আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

নিউ ইয়র্কে লেকের পানিতে ডুবে দুই প্রবাসী বাংলাদেশির মৃ্ত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

অবকাশ যাপনে গিয়ে লেকের পানিতে ডুবে প্রাণ হারালেন দুই যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি। এ ঘটনায় আরেকজন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। তিনি পানিতে না ডুবলেও ঘটনার আকস্মিকতায় জ্ঞান হারিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। নিউইয়র্ক আপস্টেটে বেথেল টাউনের হোয়াইট লেকে (সমুদ্র সংলগ্ন) স্থানীয় সময় গত ২৮ আগস্ট দুপুরে গোসল করার সময় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন যুক্তরাষ্ট্রস্থ কুমিল্লা জেলার বড়োরা উপজেলা এসোসিয়েশন’র উপদেষ্টা নিউইয়র্ক সিটির বেলরোজের বাসিন্দা রুহুল আমীনের (পেড্ডা গ্রাম অধিবাসী) জামাতা আফরিদ হায়দার (৩৪) ও ছোট ছেলে বাছির আমীন (১৮)।  ঘটনাস্থল থেকে রুহুল আমিনের ছোট মেয়ে নাসরিন আমীনকে (২১) গুরুতর অবস্থায় নিকটস্থ গারনেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিউইয়র্ক সিটি থেকে ১২০ মাইল দূর সুলিভান কাউন্টি দমকল বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৩ ব্যক্তি ডুবে যাবার সংবাদ জানার পরই ডুবুরিরা উদ্ধার অভিযান চালায় এবং তিনজনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নেয়। চিকিৎসকরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েও আফরিদ এবং বাছিরকে বাঁচাতে পারেননি।

নাসরিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল বলে বড়োরা উপজেলা সমিতির সেক্রেটারি বদরুল হক আজাদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান। তিনি উল্লেখ করেছেন, লেকের ধারে একটি বাসা ভাড়া করেন আফরিদ হায়দার। স্ত্রী নাঈমা, শ্যালিকা-শ্যালকসহ পরিবারের সকলকে নিয়ে ২৭ আগস্ট ঐ বাসায় উঠেন অবকাশ যাপনের অংশ হিসেবে। পরদিন অর্থাৎ রোববার সকালে নাস্তা গ্রহণের পর তিনজন নামেন লেকে। দু’তিন ঘন্টা তারা লেকের পানিতে আনন্দ- উল্লাস করছিলেন। এমনি অবস্থায় বাছির আমিন গভীর পানিতে ডুবে গেলে এমন মর্মান্তিক পরিস্থিতির অবতারণা হয়।

পরিবারের উদ্ধৃতি দিয়ে বদরুল আজাদ আরো জানান, গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর আফরিদ হায়দারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ নাঈমা পানিতে নামেননি বলে বেঁচে গেলেও ঘটনার আকস্মিকতায় জ্ঞান ফারিয়ে ফেলেছেন। তাকেও ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। আফরিদ ছিলেন নিউইয়র্ক সিটির এস্টোরিয়ার বাসিন্দা আরজু হায়দার দম্পতির একমাত্র পুত্র সন্তান। তাকে হারিয়ে সকলেই গভীর শোকে কাতর পরিবারটি।

সমুদ্র সৈকতের সন্নিকটের এক বাসিন্দা বাছিরকে ডুবে যেতে দেখেন। তিনি টহল পুলিশকে জানান যে, তরুণটি পানিতে ডুবে গেলে একজন ঝাঁপ দেন তাকে উদ্ধারে। কিন্তু তিনিও ভাসতে পারেননি দেখে অপর তরুনী পানিতে ডুব দেন ওদেরকে উদ্ধারে। তিনিও ভাসছেন দেখেই পুলিশকে ফোন করা হয়। মিনিট খানেকের মধ্যেই দমকল বাহিনীর ডুবুরিরা আসেন হোয়াইট লেক এবং কোনিউগা লেক এলাকা থেকে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ সময়ে লেকের উপরিভাগের পানি কিছুটা উষ্ণ থাকলেও গভীরে খুবই ঠাণ্ডা থাকে। আর এতটাই ঠাণ্ডা যে তার সংস্পর্শে গেলে বাঁচার উপায় থাকে না। ভয়ংকর এমন অবস্থার কথা নবাগতরা জানেন না বলেই এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় পতিত হন। সর্বশেষ সংবাদ অনুযায়ী নিহত ভগ্নিপতি ও শ্যালকের জানাজা স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার বেলা দেড়টায় জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে। এরপরই দাফন করা হবে লং আইল্যান্ডে ওয়াশিংটন মেমরিয়্যাল মুসলিম গোরস্থানে।


আরও খবর



মুন্সীগঞ্জে ‘সুবচন নির্বাসনে’র ১ম প্রদর্শনী মঞ্চায়িত

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মুন্সীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন থিয়েটার সার্কেলের নাট্যযাত্রার রজত জয়ন্তী উপলক্ষে নাটক সুবচন নির্বাসনে’ মঞ্চায়িত হয়েছে। মঙ্গলবার (০৫ মার্চ) সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মঞ্চায়িত হয় দলের ৫৬তম প্রযোজনার ১ম প্রদর্শনীর এই নাটকটি। বাংলাদেশের অন্যতম প্রয়াত নাট্যজন আব্দুল্লাহ আল মামুনের রচনায় গুণী নাট্যকার ও সঙ্গীত শিল্পী শিশির রহমানের নির্দেশনায় নাটকটিতে স্থানীয় গুণী শিল্পীরা অভিনয় করে।

নাটকটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি হরগঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সুভাষ চন্দ্র হীরা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক চন্দন রেজা, প্রেসিডিয়াম সদস্য উত্তম সাহা।

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অভিজিৎ দাস ববির সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংষ্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহিন মোঃ আমান উল্লাহ্, নাট্যকার নির্দেশক জাহাঙ্গীর আলম ঢালী, মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজন হায়দার জনি প্রমুখ।

অভিনয়ে অংশ নেয় শিশির রহমান, আশরাফ আলী, মাশফিক শিহাব, রবিন ঢালী, সিমান্ত দাস, দিগন্ত দাস, মেহেরুন নেছা তন্নী, ইকবাল মাহমুদ, মো: শিপন, লোকনাথ দাস, কামরুল হাসান প্রমুখ।

নাটকটিতে ফুটে উঠেছে স্কুল মাস্টার বাবার বাঙালি সমাজের প্রচলিত চিরন্তন কিছু সুবচনে বিশ্বাস। আর তিনি চান তার ছেলে-মেয়েরাও যেনো ওই সব আদর্শেই বড় হয়। বাবা বিশ্বাস করেন- সততাই মহৎ গুণ’, লেখাপড়া করে যে- গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে.... ইত্যাদি। পড়াশোনা, চাকরি, সামাজিক জীবন-সবক্ষেত্রেই সে দেখেছে বাবার শিখিয়ে দেয়া আদর্শের পরাজয়। স্বাধীনতার পর এভাবেই দেশ থেকে ধীরে ধীরে সুবচন নির্বাসনে গিয়েছে। সেখানে স্থান করে নিয়েছে আদর্শহীনতা, নীতিহীনতা, কপটতা, ভন্ডামি ইত্যাদি। আমাদের বর্তমান সমাজ, সংসার, পরিবার, রাষ্ট্র-সব ক্ষেত্র থেকেই সুবচন আজ নির্বাসনে। বিষয়টি আরো বেশি দৃশ্যমান আমাদের রাজনীতিতে।


আরও খবর



যাদের কাজ নেই, তারাই সমিতি নিয়ে বেশি আগ্রহী: ইলিয়াস কাঞ্চন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ঢাকাই সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত আছেন। গড়ে তুলেছেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলন নামের সামাজিক সংগঠন। গেল দুই বছর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন এই অভিনেতা। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, সমিতির আগামী নির্বাচনে আর অংশ নেবেন না।

