আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

নদীর তীরের মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি, ৩ জনের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:শনিবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

তালতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি:

বরগুনার তালতলীতে আন্ধারমানিক নদীর তীর থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির দায়ে একজনকে ২ মাস ও দুইজনকে ১৫ দিন করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার (১৭ ফেব্রয়ারি) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া এলাকায় আন্ধারমানিক নদীর তীরে এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা।

জানা যায়, তালতলী উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া এলাকার আন্ধারমানিক নদীর তীর পার্শবর্তী পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার যমুনা ব্রিকসের কাছে প্রতি কাঠা ৩ হাজার টাকা করে বিক্রি করেন স্থানীয় সুজন ও নিপেন রায় নামের দুই ব্যক্তি। পরে যমুনা ব্রিকসের লোকজন ভেকু মেশিন দিয়ে আন্ধারমানিক নদীর তীর কেটে মাটি নিয়ে যায়। নদীর তীর কাটার ফলে গ্রাম রক্ষা বাঁধটি হুমকির মুখে পড়ার শঙ্কায় ঐ এলাকার পরিমল রায় নামের এক ব্যক্তি চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও মাটি কাটা ফেরানো যায়নি। পরে শনিবার সকালে স্থানীয়রা মাটি কাটা বাধা দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে খবর দেয়। খবব পেয়ে ঐ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাটি কাটা অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে তিন জনকে আটক করে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ এর ৪(গ) ধারার বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

যমুনা ব্রিকস এর ম্যানেজার আবুল বাশার বলেন, আমরা নদীর তীরের মাটি ক্রয় করেছি। সেই মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে কেটে নিয়ে আসতেছি। নদীর তীরের মাটি ক্রয় কিভাবে করা হলো জানতে চাইলে ফোনের লাইন কেটে দেয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, আন্ধারমানিক নদীর তীর কেটে মাটি বিক্রী করার অপরাধে তিন জনকে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মাটি কাটার ভেকু মেশিন ও টার্মিনাল জব্দ করা হয়েছে।


আরও খবর



পাহাড়ে সক্রিয় ভয়ংকর বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রাণ প্রকৃতির নিসর্গ পার্বত্য জেলা বান্দরবানের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) শান্তির পাহাড়ে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। পরপর দুই দিনে তিনটি সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখায় ঢুকে টাকা লুটে নেওয়ার ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পাহাড়ে শান্তি আলোচনার অংশ হিসেবে অনেকগুলো ভার্চুয়াল বৈঠকের পর গত বছরের ৫ নভেম্বর শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি ও কেএনএফের প্রথম সরাসরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গত ৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় সরাসরি বৈঠক। এর মধ্যে পাহাড়ে বড় ধরনের কোনো সশস্ত্র তৎপরতা দেখা যায়নি। হঠাৎ করে পরপর তিনটি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় কেএনএফ সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন সামনে চলে এসেছে। এর আগে সর্বশেষ গত বছরের শুরুতে দুর্গম পাহাড়ে অস্ত্রের গর্জন শোনা যায়। গত বছরের ৭ এপ্রিল বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের অতর্কিত গুলিবর্ষণের ঘটনায় আটজন নিহত হন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কেএনএফের সশস্ত্র শাখা কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) সদস্যরা সম্প্রতি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। স্থানীয়দের ওপর নির্বিচারে হামলা, লুটপাট ছাড়াও সরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্তদের খুন, জখম ও অপহরণের ঘটনাও ঘটায় কুকি সন্ত্রাসীরা। স্থানীয় নিরীহ পাহাড়ি বাসিন্দাদেরও হুমকি-ধামকি ও নির্যাতন করে তারা। কেএনএফের এ তাণ্ডবের কারণে জীবন বাঁচাতে নিজ পাড়া বা বসতভিটা ছেড়ে উপজেলা সদরে আশ্রয় নিয়েছেন বহু পাহাড়ি বাসিন্দা। স্থানীয় পর্যায়ে আতঙ্ক ছড়াতে পাহাড়ের শান্তি-শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি রক্ষায় নিয়োজিত সেনাবাহিনীর টহল দলের ওপরও তারা অতর্কিত সশস্ত্র হামলা চালায়। কিন্তু গত মঙ্গল ও বুধবার তিনটি সরকারি ব্যাংকের শাখায় ঢুকে নগদ টাকা লুটে নেওয়ার ঘটনায় নতুন বার্তা পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। টাকার অভাবে কেএনএফ লুটপাটে জড়িয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, ব্যাংক লুটের আগে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে থানচি বাজারে গুলি ছুড়তে ছুড়তে দোকানগুলো থেকে মোবাইল সেট ও নগদ টাকা কেড়ে নেয় অস্ত্রধারীরা। পরে সোনালী ব্যাংক এবং কৃষি ব্যাংকে ঢুকে ক্যাশ কাউন্টার থেকে টাকা লুটতরাজ করে চলে যায়। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, পাহাড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ক্রমাগত অভিযানের পর কথিত বিচ্ছিন্নতাবাদী কেএনএফের কুকিল্যান্ডের সেই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। কেএনএফের সশস্ত্র শাখা কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) পার্বত্য এলাকায় যেসব আস্তানা গেড়েছিল সেগুলোর অধিকাংশই এখন সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। ফলে সশস্ত্র তৎপরতার শক্তি ও সুযোগ হারিয়ে কুকি সন্ত্রাসীরা এখন বিচ্ছিন্নভাবে চাঁদাবাজি ও মুক্তিপণের জন্য অপহরণের ঘটনা ঘটাচ্ছে। বাজারে হামলা ও ব্যাংক লুটের ঘটনা তারই অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগেও বেশকিছু অপহরণ ও চাঁদাবাজির ঘটনার সঙ্গে কেএনএফ বা কেএনএর সম্পৃক্ততা পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কেএনএফ বা কেএনএ ছাড়াও পার্বত্য তিন জেলায় চাঁদাবাজির আধিপত্য নিয়ে জেএসএস, ইউপিডিএফসহ অন্য আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠনগুলোও বেপরোয়া সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে একটি তৎপরতা গত এক বছর ধরে সক্রিয় ছিল। তারই অংশ হিসেবে গত ৫ নভেম্বর প্রথম সরাসরি বৈঠক করে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি ও সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। বৈঠকে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির পক্ষে নেতৃত্ব দেন কমিটির আহ্বায়ক ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা। গত ৬ মার্চ দ্বিতীয় সরাসরি বৈঠক হয় তাদের সঙ্গে। দ্বিতীয় দফা সরাসরি আলোচনায় ৭টি বিষয় নিয়ে সমঝোতা হয়েছিল। এর মধ্যে কেএনএফের মামলা প্রত্যাহার, জেলে আটক বন্দিদের মুক্তি দেওয়া, মিজোরামে পালিয়ে যাওয়া নাগরিকদের ফিরিয়ে এনে পুনর্বাসন করা, চাঁদাবাজি বন্ধ, কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে নিয়ে এসে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে সমঝোতা হয়েছিল। কিন্তু ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলার পর গতকাল কেএনএফের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত করেছে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি। ১৯ সদস্যের শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মনু গতকাল বিকালে বলেন, আমরা অনেকগুলো বৈঠক করে শান্তি প্রতিষ্ঠার সংলাপ ভালোই এগিয়ে নিচ্ছিলাম। এই সময়ে কোনো বড় ঘটনাও ঘটেনি। তিনি বলেন, হঠাৎ তাদের এই কর্মকাণ্ডে মনে হচ্ছে, কমান্ড পর্যায়ে কোনো পরিবর্তন এসেছে। এ ছাড়া অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে সশস্ত্র এই সংগঠনটি। নগদ টাকার প্রয়োজন থেকেই তারা বাজার ও ব্যাংক ডাকাতির মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নেমেছে। এ ছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতায় তাদের সাংগঠনিক শক্তি অনেকটা পর্যুদস্ত অবস্থায় রয়েছে। তারা হয়তো মনে করছে, পৃথক কুকিল্যান্ডের স্বপ্নপূরণ সম্ভব নয়। সেজন্যই তারা শক্তির জানান দিতে চাইছে। এদিকে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় অপহৃত সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিন রাসেলকে অপহরণের দুই দিন পর গতকাল সন্ধ্যায় উদ্ধার করা হয়েছে। সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ধরতে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে পার্বত্য গণপরিষদের উদ্যোগে বান্দরবান প্রেস ক্লাব চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান কাজী মুজিবুর রহমান অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং বিভিন্ন স্পর্শকাতর পয়েন্টে সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সভাপতি কাজী মুজিবুর রহমান বলেন, পার্বত্য এলাকায় তারা (কেএনএ) এখনো তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের তাণ্ডবের কারণে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় যাতায়াত ও পর্যটকদের চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সবখানেই একটা আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে এ পরিস্থিতির মধ্যেও নিরাপত্তা বাহিনীর মোটামুটি শক্ত অবস্থান রয়েছে।

তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের ভৌগোলিক পরিবেশ ও বর্তমান পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর কোনো বিকল্প নেই। পার্বত্য অঞ্চলের স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে আরও অনেক সেনা ক্যাম্প চালু করা এখন সময়ের দাবি। যেসব স্থান থেকে একসময় সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়েছিল সেগুলোও দ্রুত চালু করা প্রয়োজন। শুধু পুলিশ দিয়ে পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।


আরও খবর
১৯ ইউনিয়ন পরিষদে চলছে ভোটগ্রহণ

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪




উপজেলা নির্বাচন সংসদ নির্বাচনের চেয়েও ভালো হবে: ইসি আলমগীর

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

সংসদ নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা নির্বাচন আরও ভালো হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেছেন, সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীর স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার নির্দেশনা রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো মতামত নেই। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার যে কোন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।

শনিবার দুপুরে (২০এপ্রিল) মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দুটি উপজেলার প্রার্থীদের সঙ্গে দুটি পৃথক মতবিনিময় সভা করেন ইসি আলমগীর। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর এসব কথা বলেন।

ইসি মো. আলমগীর বলেন, একটা হচ্ছে দলীয় সিদ্ধান্ত। আরেকটা হলো নির্বাচন কমিশনের আইন। নির্বাচন কমিশনের আইনে আত্মীয় অনাত্মীয় কোনো সম্পর্ক নেই। তাই এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের প্রার্থী না হওয়ার নির্দেশনা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত, তাদের পলিসি। তবে যে কোনো দল অথবা যে কেউ বলুক না কেন যেটা করলে নির্বাচন সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ হবে, সেটাকে আমরা ওয়েলকাম জানাই।

তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। যেখানেই প্রভাব বিস্তার অথবা প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে, সেখানেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

বিএনপির ভোট বর্জনের ডাকের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, জাতীয় নির্বাচনেও ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। তারপরও সবার সহযোগিতায় একটি ভালো নির্বাচন হয়েছে। সংসদ নির্বাচনের চেয়েও উপজেলা নির্বাচন আরও ভালো হবে।

অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আমিনুর রহমান মিঞা সহ সিংগাইর ও হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: মো. আলমগীর

আরও খবর



চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা, চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত রয়েছে তীব্র তাপদাহ। এতে ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছে এখানকার মানুষের জনজীবন। গরমে অস্বস্তি বেড়েছে কয়েক গুণ।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছাঁয়ায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। কেউ আবার পান করছেন ফুটপাতের অস্বাস্থ্যকর পানীয়। তীব্র গরমে হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ব্যহত হচ্ছে সেচ কার্যক্রম। নষ্ট হচ্ছে ধান, আম, লিচু ও কলাসহ মাঠের অন্যান্য ফসল।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, গতকাল থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ অব্যাহত রয়েছে। আগামী তিন দিন এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে। এ সময় তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।


আরও খবর



দিনাজপুরে অনুষ্ঠিত হলো দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি

Image

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৯টায়  লাখ লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে ঈদের এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

ঐতিহাসিক এ ঈদের জামাতে অংশ নিতে সদর উপজেলা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও আশপাশের কয়েকটি জেলার মুসল্লিরা আসেন। জামাতে ইমামতি করেন দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের ইমাম শামসুল হক কাসেমি।

বৃহৎ এ জামাতকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিল কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। সিসিটিভি ক্যামেরার পাশাপাশি ছিল কঠোর গোয়েন্দা নজরদারি। মাঠের আশপাশে র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরাও তৎপর ছিলেন।

