আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মামুনুর রশীদ, ফরিদপুর

Image

ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মজিবুর রহমান ওরফে নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে সুপারিশ করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামী লীগের তিন নেতাকে নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ায় এ সুপারিশ করেছে তারা।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয়ভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক। পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ।

সভায় অংশ নেওয়া জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, নিক্সন চৌধুরীর বক্তব্যর প্রেক্ষিতে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শ্যামল ব্যানার্জি প্রতিবাদ ও নিন্দা প্রস্তাব তোলেন। সভায় তা সর্বসম্মতভাবে গ্রহণ করা হয়।

গতকাল জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ আলী আশরাফ স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ফরিদপুর জেলা শাখার কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো. ইশতিয়াক আরিফ ও জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক জামাল হোসেন মিয়াকে নিয়ে প্রকাশ্য মাইকে ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী যে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন তাতে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ বিস্মিত ও মর্মাহত। সঙ্গত কারণেই ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ এহেন অশ্লীল বক্তব্যের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানায় এবং তার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয়ভাবে যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানায়।

এ বিজ্ঞপ্তির অনুলিপি আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও বিভাগীয় সাংগঠনিক বরাবর পাঠানো হয়।

 নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞপ্তি


জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ আলী আশরাফ বলেন, গত ১৬ মার্চ ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের শরিফাবাদ বাজারে অনুষ্ঠিত একটি সভায় সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরী ওই তিন নেতার নামে  মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন।

উল্লেখ্য, শরীফাবাদ বাজারে ওই পথসভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহকে উদ্দেশ করে নিক্সন চৌধুরী বলেন, সাবধান হইয়া যান। আপনি (কাজী জাফরউল্লাহ) ফাইজু মিয়ার মতো ডাকাতরে দিয়া আমারে গাইলায়েন না। নিক্সন চৌধুরী কী- এলাকার মানুষ জানে। আপনি বঙ্গবন্ধুর নৌকারে ডুবাইছেন। আপনে তো রাজাকার, রাজাকারের বাচ্চাও।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালে বিজয়ের পর এলাকায় এলে মুরুব্বিরা পরামর্শ দেন তুমি দুই-দুইবার এমপি হইছো, মানুষের জন্য কাজ কর। তুমি উনাকে (জাফরউল্লাহ) নিয়া আর কথা বইল না। আমি চুপ থেকেছি। কিন্তু হঠাৎ এসে তিনি আবোলতাবোল বকছেন, আমার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছেন। আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। মুক্তিযুদ্ধের সময় আপনার (কাজী জাফরউল্লাহ) বয়স ২৭-২৮ বছর ছিল। তাহলে সনদ কই? আপনি ছাত্রলীগ-যুবলীগ কবে করেছেন? আপনি তো পাকিস্তান সেনাদের সঙ্গে নৌকায় ঘুরেছেন, চাল সাপ্লাই দিয়েছেন। ভবিষ্যতে আমার নেতাকর্মীর কোনো ক্ষতির চেষ্টা করলে এমন দাবড় দেব, পদ্মাও পার হতে পারবেন না।

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফের উদ্দেশে নিক্সন চৌধুরী বলেন, জাফরউল্লাহ আপনি ভোট চাইবেন চান। আপনার বিগত দিনের জন্য ভুল স্বীকার করেন। মানুষের কাছে ক্ষমা চান। অথচ আপনি আইস্যা ওই নগরকান্দার থেকে লোক আনেন, ফরিদপুর থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি (ইশতিয়াক আরিফ) ফেনসিডিল খোরদের নিয়া মঞ্চে ওঠেন ও আমারে থুথু দেন। আমি নিক্সন চৌধুরী, কে? আমি নিক্সন চৌধুরী ভাঙ্গা-সদরপুর-চর ভদ্রাসনের জনগণের ভোটে নির্বাচিত এমপি।

তিনি বলেন, মানিকদহ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানকে খুন করছেন আসলাম। তার ফাঁসির রায় হইছিল। অথচ, জাফরউল্লাহ রাষ্ট্রপতির কাছে ও প্রধানমন্ত্রীর পা ধইরা ক্ষমা চাইয়া আসলামরে বাঁচাইলেন।

