আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

নিষেধাজ্ঞার পরেও ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা

প্রকাশিত:বুধবার ১২ মে ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ মে ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় গুণতে হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া। তারপরেও স্বজনের সঙ্গে ঈদ করার খুশিতে পথের কষ্ট ভুলে যাচ্ছে মানুষ। গত কয়েকদিন ধরে মানুষ শহর ছেড়ে চলে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ঢাকায়

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিলেও মানুষকে ঘরবন্দি রাখা যায়নি। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও পিকআপসহ বিভিন্ন যানবাহনে ঢাকা ছেড়েছেন মানুষ।

দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় গুণতে হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া। তারপরেও স্বজনের সঙ্গে ঈদ করার খুশিতে পথের কষ্ট ভুলে যাচ্ছে মানুষ। গত কয়েকদিন ধরে মানুষ শহর ছেড়ে চলে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ঢাকায়। মার্কেট ও শপিংমল এলাকা ছাড়া অধিকাংশ রাস্তাঘাট ফাঁকা হতে শুরু করেছে।

রাজধানীর উত্তরা, মহাখালী, ধানমন্ডি, রমনা, তেজগাঁও, শাহবাগ ও নিউমার্কেটের বিভিন্ন এলাকা সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, গত দুই দিন আগেও যেসব রাস্তায় যানবাহনের চাপে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। আজ রাতে সেই সব রাস্তায় গাড়ির চাপ ছিল কম। এছাড়া মার্কেটগুলোতেও মানুষের ভিড় কমতে শুরু করেছে।

নগরীর ব্যস্ততম এলাকা কারওয়ান বাজার ঘুরে একই চিত্র দেখা মেলে। এই এলাকায় রাত যত গভীর হয়, ততই মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ক্রেতা-বিক্রেতায় জমজমাট হয়ে উঠে। কিন্তু এখন সেখানে মানুষের উপস্থিতি খুবই কম।

বুধবার (১২ মে) সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসবে। এদিন চাঁদ দেখা গেলে বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হবে। অন্যথায় শুক্রবার ঈদ হবে।


আরও খবর



ভোজ্যতেলের দাম বাড়বে কি না জানা যাবে আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ভোজ্য তেলের দাম লিটার প্রতি ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। সে বিষয়ে সিন্ধান্ত নিতে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে বৈঠকে বসছে ট্যারিফ কমিশন, বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সার্বিক দিক বিবেচনা করে মিল মালিক ও ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে আজ এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। ব্যবসায়ীদের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব ট্যারিফ কমিশন নাকচ করলেও ভোজ্য তেলের মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে কমিশন তার নিজস্ব পর্যালোচনা অব্যাহত রেখেছে। ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা হায়দার চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে আরও আলোচনা হবে ট্যারিফ কমিশন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে। এখনই ভোজ্য তেলের বর্ধিত মূল্য কার্যকর হবে না এবং মিল মালিকরাও বর্ধিত মূল্যের লেবেল সংবলিত তেলের বোতল বাজারে ছাড়বেন না। অর্থাৎ, গত ১৬ এপ্রিল থেকে ভোজ্য তেলে লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, সেটি আপাতত স্থগিত থাকবে। তবে সরকার যেহেতু ৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফের মেয়াদ আর বাড়ায়নি এবং ইতোমধ্যে বিশ্ববাজারেও বাড়তে শুরু করেছে সয়াবিন-পামওয়েলের দাম, তাই ব্যবসায়ীদের দাবি বিবেচনা করে দ্রুত ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।’

