আন্দোলনে ব্যর্থতা, নির্বাচনে না আসা বিএনপিকে অনেক খেসারত দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দাগনভূঞা-বুসর হাট সড়ক প্রশস্তকরণ কাজের পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমার কাছে অবাক লাগে মির্জা ফখরুল জেল থেকে বের হয়ে, অসুস্থতার অজুহাতে তিনি জনগণের কাছে যাননি। অথচ যেই মার্কিনীরা, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল আসলেন তখন হাতে লাঠি নিয়ে তাদের কাছে নালিশ করতে গেলেন। নালিশ করা তাদের রাজনীতি। পুরোন অভ্যাস। জনগণের কাছে নালিশ করার চেয়ে তারা বিদেশিদের কাছে নালিশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তারা নালিশ করবে আর আমরা চুপচাপ বসে থাকব তা তো হতে পারে না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সারা দুনিয়ায় তথ্যপ্রবাহের যে গতি কোন সত্যই কেউ লুকিয়ে রাখতে পারেনা। বিএনপির ৪০ হাজার, ৫০ হাজার নেতা-কর্মী জেলে আছে, এ উদ্ভট দাবিও তারা করেছে। এই দাবি করার পর হঠাৎ করে দেখলাম মুক্তি পেল কয়েকজন। সেই সংখ্যা ৪০ হাজার থেকে চার হাজারে নেমে এসেছে।’
সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অচিরেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সার্ভিস লেন করা হবে। মহাসড়কটি অচিরেই ছয় লেনে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে মহাসড়কটিকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসে রুপান্তর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।’
এ সময় সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সামনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এটিকে উম্মুক্ত করা হয়েছে। দল এবার কাউকে দলীয় মনোনয়ন দেবে না। নিজের যোগ্যতা প্রমাণের মাধ্যমে বিজয়ী হয়ে আসতে হবে। এবার নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করার সুযোগ এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘নোয়াখালী ফেনী মহাসড়ক চার লেন হয়েছে। এটি কল্পনাও কেউ করেনি কেউ আগে। এলাকাটি অন্ধকার ছিল এখন সেটি প্রশস্ত। এ অঞ্চলের মানুষ এমন পরিবর্তনকে গ্রহণও করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের সাধারণ নির্বাচন অনেক প্রতিকুলতা চক্রান্ত প্রতিহত করে সম্পূর্ণ হয়েছে। সংশয় ছিল নির্বাচন হবে কী হবে না। বঙ্গবন্ধু কন্যা নির্ভীক ছিলেন। তিনি দেশের জনগণও সংবিধানের কমিটমেন্ট পূরণ করেছেন। অনেক ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস হয়েছে। তিনি অকুতভয়ে লক্ষের পথে এগিয়ে গেছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও তিনি তার কর্তব্য সম্পাদন করেছেন।’
এসময় ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার, ফেনী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দ্বীন মোহাম্মদ, দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, সোনাগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন, ফেনী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল, ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, দাগনভূঞা পৌর মেয়র ওমর ফারুক খান, দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিবেদিতা চাকমা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহরাজ শারবীন, দাগনভূঞা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসিম, দাগনভূঞা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মাষ্টার কামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন মামুন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল ফোরকান বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।