আজঃ মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

নেত্রকোনায় ৫০৪ জাতের ধান নিয়ে গবেষণা

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
Image
বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়িয়েছেন পাগলের মতো। তার উদ্যোগ দেখে গ্রামের কৃষক, আশেপাশের মানুষ বীজ সংগ্রহ করে কৃষক বাচ্চু খানের বাড়ি পৌছে দিতো

নেত্রকোনা থেকে মোনায়েম খান, 

কৃষক সায়েদ আহমেদ খান বাচ্চু ৫০৪ জাতের ধান নিয়ে গবেষণা। নেত্রকোনা জেলা আটপাড়া উপজেলার স্বরমুশিয়া ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর গ্রামে তুষাইনদীর পাড়ে তার জন্ম। বর্তমানে তুষাই নদী নেই, চিহ্নও নেই। যেখানে নদী ছিল সেখানে ফসলের সবুজ মাঠ। কৃষকফসল ফলায়। নদী নিয়ে আছে শুধু গল্প। ছোটকাল থেকেই কৃষি কাজের সাথে জড়িত। সে দেখেছে কিভাবে কৃষকের সম্পদ বীজ কোম্পানীর কাছে চলে গিয়ে আবার প্যাকেট হয়ে কৃষকের কাছে ফিরে আসছে। কিভাবে কৃষকের গোয়ারঘর গ্যারেজ হয়ে গেছে। পুকুরে কিভাবে আগ্রাসী মাছের চাষে একাকার হয়ে গেছে। এই দীর্ঘ ইতিহাস, অভিজ্ঞতা সবকিছুই ভাবিয়ে তোলে কৃষক সায়েদ আহমেদ খান বাচ্চুকে।

ধানের দেশ, গানের দেশ বাংলাদেশ। নেত্রকোনা বাংলাদেশেরই একটি ছোট জেলা। নেত্রকোনা অঞ্চলের মানুষ ধানের উপর নির্ভর করেই তাদের জীবন জীবিকা পরিচালনা করে আসছিল। ধান চাষকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠেছে তাদের শিক্ষা সংস্কৃতি অর্থনীতি। যতই দিন যাচ্ছে স্থানীয় জাতের ধান, শস্যফসল হারিয়ে যেতে শুরু করে। কৃষকেরা নিজের সম্পদ বীজ হারিয়ে বাজার নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। কৃষক প্রতারিত হতে থাকে বারবার।

কৃষক সায়েদ আহমেদ খান বাচ্চুও এক সময় ১০-১৫ জাতের ধানের চাষ করতো। কৃষকের সম্পদ বীজ কেন কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে, কৃষক কেন দিন দিন বাজার নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে এই চিন্তা তাকে গভীর ভাবে ভাবিয়ে তুলে। নিজ উদ্যোগে শুরু করেন ধানের জাত বাচাই কার্যক্রম। ২০০৫ সালে আউশ মৌসুমে ৫টি ধানের জাত সংগ্রহ করেন আশে পাশের গ্রাম থেকে এবং শুরু করেন ধানের গবেষনা প্লট। এভাবে আউশ আমন, বোরো মৌসুমেও ধানের জাত গবেষণা কার্যক্রম শুরু করেন। তিনি গ্রাম থেকে গ্রামে, ইউনিয়ন থেকে ইউনিয়ন, উপজেলা থেকে উপজেলা, জেলা থেকে জেলা, দেশ থেকে বিদেশ ঘুরতে থাকে। সংগ্রহ করতে থাকেন ধানের জাত। এভাবে ধানের জাত সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহন করেন।

তিনি যেখানেই যেতেন সেখান থেকেই ধান সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতেন। বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়িয়েছেন পাগলের মতো। তার উদ্যোগ দেখে গ্রামের কৃষক, আশেপাশের মানুষ বীজ সংগ্রহ করে কৃষক বাচ্চু খানের বাড়ি পৌছে দিতো। ধান সংগ্রহ তার নেশায় পরিণত হয় তিনি তৈরী করেন ধান গবেষনা প্লট। আউশ, আমন, বোরো মৌসুমে ধানের গবেষণা প্লট তৈরী করে ধানের জাত বাছাই কার্যক্রম করে এবং ধানের জাত সংরক্ষণ করতে থাকেন। ধানের জাত গুলো সংরক্ষণের জন্য তিনি নিজ বাড়িতে একটি বীজ বিনিময় কেন্দ্র তৈরী করেন। সেখানে তিনি বীজ রাখেন ও কৃষক বীজের বিনিময়ে বীজ সংগ্রহ করতো ও বিনিময় করতো। কৃষকের মাঝে আগ্রহ উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দেয়।গ্রামের সকল কৃষকেরা মিলে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন । গ্রামের ও আশের পাশের ১৩ গ্রামের কৃষকেরা বীজঘর থেকে বীজ সংগ্রহ করতে থাকেন।

