নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদনের যোগ্যতা না থাকার পরও পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে চাকরির অভিযোগ উঠেছে অধ্যাপক মো. মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, ২০১০ সালে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক (নন টেকনিক্যাল) পদে চাকরি পান মেহেদী হাসান। তবে তখন যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় এতে প্রার্থীর যোগ্যতা হিসেবে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংশ্লিষ্ট অনুষদে স্নাতক ডিগ্রির অধিকারী হতে হবে। শিক্ষা জীবনের সব স্তরে প্রথম বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে। পাশাপাশি প্রার্থীর জিপিএ/সিজিপিএ ৪ এর জন্য কমপক্ষে ৩ দশমিক ৭৫ থাকতে হবে বলে শর্ত দেওয়া ছিল। তবে মেহেদী হাসানের সিজিপিএ ২ দশমিক ৯৫। এরপরও তিনি নিয়োগ পেয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে তৎকালীন পটুয়াখালী বিএনপির প্রভাবশালী এক স্থানীয় নেতা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ডেপুটি রেজিস্ট্রার প্রভাব খাটিয়ে তাকে নিয়োগ দেন।
অনিয়ম করে নিয়োগ পাবার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন অধ্যাপক মেহেদী হাসান বলেন, স্নাতকে প্রথম শ্রেণীর শর্ত শিথিল করা যেতে পারে এমন শর্ত ছিল তাই নিয়োগ পেয়েছি। কিন্তু আপনার স্নাতকের ফলাফল গ্রেডিং পদ্ধতিতে তাহলে কিভাবে শর্তের আওতায় পড়লেন জিজ্ঞেস করলে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এরপর, এবিষয়ে নিয়োগ বোর্ডকে জিজ্ঞেসা করতে বলেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও প্রক্টর প্রফেসর ড. সন্তোষ কুমার বসুর কাছে নিয়োগে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, "আমি দেখেছি তার(মেহেদী হাসান) রেজাল্টের সাথে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত রেজাল্টের তারতম্য রয়েছে। তৎকালীন প্রশাসন কি মনে করে তাকে নিয়োগ দিয়েছেন তা তারাই বলতে পারবেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, "বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত যোগ্যতার সাথে প্রার্থীর যোগ্যতার মিল না থাকলে নিঃসন্দেহে তা অনিয়ম এবং আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে। এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিব।