আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে জোর দিচ্ছে সরকার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে বিশ্ববাজারে জ্বালানির বাজার স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে আছে। সাধারণ হিসাব-নিকাশের বাইরে চলে গেছে জ্বালানির উচ্চমূল্য। এর ফলে কম অর্থনৈতিক অগ্রগতির দেশগুলো চরম বিপাকে পড়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ এখন চরম জ্বালানি সংকটে সময় পার করছে। গ্যাস সংকটে শিল্পকারখানাগুলো ধুঁকছে। এমন প্রেক্ষাপটে দেশে আমদানিনির্ভর জ্বালানির ব্যবহার কমানো ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির পরিমাণ বাড়ানোর দিকে মনোযোগী হয়েছে সরকার। গত ১০ বছর ধরে সরকার জীবাশ্ম জ্বালানির পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর চেষ্টা করলেও নানা সীমাবদ্ধতায় কাক্সিক্ষত সাফল্য আসেনি। এবার বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এ প্রচেষ্টা জোরদার করতে চায় সরকার।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সরকারের জ্বালানি পরিকল্পনার মধ্যে ছিল মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ১০ শতাংশ হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানির। গত ১০ বছরে এ লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, দেশে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ আসে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস থেকে। ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদন হয় মাত্র ৯৪১ দশমিক ৪২ মেগাওয়াট। সেটাও নিয়মিত নয়।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমাদের একটি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা আছে। সেটা হলো বিদ্যুতের ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদন করা হবে। বিশেষ করে এখন বিশ্ব বাজারে আমদানিনির্ভর জ্বালানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে নবায়নযোগ্য জ্বালানির গুরুত্ব আরও বেড়েছে। আমরা আমাদের লক্ষ্য পূরণে কাজ করে যাচ্ছি।

নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয় অনেক আগে। ১৯৫৭ সালে চট্টগ্রামের কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী নদীর ওপর দেশের প্রথম পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের মধ্য দিয়ে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎকেন্দ্রর যাত্রা শুরু হয়। পরে ১৯৮৮ সালের অক্টোবর মাসে এই কেন্দ্রে ৫০ মেগাওয়াটের কাপলান টাইপের টার্বাইন সংবলিত চতুর্থ ও পঞ্চম ইউনিট স্থাপন করা হয়, যাতে মোট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৩০ মেগাওয়াট। আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে সিলেটে প্রথম সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনে বেসরকারি উদ্যোগ সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

পরবর্তী সময়ে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল) কর্তৃক সোলার হোম সিস্টেম (এসএইচএস) কর্মসূচি ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হয়। ১৯৯৬ সালে এসএইচএস চালু হওয়ার পর থেকে এটি বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নবায়নযোগ্য জ্বালানি কর্মসূচি। ইডকলের মাধ্যমে এ পর্যন্ত প্রায় ৬ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। তবে কাপ্তাইয়ের ২৩০ মেগাওয়াটের জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ছাড়া উল্লেখযোগ্যভাবে বড় ধরনের নবায়নযোগ্য জ্বালানির তেমন প্রকল্প তৈরি করা যায়নি। দীর্ঘ সময়েও কাঙ্খিত লক্ষ্য বাস্তবায়ন হয়নি।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, দেশের বিভন্ন স্থানে এ পর্যন্ত ৯টি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় ২৬১ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ। এ প্রকল্পগুলোর মধ্যে তিনটি সরকারি পর্যায়ে এবং ছয়টি বেসরকারি পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এ ছাড়া সৌরবিদ্যুতের মধ্যে আরও আছে সোলার হোম এবং ছাদে স্থাপিত রুফটপ সৌরবিদ্যুৎ প্রযুক্তির বিদ্যুৎ উৎপাদন। যার মোট উৎপাদন ক্ষমতা ৩৬৫ মেগাওয়াট। এর মধ্যে নেট মিটারিং সিস্টেমে স্থাপিত ক্ষমতা ৪৫ দশমিক ৮০১ মেগাওয়াট।

সূত্র মতে, বায়ুবিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ২ দশমিক ৯ মেগাওয়াট। এ পর্যন্ত বায়ু গ্যাস থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ শূন্য দশমিক ৬৯ মেগাওয়াট, বায়োমাস থেকে উৎপাদিন বিদ্যুৎ শূন্য দশমিক ৪ মেগাওয়াট। নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়, তার মধ্যে ৩৫৯ দশমিক ১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ অফগ্রিডের মধ্যে আছে। আর ৫৮২ দশমিক ৩১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ অনগ্রিডের মধ্যে আছে। অর্থাৎ ব্যবহারের বেশি বিদ্যুৎ গ্রিডে সরবরাহ করা হয়।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আরও অন্তত ৩১টি নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এর মধ্যে বেসরকারি খাতে ৫৪২ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১২টি প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এসব প্রকল্পের অবকাঠামোগত তৈরির কার্যক্রম চলমান। এ ছাড়া ১৩টি প্রকল্পের অনুকূলে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) জারি করা হয়েছে, যার উৎপাদন ক্ষমতা হলো ৪৮৮ মেগাওয়াট। একই সঙ্গে সরকারি খাতে আরও ছটি প্রকল্প চলমান আছে, যার উৎপাদন ক্ষমতা হবে ৩৮২ মেগাওয়াট। অর্থাৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানির সরকারি ও বেসরকারি খাতের প্রক্রিয়াধীন ৩১ প্রকল্প থেকে এক হাজার ৪১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, আরও অন্তত তিন হাজার ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদনের পরিকল্পনা করেছে সরকার, যার মধ্যে বেসরকারি খাত থেকে ১ হাজার ৭০০ মেগাওয়াটের লক্ষ্য রয়েছে। বাকি দুই হাজার মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ ভবিষতে উৎপাদন করা হবে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা বা কোম্পানির মাধ্যমে।

বিদ্যুৎ বিভাগের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, গত কয়েক বছরে জীবাশ্ম জ্বালানির নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার ধরন এবং তাদের ক্রমবর্ধমান খরচ নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারকে তীব্রতর করেছে। এ ছাড়া জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরণ হ্রাস করার বিষয়ে বিশ্ব পরিবেশ সম্মেলনেরও কিছু নির্দেশনা রয়েছে। সরকার চেষ্টা করছে সবুজ জ্বালানি দিকে যেতে। তিনি বলেন, সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প বাস্তবায়নকারী এবং বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করতে বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা দিচ্ছে। সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক, ইডকল এবং বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থায়ন কার্যক্রম সম্প্রসারণ করছে। তা ছাড়া কিছু নবায়নযোগ্য জ্বালানি পণ্য যেমন সোলার প্যানেল, সোলার প্যানেল প্রস্তুতের উপাদান, চার্জ কন্ট্রোলার, ইনভার্টার, এলইডি লাইট, সৌরচালিত বাতি এবং বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপকরণের ওপর সরকার শুল্ক অব্যাহতিমূলক প্রণোদনা প্রদান করেছে।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সোলার হোম সিস্টেমকে উৎসাহিত করতে সরকারি কয়েকটি কর্মসূচি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সৌর সেচ, সৌর মিনি-মাইক্রো গ্রিড, সোলার পার্ক, সোলার রুফটপ, সোলার বোটিং ইত্যাদি। সূত্র মতে, নবায়নযোগ্য জ্বালানির অন্যতম লক্ষ্য হলো গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা এবং ডিজেলের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনা। এর মধ্যমে একদিকে কমবে কার্বন নিঃসরণ, আরেক দিকে কমবে জ্বালানি খাতে সরকারের ভর্তুকি।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়নবোর্ড সূত্র জানায়, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সম্ভাবনা হলো বৃহৎ আকারের সোলার প্যানেলভিত্তিক সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা। তবে সমস্যা হচ্ছে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে অবশ্যই অকৃষি জমি প্রয়োজন। কিন্তু পর্যাপ্ত অকৃষি জমি পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যায় না। আরেকটি সমস্যা হলো নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ স্টোরেজ করা। স্টোরেজ করাও একটি ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া।


আরও খবর



নাটকীয় ব্যাটিং ধসে ১৪৩ রানে শেষ বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকারের ব্যাটে উড়ন্ত শুরু বাংলাদেশের। বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখছিল টাইগাররা। তবে এরপরই ছন্দ পতন। উদ্বোধনী জুটিতে ১০১ রানের পর ৩৮ রানে হারায় ৮ উইকেট। মিডল অর্ডারের এমন বিপর্যয়ে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৪৩ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ।

শুক্রবার (১০ মে) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে বোলিংয়ে পাঠান জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলকে ভালো শুরু এনে দেন দুই টাইগার ওপেনার তানজিদ তামিম ও সৌম্য। জিম্বাবুয়ের বোলারদের ওপর চড়াও হন তানজিদ তামিম। অন্যদিকে কিছুটা ধুঁকতে থাকেন সৌম্য।

নিজের আগ্রাসী ব্যাটিং চালিয়ে যান তানজিদ তামিম। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৩৪ বলে ফিফটিতে তুলে নেন এই ওপেনার। অন্যদিকে নিজের খোলস ছেড়ে বের হন সৌম্য। তিনিও চড়াও হন জিম্বাবুয়ের বোলারদের ওপর।

তবে এরপর দ্রুতই জোড়া উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তানজিদ তামিম ৩৭ বলে ৫২ ও ৩৪ বলে ৪১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান সৌম্য। তাদের বিদায়ের পর তাওহিদ হৃদয় ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত হাল ধরার চেষ্টা করেন।

তবে দলীয় ১২১ রানে ৮ বলে ১২ রান করে আউট হন হৃদয়। তার বিদায়ের পর ক্রিজে এসেই সাজঘরে ফিরে যান সাকিব আল হাসান। ৩ বলে মাত্র ১ রান করে আউট হন তিনি।

সাকিবের বিদায়ের পর দ্রুতই আরও ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ে ১৯ ওভার ৪ বলে ১৪৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের পক্ষে লুক জঙ্গুয়ে নেন ৩টি উইকেট।


আরও খবর



খারকিভে রুশ হামলা: নিহত ৩, আহত ২৮

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভে বোমা হামলা চালিয়েছে রুশ সেনা বাহিনী। এতে অন্তত ৩ জন নিহত ও ২৮ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৭ মে) এই হামলা হয়েছে। একটি টেলিগ্রাম পোস্টে এই তথ্য জানিয়েছেন শহরটির মেয়র ইহর তেরেখভ।

ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ। এই অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরে রুশ হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অঞ্চলটির বেসামরিক ও জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে রাশিয়া।

শহরটিকে রাশিয়া ধ্বংসস্তূপে পরিণত করতে চাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

তবে ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া। এদিকে, ইউক্রেনে ২৭ মাস ধরে চলা যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ হতাহত হয়েছেন।


আরও খবর



প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দেশের ৫৯ জেলার ১৩৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে এ ভোট একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

এদিকে সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করেই কেন্দ্রে আসেন ভোটাররা। পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচন করতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন তারা।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলায় এ পর্বে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে দুই কোটি ৮০ লাখের বেশি মানুষ। প্রায় সব উপজেলায় মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ১৩৯টি উপজেলা পরিষদে প্রতিটি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রায় ১৬শ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ইসি জানায়, নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলার মধ্যে ২২টিতে ইভিএম এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট হচ্ছে। এ ধাপে মোট এক হাজার ৬৩৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন। প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ করে অর্থাৎ মোট ২৮ প্রার্থী এরই মধ্যে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।

এদিকে, যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানের তিন উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করেছে ইসি।

ইসি আরও জানায়, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ কেন্দ্র বিবেচনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করেছে ইসি। সে হিসেবে সাধারণ কেন্দ্রে ১৭ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১৮/১৯ সদস্য এবং দুর্গম এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২০/২১ সদস্য মোতায়েন করেছে ইসি। উপজেলার আয়তন, ভোটার সংখ্যা ও ভোটকেন্দ্রের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রতি উপজেলায় দু থেকে চার প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করছে।

