আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

নদীতে লাফ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

প্রবাসে থাকা মায়ের সঙ্গে অভিমান করে সেতু থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক যুবক। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকালে মানিকগঞ্জ সিংগাইরে শহিদ রফিক সেতু (ধল্লা সেতু) এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ওই যুবকের নাম রিয়াজ হোসেন (২০)।

তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর শুক্রবার সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ধলেশ্বরী নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করেন। রিয়াজ হোসেন উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের ফোর্ডনগর (খানপাড়া) এলাকার আমিরুল ইসলাম খোকনের ছেলে।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে প্রবাসে থাকা মায়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয়। সে সময় তাদের ঝগড়া হয়। সে অভিমানে বিকালে উপজেলার ধল্লা এলাকার শহিদ রফিক সেতু থেকে আত্মহত্যার জন্য সে লাফ দেয়। পরে ধল্লা পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ও সিঙ্গাইর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর ধলেশ্বরী নদীতে থেকে তার লাশ উদ্ধার করেন।

সিঙ্গাইর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম মোল্লা বলেন, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

 


আরও খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




৭ মার্চের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

৭ মার্চের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৫০তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ আহবান জানান।

এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না, বাঙালিকে দাবিয়ে রাখা যায় না, এই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে 'সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না'-এই ভবিষ্যৎবাণী করে গেছেন। এ কথাটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। আমরা দেখেছি বাঙালিকে বারবার দাবিয়ে রাখার অপচেষ্টা করে ষড়যন্ত্রকারীরা। কিন্তু বাঙালি সব ষড়যন্ত্র থেকে ঠিকই বেরিয়ে আসে, মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, স্বাধীনতার চেতনা শুধুমাত্র অন্ন,বস্ত্র,বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা এই পাঁচ মৌলিক চাহিদা পূরণ নয়, স্বাধীনতার চেতনা মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো এবং কেউ দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করলে মাথা নত না করা। সেটি হলো স্বাধীনতার মূলমন্ত্র এবং সেই মূলমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে শুধুমাত্র অর্থনৈতিকভাবে উন্নত করছেন তাই নয়, তার কারণে আজকের বাস্তবতায় বাংলাদেশে আমরা অনেক কিছু দেখছি। আজ থেকে বিশ বছর আগে বাংলাদেশ এরকম ছিল না। এখন তোমারদের বড় স্বপ্ন দেখার সাহস বেড়ে গেছে। তোমরা এখন অনেক বড় বড় চিন্তা করো এবং সামনের দিনে তোমরা আরও এগিয়ে নেবে বাংলাদেশকে।

এ সময় তিনি আরো যোগ করেন, এ দেশে আজ থেকে বিশ বছর আগে মেট্রোরেল ছিল না, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট ছিল না। এ দেশে আজ থেকে দশ বছর আগেও পুরো বাংলাদেশ বিদ্যুতের সাথে সংযুক্ত ছিল না, আজ থেকে দশ-পনেরো বছর আগেও এ দেশে নদীর তলদেশে টানেল ছিল না। আজ বাংলাদেশ স্যাটেলাইট নিয়ে আন্তরীক্ষে পৌঁছে গেছে, সমুদ্রের তলদেশে পৌঁছে গেছে সাবমেরিন নিয়ে, নিজের টাকায় আমরা পদ্মা সেতুর মতো বিশাল একটি সেতু আমরা বানিয়েছি। পৃথিবীর খুব কম দেশেই একইসাথে এসব কিছু আছে। এটা থেকেই বোঝা যায় বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশকে কত অল্পসংখ্যক দেশের মর্যাদায় নিয়ে গেছে। পৃথিবীর বুকে আমাদের মর্যাদা বদলে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।

বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শবনম জাহান শিলা, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার রিফাত রহমান শামীম প্রমুখ।


আরও খবর



মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাঙালিদের ওপর অতর্কিত গণহত্যার অভিযান অপারেশন সার্চলাইট শুরু করে এবং বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের আগে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে ঢাকায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর ওই ঘোষণা বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রচারিত হয়।