আবার চাষ করার পর সেই বীজ ঘরে ফেরত দিয়ে যেতেন। এভাবে কৃষকের বাছাই করা বীজ কৃষক থেকে কৃষক, গ্রাম থেকে গ্রাম, জেলা জেলায় ছড়িয়ে পড়তে থাকে। নেত্রকোনার গন্ডি পেরিয়ে কৃষক সায়েদ আহমেদ খানের এই বীজ ময়মনসিংহ, সুনামগঞ্জ, শেরপুর, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, কুমিল্পা, রাজশাহী, সাতক্ষীরা, খুলনা, নাটোরসহ বাংলাদেশের ২৫টি জেলার কৃষক ও সংগঠনের মাঝে সম্প্রসারিত হয়। যারাই বীজ পরিদর্শন করতে আসছে তারাই পছন্দের বীজ সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন। তাদের এলাকায় চাষ করছেন। আটপাড়া এলাকায় প্রথম দেখা গেছে ৪ থেকে ৫ জাতের ধান চাষ হতো বর্তমানে সেখানে কৃষকেরা ৬১ জাতের ধান চাষ করছেন।

কৃষক সায়েদ আহমেদ খান বাচ্চুর কাছে বর্তমানে আউশের ২৪টি জাত, আমনের ৪২৩টি জাত, বোরোর ৫৭টি জাত সংগৃহিত আছে। যে জাত তিনি চাষ করছেন ও সংরক্ষণ করছেন। তিনি কৃষকের নেতৃত্বে ধানের জাত গবেষণা করে জাত বাছাই করছেন ও একটি সংরক্ষণ প্লট করে জাতগুলো রক্ষা করার চেষ্টা করছেন। তিনি প্রথমে রামেশ্বরপুর গ্রামে একটি জাত গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

এরপর তার কার্যক্রম দেখে নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার দূর্গাশ্রম, বাশাটি, তিলকপুর, স্বরমুশিয়া, কৃষ্ণপুর, দেওগাও, পাহাড়পুর, বানিয়াজান, মদন উপজেলার শাহপুর, ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া, খিচা, তারাটি, সাধুপাড়া, সুতিয়াখালি, পুটিজানা, নেত্রকোনা সদর উপজেলার চল্লিশা, রাজেন্দ্রপুর, কলমাকান্দা উপজেলার  লেংগুড়া, খানৈই, কেন্দুযা উপজেলার আশুজিয়া, সিংহের গাও, নগুয়া, সুনামগঞ্জ জেলার ধরমপাশা উপজেলার সম্পদপুর, মধ্যনগর, কৃষকেরা কৃষকের নেতৃত্বে ধানের জাত গবেষকণা কার্যক্রম পরিচালনা করে ধানের জাত বাছাই করছেন ও বীজ সংরক্ষণ করে বাজার নির্ভরশীলতা কমাচ্ছেন।

কৃষক সায়েদ আহমেদ খান বাচ্চু প্রতিটি জাতগবেষণা কার্যক্রম পরিদর্শন করে কৃষকদেরকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন এবং তার মতো আরো কৃষক গবেষক তৈরীতে সহায়তা করেছেন। যারা বর্তমানে বিভিন্ন উপজেলা জেলায় কৃষকের বন্ধু হয়ে বীজ সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণ করে যাচেছন। তিনি বাছাইকরা ধানের জাত উন্নয়নের জন্য ধানের জাত উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করেন। কৃষক বাচ্চুর উদ্যোগ উৎসাহ, দেখে বারসিক ফিলিপাইনের ম্যাসিপাক নামের সংগঠনের কার্যক্রম পরিদর্শন করতে পাঠায়। সেখান থেকে তিনি ধানের জাত উন্নয়নে গবেষণার সার্বিক বিষয় জেনে আসেন। বাংলাদেশে এসে তিনি আরো ১০জন কৃষককে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান করেন। এলাকা উপযোগি একটি নতুন জাত উদ্ভাবনের জন্য তিনি নিরলস ভাবে কাজে করে যাচ্ছেন।

তার কাছে সংগ্রহে আছে রিবই, রতি শাইল,বদ্দিরাজ, বোরো আবজি, বোরো ঝাপি, বিন্নি, আরপারিনা, পঙ্খিরাজ, আইজং, চাপালি, কলমিলতা, নাতিশাইল, বাইগুনবিচি, কালিজিরা, পিপড়ার চোখ, চিনিশাইল, তুলসিমালা, নুইন্যা, বাদশাভোগ, চানমুনি, নুইন্যা(নেত্র), পুইট্টা আইজং, ভোলানাথ, জলকুমড়ি, তিলবাজাইল, মগি, মেদি,শাইল আমন, খামা, আসকল, গইড্যামুড়ি, ঢেকিমালা, বিরন, কার্তিক শাইল, রাইমুহি, লালআনামিয়া, বাঁশফুল বালাম, দেফা, অগ্নিশাইল, লালকুমড়ি, শিরবাস, কার্তিক বিন্নি, কাচড়া, বোগরা, গোবিন্দকালার, দুধবিন্নি, খাসিপুড়ি, চরোবালাম, ডাকশাইল, সকালউড়ি, চাপশাইল, রাঙ্গাবিন্নি, গোহাতি বিন্নি, রাজাশাইল, নাজিরশাইল, বুকাইয়ার, রানীশালট, চায়না, আরা, আশু,স্বর্ণলতা, লেদ্রাবিন্নি, গচি, কাঠিগচ্চা, বলুয়াচন্দ্রা, বাটাচৌদি, কাজলশাইল, মৌবিন্নি, আনামিয়া, বিলাস, সিলেটবালাম, চান্দিশাইল, জংলি, গেংগেংবিন্নি, চেনিকানাই, চাপানলি, গারোআইজং, মনগিরি, আলফাইরি, সকালমুখি, সাদাবিরই, চিকনমালতি, আগুন্যাবিন্নি, অঘনঢেপি, হরি, ইয়রচাল, আপাচি, রহমানইরি, জাগলি বোরো, খাসকিনি, সুবাস, লোহাজং,বাশিরাজ, চিনিসাগর, আব্দুল হাই, গোলাপি, দলকচু,গানজে, লালবিরই, পাইরজাত, আসাম বিন্নি, খাসিয়াবিন্নি, আসামমুনিয়া, দারিয়া, কালিগোবিন্দ, বাশমতি, কাশেম ইরি, আটাবিন্নি, ফুলগাজিয়া, কাকুয়াবিন্নি, কুরাবিন্নি, মালশিরা, দেবদারু, ময়রম,জীবনশান্তি, গোবিন্দ, উট্টজাবিন্নি, চানমনি, যতনবিন্নি, খাটোবাধা, ভূইট্টা আইজং, ভরত, খাইনল, স্বর্ণা, ফুলবাইন, গুটিস্বর্ণা, সতীন, বারোমাসিহাটি, পংকোচ, কুটবাদাম, জটাভাইলা, মাইটাগরল, মারাটাবিন্নি, অরই, ঋতু পাইজাম,দেশিপাইজাম, সোনালি পাইজাম, কালাম পাইজাম, গৌরিকাজল, দিঘা, ডেপো, ভাউলা, লালজিরা, শিলকমল, সুধা, লিলি, জটাশাল, খাকিবিরণ, মালতি, টলাবিরণ, গুটক, পরিচক, পাখিবিরন, গান্ধিবিরন, বিনাশাইল, গাঞ্জিয়া, পোড়াবিন্নি, মাখড়িবিরইন, কালাপুড়া, জড়িয়া, বাঁশফুল, পর্বতজিরা, কাটারিভোগ, মকবুল, বাবুস্বর্ণা, লালস্বর্ণা, কালামকুরি, সাদামোটা, সীতা, আতব, সোহাগ-৪, মোতামুটা, ইঞ্চি, তালমুগর,তিলেকুচি, হাতিবাজর, পাটনাই, নোনাকুচি,হামাই,কুটপাটনাই, হোগলা, মগাইবালাম, খেকশিয়াল, রুপেশ্বর, মহিমে, বেনাপোল,জগড়থল, ঘুসি, দারশাইল,ধলাদিঘা, দূর্গাভোগ,নোয়াখালি, সাদাহুটরা, করমচা, আজলদিঘা, রাজমন্ডল, কাকুরিয়া, খৈলজুরি, সাদাগোছা, সমনস্বর্ণা, গুটিপারিজা, চেংগুল, লালডুগা, চিকনবেতি, টেংগুরা, কাবেরী, শিশুমতি, পশুশাইল, বালিয়াদিঘা, সাদাকিচন, জলকস্তরি, স্বর্ণমুসুরি, সৈয়দমুটা, নাখুচিমোটা, বামনখিচা, দিশারী, কালোমোটা, ফকিরমোটা, জামাইনাড়ু, বুড়ামন্তেশ্বর, ভোজনকরপু, খাড়ামুটা, কিরনশাইল, চায়না, মীরমোটা, সাদাগোটাল, লালমোটা, গাবরাইল, শীবজটা, ন্যাড়াজামাইনাড়ু, মৌলতা, ভুষিইরি, ক্যারোন্ডাল মোটা, জহুরীমোটা, কাচামোটা, লালগোটাল, সাদাগোটাল, হলদেগোটাল, পাংগাস, ব্রিধান-৭৬,শুলি, জোনালু, কালোশাইল, মরিচশাইল, মালাগেতি, রাধুনিপাগল, তিলকাপুরসাদা, তিলকাপুরকালো, ঘিগজ,মুড়াবাজাল, চিটাগাংইরি, জিরাবাদাম, পঞ্চাশইরি, লাইলাকুড়ি, শামরস, লাফাইয়া, ফুলকাইন্ডা, হরিশংকর, রহমত, মেটেগরল, মোল্লাদিঘা, বেতক, বজ্রমুড়ি, গইড্যাইরি, সাদাপাইজাম, সাদালু, জামিনীমোটা, সাগরফনা, ক্যাশরাইল, ময়নামতি, দুধকলস, বগাদিঘা, চরবলেশ্বর, জটাইবালাম, মগাইবেতি, চিনিগুড়া, অদুবআলি, সাথিয়া, বগী আউশ, কাইশ্যাবিন্নি, বউলা, কাদাছাড়, পুইট্টা আইজং, কাকাগরিয়া, হাজীবরন, বাবুই, সাদাহাইজগা, ক্যারোন্ডাল বৈলাম, কালিডুগা, লালহাইডগ্যা, আব্দুল হাই, সুবাশ, কামারাং, রেংগুন, সংগেলং, বান্দরনগবিন্নি, কম্বোদিয়া, প্রজেক্ট আউশ, কালা আগলি, বাসমতি,মুরালি, টেংরি,কটকী, বারোমাসিহাটি, হরিডগা, লঙ্গাপোড়া, কোম্পানীধানি, তুমবাজবিন্নি, পাথরকুচি, চপ্পল, পারিজা, কুচমুচ, গোটাআউশ, কালোআউশ, ভজন, ষাটশাইল, শঙ্খবটী, ধলগৌড়া, কুমড়ী, কালোমানিক, ভৈড়া, মোগলশাইল, গচি, শাইল, ঝাপিবোরো, বাশফুল, লাখাই, লাফা, বোরো, আইজং, বর্গাবোরো, কেচকি, গোলইরি, পুইট্টাইরি, কালোদেশিবোরো, বাইগুনবিচি, খইয়া, চুরাইক্যা, বারোমাসিহাটি, ওয়ারেস ইরি, গাজর, টাইফ, কাজললতা, নয়ন, বিনাশাইল, জটাবোরো, জেসমিন, রেডজেসমিন, লাউটাক, রয়াল প্রিন্সেস, হোমডিন, ম্যাডম্যাকো,রাটেল, চান্দিনা, মালা, গাউনি, টিমবংগী, কালকচু, তাছাড়া আরো ৯০টি উবশী জাত সংগ্রহে ও চাষ করা হচ্ছে।

কৃষকের বীজ কৃষকের অধিকার, কৃষকের বীজ কৃষকের সম্পদ এই কথাটি তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন। তিনি বীজঘর তৈরী, জাতগবেষণা পরিচালনা, কৃষককে কাজে সহায়তা করা। বিনিময় করা, বীজ সংগ্রহ করা এবং মেলার আয়োজন করে সকল স্তরের মানুষকে তা জানানো ছিল প্রধান কাজ। তিনি পাড়ামেলা, গ্রামের মেলা, প্রাণবৈচিত্র্য মেলা, উপজেলা-জেলা-জাতীয় পর্যায়ে মেলায় অংশ গ্রহন করে জানিয়ে দিয়েছেন বীজ আমাদের সম্পদ আমাদেরই রক্ষা করতে হবে।

দেশী বিদেশী অনেক সংগঠন বীজঘর পরিদর্শন করেছেন যেমন কারিতাস, রোসা, লোকজ, এসডিএস, উত্তরন, দীপশিখা, নারীপ্রগতি, এসবিসি, বারসিকের বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের যেমন সাতক্ষীরা, মানিকগঞ্জ, মঠবাড়িয়া, মধ্যনগর, কলমাকান্দা, এনজিও ফোরাম কর্মজীবী নারী নেত্রকোণার প্রেসক্লাব সাংবাদিক দল, সিএসডি, গান্ধি আশ্রম, এমকেপি, পাসকস, সেবা কৃষক সংগঠন, মাটি, বিআইএ, একশান এইড, চ্যানেল আই, ইউল্যাব। সোয়ালুজ সুইডেন, ব্রীহি ভারত, লুমান্তি নেপাল, ইয়োথ একশান নেপাল, সেকার্ড নেপাল, ফিয়ান নেপাল, সিভাসমন্ডি স্পেন, মিজারিওর জার্মানীর প্রতিনিধি সহ আন্তজার্তিক সংগঠন বীজঘর পরিদর্শন করেছেন। কৃষক বাচ্চু খানের এই উদ্যোগ, তার চিন্তা, প্রেরনা আরো কৃষকের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক, কৃষকের বীজ কৃষকের কাছে থাকুক। কৃষকের বাজার নির্ভরশীলতা কমে যাক।

নিউজ ট্যাগ: নেত্রকোনা

আরও খবর
অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




শিল্পী সমিতির নির্বাচন: দুই প্যানেলে লড়বেন যারা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

আগামী ১৯ এপ্রিল বিএফডিসিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে দুটি প্যানেল। ঈদের পর নির্বাচনের শেষ সময়ে প্রচার-প্রচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে এফডিসি।

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্যানেলে আছেন মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল। আরেক প্যানেলে আছেন সোনালি দিনের নায়ক মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার।

নির্বাচনে লড়ছেন যারা

মাহমুদ কলি-নিপুণ প্যানেলে প্রার্থীরা হলেন- সহ-সভাপতি পদে ড্যানি সিডাক ও অমিত হাসান, সহ-সাধারণ সম্পাদক বাপ্পি সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক অঞ্জনা রহমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মারুফ আকিব, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক কাবিলা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন ও কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা আজাদ খান।

কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদের প্রার্থীরা হলেন- সুজাতা আজিম, নাদের চৌধুরী, পীরজাদা হারুন, পলি, জেসমিন আক্তার, তানভীর তনু, মো.সাইফুল, সাদিয়া মির্জা, সনি রহমান, হেলেনা জাহাঙ্গীর ও সাইফ খান।

মিশা-ডিপজল পরিষদে সহ-সভাপতি মাসুম পারভেজ রুবেল, সহ-সভাপতি ডি এ তায়েব, সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ডন এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল।

কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন করছেন অভিনেত্রী সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, রত্না কবির, চুন্নু, সাঞ্জু জন, ফিরোজ মিয়া।


আরও খবর



দাম নির্ধারণ করলেও বাস্তবায়নের পূর্ণ ক্ষমতা নেই কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

