নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর নিঝুমদ্বীপ
জাতীয় উদ্যানে আলোক দূষণ প্রতিরোধে বন্য পাখি অবমুক্ত, র্যালী ও আলোচনা সভার মধ্য
দিয়ে পালিত হয়েছে বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস। এসময় শিকারীর হাত থেকে উদ্ধার করে বিভিন্ন
প্রজাতির পাখি অবমুক্ত করা হয়।
শনিবার (৮ অক্টোবর)
সকালে ম্লান করলে রাতের আলো, পাখিরা থাকবে আরো ভালো’ এ প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে উপকূলীয়
বন বিভাগের আয়োজনে র্যালিটি নিঝুমদ্বীপ নামার বাজার থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন
করে নামার বাজার সাইক্লোন সেন্টারে এসে শেষ হয়। পরে সাইক্লোন সেন্টারে জনপ্রতিনিধি,
বন বিভাগ, পরিবেশ বিজ্ঞানীসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে স্থানীয়
বাসিন্দাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জাহাজমারা ফরেস্ট
রেঞ্জ কর্মকর্তা এসএম সাইফুর রহমান এর সঞ্চালনায় এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ
সেলিম হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা
মো ফরিদ মিয়া, মুখ্য আলোচক ছিলেন, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ
বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ মহিনুজ্জামান। বিশেষ
অতিথি ছিলেন, জেলা বন্য প্রানী সংরক্ষণ কর্মকর্তা ইব্রাহীম খলিল, উপজেলা পষিদের ভাইস
চেয়ারম্যান কেফায়েত উল্যা ও ইউপি চেয়ারম্যান মো দিনাজ উদ্দিন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন,
নিঝুমদ্বীপ সহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি খবিরুল হক বেলাল, নিঝুমদ্বীপ তদন্তকেন্দ্রের
ইনচার্জ সাইদুল ইসলাম।
মতবিনিময় সভায়
বক্তারা বলেন, অন্যান্য দূষনের মতো আলোক দূষনও পরিযায়ী পাখির অবাধ বিচরন বাধাগ্রস্ত
করে। অতিথি পাখি পরিবেশকে সুন্দর করে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
রাখে।
অনেক আলোচক
আশংকা প্রকাশ করেছেন, জলাভূমি নষ্ট করে কৃষি কাজ হচ্ছে, অতিরিক্ত প্লাস্টিকের বর্জ্য
ও কীটনাশকের ব্যবহারের ফলে অতিথি পাথি ভবিষ্যতে কমে যেতে পারে। এখনই এসব পাখির আবাসস্থল
ও খাদ্য নিরাপদ করতে না পারলে পরিবেশের উপর এর বিরুপ প্রভাব পড়বে।