আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

নির্মাতা মোহন খান আর নেই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

দেশের অন্যতম নাট্যকার ও নির্মাতা মোহন খান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি অনেক দিন ধরে ব্রেন টিউমার জটিলতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৫ বছর।

মঙ্গলবার রাত ১১টা ৫০ মিনিটে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন একাধিক নাট্য নির্মাতা ও অভিনেতারা।

কিছুদিন আগে ব্রেইন টিউমার অপসারণ শেষে বাসায় ফিরেছিলেন মোহন খান। এরপর ঘাড়ের হাড়েও একটি অস্ত্রোপচার করা হয় নির্মাতার। কিন্তু পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: পুলিশের গাড়িতে লাথি, অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

মোহন খানের মৃত্যুতে ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে। এছাড়া সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বুধবার বাদ যোহর লালমাটিয়া জামে মসজিদ (বিবি মসজিদ) প্রাঙ্গনে মরহুমের জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।

মোহন খান ৫ শতাধিক নাটক নির্মাণ করেছেন। এরমধ্যে ৩ শতাধিক নাটক রচনা করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: নায়িকার বিরুদ্ধে ডেকে নিয়ে মারধর করার অভিযোগ

তার লেখা সাড়া জাগানো নাটক তিতির ও শঙ্খচিল প্রযোজনা করেছিলেন প্রয়াত আবদুল্লাহ আল মামুন।

উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সাল থেকে দেশের টেলিভিশন নাটক পরিচালনা ও রচনায় পরিচিতি মুখ মোহন খান। এটিএন বাংলায় অনুষ্ঠান বিভাগেও কাজ করেছেন তিনি। মোহন খান পরিচালনায় আসেন আমার দুধমা নাটক দিয়ে। এটি প্রচার হয় বিটিভিতে। এছাড়াও সমুদ্রে গাঙচিল, সেই আমরা, নীড়ের খোঁজে গাঙচিল, জেগে উঠো সমুদ্র, মেঘবালিকা, দূরের মানুষ, আঙ্গুর লতা, হৃদয়পুরের গল্প তার আলোচিত নাটক।

নিউজ ট্যাগ: মৃত্যু

আরও খবর
নতুন খবর দিলেন বিদ্যা সিনহা মিম

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪

নিজেকে দেখে নিজেই মুগ্ধ পরীমণি

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




লাল নাকি সাদা, কোন ডিমে পুষ্টিগুণ বেশি?

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

লাল নাকি সাদা, কোন ডিম খাওয়া বেশি উপকারী- এ নিয়ে দ্বন্দ্ব, তর্ক বা মতের শেষ নেই। সন্তানকে ডিম দেয়ার সময় তাই অভিভাবকরা চিন্তায় থাকেন, কোন ডিম কিনবেন। অনেকেরই ভাবনা লাল ডিমে পুষ্টিগুণ বেশি, কেউ বা ভাবেন সাদা ডিমে।

মুরগির জাত ও জিনের ওপর নির্ভর করে ডিমের রং। বিজ্ঞানীদের মতে, সাদা ডিম পাড়ে সাদা পালকের মুরগিরা। লাল ডিম পাড়ে গাঢ় রঙের পালকের মুরগি। তবে কিছু কিছু জাতের মুরগি সাদা হলেও লাল ডিম পাড়ে। ডিমের খোসার রঙ বাদামি হয় মূলত মুরগির জরায়ুর মধ্যে থাকা শেল গ্ল্যান্ডের কারণে।

মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় জানানো হয়েছে, সাধারণত একটি মুরগির ভেতরে ডিম তৈরি হতে প্রায় ২৬ ঘণ্টা সময় লাগে। প্রথমে মুরগির গর্ভে ডিমের কুসুম তৈরি হয়। তারপর তিন ঘণ্টা ধরে তৈরি হয় কুসুমের চারদিকে সাদা অংশ বা অ্যালবুমিন। এরপর এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তৈরি হয় খোসার নিচের ঝিল্লি। এরপর ডিমটি লেজের কাছাকাছি শেল গ্ল্যান্ডে চলে যায়। এখানেই তৈরি হয় উপরের শক্ত খোসা।

শুরুতে সব ডিমের খোলস সাদাই থাকে। ডিম তৈরির একেবারে শেষ মুহূর্তে যোগ হয় রং। মুরগির দেহে থাকা এক রঞ্জক পদার্থ থেকে এই রং তৈরি হয়। তবে যেসব ডিম সাদা হয় সেগুলোয় রং যোগ হয় না।

লাল নাকি সাদা, কোন ডিমে পুষ্টিগুণ বেশি? এ বিষয়ে পুষ্টিবিদ সৈয়দ তাসনিম হাসিন চৌধুরী এবং পোল্ট্রি বিশেষজ্ঞ শাকিলা ফারুক বলেন, ডিমের রঙের সঙ্গে পুষ্টিগুণের কোনো তারতম্য হয় না।

আবার নিউ ইয়র্কের এক দল গবেষকের মতে লাল ডিমে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সামান্য বেশি রয়েছে। কিন্তু সেই পার্থক্য এতটাই সামান্য যে তাতে খুব একটা ফারাক হয় না।

যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, একটি ৫০ গ্রাম ওজনের ডিমে ৭২ ক্যালোরি ও ৪.৭৫ গ্রাম ফ্যাট রয়েছে। সাদা ও লাল ডিমে এই পুষ্টিগুণের পরিমাণ প্রায় সমান। ডিমের রং নয় বরং মুরগির ফিডের ওপরে পুষ্টিগুণ নির্ভর করে। যেসব মুরগিকে বেশি বেশি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত কিংবা ভিটামিন এ বা ই-যুক্ত ফিড খাওয়ানো হয় সেসব মুরগির ডিমে এসব পুষ্টি উপাদান বেশি থাকে। এই বিশেষ ফিডের জন্য দামটাও বেশি পড়ে।

পুষ্টিবিদ তাসনিম হাসিন চৌধুরীর মতে, যেসব মুরগি প্রাকৃতিক উপায়ে পুষ্টিকর খাবার খুঁজে খুঁজে খায়। সেসব মুরগির ডিমে ভিটামিন ই, ভিটামিন এ, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, খনিজ উপাদান এবং ফ্যাট বেশি থাকে।

পোল্ট্রি বিশেষজ্ঞ শাকিলা ফারুক বলছেন, গৃহপালিত মুরগি রোদে বেশি থাকায় এগুলোর ডিমে ভিটামিন-এ ও ডি বেশি থাকে। আবার খামারে ভালো ফিড খাওয়ানো মুরগির ডিমের পুষ্টি অনেক সময় এসব গৃহপালিত মুরগির ডিমের চাইতেও বেশি হয়। কারণ তাদের নিয়মিত ভালো মানের ফিড দেয়া হয়।

ডিমের পুষ্টির সঙ্গে ডিমের খোলসের রঙের কোনো যোগ না থাকলেও ডিমের কুসুমের রঙের একটা প্রভাব আছে। পুষ্টিবিদদের মতে, যে ডিমের কুসুমের রং যতো গাঢ় সেই ডিমে ভিটামিন এ, ক্যারোটিন ও খনিজ উপাদানের মাত্রা ততো বেশি। ওই ডিমের স্বাদও বেশি।

মুরগি কী খাচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে ডিমের কুসুমের রংও। ক্যারোটিনয়েড নামের এক রকম রাসায়নিকের প্রভাবে ডিমের কুসুমের রং গাঢ় হয়। অনেক খামারে কুসুমের রং গাঢ় করতে মুরগিকে ক্যারোটিনয়েড জাতীয় ইঞ্জেকশন দেয়া হয়। কোথাও আবার লাল ক্যাপসিকাম খাওয়ানো হয়।

মুরগির খাদ্যের ওপর ডিমের স্বাদ ও পুষ্টিগুণ নির্ভর করে। তাই যেসব মুরগি সাদা ডিম দেয় এবং যেগুলো লাল ডিম পাড়ে সবগুলোকে একই ধরনের খাবার দিলে স্বাদে ও পুষ্টিতে তেমন কোনো পার্থক্য হবে না।


আরও খবর



লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

লালমনিরহাটের বুড়িরহাট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মুরুলী চন্দ্র (৪৩) নামে এক বাংলাদেশি রাখাল নিহত হয়েছেন। এ সময় বিএসএফের গুলিতে আরও ২ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দিবাগত মধ্যরাতে কালীগঞ্জ উপজেলার বুড়িরহাট সীমান্তের ৯১৩ নম্বর পিলারের একশত গজ ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।

