রাশিয়ার সঙ্গে
শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে নিরপেক্ষ মর্যাদা গ্রহণের আলোচনার জন্য ইউক্রেন প্রস্তুত
রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে এই ধরনের চুক্তি অবশ্যই
তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে হবে এবং গণভোটে অনুমোদিত হতে হবে বলে জানান
তিনি। রবিবার সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
প্রায় ৯০ মিনিট
ধরে রুশ সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার দেন ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে এই সাক্ষাৎকার প্রচার
হওয়ার পর তা সম্প্রচারের বিষয়ে রুশ সংবাদমাধ্যমগুলোকে সতর্ক করেছে মস্কো। পুরো সাক্ষাৎকারে
রুশ ভাষায় কথা বলেন জেলেনস্কি।
ভলোদিমির জেলেনস্কি
বলেন, রাশিয়ার আগ্রাসনে ইউক্রেনের রুশ-ভাষী শহরগুলো ধ্বংস হয়েছে। আর এই ধ্বংসযজ্ঞ চেচনিয়ায়
রাশিয়ার যুদ্ধের চেয়েও ভয়াবহ।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট
বলেন, ‘আমাদের রাষ্ট্রের
জন্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তা এবং নিরপেক্ষতা, পরমাণুহীন মর্যাদা। আমরা এগুলো নিয়ে আলোচনার
জন্য প্রস্তুত। এগুলোই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট।’ তবে নিরস্ত্রীকরণের
মতো রাশিয়ার অন্য দাবিগুলো নিয়ে আলোচনায় ইউক্রেন অস্বীকৃতি জানিয়েছে বলে জানান জেলেনস্কি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর এক মাসেরও বেশি সময় পর জেলেনস্কি বলেন, যুদ্ধবিরতি এবং
সেনা প্রত্যাহার ছাড়া কোনও শান্তি চুক্তি সম্ভব হবে না।
রাশিয়ার দখল করা
অঞ্চলগুলো বলপ্রয়োগে ফের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টার কথা অস্বীকার করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট
ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, এই ধরনের চেষ্টা থেকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে পারে
এবং পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাস এলাকা নিয়ে ‘সমঝোতায়’ পৌঁছাতে চান বলে জানান তিনি। ২০১৪ সাল
থেকে অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে মস্কো সমর্থিত বিদ্রোহীরা।
রাশিয়া বলে আসছে
তারা ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। এই অভিযানের লক্ষ্য প্রতিবেশী দেশটির
নিরস্ত্রীকরণ বলে দাবি মস্কোর। তবে ইউক্রেন এবং তাদের পশ্চিমা মিত্রদের দাবি এটা উস্কানিহীন
আগ্রাসনের অজুহাত মাত্র।