আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

নিজেদের মহাকাশ স্টেশনে আরও ৩ নভোচারী পাঠাল চীন

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন তিয়ানগংয়ে তিন নতুন নভোচারীকে পাঠিয়েছে চীন। গতকাল মঙ্গলবার শেনঝো-১৫ নভোযানে করে তারা মহাকাশের উদ্দেশে রওনা দেন। মহাকাশে নিজেদের স্টেশনে থাকার জন্য দেশটির এটাই প্রথম নভোচারী পাঠানোর ঘটনা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, মহাকাশে ছয় মাস থাকবেন তিন নভোচারী। পরে তারা ফিরে এলে আবার নতুন নভোচারীদের সেখানে পাঠানো হবে।

এর আগে চলতি বছরের জুনে তিয়ানগংয়ে গিয়েছিলেন তিন নভোচারী। এখন তারা ফিরে আসবেন। এর আগে একসঙ্গে স্টেশনটিতে ছয়জন নভোচারী থাকার বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে কয়েক সপ্তাহব্যাপী হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলবে।

শেংঝৌ-১৫ নভোযানে যে তিন নভোচারী গেছেন তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ৫৭ বছর বয়সী ফি জাংলং। তিনি ২০০৫ সালে শেংঝৌ-৬ মিশনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সেটি ছিল তার প্রথম মহাকাশ মিশন। বলা হচ্ছে, আগামী এক দশকে চীন প্রতি বছর দুবার মহাকাশে নভোচারী পাঠাবে।

তিয়ানগং কক্ষপথে থাকা মাত্র দুটি স্টেশনের একটি। ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মহাকাশ কার্যক্রম থেকে চীনকে বাদ দেওয়া হয়। এরপর নিজস্ব স্টেশন তৈরিতে মনোযোগ দেয় দেশটি।

বিবিসি জানিয়েছে, মঙ্গলবার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের গোবি মরুভূমির জিউকুয়ান স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে শেংঝৌ-১৫ নভোযানটি তিন নভোচারীকে নিয়ে যাত্রা শুরু করে। মহাকাশ স্টেশন তৈরির প্রক্রিয়ার সর্বশেষ অংশ ছিল এটি। তিয়ানগং স্টেশনটি প্রায় এক দশক মহাকাশে থাকবে। এই সময়টির মধ্যে শূন্য-মাধ্যাকর্ষণে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে স্টেশনটি থেকে।

চীনের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান চায়না ম্যানড স্পেস স্টেশনের (সিএমএসএ) প্রশাসন জানিয়েছে, নতুন তিন নভোচারী মহাকাশ স্টেশনটিতে যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপন কাজ করবেন। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বছরের মধ্যে স্টেশন তৈরির কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হবে।

এর আগে মঙ্গলগ্রহ এবং চাঁদে রোবোটিক রোভার পাঠিয়েছিল চীনের মহাকাশ সংস্থা। আর বিশ্বের মাত্র তৃতীয় দেশ হিসেবে কক্ষপথে মানুষ পাঠিয়েছে তারা।

আন্তর্জাতিক মহাকাশচারী ফেডারেশনের নির্বাহী পরিচালক ডক্টর ক্রিশ্চিয়ান ফেচিংগার চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভিকে বলেছেন, বিশ্ব এখন চীনের ক্রমবর্ধমান মহাকাশ সামর্থ পর্যবেক্ষণ করছে।


আরও খবর



নারীবাদ নিয়ে নোরা ফাতেহির মন্তব্যে ক্ষুদ্ধ নেটিজেনরা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় ড্যান্সার ও অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি। সম্প্রতি মাডগাঁও এক্সপ্রেস সিনেমায় নজর কাড়েন তিনি। এবার এক সাক্ষাৎকারে নারীবাদ নিয়ে এমন এক কথা বলে বসলেন তিনি, যাতে তার ওপর রেগে আগুন নেটিজেনরা।

সম্প্রতি একটি পডকাস্টের সাক্ষাৎকারে নোরা বলেছেন, নারীবাদ আসলে সমাজটাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। আমি বলছি না যে মেয়েরা পড়াশোনা করবে না বা চাকরি করবে না; অবশ্যই করবে। তবে, এর একটা মেয়াদ বা সময়কাল আছে। পুরুষ চাকরি করবে, টাকা উপার্জন করবে, খাবার আনবে ও পরিবারকে রক্ষা করবে।

তিনি বলেন, অন্যদিকে নারী মা হবে, সন্তানের দেখাশোনা করবে, রান্না করবে, ঘরের কাজ করবে। নারীপুরুষের ভূমিকা এমনই হওয়া উচিত। এতে খারাপ কী! আমি এভাবেই চিন্তা করি। শুনলে মনে হবে, আমি হয়তো এখনো আদ্যিকালেই পড়ে আছি বা ওল্ড স্কুল। তবে, এটাই আমার বিশ্বাস।

নোরার কথা শুনে কার্যত অবাক সবাই। তিনি নিজে দাপিয়ে কাজ করছেন বহির্বিশ্বে, অথচ তিনি মেয়েদের বাড়ির কাজে বাঁধতে চাইছেন। নোরার কথা বিরক্ত হয়ে এক ব্যক্তি লেখেন, উনি কেন এখনো বিয়ে করে বাচ্চা লালনপালন না করে বেপর্দা হয়ে নাচানাচি করে বেড়াচ্ছেন? সিনেমায় যতই নায়িকা হন না কেন, ব্যক্তিগত জীবনে আপনি আসলে একটা খলচরিত্র।

অন্য আরেক ব্যক্তি লেখেন, এত ফালতু কথা আমি জীবনে শুনিনি। বুঝেছি, উনি কাদের খুশি করতে এসব কথা বলছেন! ওনার ভক্তরা তো সাধারণত পুরুষ। উনি আসলে ওনার পুরুষ ভক্তদের খুশি করতে চান।


আরও খবর



আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড বাংলাদেশের

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিদ্যুৎ উৎপাদনের আবারও রেকর্ড ছাড়ালো বাংলাদেশ। দেশের ইতিহাসে মঙ্গলবার সর্বোচ্চ পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।

বলা হয়, রাত ৯টায় দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়ছে। এ সময় ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।

এর আগে গত ২২ এপ্রিল ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছিল। তার আগের দিন রাতে পিক আওয়ারে রেকর্ড ১৫ হাজার ৬৬৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছিল।

বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) সূত্রে পাওয়া তথ্য বলছে, দেশে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনসক্ষমতা প্রায় ২৬ হাজার মেগাওয়াট। উৎপাদন করা হচ্ছে ১৩ হাজার থেকে সাড়ে ১৫ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত। চাহিদা আছে সাড়ে ১৩ হাজার থেকে ১৭ হাজার মেগাওয়াট।


আরও খবর



ঈদযাত্রার ১৫ দিনে সড়কে ঝরল ৪০৭ প্রাণ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঈদ এলেই সড়কে দুর্ঘটনা বেড়ে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। সদ্য বিদায়ী ঈদে মানুষের যাতায়াতে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ৪০৭ জন মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছেন।

এ সময়ে রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ২১ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ২টি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত, ৫ জন আহত হয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ পথে সর্বমোট ৪১৯টি দুর্ঘটনায় জন ৪৩৮ নিহত ও ১ হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টর্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরীর এসব তথ্য জানান। সংগঠনটি ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষ্যে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

