দলের নেতাকর্মীদেরকে মোটরসাইকেল ও রামদা নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার গন্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজিদুল ইসলাম ওরফে সঞ্জু।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাতে গন্ডা বাজারের দলীয় কার্যালয়ে এক সভায় তিনি নেতা কর্মীদের এ নির্দেশ দেন।
সঞ্জু গন্ডা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও নেত্রকোণা-৩ (আটপাড়া-কেন্দুয়া) নৌকা প্রার্থী বর্তমান সাংসদ অসীম কুমার উকিলের সমর্থক।
সঞ্জুর ভিডিও রেকর্ড ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আর এ নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে শুরু হয়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া।
ভিডিওতে দেখা গেছে, গন্ডা ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বক্তৃতা করছেন সাজিদুল ইসলাম। এ সময় নিজ কোমর থেকে একটি ছুরি বের করে তিনি বলেন, যার যা কিছু আছে তাই নিয়া আপনারা মোকাবিলা করবেন। আমিও খালি হাতে যাই না। নিজেও এইটা নিছি। আগামীকাল নয়টা থেকে ওয়ার্ডের প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারিরা একটা করে মোটরসাইকেল নিয়া বাইর হবেন। সাথে একজন লোক নিবেন এবং হেলমেট পরবেন। আর কেউ খালি হাতে আসবেন না। একটা করে রামদা নিয়া বাইর হবেন। যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের যারা আছো, তাদের প্রত্যেকেরই গাড়ি (মোটরসাইকেল) আছে। তোমরাও সেভাবেই বাইর হইবা।
আরও পড়ুন>> নৌকায় ভোট দিলে পিষে ফেলার হুমকি আ. লীগ সভাপতির
তার বক্তব্য শুনে উপস্থিত নেতাকর্মীরা অনেকেই হাততালি দেন। তবে বিষযটি নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীসহ সচেতন মহলের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাজিদুল ইসলামের মোবাইলে কল করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ওই আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সাংসদ ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু বলেন, নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা এভাবেই ভয় দেখিয়ে যাচ্ছে। এতে আমার কর্মী-সমর্থরা ভয়ে আছেন। প্রশাসনের উচিত এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
গন্ডা ইউনিয়ন আলীগের সভাপতি সঞ্জুর অস্ত্র নিয়ে প্রচারণার বক্তব্যের ব্যাপারে জানতে চাইলে নৌকার প্রার্থী অসীম কুমার উকিল মোবাইলে জানান, আমি এই বিষয়টি জানি না। তবে এটি খুব নিন্দনীয় কাজ। সঞ্জু গন্ডা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। আমি কাউকে এরকম কোনো নির্দেশনা দেইনি।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ বলেন, আমি ভিডিও ফুটেজটি পেয়ে পুলিশ সুপারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।