আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ

নেপালকে হারিয়ে দুর্দান্ত শুরু বাংলাদেশের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে শুভসূচনা করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে ছোটনের শিষ্যরা। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় অর্ধ শুরু হয় অধিনায়ক শামসুন্নাহারকে ছাড়া। প্রথমার্ধে আঘাত পান তিনি। বিরতির পুরোটা সময় তার শ্রশুষা চলেছে। শেষ পর্যন্ত তিনি স্বাভাবিকভাবে দাঁড়াতে না পারায় তার বদলে আইরিনকে নামান কোচ৷

৫৩ মিনিটে ৩০ গজ দুর থেকে দুর্দান্ত এক শট নেন আফিদা। নেপালের গোলরক্ষক দারুণভাবে সেভ করেন। শামসুন্নাহারের অভাবে বাংলাদেশের আক্রমণ খানিকটা ধার হারায়। এরপরও কয়েকটি গোলের সুযোগ সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যন্ত ইনজুরি সময়ে গোল পায় বাংলাদেশ। শাহেদা আক্তার রিপা ডান প্রান্ত থেকে দুর্দান্ত শটে গোল করেন।

নেপাল দ্বিতীয়ার্ধে সমতা আনার চেষ্টা করেছে। বাংলাদেশের গোলরক্ষক রুপনা চাকমা দারুণ কয়েকটি সেভ করেছে। দুই দলের ফুটবলাররাই টার্ফে পড়ে খানিকটা আহত হয়েছেন কয়েকবার।

ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই বাংলাদেশকে লিড এনে দেন আকলিমা খাতুন। ঘরোয়া লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা আকলিমা সাফে বাংলাদেশের গোল সূচনা করেন। বারো মিনিট পর শামসুন্নাহার ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। বক্সের মধ্যে দারুণভাবে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গোল করেন।

২৪ মিনিটে খেলায় ফেরে নেপাল। সফরকারীদের আক্রমণ ক্লিয়ার করতে গিয়ে কর্ণার হয়। সেই কর্ণার থেকে গোল পায় নেপাল৷ মনমায়া দামাইয়ের নেয়া শট পোস্টের ভেতরের অংশ লেগে গোল হয়।

এক গোল পরিশোধ করে নেপাল বাংলাদেশকে চেপে ধরে। ম্যাচের ৪০ মিনিটে বাংলাদেশের গোলরক্ষক রুপনা চাকমা বক্সের সামনে এসে একটি সেভ করেন। 


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




৯ বছরে সরকারি চাকরিতে যুক্ত হয়েছেন ৩৮৫৫৮ নারী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সরকারি চাকরি ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ এখন সর্বত্র। সচিবালয় থেকে শুরু করে সরকারি চাকরির বিভিন্ন স্তরে নারী চাকরিজীবীর সংখ্যা বাড়ছে দিনে দিনে। ২০১৪ সালে সরকারি চাকরীতে নারী ছিলেন ৩ লাখ ৭০ হাজার ৫৮১। ৯ বছর পর ২০২৩ সালে সরকারি চাকরিতে নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৯ হাজার ১৩৯। এই ৯ বছরে সরকারি চাকরীতে নারীর সংখ্যা বৃদ্দি পেয়েছে ৩৮ হাজার ৫৫৮।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত সবশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সারা দেশে সরকারি চাকরিজীবী আছেন ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮১৮ জন। এর মধ্যে ৯ লাখ ৮৭ হাজার ৬৭৯ জন পুরুষ। নারী চাকরিজীবী রয়েছেন ৪ লাখ ৯ হাজার ১৩৯ জন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দিনে দিনে সরকারি চাকরিতে নারীদের সংখ্যা বাড়ছে, অবস্থান মজবুত হচ্ছে। সরকারের নানামুখী উদ্যোগের ফলে মানুষের মধ্যে শিক্ষার হার বৃদ্ধি ও সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে নারীদের নিরাপত্তা বেড়েছে ফলে অধিকসংখ্যক নারী চাকরিতে প্রবেশ করছেন। কিন্তু এখনো নারীদের শতকরা হিসেবে অংশগ্রহণ সন্তোষজনক নয়। নারীর জন্য উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা, পুরুষদের প্রথাগত মানসিকতা পরিবর্তনে সচেতনতা, চাকরি ক্ষেত্রে হয়রানি বন্ধসহ নানা ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের জনসংখ্যার হিসেবে নারী ও পুরুষের চেয়ে বেশি হলেও চাকরি ক্ষেত্রে নারীদের সংখ্যা পুরুষের তুলনায় অনেক কম। বিষয়টি ফুটে উঠেছে সরকারি প্রতিবেদনেও।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান (৩০ মে ২০২৩ সালে প্রকাশিত) প্রথম শ্রেণির চাকরিতে মোট কর্মরত রয়েছেন ১ লাখ ৭৯ হাজার ৫১৪ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৯৬ জন পুরুষ আর নারীর সংখ্যা ৪০ হাজার ১৮। দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কর্মরত রয়েছেন ১ লাখ ৯৩ হাজার ৬৬৪ জন, যেখানে ১ লাখ ২৭ হাজার ৬০৬ জন পুরুষ, ৬৬ হাজার ৫৮ জন নারী। তৃতীয় শ্রেণির চাকরিতে কর্মরত রয়েছেন ৬ লাখ ৩ হাজার ৪৩৩ জন, যেখানে পুরুষ ৩ লাখ ৫৬ হাজার ২৭১ এবং নারী ২ লাখ ৪৭ হাজার ১৬২ জন। চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে কর্মরত রয়েছেন ৪ লাখ ১৫ হাজার ১০৪ জন, যেখানে পুরুষের সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার ১৭ এবং নারী ৫৫ হাজার ৮৭ জন।

