নিখোঁজের ৩৪
দিন পর ফতুল্লার বক্তাবলী থেকে নিখোঁজ ব্যবসায়ী জাকির মিয়ার (৫২) লাশ উদ্ধার করেছে
পুলিশ। বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া এলাকা থেকে লাশ উদ্ধারের পর গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে
নিহতের স্ত্রী মোর্শেদা বেগম (৪৬) লাশ শনাক্ত করেন।
এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর
বিকেল সাড়ে ৩টায় বাসা থেকে বের হয়ে জাকির মিয়া নিখোঁজ হন। এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর ফতুল্লা
মডেল থানায় একটি জিডি করেন তার স্ত্রী।
এ বিষয়ে ইউপি
সদস্য রশিদ মেম্বার বলেন, জাকির মিয়াকে স্থানীয় আওলাদ নামে এক লোক মারধর করেন। তবে
কি নিয়ে মারধর করেছে তা আমি জানি না। এজন্য জাকির মিয়াকে তার মেয়ের জামাই জাকির হোসেন
আমার অফিসে নিয়ে আসেন। এ সময় অভিযোগের তদন্তকারী অফিসার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই)
জাহিদ হাসান জুয়েল, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা, এসআই সাইফুল উপস্থিত ছিলেন।
তাদের সামনেই
জাকির মিয়াকে আমি জিজ্ঞেস করি ভাই আপনার সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই এবং চেনা-জানাও
নেই তাহলে আমার বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ করলেন? তখন জাকির মিয়া
তার ভুল স্বীকার করে অভিযোগ উঠিয়ে নিয়ে নতুন করে অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছিলেন। এরপর
জাকির মিয়া তার মেয়ের জামাই জাকির হোসেনের সঙ্গে চলে যান। এখন আমাকে হত্যাকারী বলা
হচ্ছে। এ বিষয়ে তদন্ত চাই কারা জাকির মিয়াকে হত্যা করেছে।
নিহতের স্ত্রী
মোর্শেদা বেগম বলেন, জামা, প্যান্ট ও পকেটে টুপি এবং গুলের ডিব্বা দেখে জাকিরের লাশ
শনাক্ত করি। পুলিশ আমাদের কথার সত্যতা পেয়ে লাশ বুঝিয়ে দিয়েছে। গতকাল বিকেলেই স্থানীয়
কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়েছে। আমি আমার স্বামীর হত্যাকারীর গ্রেপ্তার ও শাস্তি চাই।
ফতুল্লা মডেল
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রিজাউল হক বলেন, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত
চলছে। আশাকরি হত্যাকারীকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।