আজঃ বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

নিষিদ্ধ জালে মাছ শিকারের অপরাধে দুজনকে জরিমানা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জাহেদুল ইসলাম, সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম)

Image

সাতকানিয়া উপজেলার বিভিন্ন খাল-বিলে নিষিদ্ধ জালে মাছ শিকার হচ্ছে অবাধে। এতে মারা পড়ছে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আর পোনা।

উপজেলার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে যাওয়া নয়াখালের কয়েক কিলোমিটার জুড়ে খুঁটি গেড়ে পাতা হয়েছে বেহুন্দি আর ভাসা জাল। আর নির্ভয়ে ছোট ছোট নৌকা নিয়ে বসে থাকেন শিকারিরা অথচ বেহুন্দি আর ভাসা দুটোই নিষিদ্ধ জাল। 

মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে যাওয়া এ খালে দিন-দুপুরে নিষিদ্ধ জাল পেতে এমন মাছ শিকার করলেও এতোদিন দেখার যেন কেউ ছিল না।

শুধু নয়াখাল নয়, ডলু, শঙ্খ, হাঙ্গরখাল, গরলখাল, ইছামতি, সোনাইছড়ি, গুমরছড়ি, গুইল্যাছড়ি, এওচিয়ার ছড়া, টঙ্কাবতী খালসহ উপজেলাজুড়ে বিভিন্ন খাল আর বিলে এভাবে নিষিদ্ধ জালের ব্যবহার করে মাছ শিকার হচ্ছে অবাধে।

শিকারিদের পাতা নিষিদ্ধ জালে আটকা পড়ে বিলুপ্তি পথে চিংড়ি, কালিবাউশ, বাইলা, গুইল্লা, পুঁটি গুইল্লা, ইছা, বোয়াল, ব্যাঙ মাছ। এছাড়া এসব খালের বিভিন্ন অংশে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে গতিরোধ করা হচ্ছে পানি প্রবাহের।

স্থানীয়রা বলছেন, আগে একসময় এসব খালে বড় বড় বোয়াল থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশিয় মাছ ধরা পড়তো। এখন এসব ধরা পড়ে না। বাজারে খাচি ভরে এসব ছোট ছোট সাইজের দেশীয় মাছ বিক্রি হয়। মাঝেমধ্যে প্রশাসনের লোকজন এসে খাল-বিল থেকে এসব অবৈধ জাল তুলে নিয়ে পুড়ে ফেলে। কিন্তু পরদিন আবারও পাতা হয় এসব অবৈধ জাল।

স্থানীয় বাজারেই নিষিদ্ধ এসব জাল বিক্রি। নিষিদ্ধ জাল পাতা বন্ধ করতে হলে দোকানে দোকানে নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তদারকি জোরদার করতে হবে।

এদিকে মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সাতকানিয়া উপজেলার মাহালিয়া বিল ও নয়াখাল এলাকায় অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এ সময় বাজালিয়া ইউনিয়নের মাহালিয়া বিলে অবৈধ জাল ব্যবহার করে মাছ ধরার অপরাধে নাছির উদ্দীন ও আবছার উদ্দীন নামে দুইজনকে মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় ১ হাজার টাকা করে মোট ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ব্যবহৃত অবৈধ জাল জনসম্মুখে ধ্বংস করা হয় এবং জব্দকৃত তিনটি ডিঙি নৌকা স্পট নিলামে উপস্থিত জনতার মাঝে মোট ৩ হাজার একশত টাকায় বিক্রি করা হয়।

অন্যদিকে কেঁওচিয়া ইউনিয়নের নয়াখালে অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ২০০ মিটার অবৈধ বেহুন্দি জাল আটক করে ধ্বংস করা হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী। বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অভিযানে সহযোগিতা করেন সাতকানিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈকত শর্মা, সাতকানিয়া থানার পুলিশ সদস্যবৃন্দ এবং উপজেলা ভূমি ও মৎস্য অফিসের কর্মচারীবৃন্দ।


আরও খবর



নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নিক্সন চৌধুরীকে শোকজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ফরিদপুর প্রতিনিধি

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রাসন) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সনকে শোকজ করা হয়েছে। তাঁকে আগামীকাল শুক্রবার বিকেল তিনটার মধ্যে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গঠন করা ফরিদপুর-৪ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে সশরীর উপস্থিত হয়ে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ফরিদপুর-৪ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন চৌধুরীর সই করা চিঠি পাঠানো হয়েছে।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, মজিবুর রহমান চৌধুরী গতকাল বুধবার জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে ফরিদপুর-৪ আসনের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এ সংক্রান্ত খবরে প্রকাশ হয়েছে যে, আপনি (নিক্সন) আড়াই শতাধিক মাইক্রোবাস ও দুই শতাধিক মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে ফরিদপুর শহরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। একটি ছাদখোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে শুভেচ্ছা জানাতে জানাতে ভাঙ্গার দত্তপাড়া থেকে যাত্রা শুরু করে সদরপুরের চন্দ্রপাড়া, আটরশি পাড় হয়ে চরভদ্রাসন হয়ে ফরিদপুর সদরের গজারিয়া, মুন্সিবাজার দিয়ে ঢাকা-বরিশাল সড়ক ধরে ফরিদপুর শহরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড় হয়ে মুজিব সড়ক, ব্রাক্ষসমাজ সড়ক দিয়ে জেলা পরিষদের সামনে এসে পৌঁছান। এ সময় ঐ এলাকায় সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আপনি এই কাজের মাধ্যমে সংসদীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কেন বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রেরণ করা হবে না- সেই মর্মে শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিকেল তিনটার মধ্যে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গঠন করা ফরিদপুর-৪ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, ২য় আদালত, জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ফরিদপুর) ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ প্রদান করা হলো।

প্রসঙ্গত, জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালার ৮ (খ) ধারায় বলা হয়েছে, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় কোনো প্রার্থী কোনো ধরনের মিছিল কিংবা শোডাউন করতে পারবেন না। (ক) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী, ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল, নৌযান, ট্রেন কিংবা অন্য কোনো যান্ত্রিক যানবাহনসহকারে মিছিল বা শোডাউন করতে পারবেন না।

আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নিক্সন চৌধুরীর বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি। তবে নিক্সনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সদরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেছেন, আমরা বিভিন্নজন বিভিন্ন জায়গা থেকে আলাদাভাবে রওনা দিয়েছি। কিন্তু শেষের দিকে সবাই মিলে যাওয়ায় গাড়িবহর বড় হয়ে গেছে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহমান তালুকদার বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আমার কক্ষে আমি নিক্সন চৌধুরীসহ পাঁচজনের বেশি ঢুকতে দিইনি। অন্য যারা ছিলেন, তারা সবাই সাংবাদিক ছিলেন। গাড়িবহরের বিষয়ে তিনি বলেন, সারা দেশে এই একই অবস্থা চলছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, প্রতীক বরাদ্দের আগে আচরণবিধি প্রযোজ্য নয়। এ কথা ধরলে তিনি (নিক্সন) দোষ করেননি। আবার নির্বাচন কমিশনের জারি করা আচরণবিধির সীমা অনুযায়ী আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়েছে।


আরও খবর
আজ থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ

বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩




বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় বিশ্ব: ইইউ

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গণতান্ত্রিক, গ্রহণযোগ্য, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক দেখতে চায় পুরো বিশ্ব বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন ইইউ রাষ্ট্রদূত।

ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত মতবিনিময় হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও তার টিম খোলামেলা আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জেনেছি। আমরা আশাকরি গণতান্ত্রিক, গ্রহণযোগ্য ও অংগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। পুরো বিশ্বও এটি দেখতে চায়।

এ সময় তিনি কোনো প্রশ্ন নিতে চান না বলেও মন্তব্য করে। তবে সাংবাদিকরা ভোটের পরিবেশ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে হোয়াইটলি বলেন, না। ধন্যবাদ।

বিকেল তিনটা থেকে ৫টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা বৈঠকে হোয়াইটলি ছাড়াও ইইউর সাতটি দেশের রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল, অন্য ৪ নির্বাচন কমিশনার এবং ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন।

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, রাজনৈতিক বিভাজন থাকতে পারে, তবে সংবিধানের বাইরে গিয়ে ভোট করার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন যথাসময়ে হবে। বিষয়টা আমরা ইইউ প্রতিনিধিদের স্পষ্ট করে বুঝিয়েছি।

সিইসি আরও বলেন, প্রতিনিধি দলটি দীর্ঘ সময় আমাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে জেনেছেন। আমাদের অগ্রগতি সম্পর্কে তাদের জানিয়েছি। আমরা আগের মতোই স্পষ্ট করে জানিয়েছি, নির্বাচন ফ্রি-ফেয়ার, পিসফুল এবং ক্রেডিবল যাতে হয় সেটি নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তারা আমাদের বক্তব্যে সন্তুষ্ট হয়েছেন।

