তিনবার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। অথচ শিল্পী সমিতির পিকনিকে আমাকে কোনো কার্ড পাঠানো হয়নি। এমনকি কেউ ফোন দিয়েও পিকনিকের বিষয়ে আমাকে বলেনি। বিষয়টি সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয় দেয়।’


আরও খবর



চীন-রাশিয়ার সাথে ইরানের যৌথ নৌমহড়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের সাথে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) মহড়ায় নামছে রাশিয়া আর চীন। এই যৌথ নৌমহড়া চলবে ভারত মহাসাগরের উত্তরাঞ্চলে।

মহড়ায় যুদ্ধের নানা কৌশল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে ইরানের মিত্ররা। এতে ইরানের নৌবাহিনীর বিমান ইউনিটও অংশ নিচ্ছে। চীন রাশিয়াও হাজির হবে তাদের ভারী বহর নিয়ে। এছাড়াও আজারবাইজান, কাজাখস্তান, ওমান, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকাও প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে। মেরিটাইম সিকিউরিট বেল্ট ২০২৪ নামের এই মহড়ায় আঞ্চলিক নিরাপত্তা সুরক্ষা জোরদারের ওপরই বেশি নজর দিচ্ছে ইরান।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নৌরুট আরো সুরক্ষিত করা, সমুদ্রপথে ডাকাতি, সমুদ্র সন্ত্রাস ও বহুপাক্ষিক তথ্য আদান প্রদানের এক সুরক্ষিত বলয় গড়তে চায় ইরান। আর সেই লক্ষ্যেই এই নৌমহড়া আয়োজন করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তেহরান।

আন্তর্জাতিক নৌপথ নিরাপদ করতে ও সমুদ্র বাণিজ্যের বিস্তার ঘটাতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরান ও রাশিয়া বেশ কয়েকটি নৌমহড়া চালিয়েছে। সমুদ্র সন্ত্রাস রুখতেও এক সাথে কাজ করছে দুই দেশ। চীনের সাথে দিনে দিনে ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে ইরানের। ২০২৩ সালে ইরানের সাথে নৌমহড়ায় অংশ নিয়েছিলো চীন।


আরও খবর



বিবিএসের জরিপ : বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু অপরিবর্তিত

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

গত ২০২২ সালের তুলনায় দেশের মানুষের গড় আয়ু বাড়েনি। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মানুষের গড় আয়ু স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। ২০২২ সালে দেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৭২.৩ বছর। যা ২০২৩ সালেও একই অবস্থায় আছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

রোববার (২৪ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স ২০২৩ এর প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন- পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন- পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিবিএস ডিজি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন।

মো. আলমগীর হোসেন জানান, ২০২৩ সালে জন্মের সময় প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল অপরিবর্তিত রয়েছে। গত বছর এ হার ছিল ৭২.৩ বছর, যা এই বছরও অপরিবর্তিত রয়েছে। জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার ১.৩৩ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিল ১.৪০ শতাংশ। এছাড়া, দেশে নির্ভরশীলতার অনুপাত ৫৩.৭ শতাংশ। পুরুষদের প্রথম বিবাহের গড় বয়স ২৪.২ বছর এবং নারীদের ১৮.৪ বছর। প্রতি হাজার জনসংখ্যায় অভ্যন্তরীণ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে পল্লিতে আগমনের হার ২০.৪ এবং শহরে আগমনের হার ৪৩.৪। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অভিগমন প্রতি হাজারে ৬.৬১ জন থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৮.৭৮ জন। আগমন/বহিরাগমন প্রতি হাজারে ২.৯৭ থেকে কমে হয়েছে ২.৩৭ জন।

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে প্রতি বর্গকিলোমিটারে এক হাজার ১৭১ জন জনসংখ্যা বসবাস করে। প্রতি হাজার জনসংখ্যায় স্থূল জন্মহার ১৯.৪ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিল ১৯.৮ শতাংশ। স্বাভাবিক পদ্ধতিতে সন্তান প্রসবের হার ২০২২ সালে ৫৮.৬ শতাংশ থেকে কমে ২০২৩ সালে হয়েছে ৪৯.৩ শতাংশ এবং অস্ত্রোপচার পদ্ধতিতে প্রসবের হার ২০২২ সালে ৪১.৪ শতাংশ থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩ সালে হয়েছে ৫০.৭ শতাংশ।