১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। উল্টো তারা বাঙালি বেসামরিক লোকদের ওপর গণহত্যা শুরু করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল সব রাজনৈতিক নেতাকর্মী এবং সব সচেতন নাগরিক। তবে অভিযানে নেমে তারা রিকশাওয়ালা থেকে নিয়ে সমাজের সব শ্রেণি পেশার মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে।

২৫ মার্চ মধ্যরাতে তথা ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তারের আগে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পাশাপাশি যেকোনো মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। মুহূর্তের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণা ওয়্যারলেসের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই সময় বাস্তবতা ও নিরাপত্তাজনিত কারণে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার এ ঘোষণার নথি সংরক্ষণ করা সম্ভব ছিল না। পরবর্তী সময়ে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর ঘোষণার মূল্যবান দলিলটি সেখানে লিপিবদ্ধ হয়েছে এভাবে ইহাই হয়ত আমাদের শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছেন, যার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও। শেখ মুজিবুর রহমান। ২৬ মার্চ, ১৯৭১।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ ডকুমেন্টস-এ ওই ঘোষণার পূর্ণ বিবরণ প্রকাশিত হয়েছিল। ঘোষণায় বলা হয়, এই-ই হয়ত আপনাদের জন্য আমার শেষ বাণী হতে পারে। আজকে থেকে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। আমি আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি, যে যেখানেই থাকুন, যে অবস্থাতেই থাকুন এবং হাতে যার যা আছে তাই নিয়ে দখলদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। ততদিন পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান-যতদিন না দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর শেষ সৈনিকটি বাংলাদেশের মাটি থেকে বহিষ্কৃত হচ্ছে এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হচ্ছে।

তৎকালীন ইপিআর-এর ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে ঘোষণাটি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে চট্টগ্রামের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬ ও ২৭ মার্চ বেশ কয়েকজন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন।

দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে একটি ভূখণ্ডের, যার নাম বাংলাদেশ। সময় যত পেরিয়েছে, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও এগিয়ে গেছে। মাথাপিছু আয়, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে দৃশ্যমান পরিবর্তন, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ও দেশজ উৎপাদন বৃদ্ধি, বৈদেশিক বাণিজ্য বৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও ব্যবহার এবং সম্পদ উৎপাদন ও আহরণ দৃশ্যমানভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

১৯৭১ সালে সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশের মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার বার্ষিক বাজেট আজ পরিণত হয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেটে। সেদিনের ১২৯ ডলার মাথাপিছু আয়ের দেশটিতে বর্তমান মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৯শ ৬১ মার্কিন ডলার।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এসে দারিদ্র্য আর দুর্যোগের বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণের পথে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ আর্থ-সামাজিক প্রতিটি সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশ। এ প্রাপ্তি নিয়েই এবারও জাতি মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করবে।


আরও খবর



ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিকে অভিযানে ডিসিদের সহায়তা চাইলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সারাদেশে অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যে অভিযান চলমান রয়েছে তাতে জেলা প্রশাসকদের সহায়তা চেয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। রোববার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের এক অধিবেশনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

এ সময় নবনিযুক্ত স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, সচিব জাহাঙ্গীর আলম ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. খুরশীদ আবুল বাসার উপস্থিত ছিলেন।

সামন্ত লাল সেন বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযানে যাতে কোনো অনিয়ম-প্রতারণা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে বলেছি।

চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু নিয়ে কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে এ বিষয়ে কিছু বলিনি। তবে এ নিয়ে বলব তাদের।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) শাপলা হলে জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৪ উদ্বোধন করেন। এবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনে ২৫টি কার্য অধিবেশনসহ মোট ৩০টি অধিবেশন হওয়ার কথা রয়েছে।

এবারের সম্মেলনে আলোচনার জন্য ৩৫৬টি প্রস্তাব দিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিরা। এর মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের বিষয়ে সবচেয়ে বেশি ২২টি প্রস্তাব এসেছে। এসব বিষয়ে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন সরকারের নীতিনির্ধারকেরা।


আরও খবর



রেলের টিকিট কালোবাজারি: সহজ ডটকমের দুই কর্মীসহ গ্রেফতার ৯

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রের অন্যতম হোতা সহজ ডটকমের পিয়ন মো. মিজান ঢালী ও সার্ভার অপারেটর নিউটন বিশ্বাসসহ নয়জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। রাজধানীর কমলাপুর ও সবুজবাগ এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেছে র‍্যাব ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)।

এসময় তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে কালোবাজারির আলামত এবং অবৈধভাবে সংগ্রহ ও মজুত করা বিপুল সংখ্যক ট্রেনের টিকিট।

র‍্যাব জানায়, ২০০৩ সালে কমলাপুর রেলস্টেশন শাখায় পিয়ন হিসেবে যোগ দেন মিজান। পরে CNS.bd এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলে, অভিজ্ঞ কর্মী হিসেবে তাকে চাকরিতে বহাল রাখা হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালে রেলওয়ে টিকিটের চুক্তি সহজকে দেওয়া হলে সেখানেও গ্রেফতার মিজানের চাকরি বহাল থাকে। মিজান দীর্ঘদিন ধরে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত।

অন্যদিকে নিউটন ২০১২ সালে স্টেশন সাপোর্ট কর্মী হিসেবে সিএনএস বিডিতে যোগদান করে ২০১৬ সালে সার্ভার অপারেটরের দায়িত্ব পান। ২০২০ সালে সহজের সঙ্গে চুক্তি হলে তার চাকরি বহাল থাকে এবং পুনরায় সার্ভার অপারেটরের দায়িত্ব পান।

র‍্যাব আরও জানায়, সার্ভার অপারেটর হওয়ায় বিভিন্ন ট্রেনের সিডিউল ও টিকিট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতেন বিধায় এ বিষয়ে সিন্ডিকেটের মূলহোতা মিজানকে তথ্য প্রদান করতেন। মিজান ও নিউটন দীর্ঘদিন ধরে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর কমলাপুর ও সবুজবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩।

গ্রেফতাররা হলেন মো. মিজান ঢালী (৪৮), মো. সোহেল ঢালী (৩০), মো. সুমন (৩৯), মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৯), মো. শাহজালাল হোসেন (৪২), মো. রাসেল (২৪), মো. জয়নাল আবেদীন (৪৬), মো. সবুর হাওলাদার (৪০) ও নিউটন বিশ্বাস (৪০)।

এসময় জব্দ করা হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ট্রেনের বিপুল পরিমাণ টিকিট, ৮টি মোবাইল ফোন, একটি এনআইডি, একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স, কালোবাজারির বিভিন্ন আলামত এবং টিকিট বিক্রয়ের নগদ ১১ হাজার ৪২২ টাকা।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য দেন।

শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরে কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

সহজ ডটকমের পিয়ন কে এই মিজান ঢালী

তিনি বলেন, দেশব্যপী ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি ঢালী সিন্ডিকেটের মূলহোতা গ্রেফতার মিজানের নেতৃত্বে এই চক্রটি সংঘবদ্ধভাবে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রায় সকল ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করে আসছিল। মিজান দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট বুকিংয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।

২০০৩ সালে সে চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান ডেফোডিলের কমলাপুর রেলস্টেশন শাখায় পিয়ন হিসেবে যোগ দেয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট বুকিং এ CNS.bd এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলে, অভিজ্ঞ কর্মী হিসেবে তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল রাখা হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালে রেলওয়ে টিকিটের চুক্তি Sohoz.com-কে দেয়া হলে সেখানেও গ্রেফতার মিজানের চাকরি বহাল থাকে।

