আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

নামেই শহীদ সরণি, নেই প্রচারণা কাগজে কলমে

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ০৬ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

রংপুর থেকে আবু নাসের বাপি

বিভাগীয় নগরী রংপুরে শহীদের নামে কিছু সরণি থাকলেও নেই প্রচার প্রচারণা। সড়কের এককোণে দৃষ্টির আড়ালে পড়ে থাকা এসব শহীদ সরণি নামমাত্র ফলকে সীমাবদ্ধ। সরকারি-বেসরকারিভাবে ব্যাপক প্রচারণা না থাকায় নতুন প্রজন্মের কাছে অজানা শহীদদের পরিচয়-পরিচিতি। সড়কের নাম ফলকে থাকলেও কাগজে কলমে প্রচারণায় নেই কোনো বাধ্যবাধকতা। ফলে কালের বিবর্তনে সাহসী শহীদ সন্তানদের নাম ইতিহাস থেকে মুছে যেতে বসছে।


সচেতন মহলসহ শহীদ পরিবারের সদস্যদের দাবি, রংপুরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো ভাষা সৈনিকসহ শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামকরণ করা হোক। পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের কাছে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন ও একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতে

সরণির ফলকের সঙ্গে যুক্ত করা হোক সংগ্রামীদের বীরত্বময় ইতিহাস। প্রয়োজনে জীবিত ভাষা সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীরঙ্গনাদের নামেও হতে পারে নতুন নতুন সরণি করার আহ্বান তাদের। আর এর জন্য সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসনসহ সকল রাজনৈতিক মহলকে উদ্যোগ গ্রহণে অনুরোধ জানিয়েছেন শহীদ পরিবারগুলো।


আশির দশকে রংপুর পৌরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান ভাষা সৈনিক মোহাম্মদ আফজাল শহীদদের নামে অনেকগুলো সড়কের নামকরণ ও ফলক স্থাপন করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকি ও প্রচারণার অভাবে নামকরণের সেই ফলক ও সাইনবোর্ডগুলো বিলীন হয়ে যায়। এখনো নগরীর বিভিন্ন সড়কে শহীদদের নামের হাতেগনা কয়েকটি সাইনবোর্ড ও ফলক রয়েছে। তবে বর্তমান সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান সম্প্রতি কয়েকটি সড়কের সংস্কার শেষে নতুন করে শহীদের নামে করা সরণির ফলক স্থাপন করেছেন। কিন্তু এ সব সড়ক ঘিরে প্রচারণা না থাকায় বেশির ভাগ মানুষই জানে না শহীদ সরণির নাম। আবার কিছু কিছু সড়কের নাম ফলকে ভুল বানান ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে।

রংপুর সিটি করপোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান তৌহিদুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আন্দোলন সংগ্রামের প্রথম শহীদ হন রংপুরে। সেই শহীদ শিশু শংকু সমজদারের নামে নগরীর শাপলা চত্বর থেকে তাজহাট পর্যন্ত সড়কের নামকরণ হওয়া উচিত। এই সড়কেই শংকুর রক্ত ঝড়েছে। একসময় রংপুর শহরের অনেক সড়কের নাম শহীদদের নামকরণে হয়েছিল। কিন্তু নামকরণের পর সড়কগুলোর নাম ব্যবহার করতে আমাদের সচেতনতার অভাবে আজ সেইসব নাম হারিয়ে যেতে বসেছে। তবে বর্তমান সিটি পরিষদ শহীদদের নামে সড়কের নাম ফলক স্থাপন শুরু করেছে বলেও তিনি জানান।


দীর্ঘদিন ধরে ইতিহাস চর্চা, গবেষণা ও লেখালেখির কাজ করছেন রিয়াদ আনোয়ার শুভ। আশির দশকের স্মৃতি তুলে ধরে এই লেখক বলেন, তিনি নিজের চোখেই শাপলা চত্বরের (তৎকালীন তেঁতুলতলা) তিন কোনা পার্কটির শহরমুখী কোনায় শহীদ শংকু সরণির নামফলক দেখেছি।  রংপুর পৌরসভার আশির দশকের দলিল অনুসারে শহরের বিভিন্ন সড়কের নাম অনেকগুলো বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদের নামে হয়েছিল।

