মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে নিজেকে উৎসর্গ করার প্রত্যয় নিয়েই রাজনীতি করি
জয়পুরহাট থেকে শাহাদাৎ হোসেন
রাজনীতি ও জনসেবা শব্দ দু’টি পরিপূরক। রাজনীতির মূখ্য উদ্দেশ্য জনগণের প্রত্যাশা পুরণে সুখে দুঃখে তাদের পাশে থেকে নিজেকে উৎসর্গ করা। একজন রাজনীতিবীদ তখন-ই স্বার্থক যখন সাধারণ জনগণ তাকে দিয়ে সমাজের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে। রাজনৈতিক আর ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা দুটি আলাদা বিষয়, ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা অর্জন করতে গেলে মানুষের পাশাপাশি-কাছাকাছি গিয়ে অসহায়দের সহায় হয়ে নিজেকে উৎসর্গ করতে হবে তবেই ব্যক্তি জনপ্রিয়তা অর্জিত হয়। অপরদিকে রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা রাজনৈতিক দর্শন বা প্রজ্ঞা দিয়েই অর্জণ করতে হয়, স্বচ্ছ রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে সমাজের নানাবিধ উন্নয়ন ও সেবামূলক কাজে নিজেকে সংশ্লিষ্ট রেখে রাজনৈতিক দূরদর্শিতা অর্জনের মাধ্যমে রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা অর্জিত হয়। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের মানদণ্ড বা আদর্শ অন্যতম। একসাথে রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা কোন ব্যক্তির অর্জন হয়ে থাকলে ধরে নিতে হবে সে প্রকৃত অর্থেই একজন ভালো মানুষ বা ভালো রাজনৈতিক ব্যক্তি। যদিও তা আমাদের সমাজে খুব দুরুহ ব্যাপার। কিন্তু এর সব বাস্তবতায় তিলে তিলে নিজ এলাকার সর্বস্তরের জনগণের ভালোবাসা ও আস্থা অর্জন করে নিয়েছেন আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি জয়পুরহাট সদর পৌরসভার মেয়র পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আওয়ামী যুবলীগ এর সভাপতি প্রভাষক সুমন কুমার সাহা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী ৫ম ধাপে ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জয়পুরহাট পৌর সভার নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে শহরের প্রতিটি অলি-গলি চায়ের টেবিলে একই আলাপ, কারা পাচ্ছেন দলীয় মনোনয়ন, কে হচ্ছে পৌর মেয়র, এছাড়াও নিজ নিজ নেতার সমর্থনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যে ফেসমবুকেও জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারনা। দলীয় নেতাকর্মীরা অপেক্ষার প্রহর গুনছে এ আশায় কে হবেন দলের মনোনীত প্রার্থী।
এ প্রসঙ্গে জয়পুরহাট পৌরসভার মেয়র প্রার্থী যুবনেতা সুমন কুমার সাহা প্রতিবেদককে বলেন, মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে নিজেকে উৎসর্গ করার প্রত্যয় নিয়েই রাজনীতি করি। রাজনীতি করি জনগণের জন্য, তাদের প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করাই আমার লক্ষ্য, ক্ষুদ্র এই রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করে ১৯৮৯ সালে স্কুল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ২০০২ সাল পর্যন্ত জয়পুরহাটের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উপজেলা ও জেলা ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছি। ২০০৩ সাল জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক, ২০০৬ সালে সাধারণ সম্পাদক পরবর্তীতে ২০১৬ সালে জেলা যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে অদ্যবধি আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে আসছি, এছাড়াও আমি সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িত থেকে জয়পুরহাটের যুব সমাজকে সাথে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, প্রায় ৩২ বছর রাজনীতির এই পথ চলায় কখনও আমার ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই, স্বপ্ন শুধু একটাই আমৃত্যু জনগণের পাশে থেকে নিজেকে বিলিয়ে দিবো। এ প্রত্যাশা নিয়ে আগামী ২৮-ই ফেব্রুয়ারি জয়পুরহাট সদর পৌর সভার নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর দলীয় মনোনয়ন পেতে প্রার্থী হিসেবে নিজেকে সমর্পণ করেছি। আমি আশাবাদী আমাদের আস্থার শেষ ঠিকানা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ও দলের নীতি নির্ধারকগণ সুবিবেচনা করে আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিবেন। দলীয় মনোনয়ন দেয়া হলে নির্বাচনী এলাকায় নৌকার বিজয় ধ্বনিতে মুখরিত হবে। একই সাথে মেয়র নির্বাচিত হলে আমার পৌর এলাকার জনগণের প্রত্যাশা পুরণে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে জয়পুরহাট পৌরসভাকে অত্যাধুনিক রুপরেখায় সার্বিক উন্নয়ন দৃশ্যমান করবো।