গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাত আড়াইটার
দিকে পাথরঘাটা থেকে ৮০ কিলোমিটার পূর্বে ও পায়রা বন্দর থেকে পশ্চিমে বয়া এলাকায়
বঙ্গোপসাগরে একটি মাছ ধরার ট্রলারে দস্যুদের হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ট্রলারে থাকা ১৮ জেলের
ওপর গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে ৯ জেলেকে গুরুতর জখম করে। এ সময় জীবন বাঁচাতে সাগরে ঝাঁপিয়ে
পড়ে নিখোঁজ হন ৯ জেলে।
সেই ঘটনার তিনদিন পর গত ২০ ফেব্রুয়ারি
সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় ৪ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করেন জেলেরা। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায়
তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। বুধবার (০১ মার্চ) বিকেলে বলেশ্বর নদী থেকে গভীর বঙ্গোপসাগরে
ভাসমান অবস্থায় নিখোঁজ ৫ জেলের মধ্যে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত জেলেরা হলেন- তালতলী উপজেলার চামু
পাড়া এলাকার কাইউম মাঝি ও বরগুনা সদর উপজেলার রায়ভোগ চৌমুহুনী এলাকার আবুল কালাম।
এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ জেলেরা হলেন, ফরিদ, খাইরুল এবং আব্দুল আলীম।
বরগুনা জেলার ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি
গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, সমুদ্রে মাছ শিকাররত জেলেদের তথ্যের ভিত্তিতে নিখোঁজদের
স্বজনরা সমুদ্রে খোঁজাখুঁজি করে দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার করেছেন। তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের
জন্য বরগুনা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ভাই ভাই ট্রলারের মালিক মোহাম্মদ মিরাজ
বলেন, দস্যুদের হামলার ঘটনাটিতে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালি থানায়
অজ্ঞাত পরিচয়ের ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি করে আমি একটি মামলা দায়ের করেছি।
কোস্টগার্ডের পাথরঘাটা স্টেশনের কমান্ডার
লেফটেন্যান্ট শাফায়েত আবরার বলেন, সমুদ্র থেকে নিখোঁজ দুই জেলের মরদেহের উদ্ধারের
খবর আমরা পেয়েছি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।