আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

নীলফামারীর সমতলে ফলেছে দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি কমলা সাদকি

প্রকাশিত:সোমবার ০২ জানুয়ারী 2০২3 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ জানুয়ারী 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
কৃষি ডেস্ক

Image

নীলফামারী জেলার সমতলের মাটিতে ফলেছে এখন ভারতের দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি জাতের কমলা সাদকি। আকারে বড়, রসালো এ কমলার রঙ ও স্বাদ রয়েছে অটুট। নীলফামারী সদরের কচুকাটা গ্রামের এ আর লেবু মিয়া (৫৬) নার্সারি ব্যবসার পাশিপাশি গড়ে তুলেছেন একটি বাগান। সে বাগানে পাহাড়ি সাদকি জাতের কমলার রঙ, স্বাদ ধরে রাখতে সফল হয়েছেন তিনি। গত কয়েক বছর থেকে ফল পাওয়ায় এখন বেড়েছে বাগানের পরিধি।

গ্রামটিতে কচুকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে এ আর মামুন নামে তার ওই নার্সারির অবস্থান। এরই একটি অংশে গড়ে তুলেছেন পাহাড়ি সাদকি জাতের কমলার বাগান। ২০১৩ সালে ভারতের দার্জিলিং থেকে দুটি সাদকি জাতের কমলার চারা এনে রোপণ করেছিলেন নার্সারিতে। সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে চারা তৈরীর পর গত বছর থেকে পরিপূর্ণ ফল পেতে শুরু করেছেন ৬০টি গাছে। বাগানের পরিধি বাড়ায় আগামী বছর পাঁচ বিঘা জমিতে আরো ৬০০ গাছে ফল পাওয়ার আশা প্রকাশ করছেন তিনি। শুধু তাই নয়, বর্তমানে তার নার্সারিতে প্রস্তুত আছে ৮০ হাজার সাদকি জাতের কমলার চারা। শুধু কমলা এবং মালটা মিলে নার্সারিতে রয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার চারা। বাগানে ফল দেখে আগ্রহী হয়ে অনেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন সে চারা। 

লেবু মিয়া জানান, একসময়ে অর্থভাবে লেখাপড়ার করতে পারেনি তার বড় ছেলে। এরপর নিজের ভাগ্য পরিবর্তনে ২০০১ সালে এক বিঘা জমি চুক্তি নিয়ে শুরু করেন নার্সারি ব্যবসা। দিনে দিনে বাড়তে থাকে প্রসার। বর্তমানে ২৫ বিঘা জমি ক্রয় করে বৃদ্ধি করেছেন নার্সারির এলাকা। সেখানে প্রতিদিন কাজ করছেন ৩৫জন শ্রমিক। এছাড়া চায়না কমলা, বিভিন্ন জাতের মাল্টা, ত্বিন ফল, পেপে, মিষ্টি লেবু, অ্যাভোকাডো, জয়তুন, মালবেরি জয়তুন, বিভিন্ন প্রজাতির আমসহ ফিলিপাইন আম, ব্লাকবেরি, লিচুসহ ফুল ও ফলের বাগান ছড়িয়েছেন ৪৯ বিঘা জমিতে। বাগানের এমন পরিধিতে গত বছর ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ করে আয় করেছেন ৮০ লাখ ১৪ হাজার টাকা। দিনে দিনে বাড়ছে তাঁর আয়ের পরিধি। অর্থাভাবে লেখাপড়া করতে না পারা বড় ছেলে এ আর হারুন খুঁজে পেয়েছেন কর্মের পরিধি। মেজ ছেলে এ আর মামুন রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স পড়ার পাশপাশি দেখভাল করছেন ব্যবস্যার। একমাত্র মেয়ে মাহমুদা আক্তার লিহা উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে প্রস্তুতি নিচ্ছেন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির। তার বাগানে গিয়ে দেখা গেছে প্রতিটি গাছে থোকায়-থোকায় ঝুলছে পাকা কমলা। সুমিষ্ট পাকা কমলার রঙ আকৃষ্ট করছে মানুষকে। সেখানে আগতরা সুমিষ্ট পাকা কমলা খেয়ে তৃপ্ত হচ্ছেন আর লেবু মিয়ার কাছে মনযোগ সহকারে শুনছেন বাগান গড়ার সফলতার গল্প।

লেবু মিয়া জানান, গত চারবছর ধরে তার বাগানের ৬০টি কমলা গাছে ফল আসছে। এসব ফল বাজারে বিক্রি না করে দর্শনার্থীদের খাওয়ার জন্য রেখেছেন। ফল খেয়ে তৃপ্ত হয়ে অনেকে চারা সংগ্রহ এবং বাগান তৈরীতে আগ্রহী হচ্ছেন। আগামী বছর আরও ৬০০ গাছে ফল আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

