নিউজিল্যান্ডের বোলারদের তোপে ধুঁকতে ধুঁকতে শেষ হয়েছে বাংলাদেশের ইনিংস। নির্ধারিত
২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। শেষ দিকে নুরুল হাসান সোহান
দুর্দান্ত দুটি ছক্কা না হাঁকালে হয়তো এ স্কোরও জমা করতে পারত না টাইগাররা। শেষ দিকে
সোহান অপরাজিত থাকেন ১২ বলে ২৫ রান করে।
আজ বাজে ফিল্ডিংয়ের কয়েকটি নমুনা প্রদর্শন করেছে কিউই ফিল্ডাররা। লিটন দাসকে
দুবার ও আফিককে একবার জীবন দিয়েছেন তারা। কিন্তু সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি দুজনের কেউ আফিফ
হোসেন। কোনো বাউন্ডারি ছাড়া ২৬ বলে ২৪ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন
আফিস।
আফিফের আউটের পরই সফল হলেন আরেক কিউই পেসার টিম সাউদি। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের
উইকেট শিকার করলেন। সাকিব থামলেন ১৬ বলে ১৬ রান করে।
১৮তম ওভারের শেষ বলে সাউদির স্লোয়ারে টাইমিং করতে পারেননি সাকিব। ক্যাচে পরিণত
হন। সাকিবের আউটের পরই পর পর দুটি ছক্কা হাঁকান
কিপার-ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান। শোধির সেই
ওভার থেকে আসে ১৮ রান। পরের ওভারের প্রথম বলেই তাসকিনকে ফেরালেন বোল্ট। সাকিবের পর
ব্যাট হাতে নামা তাসকিন ফিরলেন মাত্র ৩ রান করে।
এর আগে সপ্তদশ ওভারের পঞ্চম বলে আউট হন আফিফ। বলটি ফুল লেংথে করেন বোল্ট। স্লগ
করার চেষ্টায় বলের লাইন মিস করেন আফিফ। তার ব্যাট ফাঁকি দিয়ে বল ছোবল দেয় স্টাম্পে।
১৪ত ওভারে আউট হন ইয়াসির আলী রাব্বি। মাইকেল ব্রেসওয়েলকে আগের বলেই কাট শটে
বাউন্ডারি মারেন ইয়াসির। পরের বলটি ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু মাঝ ব্যাটে
খেলতে পারেননি ডানহাতি ব্যাটার। মিডউইকেটে ধরা পড়েন মিল্নের হাতে। পাকিস্তানের বিপক্ষে
২১ বলে ৪২ রান করা ইয়াসির আজ ফিরলেন ৯ বলে ৭ রানে।
আজ সাকিবের বদলে মাঠে নেমে কিছুই করতে
পারেননি মোসাদ্দেক। টিকলেন মাত্র ৩ বলে। ২ রানে তাকে ফেরান ইশ শোধি।
এর আগে দারুণ ব্যাট করতে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেটটি শিকার করেন শোধি।
শান্তকে সাজঘরে ফিরিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট নিলেন ইশ সোধি। কিউইদের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট টিম সাউদির।
ইশ শোধিকে বেরিয়ে এসে উড়িয়ে মারেন শান্ত। কিন্তু সীমানা পার করতে পারেননি। ধরা
পড়েন লং অফে ফিল্ডার মার্ক চ্যাপম্যানের হাতে। ৪টি চারে ২৯ বলে ৩৩ রান করে আউট হলেন
দলে ফেরা বাঁহাতি ব্যাটার।