দুই এশিয়ান পরাশক্তি
দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানকে ধরাশায়ী করে বিশ্বকাপের প্রস্তুতিটা ভালোই সারল ব্রাজিল।
দক্ষিণ কোরিয়াকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর সোমবার জাপানকে তাদের মাঠেই হারিয়েছে সেলেসাওরা।
জাপানের বিপক্ষে
জয়টা অবশ্য সহজে ধরা দেয়নি লাতিন আমেরিকান জায়ান্টদের কাছে। দুর্ভাগ্য, বাজে ফিনিশিং
আর জাপানিজ রক্ষণের দৃঢ়তায় ম্যাচের জয়সূচক গোলটির জন্য ৭৭ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে
হয় ব্রাজিলকে। তবে শেষ পর্যন্ত পেনাল্টি থেকে নেইমারের লক্ষ্যভেদে ১-০ গোলের জয় নিয়েই
মাঠ ছেড়েছে তিতের দল।
জাপানের ন্যাশনাল
স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই স্বাগতিকদের চাপে রাখে ব্রাজিল। দ্বিতীয় মিনিটেই পোস্টে
লেগে ফেরে রাফিনহার শট, ১৮ মিনিটেও আরেকটি দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। তবে জাপানিজ
গোলরক্ষককে প্রায় ফাঁকায় পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হন।
মুহুর্মুহু আক্রমণে
জাপানের রক্ষণভাগ এবং গোলরক্ষককে তটস্থ রাখে ব্রাজিল, কিন্তু গোল ধরা দিচ্ছিল না। ২৬
মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেইমারের ডান পায়ের অসাধারণ বাঁকানো শট দারুণ দৃঢ়তায় বাঁ
দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন স্বাগতিক গোলরক্ষক সুইশি গোনদা। ৪০ মিনিটে রাফিনহার ফ্রি-কিক
অল্পের জন্য বাঁ দিকের পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। গোলশূন্য অবস্থাতেই বিরতিতে যায় দুই
দল।
অবশেষে দ্বিতীয়ার্ধে
৭৭ মিনিটে পরম আরাধ্য গোলের দেখা পায় ব্রাজিল। বক্সের ভেতর রিচার্লিসনকে ধাক্কা মেরে
ফেলে দেন জাপানিজ ওয়াতারু এনদ। ইরানি রেফারি আলিরেজা ফাঘানি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দিতে
একেবারেই সময় নেননি। স্পট কিক থেকে ঠাণ্ডা মাথায় জাপানি গোলরক্ষক সুইশিকে ভুল দিকে
পাঠিয়ে জয়সূচক গোলটি করেন নেইমার।
এই নিয়ে দুই ম্যাচে
পেনাল্টি থেকে ৩ গোল করলেন নেইমার। গত ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষেও স্পট কিক থেকে
দুইবার বল জালে জড়িয়েছিলেন তিনি। এই জয়ে জাপানের বিপক্ষে ব্রাজিলের অপরাজিত থাকার রেকর্ড
অক্ষুণ্ণ রইল। ১৩ ম্যাচ খেলে এশিয়ার দেশটির বিপক্ষে এটি ব্রাজিলের ১১তম জয়, অপর দুটি
ম্যাচ ড্র হয়েছে। অন্যদিকে ৯ ম্যাচ পর হারের মুখ দেখল জাপান। নিজেদের আগের প্রীতি ম্যাচে
প্যারাগুয়েকে ৪-১ গোলে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল তারা।