আমি ভীষণ ভাতখোর। জিমে আমার বলাই রয়েছে,
যত খাটতে বলবে খাটব। কিন্তু খাওয়া নিয়ে অত বিধিনিষেধ মানতে পারব না। আমরা তো ছোট থেকে
ভাত, ঘি, আলু-সিদ্ধ খেয়েই বড় হয়েছি। এখন সেই খাবারগুলোকে ডায়েট থেকে বাদ দেওয়ায় বিশ্বাসী
নই আমি। বর্তমানে প্রতিদিন দুপুরে ভাতের সঙ্গে পাঁঠার মাংস খাই। খাদ্যাভ্যাস খুব একটা
পরিবর্তন না করেও এভাবেই নিজেকে ফিট রাখার রহস্য ফাঁস করলেন ভারতীয় অভিনেত্রী দেবলীনা
কুমার।
নিজের ওজন কমিয়ে অনুসারীদের কাছে আদর্শ
হয়ে ওঠেছেন এ অভিনেত্রী। এমন পরিবর্তন তার একাল-সেকালের ছবি দেখলেই বোঝা যায়। মূলত
অভিনয়ের কাজের শত ব্যস্ততা সামলেও অভ্যাস পরিবর্তনেই এসেছে তার এমন সাফল্য। এক সাক্ষাৎকারে
এ অভিনেত্রী ঠিক এমনটাই জানিয়েছেন।
দেবলীনা জানিয়েছেন, খাদ্যতালিকায় দীর্ঘ
দিনের অভ্যাস পরিবর্তন করা কঠিন। ভাত না খেয়ে আমি থাকতে পারি না। যদি ২ দিন ভাত না
খাই, দেখেছি শরীরে বিভিন্ন সমস্যা শুরু হয়ে যায়। দিনের শুরু করে থাকি দুধ-চিনি ছাড়া
ব্ল্যাক কফি দিয়ে। তারপর জিমে ওয়ার্ক আউটে যাই।
জানালেন, সপ্তাহের সাত দিন ১ ঘণ্টা ওয়েট
ট্রেনিং করে থাকি। তারপরে, আধ ঘণ্টা কার্ডিও। হেঁটেই জিমে যাই। এতে কার্ডিও সময়টা বাঁচে।
এখন শহরজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় ম্যারাথন হচ্ছে। তাতে অংশ নেই। ফলে কার্ডিও আমার সেখানেই
হয়ে যায়।
নিজেকে ফিট রাখতে বাড়ির খাবার ভরসা জানিয়ে
তিনি বলেন, শুটিং চলাকালেও বাড়ির খাবার খাওয়ার চেষ্টা করি। এতে শরীরও ভালো থাকে। অনেকের
বিশ্বাস না হলেও প্রতিদিন দুপুরে ভাতের সঙ্গে অল্প পরিমাণে পাঁঠার মাংস খাই। এ ছাড়াও
থাকে একটু সবজি। যদিও তিনি মাছ একদমই খান না। মুরগির মাংসও খুব একটা পছন্দ করেন না।
এতসব খাবার খেয়েও ফিট থাকার কৌশল জানাতে
গিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, জিমে ঘাম ঝরানো গেলে খাওয়া যেতেই পারে। প্রায়ই মিষ্টি খাওয়া
হয়। মাঝেমধ্যে বিয়েবাড়ির আমন্ত্রণে চিট-ডে হয়ে যাই বলেও জানান তিনি।
রাতের খাবার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাতের
খাবার হেলদি এবং অল্প খেয়ে থাকি। কোনোদিন চিকেন বা কোনোদিন সবজি দিয়ে হেলদি নুডলস।
চেষ্টা করি রাতের খাবারটা ৯টার মধ্যে খেয়ে নিতে।
ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
ওজন বেশি থাকলেও আমার নাচ করতে কখনো সমস্যা হয়নি। অভিনয়ের জগতে এসেও ওজন কামানোর প্রয়োজন
মনে হয়নি। তবে নিজেকে নিয়ে আরও আত্মবিশ্বাসী হওয়ার ইচ্ছে জাগে।