কৃষিপণ্যের সর্বনিম্ন ও যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে থাকে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। সে  ক্ষমতাবলে সম্প্রতি মাছ-মাংস, খেজুর, বিভিন্ন সবজিসহ মোট ২৯টি নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে সরকারের এ সংস্থা। যদিও কেউ তা না মানলে কোনো ধরনের শাস্তি দেয়ার ক্ষমতা নেই কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের। কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ অনুযায়ী, তদারকির মাধ্যমে তারা কেবল অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। তখন দ্বারস্থ হতে হয় প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের। সংস্থাটি থেকে তাই বিভিন্ন সময় কৃষিপণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হলেও মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন হতে দেখা যায় না।

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে বিভিন্ন সময় দাম নির্ধারণ করে দেয়া হলেও বাস্তবায়নকারী বা তদারকি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে তা আর বাস্তবায়ন হয় না। এক সংস্থা আরেক সংস্থার ওপর দায় চাপিয়ে দেয়। এক্ষেত্রে বাজারসংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে একই ছাতার নিচে এনে তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া জরুরি বলে মনে করছেন তারা।

কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এসএম নাজের হোসেন বলেন, আমাদের দেশে বাজার তদারকির ক্ষেত্রে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের দৃশ্যমান সমন্বয় নেই। যদিও মাঠ পর্যায়ে জেলা প্রশাসন সমন্বয় করার কথা ছিল। কিন্তু তা আমরা দেখছি না। সমন্বয় না থাকলে কোনো কাজেই ফল আসে না। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে। এতে কাউকে জরিমানা করলে তার ফলোআপ কেউ করছে না। আইনের প্রয়োগও যথাযথ হচ্ছে না। কারণ আইনে বলা হয়েছে, একই ব্যক্তি একাধিকবার অপরাধ করলে তার শাস্তিও বেশি হবে। সমন্বয়হীনতা এখন বাজার ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর গত শুক্রবার ২৯টি পণ্যের উৎপাদন খরচ, উৎপাদক পর্যায়ে সর্বোচ্চ দাম, পাইকারি বাজারে ও ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা দাম কত হবে তা নির্ধারণ করে দেয়। যদিও নির্ধারিত এ দামে বাজারে পণ্য পাচ্ছেন না ক্রেতারা। অনেক পণ্যের ক্ষেত্রেই বড় ধরনের অসামঞ্জস্য। সংস্থাটির হিসাবে প্রতি কেজি ব্রয়লারের উৎপাদন খরচ ধরা হয়েছে ১৪৬ টাকা। সে অনুযায়ী খুচরা পর্যায়ে মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হয় ১৭৫ টাকা। যদিও রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকায়। এছাড়া খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৬৪, ছাগলের মাংস ১ হাজার ৩ ও সোনালি মুরগি ২৬২ টাকা দাম বেঁধে দেয়া হয়। যদিও রাজধানীর খুচরা বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকা, ছাগল বা খাসি ১০০০-১১০০ ও সোনালি মুরগি ৩২০-৩৫০ টাকায়। এছাড়া প্রতি পিস ডিমের দাম সাড়ে ১০ টাকা ধরা হলেও বিক্রেতারা রাখছেন সাড়ে ১১ টাকা করে।

পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে তার প্রতিফলন না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম বলেন, আমরা যে আইনের ভিত্তিতে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি বাজারে তার ব্যত্যয় ঘটলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিচার করতে হবে। কেননা কৃষি বিপণন অধিদপ্তর শাস্তি দিতে পারে না। আমরা শুধু অভিযোগ দিতে পারি। তার প্রমাণাদির ভিত্তিতে মোবাইল কোর্ট শাস্তি দেন। মোবাইল কোর্টে মামলা করার যে পদ্ধতি তার মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত আকারে অভিযোগ দেয়া হয় এবং তারপর দুই পক্ষের কথা শুনে বিচার করা হয়।

কৃষি বিপণন আইন ২০১৮-এর ৪ (ঝ) ধারায় বলা হয়েছে, সংস্থাটি কৃষিপণ্যের সর্বনিম্ন ও যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ এবং বাস্তবায়ন করতে পারবে। এ আইন বাস্তবায়নে বাধা দূর করতে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড অথবা ১ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। যদিও আইন অনুযায়ী কাউকে শাস্তি দিতে হলে প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে বিচার করতে হবে। এক্ষেত্রে আইনে বলা হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধিতে যাই থাকুক, কোনো প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এ আইনের অধীন দণ্ড আরোপ করতে পারবেন।

নিজেদের বেশকিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে উল্লেখ করে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাসুদ করিম বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা জনবল সংকট। সারা দেশে সব মিলিয়ে ৫০০-এর মতো জনবল রয়েছে। এর মধ্যে মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে পারেন প্রতি জেলায় এমন আছেন কেবল দুই-তিনজন করে। আইনি সীমাবদ্ধতা তো রয়েছেই। তাই আমাদের অন্যের ওপর নির্ভর করতে হয়। নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রিয়াল ক্ষমতা নেই। আমরা এর আগে এ বিষয়ে আবেদনও করেছিলাম। কিন্তু জনবল কাঠামো অনুসারে তা দেয়া সম্ভব হয়নি। কারণ আমাদের কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা আছেন হাতে গোনা কয়েকজন।

