আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

নবাবগঞ্জে খাল খননে ক্ষতিগ্রস্থ অর্ধশতাধিক পরিবার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

ঢাকার নবাবগঞ্জ  উপজেলার বাহ্রা ইউনিয়নের পশ্চিম চক বাহ্রা এলাকায় খাল খননে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এলাকার প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার। স্থানীয়দের অভিযোগ খালের সঠিক জায়গায় খনন না করে বাড়িঘর কেটে খাল খনন করেছে সংশ্লিষ্টরা। জনপ্রতিনিধিদের জানালেও তারা কোনো সহযোগিতা না করে নিরব ভূমিকা পালন করছেন। আর এতে বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করলে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়েছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নবাবগঞ্জ উপজেলার বাহ্রা ইউনিয়নের চক বাহ্রা এলাকায় ৫০ ফিটের অধিক প্রশস্থ করে প্রায় দুই কিলোমিটার জায়গায় মাটি কেটে খাল পুনঃখননের কাজ করা হয়েছে। আর এতে প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষের বাড়ি ঘর ও ফসলি জমি কাটা পরেছে। ঘর বাড়ি ভেঙ্গে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অনেকে। আবার অনেকে হয়েছেন নিঃস্ব। অনেকের পুরো বাড়ি কেটেই তৈরি করা হয়েছে খাল।

স্থানীয়দের কোনো পুনঃ স্থানান্তরের ব্যবস্থা না করেই পেশি শক্তির জোরে কাটা হয়েছে খাল। আবার সেইসব ভুক্তভোগীদের মাটি দেয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে টাকা। টাকা নেয়ার পর মাটি কিংবা টাকা কিছুই দেয়া হয়নি তাদের। মাটি অন্যত্র বিক্রি করে পকেট ভারী করেছে সংশ্লিষ্টরা।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. জালাল বলেন, খাল কাটার নামে এরা আমাদেরকেই কেটে ফেলেছে। আমাদের বেঁচে থাকাই কষ্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে। খালের সীমানা রেখে তারা আমাদের বাড়ি ঘরের উপর দিয়ে খাল কেটেছে। বাঁধা দিলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করে।

বাবুল নামের একজন জানান, খাল কেটে উপকারের কিছুই হয়নি। আমাদের আরো ক্ষতি হয়েছে। আমাদের নিঃস্ব করে দিয়ে গেছে। ভুক্তভোগী আরো বলেন, দোহার-নবাবগঞ্জের সাংসদ সালমান এফ রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন আমাদের যা ক্ষতি করেছে তার যেনো ক্ষতি পূরণ দেয়া হয়।

ষাটোর্ধ বয়স্ক বৃদ্ধা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমি তাদের অনেক অনুরোধ করেছি তবুও তারা আমার বাড়ির অর্ধেকের বেশি কেটে ফেলেছে। সার্ভেয়ার পরিচয় দেয়া মিলন নামে একজন আমার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা নিয়েছে আমার বাড়িঘর কাটবে না বলে। আমি ঋণ করে এনে টাকা দিয়েছি। তারপরও আমার বাড়ির জায়গা কেটেছে। আমার টাকাও ফেরত দেয়নি। মাটি কাটতে বাঁধা দিলে উল্টো আরো বিভিন্ন হুমকি দিয়েছে তারা। আমার একটু পানি খাওয়ার মতোও ব্যবস্থা এখন নেই।

স্থানীয় আরো একাধিক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, মাটি বিক্রি করে অসাধুরা তাদের পকেট ভারী করার জন্য এই কাজ করেছেন। তা না হলে এভাবে গরিব মানুষদের মেরে কেনো এই কাজ করবে। চেয়ারম্যান, মেম্বাররাও কোনো সহযোগিতা করেনি আমাদের। উল্টো তারা মাটি বিক্রিতে সহযোগিতা করছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।

বাহ্রা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাফিল উদ্দিন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড যে খালটি খনন করেছে সেখানে অভিযোগ উঠেছে। সেখানে দুটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাছাড়া এটা কৃষি প্রধান অঞ্চল। খাল খননে কৃষকদের পানি সরবরাহ ভালো হবে।

নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মতিউর রহমান বলেন, খাল খননের শেষে আমি অভিযোগ পেয়েছি। সেখানে দেখতে সরজমিনে এসিল্যান্ডসহ লোকজন পাঠিয়েছি। তাছাড়া কাজটি করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তাদের ডিজাইন কিভাবে ছিলো তা আমার জানা নেই।


আরও খবর



রাজবাড়ীতে মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত, ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

রাজবাড়ীতে একটি মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে রাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকা, রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া ও রাজবাড়ী-খুলনা রুটে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল সাড়ে সাতটায় ২নং রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রেনটি সকালে রাজবাড়ীর ২নং রেলগেট এলাকার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে ঢোকার সময় লাইনচ্যুত হয়। আপাতত এই রুটে সব রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। পোড়াদহগামী লোকাল সাটল ট্রেন পাচুরিয়া রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে। রাজবাড়ীতেই উদ্ধারকারী রিজার্ভ ট্রেন রয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধার করা যাবে।


আরও খবর



পুলিশের মধ্যস্থতায় সড়ক ছাড়লেন পোশাক শ্রমিকরা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বনানীতে সড়ক অবরোধ ছেড়ে দিয়েছেন শ্রমিকরা। মালিকপক্ষের সঙ্গে সমঝোতার জন্য তারা অপেক্ষা করছেন। এর আগে বিনা নোটিশে সৈনিক ক্লাবের সামনে গার্মেন্টস বন্ধের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা।

পরে সকাল ১১টার পর পুলিশের মধ্যস্থতায় সড়ক ছেড়ে দেন শ্রমিকরা। তারা মালিকপক্ষের সঙ্গে সমঝোতার জন্য অপেক্ষা করছেন।

আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানায়, বিনা নোটিশে নেপারেল গার্মেন্টস লিমিটেড বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাদের বেতন বকেয়া রয়েছে। এ কারণে তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

এদিকে সড়ক অবরোধ ছেড়ে দিলেও এর প্রভাব পড়েছে মহাখালী থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রায় সব সড়কে। এই সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

পুলিশ বলছে, গাড়ির চাপ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হলে সড়কে যানজট থাকবে না।

এ বিষয়ে বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী সাহান হক বলেন, নেপারেল গার্মেন্টস লিমিটেড নামের একটি কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ করেন শ্রমিকরা। তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। এখন সড়ক স্বাভাবিক রয়েছে। যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে।

তিনি বলেন, আমরা গার্মেন্টসটির মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা শ্রমিকদের সঙ্গে সমঝোতার জন্য আসবে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বনানী সড়ক অবরোধের কারণে মহাখালী থেকে বিমানবন্দর সড়ক পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে যারা এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন তাদের ভোগান্তি আরও বেশি।


আরও খবর



ফখরুলের কাছে ৬০ লাখ কারাবন্দির তালিকা চাইলেন কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কারাবন্দি থাকা নেতা-কর্মীর সংখ্যা নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচার করছে। একটা সময় তারা বলেছে ২০ হাজার, এখন সেটা ৬০ লাখ হলো কীভাবে? ৬০ লাখ বন্দির তালিকা অবিলম্বে প্রকাশ করুক। না হয় মিথ্যাচারের জন্য জাতির কাছে মির্জা ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে হবে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের জেলে থাকা ৬০ লাখ লোকের তালিকা দিতে হবে। এই তালিকা আমরা দেখতে চাই।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ দিবস, সেই দিনটিকে তারা অস্বীকার করে। ১০ এপ্রিল প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার গঠন হয় সেটা অস্বীকার করে। স্বাধিকার আন্দোলনের মাইলফলক ৭ জুন অস্বীকার করে। বিএনপির কাছ থেকে বাঙালি সংস্কৃতির চেতনা নিয়ে ইতিবাচক রাজনীতি করবে এটা আমি বিশ্বাস করি না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য বিএনপির জন্ম। বিএনপি বাংলাদেশের অস্তিত্বের মূলে আঘাত করতে চায়। দেশের প্রতি তাদের কোনো ভালোবাসা নেই। ৭১-এ তাদের যে ভূমিকা, হঠাৎ করে বাঁশিতে ফুঁ দিলেন অমনিই তিনি ঘোষক হয়ে গেলেন। ২৪ বছরের যে আন্দোলন এসবের কোনো দাম নেই?