সরকারি চাকরিতে নারীদের অংশগ্রহণ কতটা বেড়েছে তা বোঝা যায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ২০১৪ সালের সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে।

২০১৪ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রথম শ্রেণির চাকরিতে নারীর সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ৬৩৭, যা ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ১৮। অর্থাৎ এ ৯ বছরে প্রথম শ্রেণির চাকরিতে নারীর সংখ্যা বেড়েছে ১৬ হাজার ৩৮১। একইভাবে দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে ২০১৪ সালে ছিলেন ৫৩ হাজার ৪১ জন নারী, যা ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ হাজার ৫৮ জনে। এ সময়ে নারীর সংখ্যা বেড়েছে ১৩ হাজার ১৭। তৃতীয় শ্রেণির চাকরিতে নারীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার ৮১২, বর্তমানে তা ২ লাখ ৪৭ হাজার ১৬২। অর্থাৎ ৯ বছরে এই শ্রেণির চাকরিতে নারীর সংখ্যা বেড়েছে ৩৫০। একই সময়ে চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে নারী সংখ্যা ৭ হাজার ৯৯৬ বেড়ে গত বছর হয়েছে ৫৫ হাজার ৮৭।

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, সরকারি চাকরিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। এটা বেশ ইতিবাচক হলেও সন্তুষ্ট হওয়ার সুযোগ নেই। সরকারি চাকরিতে নারীরা সংখ্যায় বাড়লেও শতকরা হিসাবে এখনো পুরুষ থেকে অনেক পিছিয়ে আছেন। নারীদের সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়াতে হবে, তাদের প্রাপ্য সম্মান ও অধিকার দিতে হবে।


আরও খবর



শাকিব খানকে নিয়ে বোমা ফাটালেন কলকাতার প্রযোজক

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। সেই সুবাদে এখন পর্যন্ত তার সমপর্যায় পৌঁছাতে পারেনি কেউ। বিশেষ করে গত কয়েক বছর ধরে তার অভিনীত সিনেমা মানেই দর্শকমহলে অন্যরকম আলোচনা ও প্রশংসার জোয়ার।

গত বছর প্রিয়তমা সিনেমা দিয়ে ব্যাপক প্রশংসা লাভ করেন শাকিব খান। সেই ধারাবাহিকতায় এবার আসছে ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে বিগ বাজেটের রাজকুমার সিনেমা। ইতোমধ্যে এর একটি পোস্টারও প্রকাশ্যে এসেছে। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা করছেন নেটিজেনরা।

দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারে ঢাকাই ইন্ডাস্ট্রি পেরিয়ে কলকাতার টালিউড ইন্ডাস্ট্রিতেও নাম লিখিয়েছেন শাকিব খান। শ্রাবন্তী, শুভশ্রীসহ বিভিন্ন নায়িকার সঙ্গে কাজ করেছেন। ওপার বাংলার ইন্ডাস্ট্রি ও দর্শকের কাছে বেশ পরিচিত এক নাম। কিন্তু সেই নায়কই নাকি অভিনয় পারেন না? তাকে নিয়ে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন টালিউড প্রযোজক রানা সরকার।

সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যমে এক অডিও বার্তায় শাকিব খান প্রসঙ্গে প্রযোজক রানা সরকার বলেন, শাকিব জনপ্রিয় হলেও পশ্চিমবঙ্গে তার সিনেমার দর্শকপ্রিয়তা নেই। একজন সুপারস্টারের সিনেমা যেমন চলা উচিত যেমন জিৎ, দেব সোহমসে রকম করে চলে না। শাকিব হয়তো অনেক জনপ্রিয়, কিন্তু অভিনয়ের ক্ষেত্রে অন্য যারা ভালো করছেন, তাদের তুলনায় কিন্তু অতটা ভালো নয়।

এছাড়া বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় সে কাজ করলেও হলগুলো কিন্তু তার সিনেমায় খুব একটা আগ্রহী নয় বলে মন্তব্য রানা সরকারের। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, শাকিবের সিনেমা হলে তো চলেই না, বাংলার কোনো স্যাটেলাইট চ্যানেলও সেরকম দাম দেয় না তাকে, যে দামটা জিৎ, দেবের মতো নায়কদের রয়েছে।

শাকিব সুপারস্টার ঠিকই, তবে তিনি যদি অভিনয়ে আরও মনোযোগ দিতেন, তাহলে বেশ ভালো হতো বলে মনে করেন টালিউড প্রযোজক রানা সরকার।


আরও খবর



কুমিল্লায় ভোটে এগিয়ে সূচনা, ময়মনসিংহে টিটু

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিচ্ছিন্ন সংঘাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে কুমিল্লা সিটির উপনির্বাচন। এদিকে ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনে ইভিএমে ভোট দিতে বিড়ম্বনার অভিযোগ করেছেন প্রার্থী ও ভোটাররা। এখন চলছে দুই সিটিতে ভোট গণনা।

শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত কুমিল্লা সিটি উপ-নির্বাচনে ৯০ কেন্দ্রে তাহসীন বাহার সূচনা (বাস) পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৭৩২ ভোট ও মনিরুল হক সাককু (টেবিল ঘড়ি) পেয়েছেন ২২ হাজার ৫৭৬ ভোট। নিজাম উদ্দিন কায়সার (ঘোড়া) ১০ হাজার ৯৬৩ ভোট ও নুর উর রহমান মাহমুদ তানিম (হাতি) পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৯৫ ভোট।

অপরদিকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনে ৪৭ কেন্দ্রে ইকরামুল হক টিটু (টেবিল ঘড়ি) পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৮৭৩ ও সাদেকুল হক খান মিল্কি (হাতি) ১০ হাজার ২০৪ ভোট পেয়েছেন।

আজ শনিবার সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় বিকেল চারটায়। ইতিমধ্যে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়েছে। তবে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের একটি কেন্দ্রে বিকেল পৌনে ৬টার সময়ও ভোটগ্রহণ চলছিল। এই সিটিতেও ভোটের ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়েছে।

কুমিল্লায় ভোট হয়েছে শুধু মেয়র পদে। অন্যদিকে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়াদ অবসান হওয়ায় সেখানে মেয়র ও কাউন্সিলরের সব কটি পদে ভোট হয়েছে।

গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কাগজের ব্যালটে ভোট হলেও ময়মনসিংহ ও কুমিল্লায় আজ ভোট হয়েছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। এর আগে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনে ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে কোথাও কোথাও ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিল ভোটারদের। এবারও চিত্রটা প্রায় একই রকম।