দাম নির্ধারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাঠ পর্যায় থেকে বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে ২৯টি পণ্যের উৎপাদন খরচ ও যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মীরা নির্ধারিত ফর্মুলা অনুযায়ী এ তথ্য সংগ্রহ করেন। এক্ষেত্রে অন্যান্য সরকারি সংস্থারও সহায়তা নেয়া হয়েছে। শাস্তিমূলক ব্যবস্থার আগে আমরা ব্যবসায়ীদের কাছে মোটিভেশনাল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। সদ্যই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সব এজেন্সিরই দায়িত্ব রয়েছে। আমাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের অংশের বিষয়ে আমরা যথেষ্ট সচেতন রয়েছি। এ মূল্য বাস্তবায়নে কিছুটা সময় লাগতে পারে। কারণ মাত্রই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

ডিম, পেঁয়াজ ও আলুর দাম বাড়ার পর গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর সরকার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল। তবে বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজারে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা অভিযান চালিয়েও ওই দাম কার্যকর করতে পারেনি। রোজার আগে ভোজ্যতেল, চিনিসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম বেঁধে দেয় সরকার। এরপর দেশের বিভিন্ন পাইকারি বাজার, পরিশোধন কিংবা মোড়কজাতকারী মিলগুলোয় অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকারসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থা। আমদানি মূল্যের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি কিংবা মজুদ বেশি রাখায় জরিমানাও করা হয়। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে এলে বাজারে এর প্রভাব কমে আসে। রোজা শুরুর পর থেকে ফের বাড়তে শুরু করেছে ভোগ্যপণ্যের দাম।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাজারে চাহিদার সঙ্গে জোগানের অসামঞ্জস্য, উৎসমুখ থেকে বাড়তি দামে পণ্য কেনার কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। তাদের দাবি, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিসহ মুদ্রাস্ফীতির কারণে পণ্যের দাম বাড়ছে। মোকাম থেকে বাড়তি মূল্যে কেনার কারণে চাইলেও সরকার নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রি করা যাচ্ছে না।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পণ্যের দাম নির্ধারণ পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, আমদানি, উৎপাদন খরচ কিংবা চাহিদা অনুপাতে জোগানের ওপর দাম নির্ভর করে। সবকিছু বাড়তি মূল্যের এ সময়ে সরকারিভাবে যে দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে সেখানে অপ্রকাশিত খরচগুলো যুক্ত করা হয় না। ফলে বিভিন্ন সময়ে দাম নির্ধারণ সত্ত্বেও বাজারে এর প্রভাব পড়ছে না। 

জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ ছগীর আহমেদ বলেন, বাজার তার নিজস্ব গতিতে চলে। এটা ঠিক, কিছু কিছু ব্যবসায়ী খুচরা পর্যায়ে বাড়তি মূল্যে পণ্য বিক্রির চেষ্টা করে। কিন্তু একটা দেশে সার্বিকভাবে যদি পণ্যের দাম বেড়ে যায় তবে বুঝতে হবে উৎপাদন, আমদানি কিংবা সরবরাহ চ্যানেলে কোনো সংকট রয়েছে। প্রশাসন বাজার নিয়ন্ত্রণে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরও অনেকগুলো পণ্যের দাম নির্ধারণ করেছে। কিন্তু সার্বিক মুদ্রাস্ফীতি, ডলার ও এলসি সংকটে আমদানি প্রক্রিয়ায় সংকটের কারণে বাজারের ঊর্ধ্বমুখিতাকে নিম্নমুখী করা সম্ভব হচ্ছে না।

সরকারের তদারকি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে বাজারে নির্ধারিত দামে পণ্য পাওয়া যায় না বলে মনে করেন সাবেক খাদ্য সচিব আব্দুল লতিফ মন্ডল। এ বিষয়ে তিনি বলেন, দাম নির্ধারণ করে দেয়া অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। কিন্তু আগের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী এসব বাস্তবায়ন হতে দেখা যায়নি। সরকারের তদারকি সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে সমন্বয়হীনতা। এক পক্ষ আরেক পক্ষের ওপর দায় চাপিয়ে দেয়। ফলে এসব উদ্যোগ ভালো হলেও তার বাস্তবায়ন দেখা যায় না। আগে তদারকি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন। এক্ষেত্রে কৃষি, খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে একটি টিম গঠন করে তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে বড় বড় উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তবায়ন হবে না।

সরকারের ১১টি সংস্থা মূলত পণ্যের বাজার মনিটরিং করে। সেগুলো হলো ভোক্তা অধিদপ্তর, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি), বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই), সিটি করপোরেশন, প্রতিযোগিতা কমিশন, ট্যারিফ কমিশন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেলে কিংবা রোজার সময় সংস্থাগুলো যে যার মতো উদ্যোগ নেয়। তবে বিচ্ছিন্ন এ কাজে বাজারে তেমন প্রভাব পড়ে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে, তার বাস্তবায়নও কিন্তু তাদের ওপরই বর্তায়। এখন এ মূল্য বাস্তবায়নে তারা ম্যাজিস্ট্রেটের সহায়তা চাইছে কিনা সেটা দেখার বিষয়।