মুরুলী চন্দ্র কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের উত্তর বালাপাড়া গ্রামের সুশীল চন্দ্রের ছেলে। আহতরা হলেন একই এলাকার চন্দ্রপুর গ্রামের আজিমুল হকের ছেলে মিজানুর রহমান (৩৩) ও নুর ইসলামের ছেলে লিটন মিয়া (৪৩)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো শুক্রবার রাতে ৪/৫ জনের একটি পাচারকারী চক্র ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সহায়তায় গরু পাচার করতে ভারতে প্রবেশ করেন। গরুর রাখালরা ভারতীয় গরু নিয়ে বুড়িরহাট সীমান্ত দিয়ে ফিরছিলেন। এ সময় বিএসএফ তাদেরকে লক্ষ করে কয়েক রাউন্ড গুলি করে। এতে ৩ জন বাংলাদেশি রাখাল গুলিবিদ্ধ হন। পরে বাকিরা আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে রংপুরে নেওয়ার পথে মুরুলী চন্দ্র মারা যান। বাকি দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

কালীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির বলেন, সীমান্ত এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মুরলী চন্দ্র নামে একজনের মরদেহ আমরা উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মোফাজ্জল হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।

নিউজ ট্যাগ: লালমনিরহাট

আরও খবর



নারী ইউপি মেম্বারকে চড় দিয়ে খেলেন জুতাপেটা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে সরকারি চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) ও সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্যের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে কয়েকটি বাড়িঘর।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে নবীগঞ্জ উপজেলার মান্দারকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে বিনামূল্যে ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হয়। এ সময় কোন একটি বিষয় নিয়ে কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল হাই ও ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য একই গ্রামের রাহেলা বেগমের মাঝে বাগবিতণ্ডা হয়।

একপর্যায়ে আব্দুল হাই উত্তেজিত হয়ে রাহেলা বেগমকে চড় মারলে রাহেলা বেগম আব্দুল হাইকে জুতাপেটা করেন। এ ঘটনার পর আব্দুল হাই ও রাহেলা বেগমের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। যার জেরে রাত ১২টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে ৫টি বাড়িঘর।

আহতদের উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ৫ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী বলেন, সরকারি চাল বিতরণ নিয়ে মান্দারকান্দি গ্রামের ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্যের মধ্যে ঝামেলা হয়। এ ঘটনার জেরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।


আরও খবর



ঈদের আগের‌ দিন ফাঁকা বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌ক

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প‌রিবা‌রের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভা‌গি কর‌তে বা‌ড়ি যা‌চ্ছেন মানুষজন। ত‌বে আজ মহাসড়‌কে নেই তেমন কোনো প‌রিবহন। দু্ই-তিন প‌রিবহ‌ন দেখা গে‌লেও ঈদের আগের দিন মহাসড়ক ফাঁকা র‌য়ে‌ছে। ফ‌লে কোনো ভোগা‌ন্তি ছাড়াই স্ব‌স্তি নি‌য়ে বা‌ড়ি যা‌চ্ছেন ঘরমুখো মানুষজন। আজ বুধবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌কে এমন চিত্র দেখা‌ গে‌ছে।

দেখা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌কের রাবনা বাইপাস, এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড ও বঙ্গবন্ধু সেতু গোলচত্ত্বর এলাকায় তেমন কোনো প‌রিবহন উত্তরবঙ্গের দি‌কে যে‌তে দেখা যায়‌নি। দুই-‌তিনটা ক‌রে প‌রিবহন গ‌তি‌ নি‌য়ে চলাচল কর‌ছে। এছাড়াও মহাসড়‌কে তেমন কোনো যাত্রীও নেই। ত‌বে কিছু মানুষজন বাস না পে‌য়ে ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রা‌ক ও পিকআপে যা‌চ্ছেন।

জানা যায়, চির‌চেনা এই মহাসড়‌কে প্রতিবছরই ঈদের আগের রা‌তেও ব‌্যাপক মানু‌ষের স্রোত থাকে। ফ‌লে প‌রিবহ‌নের চাপ ছিল মহাসড়‌কে। এতে আইনশৃঙ্খলা বা‌হিনীর সদস‌্যদের মহাসড়‌কের প‌রিবহন চলাচল স্বাভা‌বিক কর‌তে হিমশিম খেত। জেলা পুলিশের নানা পদক্ষেপের কারণে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন মানুষজন।

