যেভাবে একের
পর এক আক্রমণের ঢেউ আছড়ে পড়েছে নেপালের বক্সে, তাতে করে বাংলাদেশের বড় ব্যবধানে জয়
ছিল অবধারিত। কিন্তু সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে জিতেছে
ঠিকই, ব্যবধান তেমন বড় হয়নি। কাঠমান্ডুতে লাল-সবুজ দল ২-০ গোলে স্বাগতিকদের হারিয়ে
শুভ সূচনা করেছে। দুটি গোলই হয়েছে বিরতির আগেই, করেছেন সুরভী আক্তার প্রীতি।
শনিবার কাঠমান্ডুর
চিয়াশাল স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে একচেটিয়া প্রাধান্য রেখে খেলেছে বাংলাদেশ। হাইলাইন ডিফেন্স
করে স্বাগতিকদের শুরু থেকে চেপে ধরে রাখার প্রবণতা ছিল।
ম্যাচ ঘড়ির ৫ মিনিটে বাংলাদেশ ভালো সুযোগ নষ্ট করে। সতীর্থের ক্রসে আলফি আক্তার পোস্টের সামনে থেকে বাইরে মেরে দলকে এগিয়ে নিতে পারেননি। ১৫ মিনিটে দুর্ভাগ্য সাইফুর বারী টিটুর দলের। আলফির ফ্রি কিক গোলকিপার ঝর্ণা দুমরাকোতি এক হাত দিয়ে কোনোমতে রুখে দিয়ে তালুবন্দী করেন।
২৪ মিনিটে বাংলাদেশ
হতাশা থেকে বেরিয়ে আসে। প্রথম গোলের দেখা পায়। সাথী মুন্ডার দারুণ এক মুভে বক্সের ভেতরে
প্রীতি জায়গা ছেড়ে বেরিয়ে আসা গোলকিপারের পাশ দিয়ে দারুণ ফিনিশিংয়ে জাল কাঁপান।
৫ মিনিট পর
পেনাল্টি থেকে বাংলাদেশ ব্যবধান দ্বিগুণ করে। আলফিকে ফেলে দেন গোলকিপার স্বয়ং। রেফারি
পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে কার্পণ্য করেননি। স্পট কিক থেকে গোলকিপারের ডান দিক দিয়ে জোরালো
শটে দলকে আবারও এগিয়ে নেন প্রীতি।
দুই গোলে এগিয়ে
থেকে বিরতির পরও বাংলাদেশের পায়ে বল ছিল। আক্রমণও কম হয়নি। তবে ফিনিশিং ব্যর্থতায় আর
গোল পাওয়া হয়নি। এছাড়া এই অর্ধে নেপাল গোল শোধ দেওয়ার জন্য একদিক চেষ্টা চালিয়েছে।
তবে গোলকিপার ইয়ারজান বেগমের বড় পরীক্ষা নিতে পারেনি।
৫২ মিনিটে কর্নার
থেকে বাংলাদেশের একজনের শট পোস্টের পাশ দিয়ে যায়। ১০ মিনিট পর আরিফার ক্রসে প্রীতির
প্লেসিং বাইরের জাল কাঁপালে হ্যাটট্রিক পাওয়া হয়নি।
৭৬ মিনিটে আলফি
হতাশ করেন। মধ্যমাঠ থেকে থ্রু বল পেয়ে আলফি বক্সের ভেতরে আগুয়ান গোলকিপারকে একা পেয়ে
পরাস্ত করতে পারেননি। সোজা গোলকিপারের পায়ের বরাবর গিয়ে গোল প্রচেষ্টা ব্যাহত হয়।
রেফারির শেষ
বাঁশি যখন বেজেছে, বাংলাদেশ দুই গোলে এগিয়ে থেকে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করে। রাউন্ড রবিন
লিগ পর্বে ৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।