বাজার তদারকি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুবই নগণ্য একটি অংশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের কাজের অনেক ব্যাপকতা রয়েছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রচুর কার্যক্রম রয়েছে। এর বাইরে ভোক্তার বহু অভিযোগ থাকে, তার বিচারপ্রক্রিয়া পরিচালনা করি। এছাড়া বাজারে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য, নকল পণ্য এসবের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছি। সঙ্গে নিয়মিত বাজার তদারকিও চলছে।


আরও খবর



রূপগঞ্জে সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রূপগঞ্জ (নারায়নগঞ্জ) প্রতিনিধি

Image

নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের ভুলতা-মুড়াপাড়া সড়কের রাস্তার পাশে লাগানো সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২১ মার্চ শুক্রবার উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের ছোনাবো এলাকার জয়নালের ছেলে নাসিরের নেতৃত্বে ১ লক্ষাধিক টাকার ৪টি কড়ই গাছ কেটে নেওয়া হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।

গাছ কাটার খবর পেয়ে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে আসলে গাছ কাটার লোকজন দ্রুত পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, সরকারি বনায়ণের অংশ হিসেবে এ উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে গাছ রোপণ করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় বিগত ৩০ বছর পূর্বে ভুলতা-মুড়াপাড়া এ সড়কের উভয় পাশে সরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন জাতের গাছ রোপণ করা হয়েছিল। নাসির মিয়া জোরপূর্বকভাবে সড়কের পাশে লাগানো ওই গাছ কাটতে শুরু করে। আমরা সাংবাদিকদের খবর দিলে গাছ কাটার লোকজন ২টি গাছ কেটে দ্রুত পালিয়ে যায়।

এর একদিন আগে রাস্তা সংস্কারের বরাত দিয়ে একইস্থানে রোপন করা অর্ধ শতাধিক কলা গাছ জোরপূর্বক কেটে ফেলেছে ওই নাসির।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত নাসির মিয়া তার আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কোনো সরকারি গাছ কাটিনি। এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারি না।

এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান মাহমুদ রাসেল বলেন, সরকারি গাছ কাটার বিষয়ে আমি অবগত না। তবে যারা সরকারি গাছ কেটে নিচ্ছে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর
অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




মৌসুমের আগেই চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাধারণত বর্ষার ঠিক আগে আগে শুরু হয় ডেঙ্গুর প্রকোপ। বছরের মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়টাকে ডেঙ্গুর মৌসুম ধরা হয়। তবে গত কয়েক বছর ধরে সারা বছরই কম-বেশি ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। এ বছর ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২২ জন। এ সময়ের মধ্যে ১ হাজার ৭৮৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সামনে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।  

ডেঙ্গু এডিস মশাবাহিত রোগ। এ রোগের ভাইরাসের একমাত্র বাহক স্ত্রী এডিস মশা। এ মশার মাধ্যমে ভাইরাস মানবদেহে সংক্রমিত হলে ডেঙ্গু হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে এডিস মশা কামড়ালেও মশার মধ্যে ভাইরাস সংক্রমিত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ডেঙ্গু আক্রান্ত বাহক অন্য জায়গায় ভ্রমণের মাধ্যমে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। অর্থাৎ একজন আক্রান্ত ব্যক্তি যখন অন্য জায়গায় ভ্রমণ করেন, সেখানে তাকে এডিস মশা কামড়ালে সেই মশার ভেতরেও ডেঙ্গুর জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে, আর সেসব মশা যাদের কামড়ায় তাদের ডেঙ্গুরোগ হতে পারে।

বর্ষা মৌসুমে এডিস মশার প্রজনন বৃদ্ধি পায় বলে এ সময় ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় এমন ধারণা প্রচলিত থাকলেও বিগত কয়েক বছরে দেখা গেছে, উপযুক্ত পরিবেশ পেলে বছরের যেকোনও সময় এ মশার বংশবিস্তার ঘটে এবং ডেঙ্গুরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৭৮৯ জন এবং মারা গেছেন ২২ জন। এর মধ্যে জানুয়ারিতে রোগী ছিল ১ হাজার ৫৫ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৩৯ জন এবং মার্চে ৩১১ জন। এপ্রিলের ৯ দিনে রোগী পাওয়া গেছে ৮৪ জন।

গত বছর এযাবৎকালের সর্বাধিক ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়। তবে তখন রোগী বেশি ছিল মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ বছর জানুয়ারিতেই হাজারের বেশি রোগী পাওয়া গেছে, যা আগে কখনও পাওয়া যায়নি। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে রোগী পাওয়া যায় ১২৬ জন, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে রোগী ছিল ৩২ জন।

