
নারায়ণগঞ্জ শহরের সবচাইতে বড় ভোগ্যপণ্যের মোকাম নিতাইগঞ্জের দোতলা পুরাতন একটি ভবনে বিস্ফোরণের পর আগুনে একজন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরও ৯ জন।
শনিবার সকাল ৯টার দিকে দিকে নিতাইগঞ্জের ডালপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটিতে ডাল, চাল, ভূষি, লবণ, কাগজের গোডাউন ছিল বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস। অগ্নিকাণ্ডের পর ছয়টি ইউনিটের প্রায় দেড় ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয় বলে জানান নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন আহমেদ।
প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরণের কারণ জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় আওলাদ (৪৫) নামে এক শ্রমিক মারা গেছেন এবং অন্তত নয়জন আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানান সদর মডেল থানার ওসি আনিচুর রহমান মোল্লা।
নিহত আওলাদ হোসেন নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার ইসলামপুর রোড মদনগঞ্জের মৃত মোকসেদ আলীর ছেলে। আহতদের মধ্যে মো. হোসাইন (৫০), মো. হযরত আলী (৪০), শ্রী রবি দত্ত (৪২), মো. জাকির হোসেন (৪১), মো. বিল্লাল (৪৫), অজ্ঞাত পুরুষ (৪৮), ট্রাকড্রাইভার জগদীশ সরকার (৬৫) নাম জানা গেছে। আহতদের মধ্যে জগদীশ সরকারকে ঢামেক থেকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জে জেলা আটা ময়দা মিল মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ইলিয়াস দেওয়ানের মালিকানাধীন ভবনটি প্রায় শত বছরের পুরনো বলে জানান নিতাইগঞ্জ বহুমুখী সমিতির সভাপতি আব্দুল কাদির। তিনি বলেন, ‘দশ বছর যাবৎ ভবনটির উপরের তলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।’
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে বেলা পৌঁনে এগারোটার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল। তিনি বলেন, ‘জরাজীর্ন একটি ভবনে বিস্ফোরণের পর আগুন লেগে যায়। ভবনটির দেয়ার ধসে পড়েছে। এতে একজন মারা গেছেন, আহত হয়েছেন আরও ৯ জন। বিস্ফোরণের কারণ জানতে ফায়ার সার্ভিস ও জেলা পুলিশ কাজ করছে।’
এব্যাপারে ফায়ার সার্ভিসের নারায়ণগঞ্জ জেলার সহকারি উপ-পরিচালক ফখরুদ্দিন জানান, ‘কি কারণে বিস্ফোরণ হয়েছে তা এখনই নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। তবে ভবনের ভেতরে গ্যাসের পাইপ রয়েছে, গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে। তদন্তের পর নিশ্চিত করে বলা যাবে। তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ নির্ধারণ করা যায়নি।’
সর্বশেষ ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক মো.বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘আওলাদ হোসেনের মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আহতদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা চলছে।’