লেবু মিয়ার মেজ ছেলে এ আর মামুন বলেন, আমরা যখন কমলা বাগান করি- তখন অনেকে বলেছিলেন এটা শীত প্রধান এলাকার পাহাড়ি ফল। সমতলে হবে না, ফল হলেও টক হবে, আকারে ছোট হবে। কিন্তু এখন তারাই এসে এ ফল খেয়ে প্রসংসা করছেন। আমরা বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসীদের মাধ্যমে ফলের চারা সংগ্রহ করি। কৃষি বিভাগের সহযোগিতা নিয়ে বাগানে লাগাই। গাছে ফল আসার পর মান ভালো না হলে সে গাছ কেটে ফেলি। মানসম্মত হলে ওই গাছ থেকে চারা উৎপাদন করে বাজাজাত করি। আমাদের বাগানের সাদকি কমলা খুবই সাড়া ফেলেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ চারা সংগ্রহের জন্য যোগাযোগ করছেন। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে আগ্রহীদের মধ্যে চারা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করছি।

নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মোছা. হোমায়রা মন্ডল বলেন, সাদকি কমলার জাতটি পাহাড়ি হলেও নীলফামারীর সমতলের মাটির আবহাওয়ার সঙ্গে ভালোই খাপ খেয়েছে। রসালো ওই কমলার স্বাদ এবং আকার অক্ষুন্ন আছে। এ আর মামুন নার্সারি বাগান করে রীতিমতো ফল ফলিয়ে দেখাচ্ছেন যে এখানে ফলন সম্ভব। বিভিন্নজন চারা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন, সেখানেও ফলন ভালো হচ্ছে। আমরা চাষীদের উৎসাহিত করছি, যাতে নীলফামারীসহ আশপাশ অঞ্চলে কমলার বাগান আরও বাড়ে। যে কমলা বাইরের দেশ থেকে এনে আমরা খাই সেটির ব্যাপকতা বাড়লে হাতের নাগালে বাগান থেকে নিরাপদ ফল পাবেন ভোক্তরা। এতে করে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।

নিউজ ট্যাগ: নীলফামারী

আরও খবর
দাম কমলো সোনার

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




ধর্ষণ-কাণ্ডে বড় মনিরকে কলেজ সভাপতির পদ থেকে অপসারণ

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অস্ত্রের মুখে কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণে অভিযুক্ত টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরকে কলেজ সভাপতির পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

একটি মামলা চলমান থাকার মধ্যেই সম্প্রতি ভূঞাপুরের লোকমান ফকির মহিলা কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি পদে নিয়োগ দেওয়া হয় বড় মনিরকে। এ ঘটনায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

সোমবার (০১ এপ্রিল) বড় মনিরকে কলেজ সভাপতির পদ থেকে অপসারণ করার কথা জানিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার জায়গায় ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) সাময়িক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মো. আতাউর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

কলেজ সভাপতি হিসেবে নিয়োগের দুই সপ্তাহ পর গত ২৯ মার্চ তুরাগ থানার প্রিয়াঙ্কা সিটি আবাসিক এলাকায় বড় মনিরের ফ্ল্যাট থেকে এক কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। তাকে অস্ত্রের মুখে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয় বলে মামলায় বড় মনিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে ওই ছাত্রী।

ওইদিন রাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর থেকে আসা একটি ফোন কলের সূত্র ধরে বড় মনিরের ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে রাতেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান বড় মনির। পরে তার বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা হয়েছে।

বড় মনির টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের বড় ভাই। তার অনুরোধে ভূঞাপুরের লোকমান ফকির মহিলা কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি পদে বড় মনিরকে নিয়োগ দেওয়া হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান।


আরও খবর



‘আমার পিতা দেশ ছেড়ে পালাননি, আমিও পালাবো না’

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ উল্লেখ করে সবসময় তাদের পাশে থাকার কথা বলেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নিজ এলাকা আনোয়ারায় টানেল-মুখ সড়কে ঈদ পুনর্মিলনী ও বর্ষবরণ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার পর তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে বিদেশ থেকে দেশে ফিরে এসেছিলেন। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে দলের হাল ধরেছিলেন। শেখ হাসিনা বলেছিলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ। আমিও বলবো, তৃণমূল নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ।

প্রয়াত প্রেসিডিয়াম সদস্য আতাউর রহমান খান কায়সারের মেয়ে ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, আমরা পিতা কখনও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি। আমিও পালাবো না। আমি ১০ বছর এমপি ছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে আবারও এমপি করেছেন, অর্থ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন। আনোয়ারায় রাস্তা করলে রাস্তা কেটে দিতো, নামফলক ভেঙে দিতো।

ভদ্রতাকে দুর্বলতা মনে না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আমাদের শিখিয়েছেন উন্নয়নের রাজনীতি। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেশের জনগণের তদারক করার অধিকার আছে। প্রতিটি কাজ ঠিকমতো হচ্ছে কি না, সেটা অবশ্যই জনগণ পাহারা দেবে। জনগণকে বলবো, কাজে ফাঁকিবাজি করতে দেবেন না। সরকারের অর্থ আপনাদেরও অর্থ। নিজেকে দুর্বল ভাববেন না। ভদ্রতাকে কেউ দুর্বলতা ভাববেন না। নিজেদের মধ্যে কোন্দল থাকলে দুষ্টুরা সুযোগ নেয়। সে সুযোগ দেবেন না।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাবেক ছাত্রনেতা জিয়াউদ্দিন বাবলুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, দক্ষিণের সহ সভাপতি শাহজাদা মহিউদ্দিন, বিএমএর চট্টগ্রামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন মাহমুদ, আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী মোজাম্মেল হক, জেলা পরিষদের সদস্য ইসলাম আহমেদ।