বিগত দিনগুলোর তুলনায় এ বছর মৃত্যুও বেড়েছে। এ বছরের জানুয়ারিতে মারা গেছেন ১৪ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন এবং মার্চে ৫ জন। গত বছরের জানুয়ারিতে মারা যান ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন এবং মার্চে কোনও মৃত্যু ছিল না। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ডেঙ্গুতে কেউ মারা যায়নি। তার আগে ২০২১ সালেও এই সময়ের মধ্যে এই রোগে মৃত্যুর কোনও ঘটনা ঘটেনি।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, কীটতত্ত্ববিদ ও চিকিৎসকরা বলছেন, এবারে পরিস্থিতি গতবারের চেয়ে নাজুক হতে পারে। সংক্রমণ ও মৃত্যু সেই পূর্বাভাস দিচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, বিভাগীয় ও জেলা শহরে স্বাস্থ্য অবকাঠামো যথেষ্ট আছে। কিন্তু প্রান্তিক পর্যায়ে বেশি রোগী হলে তা সামলানো কঠিন হয়ে যাবে।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) এক কীটতত্ত্ববিদ বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম বছরজুড়ে চালাতে হবে। গত বছর আমরা গ্রামাঞ্চলে রোগী পেতে শুরু করেছি। এ বছর এই পরিমাণটা আরও বাড়তে পারে। বাড়লে আমাদের চিকিৎসা সক্ষমতার ওপর অনেক চাপ পড়বে।

কীটতত্ত্ববিদ ড. জি এম সাইফুর রহমান বলেন, ২০১৩ সালের আগ পর্যন্ত আমরা দেখেছি, মার্চ-এপ্রিলে ডেঙ্গুরোগী পাওয়া যায়। ২০১৩ সালের পর থেকে ২০১৬ পর্যন্ত দুই-এক মাস বাদ দিয়ে প্রায় সব মাসেই ডেঙ্গুরোগী পাওয়া গেছে। ২০১৬ থেকে আজ পর্যন্ত প্রতি মাসেই একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগী পাওয়া যাচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, এডিস মশার উপদ্রব বন্ধ করতে হবে। চিকিৎসা পরের কথা। চিকিৎসার জন্য যা যা দরকার সেটা নিয়ে আমরা এরইমধ্যে একটা মিটিং করেছি। এখন আবার বসবো যেন চিকিৎসায় কোনও ঘাটতি না হয়।


আরও খবর
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস আজ

রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪




বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া, দূরের যাত্রায় যাত্রীদের ব্যয় কত?

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ট্রেনে ভাড়ার ক্ষেত্রে রেয়াতি ব্যবস্থা বাতিল করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এতে করে দূরের গন্তব্যের ট্রেনের ভাড়া সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাবে। সর্বনিম্ন ভাড়া বাড়বে ১০ শতাংশ। তবে ১০০ কিলোমিটারের কম দূরত্বের ক্ষেত্রে ভাড়া অপরিবর্তনশীল থাকবে।

রেয়াতি সুবিধা বাদ দেওয়ার প্রস্তাব এরই মধ্যে অনুমোদন পেয়েছে। যদিও এটাকে ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে বলে মানতে রাজি নয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। রেলের দাবি, শুধু একটা সুবিধা বাতিল করা হচ্ছে। নতুন করে ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে না।

রেলওয়ের রেয়াতি ব্যবস্থায় ট্রেনের ভাড়ায় ১০০ কিলোমিটারের পরবর্তী ১৫০ কিলোমিটার ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়। অর্থাৎ ১০১ থেকে ২৫০ কিলোমিটারে মেলে ২০ শতাংশ ছাড়। এরপর ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ২৫ শতাংশ এবং ৪০১ থেকে তদূর্ধ্ব কিলোমিটার পর্যন্ত ৩০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়।

এ ছাড়া অগ্রিম আবেদনের মাধ্যমে সংযুক্ত বাড়তি কোচ বা বাড়তি চাহিদার সময়ে সংযোজিত কোচের টিকিটে শোভন শ্রেণির ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ, স্নিগ্ধা ও অন্যান্য উচ্চশ্রেণিতে ৩০ শতাংশ রিজার্ভেশন সার্ভিস চার্জ আরোপ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সরদার সাহাদাত আলী বলেন, এটাকে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানো হবে বানানো হচ্ছে এমনটা বলা ঠিক হবে না। এত দিন কিলোমিটারের ওপর যে ছাড় দেওয়া হতো সেই সুবিধাটা বাতিল করা হচ্ছে। এতে করে নতুন ভাড়া সমন্বয় করা হবে।

কবে নাগাদ এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছি ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর করতে। কিন্তু এর মধ্যে সবগুলো স্টেশনের ভাড়া সমন্বয় করা সম্ভব না-ও হতে পারে।

সে ক্ষেত্রে আরও কয়েক দিন পেছানো হবে। সবগুলো স্টেশনের ভাড়া সমন্বয় করা শেষে নতুন ভাড়া কার্যকর হবে। রেলের ভাড়ায় দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা চালু হয়েছিল ১৯৯২ সালে। আর ২০১৬ সালে সর্বশেষ ভাড়া বৃদ্ধি করেছিল সরকার।

যদিও সম্প্রতি রেলভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম জানিয়েছিলেন, রেল লোকসানে রয়েছে। কিভাবে লোকসান থেকে বেরিয়ে আসা যায় সেই চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। অনেক দিন ধরে ট্রেনের টিকিটের দাম বাড়ছে না। প্রয়োজনে নতুন ভাড়া সমন্বয়ের কথা হতে পারে। কিন্তু সেটা এখনই করা হবে না। যদি ভাড়া বাড়ে তাহলে আলাপ-আলোচনা করে আপনাদের জানিয়ে ভাড়া বাড়ানো হবে।


আরও খবর