আরও খবর



কেজি হিসেবে তরমুজ বিক্রি করা যাবে না: ভোক্তার মহাপরিচালক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তরমুজ পিস হিসেবে কিনে সেটি কেজি দরে বিক্রি করা যাবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

বৃহস্পিতিবার (২১ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনের সামনে ন্যায্যমূল্যে তরমুজ বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় এ কথা বলেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

এ সময় তিনি বলেন, তরমুজ ক্রেতারা যেভাবে কিনতে চান সেভাবে বিক্রি করতে হবে। কেউ যদি পিস হিসেবে কিনতে চায়, তাহলে কেজি দরে বিক্রি করার কোনো সুযোগ নেই। তবে কেউ যদি তরমুজ কেজি হিসেবে কিনেন, তাহলে তিনি কেজি হিসেবে বিক্রি করবেন। কিন্তু এর সপক্ষে ওই বিক্রেতাকে অবশ্যই ভাউচার রাখতে হবে। যদি পাকা ভাউচার না থাকে, তাহলে শাস্তির আওতায় আনা হবে ওই বিক্রেতাকে।

ভোক্তার মহাপরিচালক বলেন, কেউ যদি তরমুজ কেজি হিসেবে বিক্রি করেন, তখন যেন ভোক্তারা প্রত্যাহার করেন এবং আমাদের ভোক্তা অধিদপ্তরকে বিষয়টি অবহিত করেন। তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সেই বিক্রেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে ভোক্তা অধিদপ্তর।

জানা গেছে, ব্যবসায়ীরা পিস হিসেবে তরমুজ কিনে আনেন এবং সেগুলো বাজারে কেজি হিসেবে অধিক মূল্যে বিক্রি করেন। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে কারওয়ান বাজারে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিদপ্তর।

অভিযানে দেখা যায়, ১১ কেজি ওজনের তরমুজ ২৮০-৩০০ টাকায় কেনা এবং সেটি বিক্রি করা হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি হিসেবে ৭০০ টাকায়। আর অধিক লাভ বন্ধ করার জন্য নিয়মিত অভিযানও চালাচ্ছে অধিদপ্তর।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




বিয়ের অনুষ্ঠানে মদপানে মামা-ভাগ্নের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মানিকগঞ্জে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে দেশি মদপানে অসুস্থ হয়ে দুই যুবক মারা যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে। শনিবার রাতে তাঁদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলেন- গাজীপুর জেলার ভাওয়াল কলেজ এলাকার সতীশ সরকারের ছেলে দীপু সরকার (২৯) ও হরিরামপুর উপজেলার বয়ড়া ইউনিয়নের দাসকান্দি বয়ড়া গ্রামের মৃত প্রকাশ সরকারের ছেলে প্রসেনজিৎ সরকার (২১)।

মৃত দীপু সরকারের মামাতো ভাই সঞ্জয় বৈরাগী জানান, তাঁর বোনের বিয়ে উপলক্ষে তাদের বাড়িতে গায়ে হলুদে আয়োজন ছিল। শুক্রবার মধ্যরাতে সেই আয়োজনে দেশিয় মদপান করে দীপু ও প্রসেজিৎসহ বেশ কয়েকজন যুবক। পরে শনিবার সকালের দিকে দীপু ও প্রসেজিৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন।

বিকেলে তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সন্ধ্যার দিকে প্রসেনজিৎকে কর্নেল মালেক মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়। অপরদিকে অসুস্থ দীপু সরকারকে অসুস্থ অবস্থায় হাটিপাড়া থেকে মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে অসুস্থ অন্যরা এখন সুস্থ আছেন বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার রাশেদা নাজনীন বলেন, শনিবার প্রসেনজিৎকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসা হয়। পরে তার শরীরের পালস না পাওয়ায় তাকে দ্রুত মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিল হোসেন বলেন, মারা যাওয়া প্রসেনজিৎ সরকারের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অপরদিকে হরিরামপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজিবুর রহমান বলেন, সদরের হাটিপাড়া ইউনিয়নের জগন্নাথপুরে মদপান করে দুজন মারা গেছে। এরমধ্যে একজনের বাড়ি হরিরামপুর। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর