আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
পিরোজপুরে তোলপাড়

নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বসে কারাবন্দি আসামীর ফেসবুক পোস্ট!

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ

Image

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও রমনা থানায় দায়ের হওয়া দুটি মামলায় গ্রেফতার হয়ে কেরানীগঞ্জ কারাগারে বন্দি রয়েছে শরিফুজ্জামান মনির ওরফে মনি সিকদার। অথচ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি অ্যাকটিভ দেখাচ্ছে। শুধু তাই নয়, গতকাল সোমবার বিকাল পৌনে তিনটার দিকে তার ফেসবুক আইডি Shrif Moni থেকে তার নিজের তিনটি ছবি পোস্ট করা হয়।

ছবি তিনটি মধ্যে দুইটিতে কারাবন্দি শরিফুজ্জামান মনির ওরফে মনি সিকদারকে পিরোজপুর সদর উপজেলার পাঁচপাড়া বাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসা এবং অন্যটিতে ব্যক্তিগত গাড়ীতে কোথায় যাওয়ার দৃশ্য দেখা যায়। মুহুর্তে ওই পোস্ট ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এ পোস্ট নিয়ে পিরোজপুর জুড়ে তোলপাড় চলছে।

এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত আজ সোমবার বিকেল ৫ টার দিকেও ওই ফেসবুক আইডি অ্যাকটিভ দেখা যায়। এ সময়ের মধ্যে ওই পোস্টে প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ নানা কমেন্ট করেছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই আলহামদুল্লিলাহ, মাশাআল্লাহ লিখেছেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মনি সিকদার রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা এক নারীর সাথে বোনের সম্পর্ক স্থাপন করে প্রতারণার মাধ্যমে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই নারীর পারিবারিক ও ব্যক্তিগত ছবিসহ ভিডিও ধারণ করে। পরে ওই ছবি ও ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়াসহ অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই নারীর নিকট থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করে। এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে গত ২১ অক্টোবর মোহাম্মদপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১২৬। গোয়েন্দা পুলিশ ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে। এছাড়া গ্রেফতার হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে থাকা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের রমনা থানার মামলা নং- ৩৩, তারিখ-২৭/৪/২০২১ এবং পিরোজপুরের নন জিআর মামলা নং-১৯২/২২ পি মামলাটি দুটিতেও তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

গত ৮ মার্চ পিরোজপুরের নন জিআর মামলায় হাজিরা দেয়ার জন্য তাকে কেরানীগঞ্জ কারাগার  থেকে পিরোজপুরে নেয়া হয় এবং আজ সোমবার (১৩ মার্চ) পিরোজপুর থেকে ঢাকায় আনা হয়।

কারাবন্দি আসামী মনি সিকদারের নিজ এলাকা পিরোজপুরের পাঁচপাড়া বাজারের একাধিক ব্যবসাযীরা নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, গতকাল একটি প্রাইভেট গাড়ি যোগে কয়েকজন পুলিশসহ মনি সিকদার পাঁচপাড়া বাজারে এসে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দেড় থেকে দুই ঘন্টা অবস্থান করেছে।

এ বিষয়ে জানতে কেরানীগঞ্জ কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


আরও খবর



আশুলিয়ায় জাল ডলারসহ ৩ প্রতারক আটক

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

ঢাকার আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়ে জাল ডলারসহ তিন প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচ ডলার ও ১০ ডলার মূল্যের বিপুল পরিমাণ জাল নোট উদ্ধার করা হয়।

রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে গ্রেফতার ব্যক্তিদের আশুলিয়া থানা থেকে ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে শনিবার রাতে আশুলিয়ার শ্রীপুর এলাকার মুক্তা সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে তাদেরকে আটক করে পুলিশ।

আটকরা হলেন সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানার রতনদিয়া এলাকার মরহুম নবাব আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী (৫৫), একই থানার চানতারা এলাকার মরহুম কাদের আলী শেখের ছেলে মজিবর রহমান (৩৫) ও ছোট মহারাজপুর এলাকার মরহুম আনোয়ার হোসেনের ছেলে সানোয়ার হোসেন (৪০)। তারা সবাই আশুলিয়ার কলতাসুতি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকত বলে জানা যায়।

পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কতিপয় জাল ডলার কারবারি জাল ডলার দিয়ে প্রতারণার উদ্দেশে আশুলিয়ার শ্রীপুর মুক্তা সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সামনে অবস্থান করছে। পরে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ জাল ডলারসহ তিনজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের হেফাজতে থাকা একটি কালো রঙের সাইড ব্যাগ থেকে ১০ ডলার মূল্যের ২২৯টি জাল নোট ও পাঁচ ডলার মূল্যের ২৩৩টি জাল নোট উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ আরো জানায়, আটকরা সঙ্গবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা পরস্পর যোগসাজসে প্রতারণামূলক নকল ইউএস ডলার দিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করত।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ আল মামুন বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। একইসাথে আজ তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



একীভূত হচ্ছে পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শরিয়াহভিত্তিক বেসরকারি বাণিজ্যিক এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে চতুর্থ প্রজন্মের পদ্মা ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ব্যাংকটির এক পরিচালক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, আপাতত বেসরকারি পদ্মা ব্যাংককে আমাদের সঙ্গে মার্জার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিগগিরই এটি অনুমতির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের পর তা কার্যকর হবে।

গত কয়েক বছর ধরে ধুঁকছে পদ্মা ব্যাংক। অবশেষে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে যাচ্ছে এটি। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ব্যাংকিং খাতে যা হবে প্রথম একীভূতকরণ।

আগামী সপ্তাহের প্রথমদিকে এক বৈঠকে ব্যাংক দুটির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হবে। সেখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার উপস্থিত থাকবেন। এরপরই একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু হবে।

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছিল, আসছে ডিসেম্বর পর্যন্ত দুর্বল ব্যাংকগুলো স্বেচ্ছায় একীভূত হতে পারবে। এক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে মার্চে সেগুলোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

সম্প্রতি ব্যাংকস হেলথ ইনডেক্স (বিএইচআই) অ্যান্ড হিট ম্যাপ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, রেড জোনে আছে পদ্মা ব্যাংক। আর ইয়েলো জোনে রয়েছে এক্সিম ব্যাংক।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে মেয়রের বিরুদ্ধে কাউন্সিলরদের অবস্থান, চলছে কর্মবিরতি

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও ব্যর্থতার সুরাহা চেয়ে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা বন্যার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে পৌরসভার সকল কাউন্সিলগণ। প্রতিবাদ স্বরূপ তারা দুইদিন থেকে কর্মবিরতিতে রয়েছেন। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

সোমবার (১১ মার্চ) বেলা ১১টায় কর্মবিরতিতে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঠাকুরগাঁও পৌরসভার প্যানেল মেয়র কাইয়ূম। পৌরসভার ১৫ জনের সকলেই এই কর্মবিরতি পালন করছেন বলে তিনি জানান।

ঠাকুরগাঁও পৌরসভার প্যানেল মেয়র কাইয়ূম চৌধুরী বলেন, পৌরসভায় সর্বমোট ১২টি ওয়ার্ড রয়েছে যার কোনোটিতে কোনো উন্নয়ন নেই। রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। জনগণ আমাদেরকে ভোট দিয়েছে এমন পরিস্থিতিতে এই ব্যর্থতার দায় মেয়রকে নিতে হবে। সেই সাথে বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি রয়েছে। পৌরসভার হেল্প ডেস্কে সীমাহীন অব্যবস্থাপনায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পৌর নাগরিকদের। আমরা এগুলার সুরাহা ও জবাবদিহিতা চাই। এর আগে আমাদের কর্মবিরতি থামবেনা।

পৌরভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মানিক ইসলাম বলেন, আমাদের মেয়র গত ৩ বছরে ৪৭বার ঢাকা গেছে যা সম্পূর্ণ পৌরসভার খরচে। ঠাকুরগাঁওয়ে কোনো মেয়রের ইতিহাসে এমনটা নেই। নিজের ভোগবিলাসে সে পৌরসভার টাকা খরচ করে, এই টাকাতো তার নিজস্ব সম্পদ না। এরকম চলতে থাকলে আমাদের এলাকার উন্নয়ন কিভাবে হবে, আমি আমার ভোটারদের কি জবাব দিবো।

৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা লুৎফর বলেন, গত দুইদিন থেকে কর্মবিরতিতে থাকার ফলে পৌরসভার কোনো কাজ করছেনা কাউন্সিলররা। এতে সেবা নিতে এসে বার বার ফিরে যাচ্ছে সেবা গ্রহীতারা। কাউন্সিলরদের এই অবস্থান বিপাকে ফেলেছে পৌরবাসীকে। দ্রুতই এই জটিলতার সুরাহা চাই।

আরেক বাসিন্দা রফিক বলেন, বেশ কয়বার আমি জন্ম নিবন্ধন এর কাগজ নিয়ে গেলেও কাজ করাতে পারিনি। জন্ম নিবন্ধন ছাড়া এখন শিশুর টিকা দেয়া যায় না। আমি কি করবো বুঝতে পারছিনা।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বন্যা বলেন, বিষয়টি নিয়ে কাউন্সিলরদের সাথে আলোচনা চলছে। আশাকরি দ্রুতই এর একটা সুরাহা হবে।


আরও খবর



প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলায় ভোট ৮ মে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন ১৫ এপ্রিল এবং ভোটগ্রহণ আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

অশোক কুমার দেবনাথ জানান, আগামী ৮, ২৩, ২৯ মে ও ৫ জুন চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। জামানতের টাকা বাড়িয়ে ও স্বতন্ত্রদের প্রার্থিতা সহজের পর এ নির্বাচন হচ্ছে। এসব উপজেলায় চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের এ সাধারণ নির্বাচন হবে।

