আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

নিয়ন্ত্রণ আসছে বিলাসী পণ্য আমদানিতে

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আগামী অর্থবছরের প্রথম দিন (১ জুলাই) থেকেই অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসী পণ্য আমদানিতে আরও কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কাজ করছে। এর মধ্যে অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসী পণ্য আমদানিতে এলসি মার্জিন আরও বাড়ানো হবে।

এসব পণ্যের এলসি খোলা ও আমদানির দেনা শোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে কোনো বৈদেশিক মুদ্রা দেওয়া হবে না। এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে বিলাসী পণ্য আমদানিতে শুল্ক ও ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদার বলেছেন, বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় করতে আগামী ১ জুলাই থেকে আমদানির ক্ষেত্রে আরও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হচ্ছে।

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসী পণ্য আমদানিতে দুই দফায় এলসি মার্জিন আরোপ করেছে। প্রথমে এসব পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ মার্জিন আরোপ করে। পরে এলসি খোলার হার না কমায় মার্জিন বাড়িয়ে ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ করা হয়। এছাড়া এনবিআর ১৩৬টি বিলাসী পণ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ করেছে। এসব কারণে পণ্যগুলোর এলসি খোলার হার কমছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেভাবে প্রত্যাশা করেছিল যেভাবে কমেনি। এ কারণে এগুলোতে আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে যাচ্ছে।

আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ডলার সাশ্রয় ও বিলাসী পণ্য আমদানিতে শুল্ক ও ভ্যাটের হার বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের গাড়ি, বিড়ি-সিগারেট, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, বিদেশি পাখি, গ্যাস লাইটার ইত্যাদি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, বিলাসী পণ্য যেমন-শ্যাম্পো, সাবান, প্রসাধনী সামগ্রী, বিদেশি সোফা, কোমল পানীয়, ফার্নিচার এসব পণ্য যারা ব্যবহার করে তাদের কাছে দাম কোনো বিষয় নয়। দাম যত বেশিই হোক তার চেয়ে প্রয়োজন মেটানোই জরুরি। ফলে ক্রেতার নিশ্চয়তা পেয়ে আমদানিকারকরাও নগদ অর্থে হলেও এসব পণ্য আমদানি করতে এলসি খুলছে। এ কারণে ওইসব পণ্যের আমদানি খুব একটা কমেনি। এ কারণে এ খাতে আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হচ্ছে।

নিউজ ট্যাগ: বিলাসী পণ্য

আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্বাসে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ভাতা বাড়ানোর দাবিতে করা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

ইন্টার্ন চিকিৎসক ও পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেইনি ডক্টরস এসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠকের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বহুদিনের দাবি ছিল বেতন বৃদ্ধির। এই দাবির সঙ্গে প্রথম দিন থেকেই আমি সম্মতি দিয়েছি। আমি তাদের কথা শুনেছি, কয়েকবার তাদের সঙ্গে বসেছি। হাসপাতালকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এরাই সবচেয়ে বেশি কাজ করেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমি নিজে ফাইল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রী ফাইল গ্রহণ করেছেন এবং অতি দ্রুত দেশের ইন্টার্নি চিকিৎসকদের জন্য ভাতা বৃদ্ধির সুরাহা করতে উদ্যোগ নিবেন বলেছেন। আমি ইন্টার্নি চিকিৎসকদের প্রতি এটাই বলতে চাই, তারা আন্দোলন না করে চিকিৎসা শিক্ষার কাজে মনোযোগ দিন। প্রধানমন্ত্রী আপনাদের প্রতি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল। তিনি ফাইল গ্রহণ করে ব্যবস্থা নিবেন বলেছেন। আমি বিশ্বাস করি, আমরা দ্রুত আপনাদেরকে ভালো খবর দিতে পারব।

এর আগে দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে বিশেষ সভায় আন্দোলনের বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সচিব, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, অধ্যক্ষ, পরিচালকসহ পেশাজীবী চিকিৎসক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব ওয়াহেদুজ্জামান (অতিরিক্ত সচিব), বিএমএ সভাপতি ডা মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিএসএমএমইউ এর নবনিযুক্ত ভিসি ডা দীন মোহাম্মদ নূরুল হক, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক জামাল উদ্দিন চৌধুরী, স্বাচিপ মহাসচিব ডা. কামরুল হাসান মিলন, বিসিপিএস সভাপতি অধ্যাপক শহীদুল্লাহসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সভায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ, কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ সহ অন্যান্য বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের নেতারা তাদের দাবিগুলোর মধ্যে বর্তমানে ভাতা ১৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা, প্রতিবছর এক হাজার টাকা করে ভাতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা রাখা, হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা, চিকিৎসকদের ঝুঁকি ভাতা রাখা, বকেয়া ভাতা পরিশোধ করাসহ অন্যান্য দাবি তুলে ধরেন।