তিনি জানান, রংপুর শহরের মূল সড়কের ডিসি বাংলো থেকে শাপলা চত্বর পর্যন্ত অংশের নাম দুই ভাগে শহীদ জররেজ সরণি (ডিসি বাংলো থেকে রামমোহন ক্লাব) ও শহীদ মুখতার ইলাহির (রামমোহন ক্লাব থেকে শাপলা) নামে ছিল। এছাড়াও নগরীর বেতপট্টি সড়কটির (চৌরাস্তার ট্রাফিক আইল্যান্ড পর্যন্ত) নামকরণ করা হয়েছিল শহীদ ওমর আলী সরণি, সেন্ট্রাল রোড শহীদ মোবারক সরণি, গোমস্তা পাড়া থেকে পাল পাড়ার দিকে যে রাস্তা চলে গেছে তার নাম শহীদ রনি রহমান সরণি। নগরীর দেওয়ান বাড়ি রোড হতে যে রাস্তাটি থানার পিছন দিয়ে মুলাটোলের দিকে চলে গেছে, সেই সড়কের নাম শহীদ অশ্বিনী কুমার ঘোষ সরণি। শহীদ ভিকু চৌধুরীর নামানুসারে হয় বেতপট্টি থেকে সেনপাড়ামুখী সড়কটির নাম।

এছাড়া স্টেশন রোড থেকে দরদী সিনেমা হলের বিপরীত দিয়ে আজিজ নগর কলোনির ভিতরের মূল সড়কটির নামকরণ করা হয় শহীদ চিকিৎসকের নামানুসারে শহীদ ডাঃ মর্তুজা সরণি। মুরগী ফার্ম খামার মোড় থেকে পীরপুর অভিমুখী সড়কের নামকরণ হয়েছিল শহীদ ইসমাইল হোসেন বসু মিয়া সরণি। ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ পাকিস্তানী সেনাকর্মকর্তাকে হত্যার নেতৃত্বদানকারী সংগ্রামী শাহেদ আলীর নামে পীরজাবাদের সড়কের নামকরণ করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে বেশির সড়কে এসব সরণির কোনো স্মৃতিচিহ্ন বা ফলক নেই। কাগজে কলমে, সাইনবোর্ডে বা বাসার ঠিকানা ব্যবহারেও এসব সরণির কোথাও তেমন প্রচারণা নেই। যার কারণে বর্তমান প্রজন্ম শহীদ সরণি সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে অভিযোগ করেন সচেতন এই লেখক।

রংপুরের সাবেক পৌর চেয়ারম্যান ও শহীদ পরিবারের সদস্য কাজী মোঃ জুননুন বলেন, রংপুর শহরের অনেক সড়ক বিভিন্ন সময়ে নামকরণ করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের নিজেদের দায়িত্বহীনতার কারণে সেই সরণিগুলো এখন নতুন প্রজন্মের কাছে অজানা অপরিচিত। ভাষা আন্দোলন ও  মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিকাশে সড়কের নামকরণে শহীদদের নামফলক অনেক গুরুত্ববহ করে। অথচ এ ব্যাপারে কারো কোনো উদ্যোগ নেই।

এদিকে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর রংপুর জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন বলেন, বর্তমান সিটি মেয়র ও তার পরিষদ চাইলে আশির দশকের দলিল বের করে সড়কগুলোর নাম নিশ্চিত হয়ে পুণরায় সড়কের নামফলক স্থাপন করা সম্ভব। এতে অন্তত আগামী প্রজন্ম আমাদের ভাষা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া রংপুরের বীর শহীদদের নাম ও তাদের পরিচয় জানতে পারবে। পাশাপাশি শহীদদের নামের সড়কগুলোর নাম ব্যবহার ও প্রচার করতেও সকলকে সচেতন করতে হবে। তবেই পূর্ণতা পাবে নামকরণ স্বার্থকতা।

