আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

‘নিখোঁজ’ নুসরাতের সন্ধান চেয়ে পোস্টার!

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ মে ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৮ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিতর্কিত মন্তব্য বা ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা সময়ে খবরের শিরোনামে থাকেন টলিউড অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। তবে, সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে চোখ রাখলে সারাক্ষণই সক্রিয় থাকতে দেখা যায় তাকে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকার মধ্যেই হঠাৎ শোনা গেল নিখোঁজ নুসরাত জাহান! হ্যাঁ, এমন পোস্টারেই সয়লাব হাড়োয়া বিধানসভার চাপাতলা পঞ্চায়েত এলাকা।

ক্ষমতাসীনদের দ্বন্দ্বের জেরেই এই ধরনের পোস্টার লাগানো হয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতারা। দেগঙ্গা ব্লকের হাড়োয়া বিধানসভার চাপাতলা পঞ্চায়েতটি বসিরহাট লোকসভার অন্তর্গত। সোমবার এই পঞ্চায়েতের কেয়াডাঙা এবং চাপাতলা এলাকায় অভিনেত্রী-সংসদ সদস্য নুসরাত জাহানের নামে নিখোঁজ এবং সন্ধান চাই পোস্টার দেখা যায়। কোন পোস্টারের নিচে লেখা সাধারণ জনগণ, আবার কোনটায় লেখা প্রতারিত জনগণ। ঘটনাটি জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।

তৃণমূলের একাংশের দাবি, ঘটনাটি নুসরাতের উপর এলাকাবাসীর ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এই প্রসঙ্গে দেগঙ্গার চাপাতলা পঞ্চায়েতের প্রধান হুমায়ুন রেজা চৌধুরী বলেন, গত ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বসিরহাটের সংসদ সদস্য ছিলেন হাজি নুরুল ইসলাম। এলাকার উন্নয়নসহ সব কাজে সাধারণ মানুষ থেকে তৃণমূলের কর্মীরা তাকে কাছে পেয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে তৃণমূল সংসদ সদস্যকে পাওয়াই যায় না। সম্ভবত সেই কারণেই এলাকার মানুষ এই ধরনের পোস্টার লাগিয়েছে। তবে বিষয়টি জানার পরেই দলের কর্মীদের দিয়ে পোস্টারগুলো ছিঁড়ে ফেলা হয় বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে নুসরাতের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতাদের দাবি, এটা বিরোধীদের কাজ। কোনও ইস্যু না থাকার কারণেই বিরোধীরা এই ধরনের কুৎসা রটাচ্ছেন। এলাকার উন্নয়নে নুসরাতের ভূমিকা রয়েছে। স্থানীয় নেতাদের সঙ্গেও তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন।  তৃণমূলের চাপাতলা অঞ্চলের সভাপতি আব্দুল রাজ্জাক বলেন, বিষয়টি শুনেছি। যারাই কাজটি করুক না কেন, অন্যায় কাজ হয়েছে।

এদিকে, তারকা সংসদ সদস্যের অনুপস্থিতির অভিযোগে ক্ষুব্ধ বসিরহাটের সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ, বসিরহাট উত্তর ও দক্ষিণ বিধানসভার তৃণমূলের একাংশও। তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের একাংশের অভিযোগ, তিনি ধূমকেতু। বসিরহাটে শুধু প্রচার করতে আসেন। করোনাকালে বসিরহাটে তাকে দেখা যায়নি। গত বছর আমফানের সময়ও মানুষ তাকে পাশে পায়নি। তবে এ নিয়ে এখনও অভিনেত্রীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



রেলের ২৩ হাজার একর জমি বেদখলে: রেলমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, রেলের আওতাধীন জমি দখলমুক্ত করার কাজ শুরু করেছি। ভুয়া কাগজ তৈরি করে অনেকেই রেলের জমি ভোগ দখল করছেন। সারাদেশে এ রকম ২৩ হাজার একর জমি আছে, যেগুলো বেদখল হয়ে গেছে। ধাপে ধাপে সব দখলদারকে উচ্ছেদ করা হবে।’

শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে রাজবাড়ি জেলার পাংশা উপজেলা পরিষদের হল রুমে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

জিল্লুল হাকিম বলেন, ঢাকায় একেকটি জমির মূল্য ১০০ কোটি টাকার ওপরে। বঙ্গবাজারের মতো জায়গাসহ ঢাকার ১১টি বড় স্থান রেলের, যেগুলো বেদখল হয়ে আছে। একটি স্বায়িত্বশাসিত সংস্থা বঙ্গবাজারে মার্কেট নির্মাণ করতে চাইছিল। আমি দ্বায়িত্ব পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে ওইসব মার্কেটের কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। রেলের জমি ভোগ করলে প্রথমে রেলের জমিদারি দখলত্ব মানতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, রেলের জায়গা পুনরুদ্ধারের জন্য আমি আমার নিজের নির্বাচনী এলাকা রাজবাড়ী-২ থেকে শুরু করেছি। এরই মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। রেলের কার্যক্রমকে বেগবান করার জন্য রেল ভবনসহ স্থাপনা তৈরিতে রেলের প্রচুর জমির প্রয়োজন। যে কারণে দ্রুতই সারাদেশে অভিযান শুরু হবে। একটি মহল রেলের জমি দখল করে ভুয়া কাগজ তৈরি করেছে তারাও পার পাবে না। জেলা প্রশাসনসহ রেলের লোকজনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যাদের সঠিক কাগজপত্র আছে সেগুলো যাচাই-বাছাই করে অবৈধদখল মুক্ত করা হবে।’

রেলমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সবচেয়ে কম টাকায় যাতায়াতের বাহন রেলকে ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়া চলমান আছে। ভাঙ্গা থেকে পায়রা বন্দরের নতুন রেললাইনের কাজ দ্রুত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রেলের সুদিন ফিরিয়ে আনতে নতুন নতুন কোচ, ইঞ্জিন আমদানি করা হয়েছে। জনবল বাড়াতে নিয়োগ কার্যক্রম চলমান আছে।’

সভায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সফিকুল মোরশেদ আরুজ, রেলওয়ে পশ্চিমের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুজ্জামান, পাংশা উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



রোজা শুরুর তারিখ ঘোষণা করল অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশ অস্ট্রেলিয়া পবিত্র মাহে রমজান শুরুর তারিখ ঘোষণা করেছে। দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, কাল সোমবার শাবান মাসের শেষ দিন হবে। আর মঙ্গলবার (১২ মার্চ) থেকে শুরু হবে পবিত্র রমজান মাস।

ইমামদের ফেডারেল কাউন্সিল, ফতোয়া ও শরীয়াহ বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে অস্ট্রেলিয়ার গ্র্যান্ড মুফতি জানিয়েছেন, সোমবার শাবান মাস শেষ হবে আর মঙ্গলবার শুরু হবে রোজা। ভৌগলিক অবস্থান এবং চাঁদ ওঠার কারণে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে রোজার তারিখ ঘোষণা করে থাকে।

অস্ট্রেলিয়া পূর্ব গোলার্ধে অবস্থিত এবং অন্যান্য দেশের তুলনায় সময়ের দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে দেশটি। পশ্চিম গোলার্ধে যেসব দেশ রয়েছে সেগুলোর তুলনায় আগে অস্ট্রেলিয়ায় ইসলামিক চন্দ্র মাস শুরু হয়।

এদিকে আজ রোববার ১০ মার্চ সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে পবিত্র রমজানের চাঁদ দেখার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দেশটির রয়্যাল কোর্ট সাধারণ মানুষকে চাঁদ দেখার আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া আরব আমিরাতও তাদের জনগণকে একই আহ্বান জানিয়েছে।

তবে ১০ মার্চ রমজানের চাঁদ দেখা যাবে না বলে জানিয়েছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা আন্তর্জাতিক জোতির্বিদ্যা কেন্দ্র। এর বদলে পরের দিন ১১ মার্চ চাঁদ দেখা যাবে এবং ১২ মার্চ থেকে মুসল্লিরা রোজা রাখা শুরু করবেন।

আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র জানিয়েছে, ১০ মার্চ গ্রিনিচ সময় অনুযায়ী, সকাল ৯টায় চাঁদ ও সূর্যের সংযোগ হবে।

কিন্তু এদিন আরব বিশ্বের কোনো অঞ্চল থেকে খালি চোখে অথবা টেলিস্কোপ দিয়ে চাঁদ দেখা সম্ভব নয়। ওইদিন চাঁদটি ইসলামিক বিশ্বের শহরগুলো থেকে সূর্যাস্তের পরপরই অস্ত যাবে।

কেন আজ চাঁদ দেখা যাবে না?

সৌদি আরবের মক্কা শহরে আজ সূর্যাস্তের ১৩ মিনিট পর নতুন অর্ধচন্দ্রটি অস্ত যাবে। তখন চাঁদটির বয়স থাকবে ৬ ঘণ্টা ২২ মিনিট। অপরদিকে মিসরের রাজধানী কায়রোতে সূর্যাস্তের ১৪ মিনিট পর চাঁদ অস্ত যাবে। তখন চাঁদটির বয়স থাকবে ৭ ঘণ্টা ২ মিনিট।

আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্রের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ শওকত ওদেহ বলেছেন, নতুন জন্ম হওয়া চাঁদ দেখতে হলে সূর্যাস্তের পর কমপক্ষে ২৯ মিনিট এটি আকাশে থাকতে হবে, চাঁদটির বয়স হতে হবে ১৫ ঘণ্টা ৩৩ মিনিটের বেশি এবং সূর্য ও চাঁদের মধ্যে দূরত্ব থাকতে হবে ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি। আগামী ১০ মার্চ এর কোনোটিরই সম্ভাবনা নেই।


আরও খবর
ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




এক নজরে দেশজুড়ে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকাসহ সারা দেশে এদিন প্রত্যুষে একত্রিশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। রোববার (২৪ মার্চ) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কর্মসূচির বিস্তারিত জানিয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা : এদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। পরে বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

জাতীয় পতাকা উত্তোলন : সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। তবে ২৫ মার্চ গণহত্যার কালরাতে আলোকসজ্জা করা যাবে না। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়ক-দ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হবে।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী : এদিন সরকারি ছুটি থাকবে। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী প্রদান করবেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র, নিবন্ধ ও সাহিত্য সাময়িকী প্রকাশ করবে। ইলেকট্রনিক মিডিয়া মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার করবে।

মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক অনুষ্ঠান : বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক আলোচনা; সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান; শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা; মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে।

অন্যান্য আয়োজন : মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হবে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করবে।  ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে। দেশের সকল হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু পরিবার, বৃদ্ধাশ্রম, ভবঘুরে প্রতিষ্ঠান ও শিশু দিবাযত্র কেন্দ্রসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে।

দেশের সকল শিশুপার্ক ও জাদুঘরসমূহ বিনা টিকিটে উন্মুক্ত রাখা হবে। চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা ও পায়রা বন্দর এবং ঢাকার সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জের পাগলা, বরিশাল ও চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী ও কোস্ট গার্ডের জাহাজসমূহ ওই দিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।

জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ও বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে একই কর্মসূচি পালন করা হবে।


আরও খবর



রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

ইতিকাফের শাব্দিক অর্থ হলো অবস্থান করা, কোনো বস্তুর ওপর স্থায়ীভাবে থাকা। ইতিকাফের মধ্যে নিজের সত্তাকে আল্লাহ তায়ালার ইবাদতের মধ্যে আটকিয়ে রাখা হয় এবং নিজেকে মসজিদ থেকে বের হওয়া ও পাপাচারে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত রাখা হয়। শরিয়তের পরিভাষায় ইতিকাফের নিয়তে কোনো পুরুষ লোক এমন কোনো মসজিদে অবস্থান করবে যেখানে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জামাতের সাথে আদায় করা হয় এবং মহিলারা নিজ ঘরে সালাতের স্থানে কোনো নির্জন কামরায় অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলা হয়।

ইতিকাফের উদ্দেশ্য হলো- দুনিয়ার সবরকম ঝামেলা থেকে নিজেকে মুক্ত করে মহান আল্লাহ তায়ালার সান্নিধ্য লাভের নিমিত্তে একমাত্র তারই ইবাদতে মশগুল থাকা। যে মসজিদে নিয়মিতভাবে আজান, ইকামতসহকারে পাঁচ ওয়াক্ত জামাতের সাথে সালাত আদায় করা হয় সেই মসজিদেই ইতিকাফ করা অধিকতর সহিহ হবে। ইতিকাফের সর্বোত্তম স্থান হলো মসজিদুল হারাম, অতঃপর ওই সব জুমার মসজিদ যেখানে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জামাতের সাথে আদায় করা হয়। এরপর সেই মসজিদ যেখানে মুসল্লির সংখ্যা অধিক হয়ে থাকে। (শামি, দ্বিতীয় খণ্ড ও আলমগিরি, প্রথম খণ্ড)