কমান্ডার মঈন আরও বলেন, দীর্ঘদিন টিকিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যুক্ত থাকায় সারাদেশব্যাপী বিভিন্ন স্টেশনের সহজ ডটকমের অফিসে এবং বড় বড় রেলওয়ে স্টেশনের কর্মচারীদের সঙ্গে মিজানের পরিচিতি বৃদ্ধি পায়।

এই পরিচয়ের সূত্র ধরেই সে বিভিন্ন স্টেশনে থাকা সহজ ডটকমের সদস্য, টিকিট কাউন্টার ও অন্যান্য কালোবাজির চক্রের সদস্যদের সমন্বয়ে বিভিন্ন কারসাজির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টিকিট বিক্রি করতো।

তিনি বলেন, সহজ ডটকমের কমলাপুর রেলস্টেশন সার্ভার রুমের সার্ভার অপারেটর গ্রেফতার নিউটন বিশ্বাস, স্টেশন রিপ্রেজেন্টেটিপ গ্রেফতার সবুর হাওলাদারসহ এবং পলাতক আব্দুল মোত্তালিব, আশিকুর রহমানসহ আরও কয়েকজন টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, বিশেষ করে ঈদ, পূজা, সাপ্তাহিক ছুটিসহ বিশেষ ছুটির দিনকে উপলক্ষ করে গ্রেফতার মিজান ও সোহেল বিভিন্ন কারসাজির মাধ্যমে সাধারণ সময়ের তুলনায় অধিক সংখ্যক টিকিট সংগ্রহ করতো। গ্রেফতার মিজান ও সোহেল প্রতি বছর ঈদ মৌসুমে দেশব্যাপী বিভিন্ন স্টেশনের সহজ ডটকমের কর্মচারী ও টিকিট কাউন্টারম্যানদের মাধ্যমে প্রায় ২-৩ হাজার রেলওয়ের টিকিট কালোবাজির মাধ্যমে বিক্রি করতো। তারা আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগের চাইতেও বেশি সংখ্যক টিকিট সংগ্রহের জন্য পরিকল্পনা করছিল।

র‍্যাবের মুখপাত্র বলেন, টিকিট বিক্রির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দুইভাগে বিভক্ত হয়ে ৫০ ভাগ Sohoz.com ও রেলওয়ে স্টেশনের টিকিট কাউন্টারম্যানরা পেতো এবং বাকি ৫০ ভাগ সিন্ডিকেটের মূলহোতা গ্রেফতার মিজান, সোহেলসহ বাকি বিক্রয়কারী সহযোগীদের মাঝে ভাগাভাগি হতো।

এই অর্থ কখনো তারা নগদ হাতে-হাতে বুঝিয়ে দিতো আবার কখনো মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন করতো। সিন্ডিকেটের প্রত্যেক সদস্য অবৈধভাবে ট্রেনের টিকিট বিক্রি করে প্রতি মাসে ২০/২৫ হাজার টাকা উপার্জন করতো। এভাবেই পরষ্পরের যোগসাজশে চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে দেশব্যাপী ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করে আসছিল।

গ্রেফতার সোহেলকে গ্রেফতার মিজান তার আত্মীয় হিসেবে সুপারিশ করে প্রথমে CNS.bd তে চাকরি পাইয়ে দেয় এবং পরবর্তীতে Sohoz.com এ চুক্তিবদ্ধ হলে কমলাপুর শাখায় অফিস সহকারী হিসেবে তারও চাকরি বহাল থাকে।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, পরবর্তীতে গ্রেফতার সোহেল ঢালী সিন্ডিকেটের অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ শুরু করে। গ্রেফতার সোহেল অফিস সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় প্ল্যাটফর্মের টিকিট বুকিং কাউন্টারে বিভিন্ন দাপ্তরিক প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত আনাগোনা থাকতো। একপর্যায়ে সোহেল কাউন্টারে টিকিট বুকিংয়ের দায়িত্বে থাকা কাউন্টারম্যানদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে এবং কাউন্টারম্যানদের যোগসাজশে বিভিন্ন কারসাজি করে বিপুল পরিমাণ টিকিট সংগ্রহ করে কালোবাজির মাধ্যমে অধিক মূল্যে বিক্রি করতো।