এদিকে বিশ্ববাজারে গত টানা ৫ মাস দাম কমেছে সয়াবিন তেলের। প্রতি টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম বিশ্ববাজারে গত নভেম্বরে ছিল ১ হাজার ১১৮ ডলার। সর্বশেষ গত মার্চ মাসে সে দাম কমে হয়েছে ৯১০ ডলার। অর্থাৎ গত ৫ মাসে বিশ্ববাজারে টনপ্রতি সয়াবিন তেলের দাম কমেছে ২০৮ ডলার। অথচ দেশের বাজারে ঘটছে ঠিক তার উল্টো চিত্র। ৫ শতাংশ ভ্যাট ছাড়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা বলে ভোজ্য তেল শোধনকারী মিল মালিকরা সয়াবিন তেলের দাম এক লাফে লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। গত মঙ্গলবার থেকে এ দাম কার্যকর করারও ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।

গত সোমবার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের চিঠিতে আবারও সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। লিটার প্রতি ১০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ১৭৩ টাকা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে লেখা চিঠিতে বলা হয়, আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, ভোজ্য তেলের কাঁচামাল আমদানি, উৎপাদন পর্যায়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারিতে জারি করা এসআরওদ্বয়ের মেয়াদ ১৫ এপ্রিলে শেষ হচ্ছে। তাই আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে বাজারে ভোজ্য তেল (পরিশোধিত পাম তেল ও পরিশোধিত সয়াবিন তেল) সরবরাহে ভ্যাট অব্যাহতি পূর্ববর্তী মূল্যে পণ্য সরবরাহ হবে।’

চিঠিতে ১৬ এপ্রিল থেকে বোতলজাত ১ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৭৩ টাকা, ৫ লিটার ৮৪৫ টাকা এবং খোলা ১ লিটার পাম তেলের দাম ১৩২ টাকা প্রস্তাব করা হয়। ট্যারিফ কমিশন প্রস্তাব নাকচ করায় আপাতত এ দাম কার্যকর হয়নি।


আরও খবর
দাম কমলো সোনার

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




গত ২৪ ঘণ্টায় হিটস্ট্রোকে ৭ জেলায় ৮ মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে হিটস্ট্রোকে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে দুইজন, পাবনায় একজন, মেহেরপুরে একজন, নরসিংদীর মাধবদীতে একজন, শরীয়তপুরে একজন, ঝালকাঠিতে একজন ও সিলেটে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

দিনাজপুর: দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে হিট স্ট্রোকে দুজন মারা গেছেন। তারা হলেন- ফুলবাড়ী পৌর এলাকার চকসাবাজপুর গ্রামের সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোতাহার আলী (৫৮) এবং অপরজন যশোর কোতোয়ালি থানা এলাকার রাজারহাট গ্রামের ট্রাকচালক বিল্লাল হোসেন (৫২)। মোতাহার হোসেনের ছেলে সানজিদ আহম্মেদ সুইট বলেন, কয়েক দিন ধরে জ্বর ছিল আমার বাবার। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হঠাৎ বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অপরদিকে, ট্রাকমালিক সোহরাব হোসেন বলেন, যশোর থেকে পাথরের ডাস্টের ভাড়া আনতে বড়পুকুরিয়া এলাকায় যান ট্রাকচালক বিল্লাল হোসেন। গতকাল রাত ১০টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শুনেছি স্ট্রোক করে ড্রাইভার বিল্লালের মৃত্যু হয়েছে।

পাবনা: পাবনার চাটমোহর উপজেলায় ভুট্টা খেতে কাজ করতে গিয়ে হিট স্ট্রোকে আলাউদ্দিন আলী আলাল (৪৩) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে মারা যান আলাউদ্দিন আলী আলাল। তিনি উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়য়নের নেউতিগাছা এলাকার মো. ইউসুফ আলীর ছেলে। পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সকালের দিকে চাটমোহরে ভুট্টার খেতে কাজ করতে গিয়ে হিট স্ট্রোকে আলাউদ্দিন আলী আলাল অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় তাকে উদ্ধার করে আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরপর দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. কামরুজ্জামান বলেন, আমাদের এখানে সকালে ভর্তি হয়েছিল। পরে দুপুরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পাবনা জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবেন উনি কি জন্য মারা গেছেন। আলাউদ্দিন আলী হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন পাবনা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আয়েশা সিদ্দিকা।

