গোয়েন্দা তথ্যের
ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার একটি বাড়িতে অভিযানে যায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের
(ডিএনসি) একটি টিম। বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে বাসাটিতে তল্লাশি করেও কোনো মাদকের সন্ধান পায়নি।
ওই টিম সেখান থেকে চলে আসার সময় একজন কর্মকর্তা দেখতে পান যে ওই বাসায় ৫ বছরের এক শিশু
কন্যা রয়েছে। তাকে আলাদা একটি রুমে নিয়ে জানতে চাওয়া হয়, তোমার বাবা মাদক কোথায় রেখেছে?
তখন শিশুটি মাদক দেখিয়ে দেয় ডিএনসির টিমকে। পরে গ্রেফতার করা হয় শিশুটির বাবা মো. মহাসিনকে।
ওই শিশুর দেওয়া
তথ্যে ধারাবাহিক অভিযানে গ্রেফতার করা হয় আরও ৬ জনকে। এরা সবাই একই গ্যাংয়ের সদস্য
বলে জানিয়েছে ডিএনসি। যারা দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ইয়াবা ও আইসের চালান
এনে রাজধানী ও ফতুল্লায় বিক্রি করে আসছিলো।
অভিযানের নেতৃত্ব
দেওয়া ডিএনসি’র ঢাকা মেট্রো উত্তরের সহকারী পরিচালক
মেহেদী হাসান বলেন, শুক্রবার ও শনিবার ধারাবাহিক অভিযানে ঢাকা ও ফতুল্লা কেন্দ্রীক
ইয়াবা ও আইস সিন্ডিকেটের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতাররা হলেন- রফিক উল্লাহ,
সরওয়ার কামাল, ইমরান হোসেন, মহাসিন, মিরাজ শেখ, প্রান্ত ভট্টাচার্য ও মামুনুর রশীদ।
এসময় তাদের কাছ থেকে প্রায় ৫৪ লাখ টাকা মূল্যের ১১ হাজার ২০০ টি ইয়াবা ও ২০০ গ্রাম
আইসসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।
ডিএনসি’র সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান বলেন, এই চক্রের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ী মহসিন। প্রথমে তার বাসায় অভিযানে গেলে দীর্ঘ সময় ধরে তল্লাশি করে কোনো মাদক পাচ্ছিলাম না। পরে কৌশলে তার ৫ বছরের শিশু কন্যার মাধ্যমে রান্নাঘরের সিংকের নিচে থাকা পাইপের ভেতর বিশেষ কায়দায় লুকানো ৪ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে অন্য আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে।