ঘরে কিংবা বাইরে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে নারীরা।
স্বজনদের কাছেও যেন নিরাপদ নয় তারা। এর মধ্যে নতুন সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে মহামারির
কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক বিপর্যস্ততা। জীবনযাপনের জন্য অর্থনৈতিক চাপ ক্রমশমান বৃদ্ধি
পাওয়ায় মানসিকভাবে অসুস্থ, অশান্তি আর হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ায় নানা ধরনের অনৈতিক পথ অবলম্বন
করে যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এসব জঘন্য পাশবিক নির্যাতন
ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বের হয়ে আসতে হলে অপরাধীদেরকে দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে এসে
যথাযথ উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সরকারি-বেসরকারিভাবে
দারিদ্র্য দূরীকরণে পদক্ষেপ নিতে হবে। অর্থনৈতিক দৈন্যতায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে সাধারণ
মানুষ। হতাশাগ্রস্ত মানুষ অর্থনৈতিক চাপে অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। সাম্প্রতিক নারী ও শিশুদের
নির্যাতন বেড়ে যাওয়ার কারণ মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রভাব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবীর বিভাগীয় প্রধান
অ্যাডভোকেট সৈয়দা শিরিন আক্তার বলেন, করোনা আসার পর থেকে মানুষ কাজ হারিয়ে, ব্যবসায়
ধস পড়ায় বেকার হয়ে কঠিন জীবনযাপনের পথে মানুষের মন এখন অস্থির হয়ে উঠেছে। এর ফলে মানসিক
হতাশা আর অশান্তি থেকেই স্বজনদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা বেড়ে গিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত
হচ্ছে।
তাই তারা ঘরে কিংবা বাইরে নারী ও শিশুদের অন্যায়ভাবে
নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। তবে যারা এসব অন্যায়, অপকর্ম কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের
আওতায় নিয়ে এসে দ্রুত উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। যদিও বর্তমানে সরকার সাম্প্রতিক ধর্ষক
কর্মকাণ্ডের সাজা বাড়িয়েছে। কিন্তু এই সাজা এখনো সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে না। তাই
অপরাধীদের মনে ভয় জিনিসটা নেই বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মিডিয়া অ্যান্ড ক্রাইম এনালাইসিস রেঞ্জ ডিআইজি মো. জেদান আল মুসা বলেন, নারী নির্যাতনের যে মামলাগুলো হয় খুব গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়। ভিকটিম যাতে ন্যায় বিচার পায়, সে বিষয়ে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া হয়।