আরও খবর



পহেলা বৈশাখে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, আগামীকাল রোববার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীর রমনায় পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে জঙ্গি হামলার কোনো আশঙ্কা নেই। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় রমনা পার্কে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এতথ্য জানান তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির অসম্প্রদায়িক চেতনার বহিঃপ্রকাশ। সেজন্য এটার ওপর বারবার আঘাত এসেছে। সহিংস হামলা হয়েছে, জঙ্গি হামলা হয়েছে। সেজন্য সবকিছু মাথায় রেখেই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা পরিকল্পনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট হামলার শঙ্কা আমার কাছে নেই।

তিনি বলেন, রমনা বটমূলে আগামীকাল বিকেল ৫টার পর্যন্ত প্রবেশ করা যাবে। এরপর আর কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়াও সন্ধ্যার আগে সবাইকে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে হবে।

হাবিবুর রহমান বলেন, রমনায় টুরিস্টদের অভ্যর্থনা জানানোর জন্য টুরিস্ট পুলিশ বুথ রয়েছে। লেক এলাকা নিরাপত্তা দিতে নৌপুলিশের টহল রয়েছে। এছাড়া ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সাময়িক মেডিকেল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। রক্তদানের ব্যবস্থার পাশাপাশি বিনামূল্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে সুপেয় পানি বিতরণের ব্যবস্থা রয়েছে।

দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপি যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।


আরও খবর



ইসরায়েলের সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম সামরিক শক্তিসম্পন্ন দেশ ইরানের হামলার হুঁশিয়ারির পর থেকে হার্ট অ্যালার্ট জারি করেছে ইসরায়েল। ইতোমধ্যেই হামলার আশঙ্কায় ইসরায়েলের সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সব পাঠ্যক্রম বহির্ভূত শিক্ষা কার্যক্রম বাতিল করেছে তারা। খবর: জেরুজালেম পোস্ট

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান থেকে আক্রমণের জন্য উচ্চ সতর্কতার অংশ হিসেবে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে হামলা প্রতিহত করতে কয়েক ডজন বিমান প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আমরা ইরান সমর্থিতদের দ্বারা পাঠানো বিভিন্ন হুমকির সম্মুখীন হয়েছি। সেই অনুযায়ী আমাদের প্রতিরক্ষা ও আক্রমণ ব্যবস্থাকে প্রস্তুত রেখেছি।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে তেহরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৭ ইরানি জেনারেল নিহত হয়। ওই ঘটনার জেরে ইসরায়েলে পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি দেয় পারস্য অঞ্চলের দেশটি। যেকোনো সময় ইসরায়েলের যেকোনো স্থাপনায় হামলা চালানো হবে বলে সে সময় হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।


আরও খবর



শিশুদের নিডো-সেরেলাকে বাড়তি চিনি মেশাচ্ছে নেসলে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নেসলের শিশুখাদ্য সেরেলাকে বাড়তি চিনি পাওয়া গেছে বলে উঠে এসেছে এক গবেষণায়। বাড়তি চিনির এসব পণ্য বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল বা দরিদ্র দেশগুলোতে সরবরাহ করছে প্রতিষ্ঠানটি। সুইজারল্যান্ডের অলাভজনক বেসরকারি সংগঠন পাবলিক আই ও ইন্টারন্যাশনাল বেবি ফুড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের যৌথ গবেষণা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে- বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, থাইল্যান্ড, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো উন্নয়নশীল বা দরিদ্র দেশগুলোতেই এই প্রবণতা বেশি। এসব দেশে নেসলের ব্র্যান্ড নিডো বেশ পরিচিতি। আশঙ্কাজনক ব্যাপার হলো, শিশুদের জন্য নিডোর যেসব পণ্য আছে তার সবগুলোতেই বাড়তি চিনি আছে।

যৌথ এ গবেষণায় উঠে এসেছে, বাংলাদেশের বাজারে নেসলের ৯টি পণ্য চালু আছে। যার প্রতিটিতেই বাড়তি চিনি আছে। গড়ে এসব পণ্য থেকে একটি শিশুকে সাধারণভাবে একবার যে পরিমাণ খাবার খাওয়ানো হয় তাতে বাড়তি চিনির পরিমাণ প্রায় ৩ দশমিক ৩ গ্রাম।

বাংলাদেশ ছাড়াও ফিলিপাইন, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, ব্রাজিল, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলোতেও নেসলের শিশুখাদ্য বাড়তি চিনির প্রমাণ মিলেছে। বিপরীতে, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির মতো ইউরোপীয় দেশগুলোতে এসব পণ্যে বাড়তি চিনির উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।


আরও খবর