আরও খবর



চট্টগ্রামে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা, জরিমানা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান নেমেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। চট্টগ্রাম জেলা এবং হাইওয়ে পুলিশের সহায়তায় পৃথক দুটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিআরটিএর দুটি ইউনিট চট্টগ্রাম-ঢাকা এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে পৃথক দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।

চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেন বিআরটিএ চট্টগ্রাম বিভাগের ভ্রাম্যমাণ আদালত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাতুল তামান্না। এসময় বিআরটিএ চট্ট-মেট্রো-১ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ সাইফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এই অভিযানে ৮টি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। লাইসেন্সবিহীন ৩ জন চালকের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ফিটনেসবিহীন ৪টি গাড়ি থেকে জরিমানা আদায় করা হয় ১৫ হাজার টাকা। অন্য একটি গাড়ি থেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রো-ন-১৪-০০৩২ গাড়িকে জব্দ করে ডাম্পিং ইয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেন কর্ণফুলী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) পিযুষ কুমার চৌধুরী। এ সময় বিআরটিএ চট্টগ্রাম জেলা সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ ইকবাল আহমেদ ও বিআরটিএ চট্ট মেট্রো-২ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

এই অভিযানে ৯টি গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে ২১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এর মধ্যে লাইসেন্সবিহীন দুজন চালকের কাছ থেকে আদায় করা হয় ৬ হাজার টাকা।এতে ফিটনেসবিহীন ৩টি গাড়ি থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা এবং অন্যান্য অপরাধে ৪টি গাড়ি থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত রেজিস্ট্রেশনবিহীন তিনটি ট্রাক ডাম্পিং ইয়ার্ডে পাঠিয়েছে। বৃহৎ দুই মহাসড়কে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিআরটিএ।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



মমেক হাসপাতালে কুকুরের সঙ্গে রোগীদের বসবাস

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মমেক) তিনগুণের বেশি রোগী ভর্তি হওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগী ও তাঁদের স্বজনদের। এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৃহত্তর ময়মনসিংহের ছয় জেলা ছাড়াও বিভিন্ন জায়গার রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন।

জানা গেছে, হাসপাতালটিতে গড়ে প্রতিদিন ৩০০০-৩২০০ রোগী ভর্তি হয়ে থাকেন। এতে শয্যা সংকটের কারণে মেঝে ও বারান্দায় শুয়ে সেবা নিতে হচ্ছে অনেককে। চিকিৎসা সেবার মান নিয়েও রয়েছে জনমনে নানা প্রশ্ন। এতে করে সরকারি হাসপাতালের সেবা নিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকেই। জরুরি সেবা ছাড়া বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকগুলোতেই যেন স্বস্তি রোগীদের।

এদিকে, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বারান্দা এবং শয্যাগুলোতে অবাধেই ঘোরাফেরা করছে কুকুর। সিঁড়ির কোনায় কোনায় জমে আছে ময়লার স্তূপ। হাসপাতাল ভবনের ভেতরে কুকুরের অবাধ বিচরণের কারণে রোগী এবং স্বজনদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীন ভূমিকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা রয়েছেন চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে।

চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনরা জানান, সরকার যখন পুরো দেশবাসীকে সচেতন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে নানামুখী কর্মসূচি নিচ্ছে সেই মুহূর্তে হাসপাতালের ভেতরে কুকুরের অবাধ আনাগোনা কাম্য নয়। কারণ কুকুর জলাতঙ্ক রোগ বহন করে। সেই কুকুরগুলো হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে রয়েছে। হাসপাতালটি কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ টেক্স লইয়ার্স এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এডভোকেট সাদিক হোসেন বলেন- এই যদি হাসপাতালে অবস্থা হয় কুকুর এবং মানুষ কি একসাথে বসবাস করতে পারে। এটাতো একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি। এটা নিয়ে মন্তব্য করার কোন ভাষা নেই।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপ-পরিচালক ডা: জাকিরুল ইসলামকে গতকাল রবিবার রাত ফোন দিলে তাকে পাওয়া যায়নি।


আরও খবর