আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

নেপালের বিপজ্জনক ৫ বিমানবন্দর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ভ্রমণ ডেস্ক

Image

নেপালের ইয়েতি এয়ারলাইন্সের একটি প্লেন কাঠমান্ডু থেকে পোখরার উদ্দেশে উড়ে যাওয়ার সময় রোববার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে নেপাকাস্কি জেলার পোখরায় বিধ্বস্ত হয়। ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ১০টায় ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানটি যাত্রা করে। এই দুর্ঘটনায় মোট ৭২ জন (৬৮ জন যাত্রী ও পাইলটসহ ৪ জন ক্রু) জন নিহত হয়েছেন।

এভিয়েশন সেফটি নেটওয়ার্কের মতে, এর আগে ২০১৮ সালের মার্চে ঢাকা থেকে ইউএস-বাংলা ড্যাশ ৮ টার্বোপ্রপ ফ্লাইট কাঠমান্ডুতে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। এই দুর্ঘটনায় ৭১ জনের মধ্যে ৫১ জন মারা যান। এরপর এবারই সবচেয়ে মারাত্মক এই দুর্ঘটনা ঘটলো। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০০ সাল থেকে নেপালে হেলিকপ্টার বা বিমান দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৩০৯ জন মারা গেছেন। এর কারণ হলো নেপালের বিমানবন্দরগুলে সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থানে অবস্থিত। এই বিমানবন্দরগুলো পাহাড়ের কোলে অবস্থিত হওয়ায় প্লেন অবতরণ বেশ বিপজ্জনক। আসলে নেপাল একটি স্থলবেষ্টিত দেশ, যার চারপাশে পাহাড় ও পর্বত। নেপালে একটিমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আছে, ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

যদিও এটি তুলনামূলক কম ঝুঁকিপূর্ণ। তবে সেখানকার অভ্যন্তরীণ কিছু বিমানবন্দর আছে যেগুলো এতটাই বিপজ্জনক স্থানে অবস্থিত যে প্লেন উড্ডয়ন কিংবা অবতরণে বিপজ্জনক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। নেপালে সব মিলিয়ে মোট ৪৩টি বিমানবন্দর আছে। তার মধ্যে ১০টি বিমানবন্দর বেশ পরিচিত। এই বিমানবন্দরগুলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বেশ জনপ্রিয়। তবে এর কিছু এতোটাই বিপজ্জনক ও ভয়ংকর যে জানলে আঁতকে উঠবেন। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক নেপালের তেমনই কিছু বিপজ্জনক বিমানবন্দর সম্পর্কে-

লুকলা বিমানবন্দর: শুধু নেপাল নয়, বিশ্বের মধ্যে অন্যতম বিপজ্জনক বিমানবন্দর বলে মনে করা হয় লুকলাকে। এই বিমানবন্দর তেনজিং হিলারি এয়ারপোর্ট নামেও পরিচিত। এই বিমানবন্দর এভারেস্টের খুব কাছে। এই বিমানবন্দর জনপ্রিয় কারণ এখান থেকেই এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে পৌঁছানো যায়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৯ হাজার ৩৩৪ ফুট উঁচুতে রয়েছে লুকলা বিমানবন্দরটি। রানওয়েটি দৈর্ঘ্যে ১ হাজার ৭২৯ ফুট প্রস্থে ৯৮ ফুট। রানওয়ের চারপাশে প্রায় ২ হাজার ফুট গভীর খাদ।

সিমিকোট: নেপালের আরও একটি বিপজ্জনক বিমানবন্দর হলো সিমিকোট। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৯ হাজার ২৪৬ ফুট উঁচুতে এই বিমানবন্দর। কার্নালি প্রদেশের হুমলা জেলায় এই বিমানবন্দর। এর রানওয়ের দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৮০১ ফুট। সিমিকোট নেপালের একমাত্র বিমানবন্দর, যেটি ন্যাশনাল রোড নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত। পশ্চিম নেপালের ডোলপায় যাওয়ার জন্য এই বিমানবন্দর প্রবেশপথ হিসেবে কাজ করে। তাছাড়া নেপাল থেকে কৈলাস ও মানস সরোবরে যাওয়ার মূল প্রবেশদ্বার হলো এই সিমিকোট।