এ ব্যাপারে রংপুর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র মাহমুদুর রহমান টিটু বলেন, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সিটি করপোরেশনের

পক্ষ থেকে শহীদদের নামে করা নামফলক স্থাপন করা হয়েছে। আমাদের এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এবার শুধু নামকরণ নয়, যাতে নামের ব্যবহার হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে নামফলকের সঙ্গে শহীদদের পরিচয় পরিচিতি তুলে ধরার ব্যাপারে সিটি পরিষদ আলোচনা করে ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি জানান।


আরও খবর



তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন, চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড তাপমাত্রা ৪২.২

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

গত কয়েকদিনের তুলনায় তাপমাত্রা বেড়েছে চুয়াডাঙ্গায়। তীব্র তাপদাহ রূপ নিয়েছে অতি তীব্র তাপদাহে। এতে জনজীবনে বেড়েছে অস্বস্তি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

এদিকে তাপদাহে স্বস্তি মিলছে না কোথাও। তীব্র গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। তবে, ভ্যাপসা গরমে শান্তি মিলছে না সেখানেও। পুকুর ও সেচ পাম্পের পানিতে গোসল করে শান্তি খুঁজছেন অনেকে। কেউ আবার পান করছেন ফুটপাতের অস্বাস্থ্যকর পানীয়। চলমান হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। তীব্র তাপদাহে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। নষ্ট হচ্ছে মাঠের ফসল।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, আজ তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি বেড়েছে। যা তীব্র তাপদাহ থেকে অতি তীব্র তাপদাহে পরিণত হয়েছে। এপ্রিল মাসজুড়ে এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে।


আরও খবর



রাজধানীতে রাত ১১টার পর চা-সিগারেটের দোকান বন্ধের নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীতে রাত ১১টার পর পাড়া-মহল্লার সকল চায়ের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে মার্চ মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের এ নির্দেশ দেন তিনি।

দ্রুত এটি কার্যকর করতে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ছিনতাই ও অপরাধ প্রতিরোধে রাতে রাস্তার মোড়ের দোকানগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় এসব অস্থায়ী দোকানে অপরাধীরা সারা রাত আড্ডা দেয়, আর সুযোগ পেলেই ছিনতাই করে। রাস্তার পাশের সিগারেট, পান ও চায়ের দোকান রাত ১১টার পর বন্ধ করে দিতে হবে।

তিনি বলেন, কোনো সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠী যেন কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে না পারে সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এ ধরনের অপরাধ চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর থাকারও নির্দেশ দেন ডিএমপি কমিশনার।

এবার রমজানে রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে ক্রাইম বিভাগও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে বলে জানান তিনি।

হাবিবুর রহমান বলেন, রাস্তায় পুলিশের স্টিকার লেখা কোনো গাড়ি দেখলে ডিউটিরত পুলিশ অবশ্যই যাচাই করে দেখতে হবে যে, সেটা আসলেই কোনো পুলিশ অফিসারের গাড়ি কি না। কারণ, গাড়িতে পুলিশের স্টিকার লাগিয়ে বা ডিএমপির লোগো লাগিয়ে সন্ত্রাসীদের চলাফেরার তথ্য পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, যদি যাচাই করে দেখা যায় সেটা পুলিশের গাড়ি নয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ডিএমপির ক্রাইম ও ট্রাফিক বিভাগ এ বিষয়টি নজর রাখবে।


আরও খবর



হিলি বন্দর দিয়ে সাড়ে ৫ মাস পর এল পেঁয়াজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

সাড়ে ৫ মাস বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ফের ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ভারত থেকে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ নিয়ে একটি ট্রাক হিলি বন্দরে প্রবেশ করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন পানামা পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক। তিনি জানান, হিলি বন্দর দিয়ে সাড়ে ৫ মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। আজ সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে বগুড়ার মেসার্স আরএস এন্টার প্রাইজ নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেন।

আমদানিকারকের প্রতিনিধি আহম্মেদ সরকার বলেন, পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় সাড়ে ৫ মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। গত ৪ মে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় আজ প্রথম হিলি বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলো।