তিনি বলেন, প্রচণ্ড গরমে প্রতিদিনই মানুষ হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেক রোগী হাসপাতালে আসছে। চাটমোহরের আলাউদ্দিন হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে এসেছিলেন বলে আমাদের প্রাথমিক ধারণা।

এর আগে শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে পাবনা শহরে হিট স্ট্রোক করে সুকুমার দাস (৬০) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। এদিন পাবনা শহরের রূপকথা রোডে একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় হিট স্ট্রোক করেন তিনি। এসময় আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সুকুমার দাস শহরের শালগাড়িয়ার জাকিরের মোড়ের বাসিন্দা।

মেহেরপুর: মেহেরপুরের গাংনীতে হিটস্ট্রোকে শিল্পী খাতুন (৪৫) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকাল ৮টায় উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের রুয়েরকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিল্পী খাতুন রুয়েরকান্দি গ্রামের আবু তাহেরের স্ত্রী এবং পার্শ্ববর্তী আমতৈল গ্রামের বিল্লাল মালিথার মেয়ে। মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক শামীম হাসান বলেন, শিল্পী খাতুনের মৃত্যু হিটস্ট্রোকে হয়েছে কিনা সেটা নিশ্চিত করতে ইউএনও এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বইছে। তীব্র গরমে অতি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের না হতে এবং নিজেকে সুস্থ রাখার নির্দেশনা দিয়ে মাইকিং করা হয়েছে।

নরসিংদী: নরসিংদীর মাধবদীতে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে সাফকাত জামিল ইবান (৩২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুরে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ইবান সদর উপজেলার মাধবদী থানার ভগীরথপুর এলাকার মৃত জাকারিয়া জামিলের ছেলে এবং শেখেরচর বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী ছিলেন।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকলে অফিসার (আরএমও) ডা. মাহমুদুল কবির বাশার বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় প্রচণ্ড রোদের মাঝে চলাফেরা এবং প্রচুর ঘামের ফলেই অজ্ঞান হয়ে যান ইবান। তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়। পরিবারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে তার মৃত্যু হিটস্ট্রোকে হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

শরীয়তপুর: শরীয়তপুরে অতিরিক্ত গরমে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হারুন চৌকিদার (৪৩) নামে এক অটোরিকশা চালকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রবিবার দুপুরে জেলা পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। হারুন চৌকিদার নড়িয়া উপজেলার মোক্তারেরচর ইউনিয়নের নয়ন মাদবরকান্দি এলাকার আলী হোসেন চৌকিদারের ছেলে।

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সাবিকুন নাহার বলেন, স্বজনদের কাছ থেকে জানতে পারি অতিরিক্ত গরমে কাজ করার ফলে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যান হারুন। রোগীর স্বজনরা তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সদর হাসপাতালে সামনে নিয়ে এলে আমি অ্যাম্বুলেন্সে গিয়ে তাকে দেখি। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

ঝালকাঠি: ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার কাঠালিয়া সদর ইউনিয়নের পশ্চিম আউরা গ্রামে এক যুবক হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন। তার নাম মো. আফজাল তালুকদার (৪৫)। হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক দিলীপ চন্দ্র হাওলাদার।

সিলেট: সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় হিট স্ট্রোকে এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুরে দক্ষিণ সুরমা পুলিশ বক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে রিকশাচালকের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশে ওসি ইয়ারদৌস হাসান জানান, দুপুর ১২টার দিকে এক অজ্ঞাত পরিচয়ের রিকশাচালক দক্ষিণ সুরমা পুলিশ বক্সের সামনে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


আরও খবর



যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাসের পরও গাজায় বিরামহীন বোমা হামলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজায় অব্যাহত বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব বাস্তবায়নেরও কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এতে চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন ঘরবাড়ি হারানো লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। অর্ধহারে-অনাহারে প্রায় খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন তারা।