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল, প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। ভোট হবে ৮ মে। ইভিএমে ভোট হবে ২২টি উপজেলায় এবং বাকিগুলোয় ব্যালট পেপারে নির্বাচন হবে। দলীয় প্রতীকে উপজেলা পরিষদের এ নির্বাচন হবে। পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থিতাও রয়েছে।

উল্লেখ্য, সংশোধিত নির্বাচন পরিচালনা বিধি ও আচরণ বিধি অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে কোনো সমর্থন সূচক তালিকা দেওয়ার প্রয়োজন নেই; রঙিন পোস্টার ছাপাতে পারবেন প্রার্থীরা। প্রচারণার সময়ও পাচ্ছে বেশি; তবে জামানতের পরিমাণ বেড়েছে এবার।

এর আগে, ১৯৮৫ সালে উপজেলা পরিষদ চালু হওয়ার পর ১৯৯০ ও ২০০৯ সালে একদিনেই ভোট হয়েছিল। ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা নির্বাচন ছয়টি ধাপে ও ২০১৯ সালে পাঁচ ধাপে পঞ্চম উপজেলা পরিষদের ভোট হয়। আগের চারটি উপজেলা নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে হলেও আইন সংশোধন হওয়ায় ২০১৭ সালের মার্চে মেয়াদোত্তীর্ণ তিনটি উপজেলায় দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হয়েছিল। পরে ২০১৯ সালে দলীয় প্রতীকে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন হয়।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলেও বিএনপি পরে নির্দলীয় উপজেলা ভোটে অংশ নিয়েছিল। গেল ১০ বছর ধরে উপজেলা ভোটে দলীয় প্রার্থী দেয়নি দলটি। দলীয় প্রতীকে ভোট হলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন দিচ্ছে না। আর বিএনপি অংশ নিচ্ছে না এ নির্বাচনে।


আরও খবর



রমজানের প্রথম ১০ দিন যে দোয়া পড়বেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

মাহে রমজানের বিশেষ একটি বৈশিষ্ট্য হলো এ মাসের তিনটি ভাগ রয়েছে। প্রত্যেক অংশেই আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের জন্য নিজের অনুগ্রহ নাজিল করেন। এ বিষয়ে হজরত সালমান ফারসি রা. থেকে বর্ণিত

তিনি বলেন, রাসূল সা. শাবান মাসের শেষ দিন আমাদের মাঝে খতিব হিসেবে দাঁড়ালেন, বললেন (মাহে রমজান) এমন একটি মাস যার প্রথম ভাগ রহমত, মধ্যবর্তী ভাগ মাগফেরাত বা ক্ষমা আর শেষ ভাগে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়া হয়। অর্থাৎ রমজান মাসের ৩০ দিনের প্রথম ১০ দিন রহমতের, দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাতের এবং তৃতীয় ১০ দিন নাজাতের। (সহিহ ইবনে খুজাইমা, ১৮৮৭)

এ মাসে মুমিনকে যেসব বিষয়ের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে তম্মধ্যে অন্যতম একটি হলো দোয়া কবুল। মহানবী সা. বলেন, তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। ন্যায়পরায়ণ বাদশা, রোজা পালনকারীযতক্ষণ না সে ইফতার করে এবং মজলুম। (তিরমিজি, হাদিস, ৩৫৯৮)

দোয়াকে ইবাদতের মূল বলা হয়েছে। এ কারণে দোয়া ছাড়া ইবাদত অসম্পূর্ণ থাকে। আর  বিশেষ সময়গুলোতে আল্লাহর কাছে উপযুক্ত দোয়া পড়া সুন্নত।

রমজানের প্রথম ১০ দিন যেহেতু রহমত নাজিল হয়, তাই এ সময় আল্লাহর কাছে বেশি বেশি রহমত কামনা করে দোয়া করা যেতে পারে।

এ ক্ষেত্রে কোরআনে বর্ণিত এই দোয়াটি পড়া যেতে পারে।দোয়াটি হলো-

وَقُل رَّبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ

উচ্চারণ: ওয়া কুর রব্বিগফির ওয়ার হাম ওয়া আনতা খইরুর র-হিমীন।

অর্থ: আর বলুন, হে আমার রব! ক্ষমা করুন ও দয়া করুন, আর আপনিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু। (সূরা মুমিনুন, আয়াত, ১১৮)

অথবা এই দোয়াটিও পড়া যেতে পারে

رَبَّنَاۤ اٰتِنَا مِنۡ لَّدُنۡکَ رَحۡمَۃً وَّ هَیِّیٴۡ لَنَا مِنۡ اَمۡرِنَا رَشَدًا

উচ্চারণ: রব্বানা আ-তিনা মিল্লাদুনকা রহমাহ, ওয়াহায়্যিলানা মিন আমরিনা রশাদা।

অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক, আপনি আপনার পক্ষ থেকে আমাদের অনুগ্রহ দান করুন এবং আমাদের জন্য আমাদের কাজকর্ম সঠিকভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা করুন। (সূরা কাহফ, আয়াত, ১০)


আরও খবর
ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