নিউজ ট্যাগ: নিক্সন চৌধুরী

আরও খবর
বিএনপির আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি: রিজভী

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




গুলশানে বারের সামনে চুলোচুলি, সেই ৩ নারী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের ক্যাফে সেলেব্রিটা বারের সামনে সম্প্রতি কয়েকজন নারীর চুলোচুলি ও মারামারির ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

গ্রেপ্তার তরুণীরা হলেন- শারমিন আক্তার মিম, নুসরাত আফরিন বৈশাখী ও ফাহিমা ইসলাম।

হারুন অর রশীদ বলেন, বারের সামনে কয়েকজন নারীর মধ্যে হাতাহাতির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মামলা করেন। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযুক্ত ৩ নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে, গত ১৪ এপ্রিল বারের সামনে সাদা পোশাক পরা নারী ও লাল শাড়ি পরা এক নারীর মধ্যে হাতাহাতির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

এতে দেখা যায়, হাতাহাতির সময় চিৎকার করছিল নারীরা। কয়েকজন পুরুষ তাদেরকে থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।


আরও খবর
ঢাকার বাতাসের মান আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




ঝিনাইদহ থেকে চুরি যাওয়া শিশু মাগুরায় উদ্ধার, আটক ১

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মাগুরায় ১৫ মাসের শিশুকে নিয়ে পালিয়ে যাবার সময় এক নারীর সাহসিকতায় ও স্থানীয়দের সহযোগতিায় শিশুটি ফিরে পেল তার বাবা-মাকে। ঝিনাইদহের ধোপাঘাট গোবিন্দপুর গ্রামের ইভান ও সুমাইয়া দম্পতির ১৫ মাসের মেয়ে তাহিয়া। তাদের বাড়িতে নাঈম (২০) নামে এক দিনমুজুর কাজ করতে এসে তাহিয়াকে নিয়ে পালিয়ে যাবার সময় একই গাড়িতে থাকা জান্নাতুল ফেরদৌসী নামে অপর যাত্রীর সন্দেহ হলে স্থানীয়দের মাধ্যমে আটক করে মাগুরা সদর থানায় নিলে ঘটনার সত্যতা প্রকাশ পায়।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী রাসেল জানান, অভিযুক্ত নাঈম গত ২৮ মার্চ থেকে ঝিনাইদহ সদরের ধোপাঘাট গোবিন্দপুর গ্রামের  ইভান মিয়ার বাড়িতে কৃষি কাজের জন্য দিনমজুর হিসেবে কাজ করে আসছিল। এর মধ্যে নাঈম মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শিশু তাহিয়াকে চুরি করে নিয়ে ঝিনাইদহ থেকে মাহেন্দ্র অটোতে চড়ে মাগুরার দিকে রওনা দেয়। পথিমধ্যে হাটগোপালপুর এলাকা থেকে মাগুরা শহররে পশু হাসপাতাল পাড়ার জান্নাতুল ফেরদৌসী নামের এক মহিলা মাগুরার উদ্দেশ্যে ওই মাহেন্দ্রে ওঠে। শিশু বাচ্চাসহ নাঈমকে দেখে ও তার সাথে কথা বলে সন্দেহ হলে জান্নাতুল ফেরদৌসী মাগুরা শহরের ভায়না মোড়ে এসে তার সহাসিকতা ও দুরদর্শিতার মাধ্যমে অন্যদের সহযোগতিায় শিশুসহ অভিযুক্ত নাঈমকে আটক করে  মাগুরা সদর থানায় নিয়ে আসে। থানায় পুলিশি জেরার মুখে বাচ্চাটিকে চুরি করে নিয়ে যাওয়ার প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসে। অভিযুক্ত নাঈমের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলায়।

এ সময় তিনি বিষয়টি ঝিনাইদহ থানায় অবহিত করলে ঝিনাইদহ থানা শিশুটির অভিভাবকদের নিয়ে মাগুরা সদর থানায় এলে অভিযুক্ত নাঈমসহ সকলকে ঝিনাইদহ থানায় সোপর্দ করা হয়।