দেশের বিভিন্ন স্থানে ঢালী সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যসহ গ্রেফতার সুমন, শাহজালাল, জাহাঙ্গীর, জয়নাল, ও রাসেল সিন্ডিকেটের মূলহোতা মিজানকে ট্রেনের টিকিটের চাহিদা দিতো। পরবর্তীতে তাদের চাহিদা অনুযায়ী গ্রেফতার মিজান ঢালী অবৈধভাবে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করে কালোবাজির মাধ্যমে বিক্রির জন্য তাদের কাছে সরবরাহ করতো।

তিনি বলেন, গ্রেফতার সুমন রেলওয়ের সঙ্গে এক সময়ের চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান CNS.bd তে চাকরি করতো। পরবর্তীতে Sohoz.com এর সঙ্গে চুক্তি হওয়ার পর সে চাকরি বাদ দিয়ে গ্রেফতার মিজান ও সোহেলের মাধ্যমে ঢালী সিন্ডিকেটে যুক্ত হয়ে অবৈধভাবে সংগ্রহকৃত ট্রেনের টিকিটগুলো বিভিন্ন মাধ্যমে বিক্রি শুরু করে।

কমান্ডার মঈন আরও বলেন, গ্রেফতার শাহজালাল একজন পাঠাও চালক, গ্রেফতার জাহাঙ্গীর কমলাপুরে অবস্থিত একটি আবাসিক হোটেলের ক্লিনার, গ্রেফতার রাসেল একই আবাসিক হোটেলের বয় এবং গ্রেফতার জয়নাল অপর একটি আবাসিক হোটেলের বয়। তারা তাদের এসকল কর্মস্থলে কাজের পাশাপাশি সবসময় অবৈধ উপায়ে টিকিটপ্রত্যাশী যাত্রী জোগাড় করে কালোবাজারির মাধ্যমে সংগ্রহকৃত টিকিটগুলো নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ মূল্যে বিক্রি করতো।

হোয়াটস্অ্যাপের মাধ্যমে তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ট্রেনের টিকিটপ্রত্যাশীদের কাছে অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে টিকিটগুলো প্রেরণ করতো।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেফতার নিউটন ২০১২ সালে স্টেশন সাপোর্ট হিসেবে CNS.bd-তে যোগদান করে ২০১৬ সালে সার্ভার অপারেটরের দায়িত্ব পায়।

তিনি বলেন, পরবর্তীতে ২০২০ সালে Sohoz.com এ চুক্তিবদ্ধ হলেও তার চাকরি বহাল থাকে এবং পুনরায় সার্ভার অপারেটরের দায়িত্ব পায়। সে সার্ভার অপারেটর হওয়ায় বিভিন্ন ট্রেনের সিডিউল ও টিকিট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতো বিধায় এ বিষয়ে সিন্ডিকেটের মূলহোতা মিজানকে তথ্য প্রদান করতো। গ্রেফতার সবুর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের Sohoz.com এর স্টেশন রিপ্রেজেন্টেটিপ হিসেবে চাকরি করতো। গ্রেফতার সবুর সিন্ডিকেটের মূলহোতা গ্রেফতার মিজানের সঙ্গে ট্রেনের টিকিট কালোবাজির সঙ্গে জড়িত।

এক প্রশ্নের জবাবে র‍্যাবের কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সহজ ডটকম টিকিট কালোবাজারির দায় এড়াতে পারে না। তাদের বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ ছিল।

আসন্ন ঈদুল ফিতরে টিকিট কালোবাজারি ঠেকাতে কি কি পদক্ষেপ নেবে র‍্যাব? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আর কিছুদিন পরেই টিকিট অনলাইনে ছাড়বে। টিকিট কালোবাজারি ঠেকাতে এনএসআই ও র‍্যাবের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে।


আরও খবর



হিসাব চূড়ান্ত : ২০২৪-এর নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বী বাইডেন-ট্রাম্প

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেনের দ্বৈরথ দেখার সুযোগ হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ববাসীর। ২০২৪ সালেরও নির্বাচনেও তার পুনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে।

অর্থাৎ, চলতি বছর নভেম্বরে যে নির্বাচন হবে সেখানেও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প এবং ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী বাইডেন। গত কয়েক মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে প্রার্থী বাছাই ভোটের আয়োজন করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ দুই রাজনৈতিক দল। প্রতিটি ভোটেই অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন বাইডেন-ট্রাম্প উভয়ই। ফলে নভেম্বরের নির্বাচনে চুড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা যে ট্রাম্প এবং বাইডেনের মধ্যে ঘটছে তা একপ্রকার নিশ্চিত।

মঙ্গলবার রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক উভয় দলের নীতি নির্ধারকরা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চুড়ান্ত প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শেষ করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। উভয় দলই এ সম্পর্কিত আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে আসছে গ্রীষ্মে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বাইডেন-ট্রাম্পের আসন্ন এই দ্বৈরথকে বলছে ইলেকশন রিম্যাচ এবং গত নির্বাচনে দুই প্রার্থীকে ঘিরে যেমন টানটান উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল, এবারও তার পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলেছে বলে মনে করছেন অধিকাংশ মার্কিন রাজনীতি বিশ্লেষক। তাছাড়া বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে দলীয় প্রার্থী বাছাই ভোটে বাইডেন এবং ট্রাম্প যে ব্যবধানে প্রতিদ্বন্দ্বিদের পরাজিত করেছেন, তাতেও এমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটনে এক ভাষণে ৮১ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ডেমোক্রেটিক সমর্থকরা যে তাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চুড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছেন, তাতে তিনি সম্মানিত এবং বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র এমন এক সময়ে এসে পৌঁছেছে, যখন দেশের গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে ট্রাম্প হুমকি

তিনি আরও বলেন, বিগত সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি, অর্থনীতি ও মূল্যবোধ যে যে ব্যাপক বিপর্যয়ের আশঙ্কার মুখে পড়েছিল, সেই অবস্থা থেকে আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি এবং সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। কিন্তু এই অগ্রযাত্রা এখন মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছে এবং আমি বিশ্বাস করি যে মার্কিন জনগণ এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না যা এই যাত্রাকে থামিয়ে দিতে পারে।

একই দিন রিপাবলিকান পার্টির এক জনসভায় ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্প বর্তমান প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করে বলেন, বর্তমান প্রেসিডেন্টের আমলে যুক্তরাষ্ট্র সংকটের ঘূর্ণাবর্তে পড়েছে এবং এই অবস্থা থেকে দেশ-জাতিকে উদ্ধারের জন্য প্রয়োজন কঠোরতর অভিবাসন আইন, সীমান্ত সিলগালা করে দেওয়া এবং রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো।

পাশপাশি ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে দেশ থেকে অপরাধ নির্মূল করা, অভ্যন্তরীণ জ্বালানির উৎপাদন বাড়ানো, বিদেশি আমদানির ওপর কর বৃদ্ধি এবং রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধেও ভূমিকা রাখবে তার প্রশাসন। তবে তিনি এবং তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসন সর্বক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র প্রথম নীতি মেনে চলবেন।

এদিকে, বাইডেন না ট্রাম্পকাকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চান মার্কিনীরা’— প্রশ্নটিকে সামনে রেখে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি জরিপ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে। সেসব জরিপে অংশ নেওয়াদের উল্লেখযোগ্য অংশ জানিয়েছেন, এই দুজনের কাউকে নিয়েই তাদের তেমন আগ্রহ নেই, বরং নতুন মুখ দেখতে চান তারা। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হবে আগামী ৫ নভেম্বর থেকে।


আরও খবর