বৈঠকে ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির নেতৃত্বে সংস্থাটির ডেপুটি হেড অব মিশন ব্রেন্ড স্পাইনার, পলিটিক্যাল অফিসার সেবাস্তিয়ান রিগার ব্রাউন, সুইডেনের অ্যাম্বাসেডর আলেকজান্ডার বার্গ ফন লিন্দ্রে, ডেনমার্কের অ্যাম্বাসেডর ক্রিস্টিয়ান ব্রিক্স মুলার, স্পেনের অ্যাম্বাসেডর ফ্রান্সিসকো ডি আসিস বেনিতেজ সালাস, ইতালির অ্যাম্বাসেডর আন্তোনিও অ্যালেসান্দ্রো, কিংডম অব নেদারল্যান্ডসের অ্যাম্বাসেডর ইরমা ফেন ডুয়েরেন, ফ্রান্সের ডেপুটি হেড অব মিশন গুইলাম অড্রেম ডে কারড্রেল ও জার্মান অ্যাম্বাসির এক প্রতিনিধি উপস্থিত রয়েছেন।

এর আগে, গত ২২ নভেম্বর ইমেইলে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি সিইসির কাছে যৌথসভায় বসতে সময় চেয়েছিলেন। পরে, সিইসি তাকে ২৯ নভেম্বর বিকেল ৩টায় সময় দেন।


আরও খবর
শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে জাপার ৩ নেতা

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




দ্বাদশ নির্বাচন: প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা জানাল ইসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের যোগ্যতা ও অযোগ্যতার বিধান জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বিধিমালায় বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার বা থাকার যোগ্যতা-অযোগ্যতা সংক্রান্ত সংবিধানের ৬৬(১)(২) অনুচ্ছেদে ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ১২(১) অনুচ্ছেদে বিধান রয়েছে। তা ছাড়া সংবিধানের ১৫২ অনুচ্ছেদের প্রজাতন্ত্রের কর্মসংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ-এর ব্যাখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে। অনুচ্ছেদ ১২-এর উপধারা (ড) অনুযায়ী কোম্পানির পরিচালক বা ফার্মের অংশীদার কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে গৃহীত কোনো ঋণ বা তার কোনো কিস্তি মনোনয়নপত্র দাখিলের দিনের আগে পরিশোধে ব্যর্থ হলে নির্বাচনে প্রার্থী হতে অযোগ্য হবেন।

আরও যে কারণে অযোগ্য হবেন প্রার্থীরা, কৃষি কাজের জন্য গৃহীত ক্ষুদ্র কৃষিঋণ ব্যতীত, মনোনয়নপত্র দাখিলের দিনের আগে ব্যাংক থেকে গৃহীত কোনো ঋণ বা তার কোনো কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হলে নির্বাচনে প্রার্থী হতে অযোগ্য হবেন। সেই সাথে উপদফা (ঢ) অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের দিনের আগে প্রদেয় সরকারি টেলিফোন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি বা অন্য কোনো সেবা প্রদানকারী সংস্থার বিল পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে নির্বাচনে প্রার্থী হতে অযোগ্য হবেন।

প্রার্থী হওয়ার জন্য যেসব দায়িত্ব ছাড়তে হবে

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের মেয়র ও চেয়ারম্যানদের প্রার্থী হওয়া: উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সিটি করপোরেশন, পৌরসভার মেয়রের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি/স্বায়ত্তশাসিত/ আধা-স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত অফিস/প্রতিষ্ঠানের বা করপোরেশন অথবা সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, কর্তৃপক্ষ এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের মিশনসমূহে চুক্তিভিক্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য পদ্ধতিগতভাবে পদত্যাগ করতে হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তফসিল বুধবার (১৫ নভেম্বর) ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির ঘোষণা অনুযায়ী ভোট অনুষ্ঠিত হবে ৭ জানুয়ারি।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর।

রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।


আরও খবর
শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে জাপার ৩ নেতা

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




ঢাকা-১০ আসনে নৌকার মাঝি নায়ক ফেরদৌস

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রোববার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন।

এর আগে কয়েক দফায় দলের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় প্রার্থী ঠিক করে আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব সভায় সভাপতিত্ব করেন।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশের ৩০০টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে ৩ হাজার ৩৬২ জন দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।

এর আগে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন তুলেছিলেন নায়ক ফেরদৌস। কিন্তু সে সময় দল তাকে মনোনয়ন দেয়নি। ওই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

ফেরদৌস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়াশুনা করেছেন। তবে তিনি অভিনয়কে পেশা হিসেবে বেছে নেন। বুকের ভেতর আগুন ছবির জন্য প্রথমবার খ্যামেরার সামনে দাড়ান ফেরদৌস। ১৯৯৭ সালে ছবিটি পরিচালনা করেন ছটকু আহমেদ। এরপর ১৯৯৮ সালে এককভাবে নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন অঞ্জন চৌধুরী পরিচালিত পৃথিবী আমারে চায় না ছবির মধ্য দিয়ে।