উপকূলীয় এলাকার দ্বীপাঞ্চলে কোস্টগার্ড মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। ভোটারদের নিরাপত্তায় পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির ভ্রাম্যমাণ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে আনসার ব্যাটালিয়ন মোবাইল/স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোটের আগের দুদিন, ভোটের দিন এবং ভোটের পরে দুদিন মোট পাঁচ দিন নিয়োজিত থাকবে।

ভোটারের নিরাপত্তায় মাঠে রয়েছে ১৪ হাজার ৬১০ বিজিবি সদস্য, ৪১ হাজার ৫৩০ পুলিশ সদস্য ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় ও পুলিশের ১১ হাজার ৮৮৩ জনের ভ্রাম্যমাণ টিম রয়েছে। এছাড়াও স্ট্রাইকিং ফোর্স ও অন্যান্য দায়িত্বে রয়েছেন পুলিশের ২৯ হাজার ২২০ সদস্য। অন্যদিকে র‌্যাবের দুহাজার ৬৪৮ ও আনসারের এক লাখ ৫৯ হাজার ৮৭৪ সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন।

এদিকে, নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে ৪০০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছেন। আর বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন ১৩৯ জন।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ধাপে ১১ হাজার ৫৫৬ কেন্দ্রের ৮১ হাজার ৮০৪ ভোট কক্ষে তিন কোটি ১৪ লাখ ৬৮ হাজার ১০২ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ এক কোটি ৬০ লাখ ২ হাজার ২২৪, নারী এক কোটি ৫৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯০ এবং ১৮৮ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন, দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচনের সুযোগ থাকলেও দলীয় মনোনয়ন না থাকায় স্বতন্ত্র হয়ে লড়ছেন প্রার্থীরা। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে। স্থানীয় সরকারের ভোট হওয়ায় মন্ত্রী ও এমপিদের প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রভাব বিস্তারের কারণে কিছু কিছু অ্যাকশনও নিয়েছি।


আরও খবর



শরীফার গল্প ফেরাতে প্রতিবাদ করবে উদীচী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নতুন প্রণীত শিক্ষাক্রমের সপ্তম শ্রেণির বইয়ে থাকা শরিফ-শরীফার গল্প বাদ দিতে বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে সংগঠনের প্রচার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সম্পাদক কংকন নাগ এ তথ্য জানান।

এ সুপারিশের প্রতিবাদে আগামীকাল শনিবার (১৮ মে) বিকাল ৫টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করবে উদীচী।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে জানান, গল্পটিতে পরিবর্তন আনা হলে তা পক্ষান্তরে মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকেই প্রশ্রয় দেওয়ার সামিল হবে।


আরও খবর



গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উড়ে গেল বাসের ছাদ, নিহত ১

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাবনা থেকে ঢাকাগামী সি লাইনের যাত্রীবাহী এক বাস সড়কের গাছের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খেয়ে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৭ জন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠায়। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শাহজাদপুরে বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের টেটিয়ারকান্দি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ওয়াদুদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত আল-শামীম পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার মধুপুর গ্রামের রাশিদুল ইসলামের ছেলে। এদিকে, আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক তাদের নামপরিচয় জানা যায়নি।

ওসি এম এ ওয়াদুদ জানান, সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পাবনা থেকে ছেড়ে আসা সি লাইন পরিবহনের বাস পাবনা-নগরবাড়ি মহাসড়কের শাহাজাদপুরের টেটিয়ারকান্দা এলাকায় পৌঁছালে অন্য একটি গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে বাসের পুরো ছাদটি উড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই আল শামীম নামের এক যাত্রী নিহত হয়। আহত হয় আরও সাতজন। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতর পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি উদ্ধার করে হেফাজতে রাখা হয়েছে।’


আরও খবর