প্রথমে নায়ক, তারপর আসে নায়িকার নাম। এই দুজনকে ঘিরেই তৈরি হবে সিনেমা। চিরচেনা সেই ভাবনা থেকে এখনো বের হতে পারে না সাধারণ দর্শক। তাই তো সিনেমা নারীপ্রধান হলেও অভিনেত্রীর প্রতি আচরণ থাকে প্রথাগত, বদলায় না। শিগগিরই মুক্তি পেতে যাচ্ছে জাহ্নবী কাপুর অভিনীত থ্রিলার ‘মিলি’। এমন কিছু আচরণের মুখে পড়েছেন এ অভিনেত্রীও। প্রতিবাদে অবশ্য একটি প্রশ্নই রয়েছে তার। সম্প্রতি জাহ্নবীর একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে সিএনএন-নিউজ১৮। সেখানে নায়ক-নায়িকা সম্পর্কে দীর্ঘদিনের উঠা বিতর্কগুলো ফের সামনে চলে আসে।
বলিউডের এ মিষ্টিমুখ বলেন, সিনেমাটির নাম যদি ‘মিলি’ না হয়ে ‘মিলন’ হতো, তাহলেও কি সেই অভিনেতাকে নিয়ে একই রকম প্রশ্ন উঠত?
‘গুঞ্জন সাক্সেনা: দি কারগিল গার্ল’ ও ‘গুড লাক জেরি’র মতো নারীপ্রধান সিনেমায় অভিনয় করেছেন শ্রীদেবী কন্যা। কিন্তু কোথাও সেই মনোভাবের কোনো ব্যতিক্রম দেখেননি। জাহ্নবী বলেন, এমন বেশ কিছু সিনেমায় আমি কাজ করেছি যেখানে নারীই প্রধান চরিত্র আর সেই চরিত্রে অভিনয় করেছি আমি। যতবার আমি এ সব সিনেমার কথা সবাইকে বলেছি, তারা সবসময় সিনেমাটিকে ব্যতিক্রম হিসেবে গ্রহণ করেছেন। বিষয়টা অনেকটা এমন যে, ‘ওহ, আপনি একটি নারীকেন্দ্রিক সিনেমা করছেন’। আচ্ছা, সিনেমাটার নাম যদি মিলি না হয়ে মিলন হতো তাহলেও কি পুরুষকেন্দ্রিক ওই সিনেমার অভিনেতাকে বলতেন, তোমার কেমন অনুভূতি হচ্ছে? বিষয়টা খুবই অদ্ভূত ও দুঃখজনক। অনেকবার আমার সঙ্গে এমন ঘটেছে। যখন আমি কোনো সিনেমা করছি, আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, ওহ হিরো কে এই সিনেমার? জবাবে বলেছি, ‘আমি’।
যদিও এখন সুন্দর করে বলা গল্পগুলো দেখার মানুষ বৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু তারপরও এমন কিছু মানুষ থেকে গেছে যারা জিজ্ঞাসা করেই বসেন, সিনেমায় তারকা অভিনেতা হিসেবে কে আছেন? জাহ্নবীর মতে, ঘরানা নির্বিশেষে দিন শেষে আমরা সবাই কিছু চরিত্রের গল্পই বলছি। আশা করি একসময় এই দৃষ্টিভঙ্গি বদলাবে।
জাহ্নবীর মতে, তবে এখন যে অনেক মানুষ এবং দর্শকরা শুধু গল্পকেই প্রাধান্য দিচ্ছে তা সত্যিই দারুণ। আপনি যদি একটি ভালো সিনেমা বানান, তাহলে সিনেমাটিই হিরো, তাতে অভিনয় করা নারী বা পুরুষটি নয়। ‘মিলি’ সিনেমাটি মালয়ালম ‘হেলেনের’ হিন্দি রিমেক। এর মাধ্যমে প্রথমবার বাবা বনি কাপুরের প্রযোজনায় অভিনয় করলেন জাহ্নবী। মাথুকুত্তি জাভিয়ার পরিচালনায় আরো অভিনয় করেছেন মনোজ পাহওয়া ও সানি কুশাল। ছবিটি আগামী ৪ নভেম্বর মুক্তি পাবে।