এছাড়া, প্রতি হাজার জনসংখ্যায় স্থূল মৃত্যুহার ৬.১ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিল ৫.৮ শতাংশ। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুহার প্রতি হাজারে ৩৩ এবং প্রতি লাখ জীবিত জন্ম শিশুর বিপরীতে মাতৃমৃত্যুর অনুপাত ১৩৬ জন, যা ২০২২ সালে ছিল ১৫৩ জন। মৃত্যুর শীর্ষ দশ কারণের প্রথম কারণ, হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুর হার ১.০২ শতাংশ এবং দ্বিতীয় কারণ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মৃত্যুর হার ০.৬৪ শতাংশ।

তিনি আরও জানান, ২০২৩ সালে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০২২ সালের (৬৩.৩%) তুলনায় কিছুটা কমে ২০২৩ সালে হয়েছে ৬২.১ শতাংশ। জন্মনিয়ন্ত্রণের অপূর্ণ চাহিদা ২০২২ সালের (১৬.৬২%) তুলনায় কমে ২০২৩ সালে ১৫.৫৭ শতাংশ হয়েছে।

খানার আকার ২০২২ সালের ন্যায় ২০২৩ সালেও অপরিবর্তিত রয়েছে, যা ৪.২ জন। তবে, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে নারী খানাপ্রধানের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালে এই হার ছিল ১৭.৪ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৮.৯ শতাংশ। অন্যদিকে, পুরুষ খানাপ্রধান ২০২২ সালে ছিল ৮২.৬ শতাংশ, যা ২০২৩-এ কমে হয়েছে ৮১.১ শতাংশ। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বিদ্যুৎ সুবিধাভোগীর জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭.৫৩ শতাংশে।

এছাড়া, শিক্ষা, কর্মে কিংবা প্রশিক্ষণে নেই; এমন তরুণের সংখ্যা ২০২২ সালে ছিল ৪০.৬৭ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে ৩৯.৮৮ শতাংশ হয়েছে। ৫ বছরের বেশি বয়সী মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী জনসংখ্যার হার ২০২৩ সালে হয়েছে ৫৯.৯ শতাংশ। তবে, ১৫ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে এ হার ২০২২ সালের (৭৩.৮) তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭৪.২ শতাংশ। ২০২৩ সালে ১৫ বছরের বেশি বয়সীদের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হার ৫০.১ শতাংশ।


আরও খবর



স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এ সময় ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুকও বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) প্রথম প্রহরে ভোর ৫টা ৫৬ মিনিটে স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তারা।

প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও ভুটানের রাজা জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। শেখ হাসিনা পরে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলীয় নেতাদের সঙ্গে আরও একবার জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।

এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে সই করেন ভুটানের রাজা ও তার স্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।


আরও খবর



রমজানে ৫৯৫ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করবেন খলিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করে আলোচনায় আসা রাজধানীর শাহজাহানপুরের ব্যবসায়ী খলিল রমজানে ৫৯৫ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি করবেন।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাজধানীর খিলগাঁওয়ের খলিল গোশত বিতানে ৫৯৫ টাকা দরে মাংস বিক্রির এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।

তিনি বলেন, ছাড়কৃত মূল্যে পণ্য বিক্রির জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। দিনভর রাজধানীর বেশ কয়েকটি স্থানে কম মূল্যে পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হবে।

খলিলের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ব ভোক্তা দিবসে খলিলকে সেরা ব্যবসায়ী হিসেবে পুরস্কার দেওয়া হবে। খলিলের এই উদ্যোগের ফলে মাংসের দাম কমতে পারে। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি খলিলের মতো ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা দেওয়ার প্রতিও জোর দেন তিনি।

এসময় ব্যবসায়ী খলিল মিয়া বলেন, সারা বিশ্বেই মুসলিম দেশে দাম কমানো হয়। তাই তিনিও কমিয়েছেন। নিজেরা গরু উৎপাদন না করায় তাদের কেনা দাম অনুযায়ী বিক্রি করতে হয়।

কম দামে মাংস বিক্রি করলে ক্রেতা বেশি হয় বলেও জানান আলোচিত এই মাংস ব্যবসায়ী। ২৫ রোজা পর্যন্ত ছাড়কৃত মূল্যে এই মাংস বিক্রি কার্যক্রম চলবে জানিয়ে শাহজাহানপুরের আলোচিত এই মাংস বিক্রেতা বলেন, একজন ক্রেতা নির্ধারিত মূল্যে সর্বোচ্চ ৫ কেজি মাংস কিনতে পারবেন।


আরও খবর