ত‌বে গতকাল মঙ্গলবার চরম ভোগা‌ন্তি‌তে পড়‌তে হ‌য়ে‌ছিল উত্তরব‌ঙ্গের ঘরমুখো মানু‌ষদের। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মহাসড়‌কেই প্রচণ্ড রো‌দের ম‌ধ্যে যানজ‌টের কব‌লে প‌ড়ে‌ছিল। প‌রে বঙ্গবন্ধু সেতু‌র প‌শ্চিম টোলপ্লাজা বন্ধ রে‌খে সেতু‌তে একমুখী ক‌রে উত্তরব‌ঙ্গের দি‌কে প‌রিবহনগু‌লো ছে‌ড়ে দেওয়ায় টাঙ্গাইলের মহাসড়‌কে প‌রিবহ‌নের চাপ ক‌মে‌ছিল। মঙ্গলবার সকাল থে‌কে বিকেল পর্যন্ত পরপর দুইবার দুই ঘণ্টা ক‌রে প‌শ্চিম টোলপ্লাজায় ঢাকাগামী লেন বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ।

মহাসড়কে দায়িত্বরত এক পু‌লিশ সদস্য জা‌নান, বুধবা‌রে ঈদ হ‌বে এই টা‌র্গেটে এবং সব প্রতিষ্ঠান আগেই ছু‌টি হ‌য়ে যাওয়ায় মানুষ আগে থে‌কেই বা‌ড়ি‌তে যাওয়া শুরু ক‌রে‌ছিল। ত‌বে মঙ্গলবার গা‌র্মেন্টসের লোকজনসহ অন‌্যান‌্যরা একসঙ্গে রওনা হওয়ায় মহাসড়কে চাপ বে‌ড়ে‌ছিল। ত‌বে আজ‌কে তেমন মানুষ বা‌ড়ি যাওয়ার নেই। যারা যাওয়ার তারা চ‌লে গে‌ছেন। ফ‌লে মহাসড়‌কে তেমন প‌রিবহন নেই। একদম ফাঁকা মহাসড়ক।

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর আশরাফ জানান, মহাসড়‌কে তেমন প‌রিবহন নেই। পরিবহনগু‌লো স্বাভা‌বিক গ‌তি‌তেই চলাচল কর‌ছে। উত্তরবঙ্গগামী মানুষজন স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন। 


আরও খবর



চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ নৌ-রুটে শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি যাতায়াত সুবিধা

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপের শিক্ষার্থীদের জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিউম্যান২৪’ এর উদ্যোগে বিনামূল্যে ঈদযাত্রা কর্মসূচি শুরু হয়েছে আজ। সোমবার (৮ এপ্রিল) ঈদযাত্রা কর্মসূচির প্রথম দিনে নৌপথে বিনামূল্যে বাড়ি গেছেন দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় বছর এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সংগঠনটি।

কুমিরা-গুপ্তছড়া নৌ-রুটের এমভি আইভি রহমানসহ বেশ কিছু নৌযানে এসব শিক্ষার্থীদের বাড়ি পাঠানো হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের প্রথমে হালিশহর থেকে বাসে করে কুমিরা ঘাটে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাদের সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটে পৌঁছে দেওয়া হয়।

মোহাম্মদ তারেক নামে হিউম্যান২৪ এর একজন সমন্বয়কারী জানান, নানা কারণে সন্দ্বীপ যাত্রা কিছুটা ব্যয়বহুল ও বেশ কষ্টসাধ্য। শিক্ষার্থীরা যাতে সময় ও অর্থ সাশ্রয় করে বাড়ি ফিরতে পারে সেই জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে আগামী মঙ্গল ও বুধবার এই কর্মসূচি অব্যহত থাকবে । তিনি আরও জানান, ঈদের পরে তিনদিন সন্দ্বীপ থেকে শিক্ষার্থীদের চট্টগ্রামে পাঠানো হবে।

মোহাম্মদ মোক্তাদির নামক একজন শিক্ষার্থী জানান, ঈদে অনেক সময় টিকিট পাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। হিউম্যান ২৪ এর এই উদ্যোগের ফলে আমাদের বাড়ি ফেরাটা অনেক সহজ হয়ে গেল।

উদ্যোক্তরা জানান, এ কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের একটি অনলাইন ফরম পূরণের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হয়। অফলাইনেও চট্টগ্রামের হালিশহরে দুটি ঠিকানায় নিবন্ধন করতে পারবে।

২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরের সময় একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে সন্দ্বীপের শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে বাড়ি ফেরা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জনের কারণে এ বছরও তা অব্যাহত রাখা হয়েছে।


আরও খবর