রাজধানীর নিউমার্কেট
এলাকায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত তিনটি
মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও প্রায় ১ হাজার ৩০০
জনকে আসামি করা হয়েছে।
নিউমার্কেট থানা সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেনকে ১ নম্বর আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) নিউমার্কেট অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহেনশাহ মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে,
ওয়েলকাম ও ক্যাপিটাল নামে যে দুটি ফাস্ট ফুড দোকানের কর্মচারীর মধ্যে বিরোধের জেরে
সংঘর্ষ শুরু হয়, সেই দোকান দুটি দোকান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে বরাদ্দ নিয়েছিলেন
নিউমার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন। পরে দোকান দুটি তিনি
ভাড়া দেন।
মামলার বিষয়ে
মকবুল হোসেন বলেন, গত প্রায় ৪ মাস ধরে আমি নিউমার্কেট যাইনি। আর ইটপাটকেল নিক্ষেপ,
জখম, ভাঙচুরের প্রশ্নই আসে না। আমার বিরুদ্ধে মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
ঢাকা কলেজের
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মামলা তিনটি
করা হয়। নিহত নাহিদ হোসেনের চাচা অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা
করেছেন। আর পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে দুটি মামলা করা হয়েছে পুলিশের
পক্ষ থেকে।
মামলায় আরও
যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন- আমির হোসেন আলমগীর, মিজান, টিপু, হাজি জাহাঙ্গীর
হোসেন পাটোয়ারী, হাসান জাহাঙ্গীর মিঠু, হারুন হাওলাদার, শাহ আলম শন্টু, শহিদুল ইসলাম
শহিদ, জাপানি ফারুক, মিজান বেপারী, আসিফ, রহমত, সুমন, জসিম, বিল্লাল, হারুন, তোহা,
মনির, বাচ্চু, জুলহাস, মিঠু, মিন্টু ও বাবুল।
প্রসঙ্গত, সোমবার
(১৮ এপ্রিল) দিবাগত রাতে দুই দোকানের কর্মীদের বিরোধকে কেন্দ্র করে নিউমার্কেট এলাকায়
ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত থেমে থেমে
উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় ঢাকা
কলেজের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে
৫০ জনের অবস্থা গুরুতর। এ ছাড়া দুই দিনের এসব ঘটনায় অন্তত ১১ জন সাংবাদিক এবং পুলিশের
২৫ জন সদস্য আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অপরদিকে, সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুইজনের
মৃত্যু হয়েছে।