লিখিত বক্তব্যে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৪ এপ্রিল থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিগত ১৫ দিনে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছে। গত ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত ও ৫৬৫ জন আহত হয়েছিল। বিগত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১.২৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪.০৮ শতাংশ, আহত ১৪৭.৪৩ শতাংশ বেড়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১৯৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ২৪০ জন আহত হয়েছেন। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৯.৬২ শতাংশ, নিহতের ৪০.৫৪ শতাংশ এবং আহতের ৩০.৩৭ শতাংশ প্রায়। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের সদস্যরা বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়ও আঞ্চলিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পাশাপাশি জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (পঙ্গু হাসপাতালে) সড়ক দুর্ঘটনায় আহত। ৬৫৮ জনের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে ৬০৮ জন আহত রোগীর তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করে।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সড়ক, রেল ও নৌ-পথে গত ১৫ বছরে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে অবকাঠামো ভালো হওয়ায় যানবাহনের গতি বেড়েছে। গতিকে নিরাপদ করার মতো আইনি কাঠামো, দক্ষ চালক, মানসম্মত যানবাহনের অভাব রয়েছে। আইন প্রয়োগে দুর্নীতির কারণে জাতীয় মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহন, নিষিদ্ধ ত্রি-হুইলার, ইজিবাইকের মতো যানবাহন অবাধে চলছে। এছাড়াও ছোট ছোট যানবাহন মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, ইজিবাইকের অস্বাভাবিকহারে বেড়ে যাওয়ার কারণে সড়কে বিশৃঙ্খলার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। তিনি মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের আমদানি বন্ধ করে দেশব্যাপী উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। ফিটনেস বিহীন যানবাহন চলাচল বন্ধ করা, পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী পরিবহন ঠেকানো, আইন প্রয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে ডিজিটাল পদ্ধতি প্রয়োগ, চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনির্দিষ্ট করা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধ করা, সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে গণপরিবহনগুলোতে নগন অর্থ বন্ধ করে ডিজিটাল লেনদেন চালুর দাবি জানাচ্ছি।

সংগঠনটি দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে দেশের সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচল; জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় হঠাৎ ঈদে যাতায়াতকারী ব্যক্তিগত যানের চালকদের রাতে এসব জাতীয় সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চালানো; জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টার্নিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালকের এসব সড়কে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে; মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্র্যাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং একজন চালক অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানো।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশগুলো হচ্ছে জরুরি ভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা; জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা; দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান; ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা; মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা; সড়ক পরিবহন আইন যথাযথভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা; উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট করা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবৎ ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্র্যাপ করার উদ্যোগ নেওয়া।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুরদ্রোচ্ছা খান, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ আব্দুল হক, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি তাওহীদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, মো. মহসিন প্রমুখ।


আরও খবর



মহেশপুরে ৪০ পিস স্বর্ণের বারসহ আটক ২

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

Image

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত থেকে ৪০ পিস স্বর্ণের বারসহ ২ জনকে আটক করেছে বিজিবি। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী পলিয়ানপুর সীমান্তের ছয়ঘড়িয়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো- মহেশপুর উপজেলার ছয়ঘড়িয়া গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে মো. জসিম উদ্দিন (৫৩) ও মৃত আকতার আলীর ছেলে মো. হুমায়ন কবির (৪০)।

৫৮ বিজিবি মহেশপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সালাহউদ্দিন চৌধুরী জানান, বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে সোনা পাচার হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকায় টহল জোরদার করে বিজিবি। বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে ছয়ঘড়িয়ায় মহেশপুর থেকে সীমান্তের দিকে যাওয়া একটি মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তারা। সেসময় মোটরসাইকেলে থাকা দুই ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৪ কেজি ৬৩৩ গ্রাম ওজনের ৪০ টি স্বর্ণের বার। আটক করা হয় ওই গ্রামের জসিম উদ্দিন ও হুমায়ন কবিরকে। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করে আসামিদের মহেশপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।


আরও খবর



ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

১০ দিনের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম আবার বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভরিতে ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

আজ বৃহস্পতিবার বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষর করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এ দাম আজ সন্ধ্যা ৭টা থেকে কার্যকর হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম প্রতি ভরিতে ১ হাজার ৩৮৯ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৮ হাজার ৮০১ টাকা।

এর আগে গত ৮ এপ্রিল দুই দিনের ব্যবধানে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়ানো হয়। এতে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম হয় ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ২০৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৬ হাজার ২২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮০ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

গত ৬ এপ্রিল ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ১৫ হাজার ৮২৪ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১০ হাজার ৫৭৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের ৯৪ হাজার ৭৭০ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয় ৭৮ হাজার ৯৬৫ টাকা।


আরও খবর