মুগু বা তালচা বিমানবন্দর: নেপালের অন্যতম বিপজ্জনক বিমানবন্দর হলো তালচা। এটি মুগু বিমানবন্দর নামেও পরিচিত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮ হাজার ৯৭৩ ফুট উঁচুতে গড়ে তোলা হয়েছে এই বিমানবন্দর। এখানে বছরের বেশিরভাগ সময়ই বরফ পড়ে। এ কারণে রানওয়ে অনেকটা পিচ্ছিল থাকে, তাছাড়া অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে বিমানের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এছাড়া নানা কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আছে এই বিমানবন্দরে। ২০১০ সালের ২৬ মে তারা এয়ারের ডিএইচসি ৬ টুইন অটার বীরেন্দ্রনগর বিমানবন্দর থেকে ক্রুসহ ২১ জন যাত্রীকে নিয়ে তালচাতে আসার সময় ওড়ার ৫ মিনিটের মধ্যে কেবিনের দরজা খুলে যায়। তারপর বিমানটি আবারও বীরেন্দ্রনগরে জরুরি অবতরণ করানো হয়। ২০১১ সালের ২১ নভেম্বর সুরখেত বিমানবন্দর থেকে তালচাতে নামার সময় রানওয়েতে বিমানের চাকা পিছলে গিয়েছিল। এতে ১১ জন আহত হন।

জমসম বা মুস্তাং বিমানবন্দর: নেপালের বিপজ্জনক বিমানবন্দরের মধ্যে আরও একটি হলো জমসম। মুস্তাং নামেও পরিচিত এটি। মুস্তাং জেলার প্রবেশদ্বার এই বিমানবন্দর। যে পথে জমসম, কাগবেনী, তাংওয়ে, লো মাংথাং এবং মুক্তিনাথ মন্দিরের মতো দর্শনীয় স্থান আছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮ হাজার ৯৭৬ ফুট উঁচুতে এই বিমানবন্দর। খুব জোরে বাতাস বইলে, খারাপ আবহাওয়া থাকলে এই বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়। সকালের দিকে প্রচণ্ড জোরে বাতাস হয়। তখন কুয়াশার কারণে রানওয়ে ঠিকমতো দেখাও যায় না।

পোখরা: নেপালের বিপজ্জনক বিমানবন্দরের তালিকায় আছে পোখরার নামও। ১৯৫৮ সালে তৈরি করা হয় এই বিমানবন্দরটি। এখান থেকে কাঠমান্ডু ও জমসমে নিয়মিত বিমান চলাচল করে। পাহাড়ের কোলে এই বিমানবন্দর। রানওয়েও ছোট। এ কারণেই পোখরায় এবার এতবড় একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই প্রথম নয়, এর আগেও ২০০২ সালের ২২ আগস্ট সাংগ্রী এয়ারের বিমান জমসম থেকে পোখরা যাওয়ার পথে পাহাড়ে ধাক্কা লেগে ভেঙে পড়েছিল। তিনজন ক্রু ও ১৫ জন যাত্রীর সবাই নিহত হন। ২০১৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি নেপাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান পোখরা থেকে জুমলা বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে ভেঙে পড়েছিল খারাপ আবহাওয়ার কারণে। ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল সেই ঘটনায়।


আরও খবর
সময় এখন ক্যাম্পিংয়ের

বুধবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩




২২ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪১ কোটি ডলার

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

চলতি মাসের প্রথম ২২ দিনে দেশে ১৪১ কোটি ৪৪ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এ হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ৬ কোটি ৪৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে।

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, মার্চের ২২ দিনে ১৪১ কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৮ কোটি ২৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ১৫ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১২০ কোটি ৪৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৭ লাখ ১০ হাজার ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, মার্চের ১৬ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছে ৩৯ কোটি ৫৪ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। ৯ থেকে ১৫ মার্চ দেশে এসেছে ৫০ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ১ থেকে ৮ মার্চ এসেছে ৫১ কোটি ২৯ লাখ ১০ হাজার ডলার।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে এসেছে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স, যা চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




ঈদের আগেই বেতন-বোনাস পাবেন পোশাক শ্রমিকরা

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির আগেই বেতন ও বোনাস পাবেন তৈরি পোশাক শ্রমিকরা। বুধবার (২০ মার্চ) শ্রমিক-মালিক ও সরকারপক্ষের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠক শেষে শ্রম প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম বলেন, ঈদের ছুটির আগেই তৈরি পোশাক শ্রমিকদের বেতন বোনাস দেয়া হবে। তবে ছুটির বিষয়ে কারখানার মালিক-শ্রমিকরা সিদ্ধান্ত নেবে।

তিনি বলেন, ঈদের আগে কোনো শ্রমিক ছাঁটাই এবং কৌশলে কোনো কারখানা বন্ধ করা যাবে না। মালিক-শ্রমিক ও সরকার তিনপক্ষ মিলে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলো সমাধানে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সুতরাং শ্রমিকদের অসন্তোষ হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।

এ সময় শ্রমিকরা যাতে রাস্তায় নেমে আর কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে, সে বিষয়ে শিল্প পুলিশ সতর্ক থাকবে বলেও জানান শ্রম প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম।


আরও খবর



আমেরিকায় নিষেধাজ্ঞা ঠেকাতে অভিনব কৌশল টিকটকের

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আমেরিকায় টিকটক নিষিদ্ধ করতে একটি বিল পাস করেছে দেশটির কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ। এখন উচ্চকক্ষ সিনেটে পাস হওয়ার অপেক্ষা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবহারকারীদের প্রতি সিনেটরদের কাছে ফোন করার আহ্বান জানিয়েছে জনপ্রিয় শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, টিকটকের পক্ষ থেকে ব্যবহারকারীদের কাছে নোটিফিকেশন পাঠানো হচ্ছে। এতে কোম্পানিটি বলছে, আপনার সিনেটরকে জানান টিকটক কতটা গুরুত্বপূর্ণ। টিকটক নিষেধাজ্ঞায় না ভোট দিতে বলুন।

গত বুধবার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ বা প্রতিনিধি পরিষদে টিকটক নিষিদ্ধের বিল পাস হয়। প্রতিনিধি পরিষদের ভোটের আগেও কোম্পানিটি ব্যবহারকারীদের অনুরোধ করেছিল জনপ্রতিনিধিদের কল করতে।

এদিকে মার্কিন আইন প্রণেতারা আইনি প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন কোম্পানিটির বিরুদ্ধে। কারণ, প্রতিনিধি পরিষদের ভোটের আগে জনপ্রিতিনিধিদের অফিসগুলোয় ফোন কলের বন্যা বয়ে গিয়েছিল।

নোটিফিকেশনের পাশাপাশি সিনেটরদের সহজে কল দেওয়ার ব্যবস্থাও যুক্ত করে দিয়েছে টিকটক। প্ল্যাটফর্মটিতে কল নাউ বাটন যোগ করা হয়েছে। ব্যবহারকারীরা এ বাটনে ট্যাপ করে জিপ কোড দিলেই অ্যাপটি নিজে থেকে ওই অঞ্চলের সিনেটরের অফিসের নম্বর খুঁজে বের করবে।

আমেরিকায় ১৭ কোটি মানুষ টিকটক ব্যবহার করছে। টিকটক নিষিদ্ধের বিলটি পাস হলে, অ্যাপটি ছয় মাসের মধ্যে সরিয়ে নিতে হবে অথবা টিকটককে চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্স থেকে আলাদা হয়ে যেতে হবে।


আরও খবর



দুই সিটির ভোট গ্রহণ শেষ, চলছে গণনা

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের (মসিক) সাধারণ নির্বাচন ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) মেয়র পদে উপনির্বাচন শেষ হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে চলে ভোট গ্রহণ। এখন চলছে গণনা।

দুই সিটিতে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির ৯ নেতা লড়ছেন। মসিকে মোট প্রার্থী ২২২ জন। এর মধ্যে মেয়র প্রার্থী ৫ জন। এ ছাড়া ৩২টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ এবং ১১টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৯ জন প্রার্থী। মেয়র ও কাউন্সিলর পদে ভোটাররা নির্বাচন করবেন ৪৪ জনকে। সিটির ১১ নম্বর ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ায় ৩২টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হবে।

মেয়র প্রার্থীরা হলেন সদ্য পদত্যাগী মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটু (দেয়াল ঘড়ি), জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম (ঘোড়া), শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাদেকুল হক খান মিল্কী টজু (হাতি), কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সদস্য কৃষিবিদ ড. রেজাউল হক (হরিণ) এবং জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম স্বপন মণ্ডল (লাঙল)।

কুমিল্লা মহানগরীর ২৭টি ওয়ার্ড ও ১০৫টি কেন্দ্র নিয়ে এই সিটি করপোরেশন। মেয়র পদে লড়ছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ৪ নেতা। তারা হলেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাস প্রতীকের প্রার্থী ডা. তাহসিন বাহার সূচনা, টানা দুবারের সাবেক মেয়র ও বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মো. মনিরুল হক সাক্কু, স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে বহিষ্কৃত ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার এবং মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হাতি প্রতীকের প্রার্থী নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিম।


আরও খবর



সিপাহি রইশুদ্দীন হত্যা টার্গেট কিলিং নয় : বিজিবি ডিজি

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

যশোর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে সিপাহি রইশুউদ্দীন নিহতের ঘটনা টার্গেট কিলিং নয় বলে জানিয়েছেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

অন্যদিকে বিএসএফের মহাপরিচালক শ্রী নিতিন আগ্রাওয়াল বলেছেন, ওই দিন কী ঘটেছিল, ইতিমধ্যে বিজিবিকে বিস্তারিত জানিয়েছে বিএসএফ। এ বিষয়ে আমি আর ব্যাখ্যা করব না।