আরও খবর



শুক্রবার নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে বিএনপি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে ঢাকায় সমাবেশ করার অনুমতি পাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।

আগামীকাল শুক্রবার (১০ মে) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। তবে বিএনপিকে মানতে হবে কিছু শর্ত।

সমাবেশের অনুমতি নিতে বৃহস্পতিবার (৯ মে) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কার্যালয়ে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপির তিন নেতা। তিন সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম এবং সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু।

প্রায় পৌনে একঘণ্টা পর বাইরে বেরিয়ে এসে শুক্রবারের (১০ মে) সমাবেশের ব্যাপারে পুলিশের মনোভাব পজিটিভ বলে জানান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম।

তিনি বলেন, আমরা আগেই এই সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিলাম। তবে তাপপ্রবাহের কারণে সেটি পিছিয়ে আগামীকাল শুক্রবার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এ সমাবেশ ও মিছিল করা হবে।

সমাবেশের ব্যাপারে পুলিশের মনোভাব পজিটিভ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, পুলিশের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারা বলেছেন, আজ বিকেলের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবেন। যেহেতু শুক্রবার ট্রাফিক সংক্রান্ত কোনো ইস্যু নেই, তাই আমরা প্রত্যাশা করছি তাদের সহযোগিতা পাব।

বিএনপি শুক্রবার সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে কি না জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে কখনো বাধা দিই না। রাজনৈতিক দলগুলো রাজনৈতিক কর্মসূচি করবে এটিই স্বাভাবিক। তবে সেই রাজনৈতিক কর্মসূচি যেন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে সেজন্য আমরা কিছু শর্ত আরোপ করে থাকি।

খ. মহিদ বলেন, বিএনপিকে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি যাতে না হয় সে ব্যাপারে বলা হয়েছে। তাদের সমাবেশের অনুমতির বিষয়টি ডিএমপি ইতিবাচকভাবে দেখছে।

জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করা, রাস্তার একপাশে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখাসহ কিছু শর্তসাপেক্ষে সমাবেশের অনুমতি পাবে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



বিএমডিসি ছাড়া 'ভুল চিকিৎসা' বলার অধিকার কারো নেই

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) ছাড়া ভুল চিকিৎসা নির্ণয় ও দাবি করার অধিকার কারও নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

তিনি বলেন, ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার কারো নেই এমনকি আমারও। এটা বলার অধিকার আছে শুধু বিএমডিসির। এই ভুল চিকিৎসা অজুহাতে চিকিৎসকদের ওপর যেভাবে আক্রমণ করা হয় এটা খুবই নেক্কারজনক। ভুল চিকিৎসার নামে চিকিৎসককে মারধর এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না।

বুধবার (১ মে) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নিউরো সার্জন সোসাইটির ১২তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক বদরুল আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব এহতেশামুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক শফিউল আলম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন।

চিকিৎসকদের সুরক্ষা আইন পাস করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চিকিৎসক সুরক্ষা আইন পাশ করাবো। আমাদের দ্বায়িত্ব চিকিৎসকদের সুরক্ষা দেওয়া। তেমনি চিকিৎসকদেরও দায়িত্ব রোগীকে সুরক্ষা দেওয়া। তাই চিকিৎসকদের কোনো অবহেলাও আমি সহ্য করবো না। আপনাদের কাছে আমার একটাই দাবি, আপনারা সেবা দেন আমি আপনাদের জন্য সব কিছু করবো।

এর আগে গতকালও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে ডা. সামন্ত লাল একই কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি প্রায়ই পত্র-পত্রিকা ও টিভিতে দেখি ভুল চিকিৎসার কথা। ভুল চিকিৎসা বলে কিছু নাই৷ এটা আমি-আমরা বলতে পারি না। ভুল চিকিৎসার ব্যাপার যদি থেকেও থাকে, সেটা বলার অধিকার একমাত্র বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের আছে। আমরা বললে চিকিৎসার অবহেলার কথা বলতে পারি।


আরও খবর