এবার জানালেন, যাদের কাজ নেই এবং যারা এই সমিতিরি সদস্য হওয়ার যোগ্যতাই রাখেন না, তাদেরই সমিতি নিয়ে বেশি আগ্রহ। আর তাদের সংখ্যা ও দাপট দুটোই বেশি।

সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইলিয়াস কাঞ্চন আরও অভিযোগ করেন, ভোটের সময় তাদের সবাইকে টাকা দেওয়া হয় এবং সব পক্ষের কাছ থেকেই তারা টাকা নেন।

জনপ্রিয় এই অভিনেতা জানান, নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছেন তিনি। তবে অনেক সদস্যের জন্য নিজের মতো করে কাজ করতে পারেননি তিনি।

তার কথায়, শিল্পী সমিতিতে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি ভোটার আছেন, যাদের আমিও চিনি না, অন্য অনেকেও চেনেন না। অথচ তারা শিল্পী সমিতির পূর্ণ সদস্য। ভোট প্রদান করেন, নির্বাচনও করেন। আর এ কারণে সিনিয়র শিল্পী ও প্রকৃত শিল্পীরা সমিতিতে আসতে চান না। আসলে একবার যদি পূর্ণ সদস্য দিয়ে দেওয়া হয়, তখন বাদ দেওয়াটা মুশকিল।’

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আমার কথা হচ্ছে, তারা থাকুন। সহযোগী হয়েই থাকুক। ভোটাধিকার না থাকুক। শুধু ভোটাধিকার থাকার কারণে নির্বাচনের সময়ে এরা বিশাল গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন। ভোটের সময় তাদের সবাইকে টাকা দেওয়া হয়। সব পক্ষের কাছ থেকে তারা টাকা নেন। আমি আসলে সংখ্যাটা উল্লেখ করতে পারব না। আমি দূরে থাকতে চাই। আমি যখন এসব নিয়ে কথা বলা শুরু করলাম, তখন অন্যরা আমাকে দূরে রাখার চেষ্টা করেন। আমিও এসব নিয়ে তাই আর মাথা ঘামাতে চাই না।’

যাদের কাজ নেই তারাই সমিতি নিয়ে বেশি আগ্রহী এমনটা দাবি করে এই অভিনেতা বলেন, সহযোগী সদস্য যাদের হওয়ার কথা, তাদের আগ্রহটা বেশি। প্রচণ্ড রকম বেশি। এই সংগঠন তাদের প্রধান পরিচয়। প্রকৃত শিল্পীদের আগ্রহ সহযোগীদের চেয়ে অনেক কম। প্রকৃত শিল্পীদের তো সমিতির পরিচয় লাগে না। তাদের এমনিতেই সবাই চেনেন, এক নামে জানেন। সমিতি বরং প্রকৃত শিল্পীদের কারণে আলোকিত-আলোচিত হয়।’


আরও খবর



অবশেষে সাংবাদিক বৃষ্টির লাশ বুঝে পেল পরিবার

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর ডিএনএ নমুনার রিপোর্ট থানায় পৌঁছানোর পর মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

এর আগে সকালে ঢাকার রমনা থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া জানান, বেইলি রোডের ঘটনায় নিহত বৃষ্টির ডিএনএ নমুনার রিপোর্ট এসেছে, তবে নাজমুলের রিপোর্ট এখনো আসেনি। তার রিপোর্ট আসতে আরও কয়েকদিন সময় লাগতে পারে তার বলে, সিআইডি থেকে জানানো হয়েছে।

এদিকে রোববার রাতে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডির) ফরেনসিক বিভাগের ডিআইজি একেএম নাহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। বাবা সবুজ শেখ ওরফে শাবলুল আলম এবং মা বিউটি খাতুনের দেয়া ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলেছে তার ডিএনএ।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডে মারা যান অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি। তবে তার মরদেহ নানা জটিলতায় হস্তান্তর করা হয়নি মরদেহ।

তার পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা থাকায় ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। মরদেহ রাখা হয়েছে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট মর্গের ডিপ ফ্রিজারে। তবে আজ তার মরদেহ হস্তান্তর করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