ইউনিসেফের মুখমাত্র জেমস এল্ডার জানিয়েছেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়ার পরেও গত দুইদিন ধরে গাজায় ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে চরম হতাশ গাজাবাসী।

তিনি বলেন, নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়ার পর আশায় জেগেছিলেন ক্ষুধার্ত গাজাবাসী। কিন্তু ইসরায়েলের বিরামহীন হামলায় সবকিছু নিরাশায় রূপ নিয়েছে।

গত ৭ অক্টোবরের পর ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ৩২ হাজার ৪৯০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৪ হাজার ৮৮৯ জন।

গত সোমবার (২৫ মার্চ) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়। পাস হওয়া এই প্রস্তাবে গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির শর্ত রাখা হয়।

প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। তবে নিরাপত্তা পরিষদের বাকি ১৪টি দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয়।


আরও খবর



মৌসুমের আগেই চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাধারণত বর্ষার ঠিক আগে আগে শুরু হয় ডেঙ্গুর প্রকোপ। বছরের মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়টাকে ডেঙ্গুর মৌসুম ধরা হয়। তবে গত কয়েক বছর ধরে সারা বছরই কম-বেশি ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। এ বছর ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২২ জন। এ সময়ের মধ্যে ১ হাজার ৭৮৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সামনে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।  

ডেঙ্গু এডিস মশাবাহিত রোগ। এ রোগের ভাইরাসের একমাত্র বাহক স্ত্রী এডিস মশা। এ মশার মাধ্যমে ভাইরাস মানবদেহে সংক্রমিত হলে ডেঙ্গু হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে এডিস মশা কামড়ালেও মশার মধ্যে ভাইরাস সংক্রমিত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ডেঙ্গু আক্রান্ত বাহক অন্য জায়গায় ভ্রমণের মাধ্যমে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। অর্থাৎ একজন আক্রান্ত ব্যক্তি যখন অন্য জায়গায় ভ্রমণ করেন, সেখানে তাকে এডিস মশা কামড়ালে সেই মশার ভেতরেও ডেঙ্গুর জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে, আর সেসব মশা যাদের কামড়ায় তাদের ডেঙ্গুরোগ হতে পারে।

বর্ষা মৌসুমে এডিস মশার প্রজনন বৃদ্ধি পায় বলে এ সময় ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় এমন ধারণা প্রচলিত থাকলেও বিগত কয়েক বছরে দেখা গেছে, উপযুক্ত পরিবেশ পেলে বছরের যেকোনও সময় এ মশার বংশবিস্তার ঘটে এবং ডেঙ্গুরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৭৮৯ জন এবং মারা গেছেন ২২ জন। এর মধ্যে জানুয়ারিতে রোগী ছিল ১ হাজার ৫৫ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৩৯ জন এবং মার্চে ৩১১ জন। এপ্রিলের ৯ দিনে রোগী পাওয়া গেছে ৮৪ জন।

গত বছর এযাবৎকালের সর্বাধিক ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়। তবে তখন রোগী বেশি ছিল মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ বছর জানুয়ারিতেই হাজারের বেশি রোগী পাওয়া গেছে, যা আগে কখনও পাওয়া যায়নি। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে রোগী পাওয়া যায় ১২৬ জন, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে রোগী ছিল ৩২ জন।

বিগত দিনগুলোর তুলনায় এ বছর মৃত্যুও বেড়েছে। এ বছরের জানুয়ারিতে মারা গেছেন ১৪ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন এবং মার্চে ৫ জন। গত বছরের জানুয়ারিতে মারা যান ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন এবং মার্চে কোনও মৃত্যু ছিল না। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ডেঙ্গুতে কেউ মারা যায়নি। তার আগে ২০২১ সালেও এই সময়ের মধ্যে এই রোগে মৃত্যুর কোনও ঘটনা ঘটেনি।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, কীটতত্ত্ববিদ ও চিকিৎসকরা বলছেন, এবারে পরিস্থিতি গতবারের চেয়ে নাজুক হতে পারে। সংক্রমণ ও মৃত্যু সেই পূর্বাভাস দিচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, বিভাগীয় ও জেলা শহরে স্বাস্থ্য অবকাঠামো যথেষ্ট আছে। কিন্তু প্রান্তিক পর্যায়ে বেশি রোগী হলে তা সামলানো কঠিন হয়ে যাবে।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) এক কীটতত্ত্ববিদ বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম বছরজুড়ে চালাতে হবে। গত বছর আমরা গ্রামাঞ্চলে রোগী পেতে শুরু করেছি। এ বছর এই পরিমাণটা আরও বাড়তে পারে। বাড়লে আমাদের চিকিৎসা সক্ষমতার ওপর অনেক চাপ পড়বে।

কীটতত্ত্ববিদ ড. জি এম সাইফুর রহমান বলেন, ২০১৩ সালের আগ পর্যন্ত আমরা দেখেছি, মার্চ-এপ্রিলে ডেঙ্গুরোগী পাওয়া যায়। ২০১৩ সালের পর থেকে ২০১৬ পর্যন্ত দুই-এক মাস বাদ দিয়ে প্রায় সব মাসেই ডেঙ্গুরোগী পাওয়া গেছে। ২০১৬ থেকে আজ পর্যন্ত প্রতি মাসেই একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগী পাওয়া যাচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, এডিস মশার উপদ্রব বন্ধ করতে হবে। চিকিৎসা পরের কথা। চিকিৎসার জন্য যা যা দরকার সেটা নিয়ে আমরা এরইমধ্যে একটা মিটিং করেছি। এখন আবার বসবো যেন চিকিৎসায় কোনও ঘাটতি না হয়।


আরও খবর



ঈদে ৯০ লাখ মানুষ সড়কপথে ঢাকা ছাড়বে

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানী ঢাকার প্রায় দেড় কোটি মানুষ স্বজনদের কাছে যাবে। এসব মানুষ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনসহ ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বসবাস করে। এই বিপুলসংখ্যক ঈদযাত্রীর ৬০ শতাংশ যাবে সড়কপথে। এই হিসেবে সড়কপথের যাত্রীসংখ্যা প্রায় ৯০ লাখ। অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ মানুষ নৌ ও রেলপথে ঢাকা ছাড়বে।

আজ সোমবার প্রকাশিত নাগরিক সংগঠন নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির ঈদপূর্ব পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো এবং সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এতে ঈদ যাতায়াতে জনদুর্ভোগ অনেক কমতে পারে বলে প্রতিবেদনে আশা প্রকাশ করা হয়।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে জানান, বিগত বছরগুলোর মতো এবারও সড়কপথে জনভোগান্তি ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তবে নির্বিঘ্ন ঈদ যাতায়াতের জন্য সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। আশা করছি এবারের ঈদ যাতায়াতে জনদুর্ভোগ অনেক কমতে পারে।

সর্বশেষ জনশুমারির বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা বিভাগে ৪ কোটি ৪০ লাখ মানুষ বাস করে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার জনসংখ্যা যথাক্রমে ৫৯ লাখ ৭৯ হাজার ৫৩৭ ও ৪২ লাখ ৯৯ হাজার ৩৪৫। দেশের প্রায় ৭৫ শতাংশ গার্মেন্টস শিল্প (পোশাক কারখানা) গাজীপুর অঞ্চলে হওয়ায় গাজীপুর মহানগরের জনসংখ্যা এখন প্রায় ৭০ লাখ। নারায়ণগঞ্জ মহানগরে বাস করে ২৫ লাখ মানুষ। তিন শহরের বাইরে এসব জেলায় আরো প্রায় ৫০ লাখ মানুষ বাস করে। এছাড়া নরসিংদী ও মানিকগঞ্জ জেলার জনসংখ্যা যথাক্রমে ২৬ ও ২০ লাখ।


আরও খবর