একই বছর ফেরদৌস ব্যাপকভাবে আলোচিত ও জনপ্রিয় হয়ে উঠেন ভারতের চলচ্চিত্রকার বাসু চ্যাটার্জি পরিচালিত যৌথ প্রযোজনার ছবি হঠাৎ বৃষ্টির মাধ্যমে। এই ছবিতে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এরপর থেকে তিনি একাধারে বাংলাদেশ ও ভারতের বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন। এছাড়া মিট্টি নামে একটি বলিউড ছবিতেও তাকে দেখা গেছে। ফেরদৌস তার ক্যারিয়ারে চারটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন।

এখানেই শেষ নয়, প্রযোজনায়ও নাম লিখিয়েছেন এই নায়ক। ২০১২ সালে হঠাৎ সেদিন এবং ২০১৪ সালে এক কাপ চা সিনেমা দুটি তিনি প্রযোজনা করেন। ব্যক্তিগত জীবনে স্ত্রী তানিয়া আহমেদ এবং দুই সন্তান ছেলে নুজহাত ফেলদৌস ও মেয়ে নুজরান ফেরদৌসকে নিয়ে নায়ক ফেরদৌস আহমেদের সংসার। তার স্ত্রী পেশায় বিমানের একজন পাইলট। ২০০৩ সালের ৯ ডিসেম্বর তারা বিয়ে করেন।


আরও খবর
আজ থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ

বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩




আ.লীগের কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করলে ব্যবস্থা : আব্দুর রহমান

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেছেন, ডামি ও স্বতন্ত্র বা বিদ্রোহী প্রার্থী এক নয়। প্রধানমন্ত্রী যে ডামি প্রার্থী রাখতে বলেছেন সেটা সব জায়গায় নয়। যেসব আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যতীত অন্য কেউ মনোনয়ন জমা নাও দিতে পারেন এমনটি অনুমেয় হলে সংশ্লিষ্ট আসনের নৌকার প্রার্থী নিজ দলে কাউকে প্রার্থী মনোনীত করবেন- এমনটাই বোঝানো হয়েছে। আগামী ১৭ ডিসেম্বর প্রত্যাহারের শেষ তারিখ। ওই সময়ের মধ্যে প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের পদ-পদবিধারী কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) ফরিদপুরে জেলা আওয়ামী লীগের এক বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় হলরুমে এ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আব্দুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে কেউ কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নৌকাকে পরাজিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এটা দলীয় শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না। তারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছেন।

দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা সক্রিয় রয়েছেন জানিয়ে মো. আব্দুর রহমান বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা নির্বাচনের আগেও ষড়যন্ত্র করেছে, চলাকালেও করবে আবার নির্বাচন শেষ হয়ে গেলেও ষড়যন্ত্র করবে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অনেকেই সেই এজেন্ডা বাস্তবায়ন যুক্ত থাকতেই পারে। ষড়যন্ত্রকারীরা শেখ হাসিনাকে হটিয়ে তাদের মনোনীতদের মসনদে বসাতে চায়।

আরও পড়ুন>> মনোনয়ন বাতিল শুনে কেঁদেকেটে মেঝেতে গড়াগড়ি

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু-শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের আদর্শের মানুষেরা কখনোই নৌকার বাইরে কাজ করতে পারে না। সবাইকে দলীয় সভানেত্রীর সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে বিজয়ী করার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, পদ-পদবি না থাকলেও আওয়ামী লীগের পরিচয় বহনকারী কেউ এমন কাজ করলে তাদের জন্য চিরতরে দরজা বন্ধ হয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের নৌকার প্রার্থী শামীম হক বলেন, বিএনপি জামায়াতকে রাজপথে তাদের (স্বতন্ত্র প্রার্থী) দেখা না গেলেও তারা এখন প্রার্থী হয়েছেন। দলীয় নেতাকর্মীদের ভুল বোঝাচ্ছেন দাবি করে এসব পরিহার করে আওয়ামী লীগের পক্ষ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

এদিকে ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা) আসনের নৌকার প্রার্থী শাহদাব আকবর লাবু বলেন, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করার জন্য ডামি প্রার্থী দিতে গণভবনে কথা হলেও একজন আওয়ামী লীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নিজেকে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী দাবি করে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। এতে দল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

বর্ধিত সভায় ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ, বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া, সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফকির মিয়াসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।


আরও খবর
আজ থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ

বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