মেয়ের মৃত্যুর খবরে ওইদিনই কুষ্টিয়া থেকে ছুটে ঢাকায় আসেন বৃষ্টি খাতুনের (অভিশ্রুতি শাস্ত্রী) বাবা সবুজ শেখ। মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন তিনি। তবে এর পরই বাধে বিপত্তি। সহকর্মী ও পরিচিতরা দাবি করেন, নিহত তরুণীর নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। তিনি সনাতন ধর্মের অনুসারী। পরে পরিচয় নিশ্চিত হতে ১ মার্চ ওই সাংবাদিকের ফিঙ্গারপ্রিন্ট পরীক্ষা করা হয়। তাতে দেখা যায়, জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম বৃষ্টি খাতুন। বাবার নাম সবুজ শেখ আর মায়ের নাম বিউটি বেগম। এনআইডি অনুযায়ীও ওই সাংবাদিকের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বনগ্রাম গ্রামে।

প্রসঙ্গত, বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের বহুতল ভবনে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আগুনের ভয়াবহতা ও মৃত্যুর পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ভবনটিতে কোনো অগ্নিনিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না। ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়ে তিনবার চিঠি দেয়া হয়েছিল; কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।


আরও খবর



গণিত-বিজ্ঞানের শিক্ষক হতে পারবেন ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মাধ্যমিক পর্যায়ে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে শিক্ষক সংকট মেটাতে গণিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

আজ শনিবার ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের (আইডিবি) মিলনায়তনে সংগঠনটির জেলা ও সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন প্রতিনিধি সম্মেলন ও বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষক সংকট নিরসনে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের কাজে লাগাতে এবং বর্তমান কারিকুলামে যে শিক্ষা-দর্শন অ্যাক্টিভিটি বেইজ লার্নিং, সেখানে যদি ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। যেহেতু আমাদের চাহিদা আছে। ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা শিক্ষক হিসেবে গণিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে আসতে পারেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণিত ও বিজ্ঞানের অনেক শিক্ষক প্রয়োজন। শিক্ষকের সেই যোগ্যতার জায়গায়, আমাদের যে এত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার যারা পাস করেছেন, বিদ্যালয় পর্যায়ের গণিত ও বিজ্ঞান তাদের প্রায় সবার পড়ানোর মতো যোগ্যতা রয়েছে। আমরা মনে করছি, ৬০ হাজারের মতো গণিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষকের অভাব রয়েছে। সেখানে আমাদের ডিপ্লোমা পাস করা ইঞ্জিনিয়ারদের সেখানে নিয়োজিত করতে পারি বিশেষভাবে তাহলে আমাদের একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারব। সেটা আমাদের বিবেচনায় আছে।


আরও খবর



ঈদের আগেই বেতন-বোনাস পাবেন পোশাক শ্রমিকরা

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির আগেই বেতন ও বোনাস পাবেন তৈরি পোশাক শ্রমিকরা। বুধবার (২০ মার্চ) শ্রমিক-মালিক ও সরকারপক্ষের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠক শেষে শ্রম প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম বলেন, ঈদের ছুটির আগেই তৈরি পোশাক শ্রমিকদের বেতন বোনাস দেয়া হবে। তবে ছুটির বিষয়ে কারখানার মালিক-শ্রমিকরা সিদ্ধান্ত নেবে।

তিনি বলেন, ঈদের আগে কোনো শ্রমিক ছাঁটাই এবং কৌশলে কোনো কারখানা বন্ধ করা যাবে না। মালিক-শ্রমিক ও সরকার তিনপক্ষ মিলে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলো সমাধানে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সুতরাং শ্রমিকদের অসন্তোষ হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।

এ সময় শ্রমিকরা যাতে রাস্তায় নেমে আর কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে, সে বিষয়ে শিল্প পুলিশ সতর্ক থাকবে বলেও জানান শ্রম প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম।


আরও খবর