আরও খবর



জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিক মুক্ত

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অবশেষে মুক্ত হয়েছে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটিতে থাকা ২৩ নাবিকই সুস্থ রয়েছেন।

জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা ৩৫ মিনিটে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অল্প কিছুক্ষণ আগে আমরা সুসংবাদ পেয়েছি। আমাদের জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ২৩ নাবিকই অক্ষত অবস্থায় আমরা ফেরত পেয়েছি। আগামীকাল (রোববার) সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।

জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি বিমান বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। তবে চুক্তি অনুযায়ী জাহাজটি যথাসময়ে ছেড়ে দেয়নি দস্যুরা। পরবর্তীতে আশপাশে কেউ আটক করছে কি না, সেটি নিশ্চিত হয়ে জাহাজ থেকে দস্যুরা নেমে যায়।

মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার মধ্যরাতে ২৩ নাবিক নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। যদিও মুক্তিপণ কত এবং কীভাবে দেওয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজের মালিকপক্ষের কোনো কর্মকর্তা।

কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান বলেন, সমঝোতার পর নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। জাহাজের চারপাশে একাধিক আন্তর্জাতিক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে।

এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।

কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ আগে গোল্ডেন হক নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এরকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।


আরও খবর
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




আনোয়ারায় বেইলি ব্রিজ ভেঙে ট্রাক খাদে

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

চট্টগ্রামের আনোয়ারা-চন্দনাইশ সড়কের পুরাতন বরকল বেইলি ব্রিজ ভেঙে চানখালী খালে একটি ট্রাক পড়ে গেছে। এতে চালক আহত হয়েছেন।

শনিবার (২৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত চালকের নাম মো. সাকিব (২২)। তিনি চন্দনাইশ উপজেলায় কেশুয়া এলাকার বাসিন্দা।

প্রত্যক্ষদর্শী জানান, একটি খালি মিনি ট্রাক চন্দনাইশ থেকে আনোয়ারা যাওয়ার পথে পরিত্যক্ত বেইলি সেতুতে উঠতেই সেতুটি ভেঙে পড়ে। এ সময় লোকজন চালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বরকল চাঁনখালি খালের ওপর নতুন একটি সেতু করলেও পাশের পুরোনো বেইলি ব্রিজটি ব্যবহার না করতে সওজ কোনো নির্দেশনা দেয়নি। যার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ বলেন, বরকল চানখালী খালের ওপর সড়ক ও জনপথ বিভাগ ১১৭ মিটারের নতুন একটি সেতু করেছে। ওই চালক কেন পরিত্যক্ত ব্রিজ দিয়ে গেল সেটাই প্রশ্ন।


আরও খবর



শুরু হলো শবে কদর তালাশের দশক

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পবিত্র রমজান শুরুর পর ইতোমধ্যে প্রথম দুই দশক অর্থাৎ, রহমত ও মাগফিরাত শেষ হয়েছে। আজ থেকে শুরু হয়েছে নাজাতের দশক। এই নাজাতের দশকে এমন একটি রাতের কথা বলা হয়েছে, যেই রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম। কারণ, এ রাতেই প্রথম পবিত্র মক্কার হেরা পর্বতের গুহায় মহান আল্লাহ মুহাম্মাদ (সা.)-এর কাছে পবিত্র কোরআন নাজিল করেন।

আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি একে (কোরআন) নাজিল করেছি কদরের রাতে। আপনি কি জানেন মহিমাময় কদর রজনী কী? মহিমান্বিত কদর রজনী হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। (সুরা কদর: ১-৩)

সাধারণত কদর রজনী শেষ দশকে হওয়াই বিশুদ্ধ অভিমত। হজরত আবু সালামা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবু সায়িদকে জিজ্ঞেস করেছি, সে আমার বন্ধু ছিল। তিনি বলেন, আমরা নবী করিম (সা.) এর সঙ্গে রমজানের মধ্য ১০ দিন ইতিকাফে ছিলাম। তিনি ২০ তারিখ সকালে বের হন এবং আমাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। ভাষণে বলেন, আমাকে কদরের রজনী দেখানো হয়েছিল, অতঃপর ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই তোমরা তা শেষ ১০ দিনের বেজোড় রাতগুলোতে তালাশ করো। আমি নিজেকে মাটি ও পানিতে সিজদা করতে দেখেছি। তাই যারা রাসুলের সঙ্গে ইতিকাফে ছিল, তারা যেন ফিরে আসে। তখন আমরা ফিরে এসেছি। আমরা আকাশে কোনো মেঘ দেখিনি। হঠাৎ একরাতে মেঘ এলো, বৃষ্টি হলো, মসজিদের ছাদ ভেসে গেল। তা ছিল খেজুরগাছের ঢালের এবং নামাজ শুরু হলো, তখন আমি রাসুল (সা.) কে দেখেছি, তিনি পানি ও মাটিতে সিজদা করছেন। এমনকি তার কপালে মাটির চিহ্ন ছিল। (বুখারি, হাদিস : ২০১৬)

শবে কদর অনুসন্ধান ও আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ লাভে প্রত্যেক পাড়া-মহল্লার মসজিদে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা ইতোমধ্যে ইতিকাফে বসেছেন।

ইতিকাফ হচ্ছে আল্লাহতায়ালার নৈকট্য ও ক্ষমা লাভের এক অনন্য সুযোগ। রমজানের ইতিকাফ শুরু করতে হয় ২০ তারিখের সূর্যাস্তের আগ থেকে। আর তা শেষ হয় রমজান শেষ হলে। অর্থাৎ ২৯ তারিখে চাঁদ দেখা গেলে বা ৩০ তারিখ পূর্ণ হলে। সুতরাং যারা রমজানের শেষ দশকে আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ, অনুকম্পা, ক্ষমা ও করুণার আশায় মসজিদে ইতিকাফ পালন করবেন, তারা আজ সন্ধ্যার মধ্যে মসজিদে যেয়ে অবস্থান নেবেন।

ইতিকাফের উদ্দেশ্য সম্পর্কে আল্লামা হাফেজ ইবনে রজব বলেছেন, ইতিকাফের উদ্দেশ্য হলো- সৃষ্টির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং স্রষ্টার সঙ্গে সম্পর্ক কায়েম করা। আল্লাহর সঙ্গে পরিচয় যতো গভীর হবে, সম্পর্ক ও ভালোবাসা ততো নিবিড় হবে এবং তা বান্দাকে পুরোপুরি আল্লাহর কাছে নিয়ে যাবে।

শবে কদর তালাশ করতে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি রমজানে ইতিকাফে বসতেন। এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি কদরের রাতের সন্ধানে (রমজানের) প্রথম ১০ দিন ইতিকাফ করলাম। এরপর ইতিকাফ করলাম মধ্যবর্তী ১০ দিন। তারপর আমার প্রতি ওহি নাজিল করে জানানো হলো যে, তা শেষ ১০ দিনে রয়েছে। সুতরাং তোমাদের যে ইতিকাফ পছন্দ করবে, সে যেন ইতিকাফ করে। তারপর মানুষ (সাহাবায়ে কেরাম) তার সঙ্গে ইতেকাফে শরিক হয়। (মুসলিম শরীফ)

মুহাক্কিক ইমামগণ বলেছেন, আরবিতে লাইলাতুল কদর শব্দদ্বয়ে ৯টি হরফ বা বর্ণ রয়েছে; আর সুরা কদরে লাইলাতুল কদর শব্দদ্বয় তিনবার রয়েছে; নয়কে তিন দিয়ে গুণ করলে সাতাশ হয়, তাই (ছাব্বিশ দিবাগত) সাতাশ রমজানের রাতে শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনা প্রবলভাবে বিদ্যমান রয়েছে। (তাফসিরে মাজহারি)।

শবে কদরে নির্ধারিত ফরজ ইবাদতগুলো সযত্নে পালনপূর্বক সামর্থ্যমতো সর্বাধিক নফল ইবাদতের মাধ্যমে রাত্রি জাগরণ করা সুন্নত। রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের উদ্দেশ্যে আত্মমূল্যায়নসহ কদরের রাত জেগে ইবাদত করবে, তার অতীতের সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। (বুখারি শরিফ, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৩০, হাদিস : ৩৪)।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