সাইপ্রাস থেকে গাজার উদ্দেশে রওনা দিতে
প্রস্তুতি নিয়েছে ত্রাণবাহী একটি জাহাজ। শনিবার (৯ মার্চ) জাহাজটি গাজার উদ্দেশে রওনা
দেওয়ার কথা রয়েছে। দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে থাকা গাজাবাসীকে সহযোগিতা করতেই জাহাজটি
ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে আসছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ত্রাণ বোঝাই জাহাজটি
সাইপ্রাসের লার্নাকা বন্দরে রয়েছে। ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন (ডব্লিউসিকে) দাতব্য
সংস্থা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থায়নে চাল, আটা ও প্রোটিনসহ বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী
জাহাজে বোঝাই করা হয়েছে। তবে কখন ছাড়বে তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি।
ইউরোপীয় কমিশন বলেছে, সাইপ্রাস ও গাজার
মধ্যে একটি সামুদ্রিক সহায়তা করিডোর তৈরি কাজ এই সপ্তাহেই শুরু হতে পারে। আরব আমিরাতের
অর্থায়নে ডব্লিউসিকে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করবে। এই প্রকল্প গাজায় ত্রাণ সহায়তা প্রবেশে
সহায়তা করবে। যদিও আকাশ পথে ত্রাণ সরবরাহ করা হচ্ছে।
গাজার পরিস্থিতি নিয়ে সর্তকতা জারি করে
ত্রাণ সহায়তাকারী সংস্থাগুলো বলেছে, গাজায় পাঁচ মাসের ইসরায়েলি আগ্রাসনে দুর্ভিক্ষ
দেখা দিয়েছে। গাজার ২৩ লাখ অধিবাসীর প্রায় সবাই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, সীমান্ত
ক্রসিং দিয়ে ত্রাণ সরবরাহে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
দাতব্য সংস্থা ডব্লিউসিকে স্পেনের প্রোঅ্যাক্টিভা
ওপেন আর্মসকে অংশীদার করেছে এবং তারা এক সঙ্গে গাজাবাসীর জন্য খাবার সরবরাহ করবে।
ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ অব্যাহত রাখতে সম্মত
হয়েছে ডব্লিউসিকে ও তার অংশীদার। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, আরও ৫০০ টন ত্রাণ সহায়তা
প্রস্তুত আছে।
ডব্লিউসিকে’র একজন মুখপাত্র
বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়া। সেখানে ডব্লিউসিকে ও অংশীদাররা একটি
বন্দর তৈরি করছে। যুক্তরাষ্ট্রের বন্দর নির্মাণ প্রকল্পের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই।
এদিকে, সমুদ্রপথে আরও ত্রাণ সহায়তা পাঠাতে
গাজার উপকূলে অস্থায়ী বন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাথমিকভাবে
সাইপ্রাস থেকে গাজায় ত্রাণসহায়তা পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছে দেশটি। তবে ত্রাণ যাচাই
করে গাজায় প্রবেশ করতে দেবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।