ফায়ার সার্ভিস
ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেছেন,
‘সায়েন্সল্যাবের বিস্ফোরণের ঘটনা দুর্ঘটনা, এটা মেসিভ দুর্ঘটনা। এটা অন্য কোনো কারণে ঘটেছিল
কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত নাশকতার আলামত মেলেনি। প্রাথমিকভাবে ধারণা
করছি, দীর্ঘদিন জমে থাকা গ্যাসের কারণে এই বিস্ফোরণ।’
আজ সোমবার সকালে
রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস পল্লবী ফায়ার স্টেশন উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে
তিনি এসব কথা বলেন।
ফায়ার সার্ভিসের
ডিজি বলেন, ‘দুর্ঘটনা নাকি অন্য কারণে সায়েন্সল্যাবের ঘটনা, তা জানতে আমি নিজে সেনাবাহিনীর
সহযোগিতা চেয়েছিলাম। তারা একটি টিম পাঠিয়েছিলেন। তারা সেখানে কাজ করেছেন। তাদের বোম্ব
ডিসপোজাল টিম জানিয়েছে, সেখানে নাশকতা বা বিস্ফোরক জাতীয় কিছু থেকে বিস্ফোরণের আলামত
পাওয়া যায়নি।’
‘এটা এখন পর্যন্ত তদন্তাধীন। এটা দুর্ঘটনা ছাড়া আমার মনে হয় অন্য কিছু
নয়’, বলেন
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল।
পুরান ঢাকার
নিমতলী ও চুরিহাট্টার ঘটনার পরও কেমিক্যালের গোডাউন ও কারখানা সরানো যায়নি- এ প্রসঙ্গে
ফায়ার সার্ভিসের ভূমিকা জানতে চাইলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, ‘সরকার কেমিক্যালের গোডাউন সরানোর
উদ্যোগ নিয়েছে। নতুন করে ফায়ার সার্ভিস কিংবা সিটি করপোরেশন কেউই কেমিক্যালের গোডাউন
করা বা কারখানা স্থাপনের জন্য পুরান ঢাকায় কোনো এনওসি বা অনুমতি দিচ্ছি না। সেখানে
এখন যা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ অবৈধ।’
তিনি আরও বলেন,
‘ফায়ার
সার্ভিসের কাজ হলো তদন্ত করা, মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা। পুরান ঢাকায় কেন এখনো
কেমিক্যালের গোডাউন, কারখানা আছে সেসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দপ্তর ভালো বলতে
পারবে।’
ফায়ার সার্ভিসের
অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি রয়েছে উল্লেখ করে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, ‘আমাদের ফায়ার সার্ভিস তুরস্কে ভূমিকম্পে
হতাহতদের উদ্ধারে কাজ করেছে। আমাদের প্রত্যেকটি ফায়ার ফাইটার প্রশিক্ষিত। আমাদের জনবলকে
আরও দক্ষ ও প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে। ভলান্টিয়ারদেরও আমরা প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।’
উল্লেখ্য, গতকাল
রোববার সকাল পৌনে ১০টা ৫২ মিনিটের দিকে ঢাকা কলেজের পাশে ‘শিরিন ম্যানশন’ নামের একটি ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণের পর তিন জনকে পপুলার হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের
মৃত্যু হয়।