ইমাম আবু হানিফা রহ: বলেন, ইতিকাফ সহিহ হবে এমন মসজিদে যেখানে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জামাতের সাথে আদায় করা হয়। (হিদায়া, প্রথম খণ্ড)

মহিলারা ঘরে সালাতের জন্য নির্ধারিত স্থানে ইতিকাফ করবেন। নামাজের স্থান নির্ধারিত না থাকলেও ইতিকাফে বসার সময় তা নির্ধারণ করে নিলেও সহিহ হবে। মহিলাদের জন্য মসজিদে ইতিকাফ করা মাকরুহ। (ফাতয়ায়ে শামি, দ্বিতীয় খণ্ড)

মানতের ইতিকাফ করার জন্য রোজা রাখা বাধ্যতামূলক। সুতরাং মানতের ইতিকাফ কমপক্ষে এক দিন হতে হবে। কেননা, এক দিনের কম সময়ে রোজা শুদ্ধ হয় না। এ ছাড়া রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদায়ে কিফায়া। নফল ইতিকাফের জন্য নির্ধারিত কোনো সময় নেই এবং তা পালনের জন্য রোজা রাখাও শর্ত নয়। এ ইতিকাফ অল্প কিছুক্ষণের জন্যও হতে পারে এমনকি মসজিদে না বসেও আদায় করা সহিহ হবে। (তাহতাবি)

ইতিকাফের উপকারিতা : ইতিকাফের ফজিলত ও উপকারিতা অপরিসীম। দুনিয়ার সব রকম ঝামেলা থেকে সম্পূর্ণভাবে নিজেকে মুক্ত করে একান্ত নিরিবিলি নিভৃতে মহান আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করার জন্যই ইতিকাফ করা হয়। ইতিকাফকারী পুরুষ হোক বা মহিলা তারা বহু ধরনের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে পারেন। ইতিকাফকারী ব্যক্তির পুরো সময়টাই ইবাদতের মধ্যে গণ্য হয়ে থাকে। আতা আল খুরাসানি রহ: বলেছেন যে, ইতিকাফকারী সেই ব্যক্তির মতো, যে নিজেকে মহান আল্লাহ তায়ালার সামনে সোপর্দ করে দিয়েছে এবং বলেছে যে, আমি এ স্থান ত্যাগ করব না, যতক্ষণ না আমাকে ক্ষমা করা হয়। এ জন্যই ইতিকাফের গুরুত্ব অপরিসীম যে, ইতিকাফের মাধ্যমে বান্দা তার নিজেকে মহান মনিবের ঘরে ইবাদতে মশগুল থেকে তার অসহায়ত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে থাকে। (বাদউস সনায়ি, দ্বিতীয় খণ্ড)

হজরত সাঈদ ইবনে জুবাইর হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা: থেকে বর্ণনা করেন- রাসূলুল্লাহ সা: ইতিকাফকারী ব্যক্তি সম্পর্কে বলেছেন, সে ইতিকাফ এবং মসজিদে বদ্ধ থাকার করণে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে এবং তার নেকির হিসাব সবধরনের নেককাজ সম্পাদনকারী ব্যক্তির মতো জারি থাকে। (ইবনে মাজাহ)

রমজানে ইতিকাফের গুরুত্ব : আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: রমজান মাসের শেষ দশকে সারা রাত জেগে থাকতেন, নিজের পরিবার-পরিজনকে জাগিয়ে রাখতেন, ইবাদতে কঠোর পরিশ্রম করতেন এবং উম্মুল মুমিনিনদের থেকে দূরে থাকতেন। (সহিহ মুসলিম)

হজরত আয়েশা সিদ্দিকা রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: রমজান মাসের তৃতীয় দশকে অধিক পরিশ্রম করতেন, যে রকম কঠোর পরিশ্রম অন্য কোনো মাসে করতেন না। (সহিহ মুসলিম)

হজরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: প্রত্যেক রমজানে ১০ দিন ইতিকাফ করতেন; কিন্তু যে বছর তিনি ইন্তেকাল করলেন, সে বছর তিনি ২০ দিন ইতিকাফ করেছেন। (সহিহ বুখারি)

আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সা: সর্বদা রমজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করতেন; কিন্তু এক বছর তিনি সফর করার কারণে পরের বছর ২০ দিন ইতিকাফ করেছেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ)

হজরত ইবনে উমর রা: রাসূলুল্লাহ সা: থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সা: যখন ইতিকাফ করতেন তখন তাঁর জন্য বিছানা বিছানো হতো (আবু লুবাবা ইবনে মুনজির) রা:-এর তাঁবুর খুঁটির পাশে। (সুনানে ইবনে মাজাহ)

হজরত আবু সাঈদ খুদরি রা: থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সা: তুর্কি তাঁবুতে রমজানুল মুবারকের প্রথম ১০ দিন ইতকাফ করলেন। এর পর দ্বিতীয় ১০ দিনও এরপর তাঁবু থেকে মাথা বের করে বললেন, আমি এই (কদরের) রাতে অনুসন্ধানে প্রথম ১০ দিন ইতিকাফ করেছি। এর পর দ্বিতীয় ১০ দিনও। তারপর স্বপ্নে একজন ফেরেশতা এসে আমাকে বললেন, এ রাতটি রমজানের শেষ দশকে। কাজেই যে ব্যক্তি আমার সাথে ইতিকাফ করেছে সে যেন শেষ ১০ দিনও ইতিকাফ করে। আমাকে এ রাতটি দেখানো হয়েছিল এবং তা ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। (আমি স্বপ্নে) দেখেছি, এ রাতের সকালে ফজরের সালাতে আমি পানি ও কাদামাটিতে সিজদা করেছি। তোমরা এ রাতের অনুসন্ধান করবে শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে। বর্ণনাকারী বলেন, ছাদ থেকে ওই বৃষ্টি হয়েছিল, তখন মসজিদের ছাদ খেজুরগাছের ডালা দিয়ে নির্মিত ছাপড়ার মতো ছিল। এতে মসজিদের ছাদ থেকে পানি টপকিয়ে পড়েছিল। বর্ণনাকারী সাহাবি বলেন, রমজানুল মুবারকের ২১ তারিখ সকালে রাসূলুল্লাহ সা:-এর কপাল মুবারকে আমি নিজ চোখে কাদামাটির চিহ্ন দেখেছি। (মিশকাত )

নিউজ ট্যাগ: ইতিকাফ

আরও খবর
ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার্থে ঝালকাঠিতে র‌্যালি

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

Image

ধর্ম-বর্ণ, দল-মত নির্বিশেষে সর্বশ্রেণির মানুষের উপস্থিতিতে আজ রবিবার (১০ই মার্চ) ঝালকাঠিতে অনুষ্ঠিত হল পবিত্র মাহে রমযান উপলক্ষে আলোচন সভা ও বর্ণাঢ্য র‌্যালী।

প্রথমে বিকাল সাড়ে ৩টায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে রমজান কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা আদর্শ সমাজ বাস্তবায়ন পরিষদ সভাপতি আলহাজ সরদার মো: শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমীরুল মুছলিহীন হযরত মাওলানা মুহম্মদ খলীলুর রহমান নেছারাবাদী হুজুর।

উদ্বোধনী বক্তব্য পেশ করেন বাংলাদেশ আদর্শ সমাজ বাস্তবায়ন পরিষদ মহাসচিব ডা. মুহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন খান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সভা ও র‌্যালীর আহ্বায়ক পৌর মেয়র আলহাজ্ব মো. লিয়াকত আলী তালুকদার, এ্যাড. মো. সিদ্দিকুর রহমান, অধ্যক্ষ মাওলানা মুফতী গাজী মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান কাজী, এ্যাড. মুন্সী আবুল কালাম আজাদ, ডা. অসীম কুমার সাহা, মাওলানা মো: মোক্তার আহমদ, জনাব মো: আল আমীন বাকলাই প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীরুল মুছলিহীন হযরত নেছারাবাদী হুজুর মাহে রমজানকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানবজাতির কল্যাণের মাস উল্লেখ করে বলেন, রমজান শুধু মুসলমানদের নয় বরং গোটা মানবজাতির জন্য মানবতা, মননশীলতা ও বিবেকবোধ চর্চার মাস; তামাম পৃথিবীর মানুষের জন্য কল্যাণ ও অনুগ্রহের মাস।

সভা শেষে র‌্যালীকে কেন্দ্র করে ঝালকাঠি শহর উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়। হযরত নেছারাবাদী হুজুরের নেতৃত্বে ঝালকাঠির সর্বস্তরের মানুষ এতে অংশগ্রহণ করেন। রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় বিভিন্ন শ্লোগান ও ব্যানার-ফেস্টুনে আকীর্ণ র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন অলিগলি প্রদক্ষিণ শেষে দোয়া ও মুনাজাতের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়।


আরও খবর