নামাজে অংশ নেন স্থানীয় সংসদ সদস্য হুইপ ইকবালুর রহিম ও প্রধান বিচারপতি (ভারপ্রাপ্ত) এনায়েতুর রহিম, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) তৌয়বুল আলম দুলাল, দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সর্বস্তরের জনগণ।

রংপুর জেলা থেকে ঈদের জামাতে আসা অলিউল ইসলাম ইসলাম বলেন, এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় ও দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতে নামাজ আদায় করার অন্য অনেক দিনে ইচ্ছে ছিল। আল্লাহ আজ সে আশা পুরণ করেছে। জীবনে প্রথম লাখ লাখ মুসল্লির সঙ্গে ঈদের নামাজ পড়তে পেরে ভালো লাগছে।

জেলার খানসামা  উপজেলা থেকে নামাজ পড়তে আসা ফারুক আহম্মেদ বলেন, আমি এর আগেও ঐতিহ্যবাহী এই ময়দানে নামাজ পড়েছি। সবাই মিলে একসঙ্গে লাখ লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করলাম। সবাই মিলে নামাজ পড়ে বেশ ভালো লাগলো।

নামাজ শেষে ঈদগাহ মাঠের সমন্বয়ক, পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, আয়তনের দিক দিয়ে এটি উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মাঠ। এর আয়তন প্রায় ২২ একর। এবার দিনাজপুর জেলাসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলার প্রায় ছয় লাখ মুসল্লি এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।

তিনি আরও বলেন, মাননীয়  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থায়নে এ মাঠের সুন্দর মিনারটি নির্মিত হয়েছে। ভবিষ্যতে এটিকে আরও সুন্দর করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান ঈদগাহ মাঠের এ সমন্বয়ক।

ঈদের নামাজের আগে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) তৌয়বুল  আলম দুলাল, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমে, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম।

জানা যায়, বিভিন্ন স্থান থেকে বড় বড় ঈদগাহ মাঠের চিত্র নিয়ে এসে এ মাঠের নির্মাণ পরিকল্পনা করা হয়। সর্বপ্রথম মাঠের পশ্চিম প্রান্তে গত ২০১৫ সালে এ ঈদগাহ মাঠের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় দেড় বছর পর এটি নামাজের জন্য পুরো প্রস্তুত করা হয়। এ ঈদগাহে রয়েছে ৫২টি গম্বুজের দুই ধারে ৬০ ফুট করে দুটি মিনার, এর মধ্যের দুটি মিনার ৫০ ফুট করে এবং প্রধান মিনারের উচ্চতা ৫৫ ফুট। এসব মিনার আর গম্বুজের প্রস্থ হলো ৫১৬ ফুট। দেশের বড় ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দানের পশ্চিম দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এ ঈদগাহ মিনারটি। প্রত্যেকটি গম্বুজে দেওয়া হয়েছে বৈদ্যুতিক বাতি সংযোগ। ৫২টি গম্বুজ ২০ ফুট উচ্চতায় স্থাপন করা হয়েছে। গেট দুটির উচ্চতা ৩০ ফুট নির্মাণে নান্দনিক স্থাপনা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

উল্লেখ্য, আগে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হতো কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়। এখন দিনাজপুরের ৫২ গম্বুজের ঈদগাহ মাঠে সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর



মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সরকারপ্রধান।

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। সরকারপ্রধানের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আওয়ামী লীগের অঙ্গ, সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

এর আগে মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ দিনটির আনুষ্ঠানিকতা।

সকাল ৯টার দিকে মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্রে করা হবে পুষ্পস্তবক অর্পণ। বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। পরে কুচকাওয়াজ, গার্ড অব অনারসহ গীতিনাট্য পরিবেশন করা হবে। শেখ হাসিনা মঞ্চে হবে বিশাল জনসভা। প্রধান অথিতির বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ।

প্রসঙ্গত, ১৯৭১ এর এই দিনে শপথ নেয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার। মুক্তিসংগ্রামের পক্ষে বহির্বিশ্বের সমর্থন আদায়ে কাজ করেছে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের এই সরকার। মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বেই নয় মাস যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করে বীর বাঙালি।


আরও খবর
১৯ ইউনিয়ন পরিষদে চলছে ভোটগ্রহণ

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