ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা
উপজেলায় নানাবাড়িতে এক কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক
করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা।
শনিবার সন্ধ্যায়
উপজেলার দাওগাঁও ইউনিয়নের চন্দনীআটা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় বিকালে
মুক্তাগাছা থানায় ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন।
গ্রেফতার হাফিজুল
(২৫) চন্দনীআটা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও পার্শ্ববর্তী ফুলবাড়িয়া উপজেলার বৈলাজান
গ্রামের আবু হানিফার ছেলে দুলাল (৫০)।
অভিযোগ সূত্রে
জানা গেছে, ভুক্তভোগী কিশোরী মুক্তাগাছা উপজেলার চন্দনীআটা গ্রামে নানাবাড়িতে বসবাস
করে আসছিল। আত্মীয়তার সুবাদে একই গ্রামের হাফিজুল ও ফুলবাড়িয়া উপজেলার বৈলাজান গ্রামের
বাসিন্দা দুলাল প্রায়ই ভুক্তভোগীর নানাবাড়ি যাতায়াত করত। সেই সুযোগে দুজন মিলে প্রায়ই
মেয়েটিকে ধর্ষণ করে আসছিল।
একপর্যায়ে ওই
কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এতে ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবার ও এলাকায় ঘটনাটি ছড়িয়ে
পড়লে লোকজন অভিযুক্ত ওই দুজনকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে
আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
মুক্তাগাছা থানার ওসি মাহমুদুল হাসান জানান, ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। এ ঘটনায় আমরা মূল আসামি দুজনকে গ্রেফতার করেছি। রোববার আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। আর ভুক্তভোগী কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।