আজ শনিবার সকালে বিজিবি ও বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৪তম সম্মেলন শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধান এ কথা বলেন।

এই হত্যাকাণ্ড বিএসএফের টার্গেট কিলিং ছিল কি নাসাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে বিএসএফের মহাপরিচালক বলেন, এ বিষয়ে ইতিমধ্যে বিজিবিকে বিস্তারিত জানিয়েছে বিএসএফ। ওই দিন কী ঘটেছিল তা জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে আমি আর ব্যাখ্যা করব না না। এটি বিজিবিকে জানানো হয়েছে।

এরপর বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ঘটনার সময় কুয়াশাচ্ছন্ন ও অন্ধকার ছিল। তাই দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিষয়টি নিয়ে দ্বিধায় ছিল।

সীমান্ত হত্যা নিয়ে তিনি বলেন, বিজিবি ও বিএসএফের এখন মূল লক্ষ্য যাতে সীমান্তে হত্যা না ঘটে। পোশাকধারী বা সাধারণ নাগরিক যিনিই হোক, কোনো প্রাণহানি যাতে না ঘটে, সে জন্য উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী কাজ করছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিএসএফের প্রধান বলেন,সীমান্তে চোরাকারবারিদের হামলায় গত বছর প্রায় ৬০ জন বিএসএফ সদস্য আহত হয়েছেন। চোরাকারবারিরা সাধারণত দা দিয়ে খুব কাছ থেকে বিএসএফ সদস্যদের ওপর আক্রমণ করে। তখন প্রাণ রক্ষায় বিএসএফ সদস্যরা গুলি করেন, তাঁরা দেখেন না গুলিটা বডির কোন পার্টে লাগছে।

সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হয় না, কিন্তু ক্লোজ রেঞ্জ থেকে প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র দিয়ে গুলি করলেও মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে। ক্লোজ রেঞ্জ থেকে রাবার বুলেট ছুড়লে সেটি দিয়েও মৃত্যু হতে পারে। যখন বিএসএফ সদস্যদের ওপর দা দিয়ে হামলা করা হয়, তখন তাঁরা অনেক কাছে চলে আসে। তখন আত্মরক্ষার্থে বিএসএফ সদস্যরা কখনো গুলি করতে বাধ্য হন। এর বাইরেও বিপুল চোরাকারবারিদের গ্রেপ্তার করা হয়, গ্রেপ্তারকৃতদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি সীমান্তে মৃত্যু শূন্যে নামিয়ে আনতে। এ জন্য জয়েন্ট বর্ডার পেট্রলিং, ইন্টেলিজেন্স শেয়ারিংসহ নানা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এবারের ডিজি পর্যায়ের যৌথ সম্মেলনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা এবং একমত হয়েছেন দুই দেশের কর্মকর্তারা। এর মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত অতিক্রম করে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে যথাযথ ও দৃঢ় অবস্থান গ্রহণের ব্যাপারে একমত হন তাঁরা।

সীমান্তবর্তী খাল হয়ে ভারতের আগরতলা থেকে বাংলাদেশের আখাউড়ায় ভেসে আসা শিল্পবর্জ্য মিশ্রিত পানির ক্ষতিকর প্রভাবের কথা উল্লেখ করে বিজিবির মহাপরিচালক যৌথ নদী কমিশনের কারিগরি কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয়সংখ্যক বর্জ্য শোধনাগার স্থাপনের ওপর জোর দেন। উভয় পক্ষ যৌথ জরিপ পরিচালনা এবং সীমান্তবর্তী পরিবেশ সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছে।

বিজিবি মহাপরিচালক জকিগঞ্জের কুশিয়ারা নদীতীরবর্তী ৫ হাজার হেক্টর চাষযোগ্য ফসলি জমির সেচ সুবিধা ও সীমান্তবর্তী জনগণের দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করে মানবিক দিক বিবেচনায় অবিলম্বে কুশিয়ারা নদীর সঙ্গে বন্ধ থাকা রহিমপুর খালের মুখ পুনরায় খুলে দেওয়ার জন্য বিএসএফ মহাপরিচালকের প্রতি আহ্বান জানান। বিএসএফ মহাপরিচালক উভয় পক্ষের স্বার্থ বিবেচনায় দ্রুত রহিমপুর খালের মুখ পুনরায় উন্মুক্তকরণের আশ্বাস দেন।

ঢাকায় ৫-৯ মার্চ বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেছেন। বিএসএফের মহাপরিচালক শ্রী নিতিন আগ্রাওয়ালের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। আজকেই তাঁরা দেশে ফিরে যান।


আরও খবর