সভায় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা দেশের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদার মনোভাবের কথা তুলে ধরেন। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে ইন্টার্নি চিকিৎসকদের কোনো ভাতা দেবার নিয়ম ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের প্রতি উদার মনোভাব পোষণ করে ২০২১ সালে ভাতা ব্যবস্থা চালু করেন। ভাতা বৃদ্ধি করা নিয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রী দ্রুতই একটি ভালো ও গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা করবেন।

স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান বলেন, ইন্টার্নি চিকিৎসকদের দাবির বিষয়টি আমরা অত্যন্ত সহানুভূতির সঙ্গে গ্রহণ করেছি। যদিও বর্তমানে গোটা বিশ্বেই আর্থিক সংকট চলছে, তবুও সরকার ইন্টার্নি চিকিৎসকদের ভাতা বৃদ্ধি করতে আন্তরিক রয়েছে।


আরও খবর



কারাগারে বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীর মৃত্যু : রিটের শুনানি আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

গত কয়েক মাসে কারাগারে বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীর মৃত্যুর ঘটনার আন্তর্জাতিক মানের তদন্ত ও ভুক্তভোগীদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিটের শুনানি হতে পারে আজ।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বিত বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।

রিটকারীদের আইনজীবী মো. মাকসুদ উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কারাগারে বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীর মৃত্যুর ঘটনার আন্তর্জাতিক মানের তদন্ত ও ভুক্তভোগীদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি গত ৩ মার্চ এক সপ্তাহ পিছিয়ে ১৩ মার্চ নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট।

৩ মার্চ হাইকোর্টের একই বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন। আদালতে ওইদিন রিটের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন মানবাধিকার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও অ্যাডভোকেট মো. মাকসুদ উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীর মৃত্যুর ঘটনার আন্তর্জাতিক মানের তদন্ত ও তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ওই রিট আবেদন করেন।

এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী জানান, গত তিন মাসে কারা নির্যাতনে বিএনপির ১৩ জন নেতাকর্মীর মৃত্যু হয়।

নিউজ ট্যাগ: আদালত বিএনপি

আরও খবর



ভুল চিকিৎসায় স্থপতির মৃত্যুর অভিযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চর্মরোগের চিকিৎসা নিতে গিয়ে ভুল চিকিৎসায় স্থপতি রাজীব আহমেদের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলে ধরেন রাজীব আহমেদের স্ত্রীর বড় ভাই রেডিওলজি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আরেফ উদ্দিন আহমেদ। কোথায় কোথায় ভুল হয়েছে এবং সংশ্লিষ্টদের অবহেলার সবিস্তারে ব্যাখ্যা দেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, স্থপতি রাজীব আহমেদ, বুয়েট ২০০৩ ব্যাচের সদস্য ও রুফলাইনারস স্টুডিও অব আর্কিটেকচারের অন্যতম প্রধান স্থপতি। তিনি গত ১৪ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৩৮ বছর। আকস্মিক মৃত্যুতে তার পরিবার হতবিহ্বল হয়ে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে তার প্রেসক্রিপশন ও হাসপাতালের রেকর্ড নিয়ে কয়েক দফা আলোচনায় বসে। এতে ভুল চিকিৎসায় তার মৃত্যুর বিষয়ে প্রমাণ পাওয়া গেছে। ডা. আরেফের অভিযোগ, দেড় বছর ধরে রাজীব চর্মরোগের চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। গত ২৮ জানুয়ারি তিনি চিকিৎসকের কাছে গেলে নতুন ওষুধ দেওয়া হয়। সেই ওষুধ খেয়ে প্রচণ্ড পেটব্যথা নিয়ে রাজীব ৭ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি হাসপাতাল শমরিতায় ভর্তি হন। সেখানে তাকে দুটি অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাজীবের অবস্থার অবনতি হলে পরের দিন তাকে বেসরকারি অপর হাসপাতাল স্কয়ারে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তাকে আরও অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, মাত্রাতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় রাজীবের কিডনি অকার্যকর হয়ে যায়। এতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তাকে যে ভুল চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, একজন চিকিৎসক হিসেবে তার ব্যাখ্যা তুলে ধরেন ডা. আরেফ উদ্দিন।

তিনি বলেন, দুই হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালে অব্যবস্থাপনা ছিল। চিকিৎসকরা অনেক তথ্য পরিবারের সদস্যদের কাছে আড়াল করেছেন। চিকিৎসকদের কাছে রাজীবের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা সব সময় ধৈর্য ধরতে বলেছেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে আমরা বিএমডিসিতে (চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রতিকারের জন্য তদারকি সংস্থা বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল) অভিযোগ করেছি। আশা করছি নায্য বিচার পাব।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্থপতি রাজীব আহমেদের স্ত্রী স্থপতি সারাওয়াত ইকবাল, রাজীবের ছোট বোন তানিয়া শবনম, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সহসভাপতি মাহফুজুল হক জগলুল ও রাজীবের সহপাঠীরা।

তানিয়া শবনম বলেন, চিকিৎসকদের ভুল চিকিৎসায় আমার ভাই মারা গেছেন। আমি চাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচার হোক। যাতে আর কোনো সন্তান এভাবে তার বাবাকে না হারায়, কোনো বোন তার ভাইকে না হারায়।’

বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সহসভাপতি মাহফুজুল হক বলেন, এ ঘটনার সুবিচার না পেলে তারা কঠোর আন্দোলন করবেন।


আরও খবর



ঈদ সার্ভিসে যুক্ত হবে ঢাকায় চলাচল করা বিআরটিসির ৫৫০ বাস

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের (বিআরটিসি) ৫৫০টি বাস। দূরপাল্লার বাসগুলোর পাশাপাশি এই বাসগুলো সার্ভিস দিবে বলে জানিয়েছেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম।

সোমবার সকালে মতিঝিল বিআরটিসি ভবনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।

বিআরটিসির চেয়ারম্যান বলেন, ঢাকা শহরে আমাদের ৬০০টি বাস আছে। ৫০টি বাস রেখে বাকি ৫৫০টি বাস ঈদ সার্ভিসে যুক্ত করা হবে। পত্রিকায় গণ বিজ্ঞপ্তি আকারে কয়েকদিনের মধ্যেই দেয়া হবে। মাত্র ৩৪টি লিজে আছে। গাড়ি লিজে চালাবো না। এটি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে।

তিনি আরও  বলেন, ২০২০ সালে ১ হাজার ৮২৫টি বাসের মধ্যে ৮৮৫টি বাস অনরুট ছিলো; ২০২১ সালে ১ হাজার ৭৬২টি বাসের মধ্যে ১ হাজার ১০৬টি বাস অনরুট ছিলো, ২০২২ সালে ১ হাজার ৩৫০টি বাসের মধ্যে ১ হাজার ২৩৩টি বাস অনরুটে ছিলো এবং ২০২৩ সালে ১ হাজার ৩৫০টি বাসের মধ্যে ১ হাজার ২৫৩টি বাস অনরুটে ছিলো।


আরও খবর



গুচ্ছের ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন বিন্যাস প্রকাশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গুচ্ছভুক্ত দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার আসনবিন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা (জিএসটি) ভর্তি পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট নির্ধারিত ওয়েবসাইটে নিজেদের আইডিতে প্রবেশ করে আসনবিন্যাস দেখতে পারবে।

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (জিএসটি) গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় এবার মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি আবেদন জমা পড়েছে। এবার ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২২টিতে ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ২৭ এপ্রিল এ-ইউনিট বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে। এরপর আগামী ৩ মে বি-ইউনিট মানবিক বিভাগ এবং আগামী ১০ মে সি-ইউনিট বাণিজ্য বিভাগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যায়, এবছর ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পছন্দের পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে শীর্ষে রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। আবেদনকারীদের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেয়ার জন্য কেন্দ্র হিসেবে পছন্দ করেছেন ৯০ হাজার ৮৪১ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ইউনিটে ৫৩ হাজার ৮৩২ জন, বি ইউনিটে ১৯ হাজার ৭৭০ জন, সি ইউনিটে ১৭ হাজার ২৩৯ জন শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিবে।

এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এবং অন্য দুটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় হলো- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় , ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়,  শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়,  হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,  মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় , জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় , বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোপালগঞ্জ), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ , বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যাল, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পিরোজপুর)।


আরও খবর