আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

নাজিরপুরে সরকারি জমি দখল করে আ.লীগ নেতার মার্কেট!

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ মে ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ মে ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে সরকারি এ সম্পত্তির উপর পাকা ও আধাপাকা প্রায় শতাধিক দোকান রয়েছে। দোকান গুলো ওই আ.লীগ নেতার কাছে ভাড়া নিয়ে বছরের পর বছর ব্যবসা করে আসছেন ব্যবসায়ীরা

পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলায় সরকারি খাস জমি দখল করে সেখানে অবৈধভাবে মার্কেট নির্মাণ করেছেন মোশারেফ হোসেন খান নামে এক প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তার দখল করা সরকারি ওই খাস জমিতে তিনি প্রায় শতাধিক পাকা, আধাপাকা দোকান ঘরসহ বাসাবাড়ি করে বছরের পর বছর ভাড়া দিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, নাজিরপুর উপজেলাকে মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মুখভাগ থেকে নাজিরপুর কলেজ পর্যন্ত পাকা সড়ক, ওয়াক ওয়ে, ড্রেন নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু এই সড়কটির শুরুর স্থান নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মুখভাগ থেকে নদীর পাড় পর্যন্ত প্রায় ৩ শ মিটার লম্বা এবং ১শ মিটার চওড়া সরকারি খাস জমিতে ওই আ.লীগ নেতার শতাধিক অবৈধ স্থাপনা থাকায় চলমান এ উন্নয়ন প্রকল্পটি থমকে আছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে সরকারি এ সম্পত্তির উপর পাকা ও আধাপাকা প্রায় শতাধিক দোকান রয়েছে। দোকান গুলো ওই আ.লীগ নেতার কাছে ভাড়া নিয়ে বছরের পর বছর ব্যবসা করে আসছেন ব্যবসায়ীরা। একাধিক ব্যবসায়ীর সাথে কথা হলে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই আ.লীগ নেতার নিকট দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করে আসছেন বলে স্বীকার করেন। অনেকে এটা চেয়ারম্যান মার্কেট হিসেবে পরিচিত বলেও জানান।

স্থানীরা জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা প্রশাসন ওই আ.লীগ নেতাকে তার অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য বারবার তাগাদা দিলেও এখন পর্যন্ত তিনি অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার কোনো উদ্যোগ নেননি। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় বইছে। একাধিক ব্যক্তি নানা মন্তব্য করে ফেসবুকে পোস্ট করছে। অনেকে লিখছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্পের কাজে এমন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি প্রকারান্তরে সরকারের বিরোধিতার শামিল। নাজিরপুর উপজেলার সাধারণ জনগণের কাঙ্খিত এই প্রকল্প নির্বিঘ্নে বাস্তবায়নের জন্য নাজিরপুর উপজেলা ও পিরোজপুর জেলা প্রশাসন এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

পারভেজ খান নামে একজন তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, নাজিরপুর উপজেলাকে মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা মাফিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মুখভাগ থেকে নাজিরপুর কলেজ পর্যন্ত পাকা সড়ক, ওয়াক ওয়ে, ড্রেন নির্মাণের কাজ চলমান। নাজিরপুরের সাধারণ জনগণের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরন হবে এই কাজ সমাপ্ত হলে। কিন্ত অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে এই সড়কটির শুরুর স্থান, অর্থাৎ নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মুখভাগ থেকে নদীর পাড় পর্যন্ত প্রায় ৩ শত মিটার লম্বা এবং ১ শত মিটার চওড়া সরকারি খাস জমি দখল করে স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধি পাকা ভবন ও আধাপাকা ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে আসছেন। ওই জনপ্রতিনিধির অবৈধ স্থাপনা থাকার কারণে সড়কটির নির্মাণ কাজ ব্যাহত হচ্ছে। সড়ক নির্মাণ কাজ চলমান রাখার জন্য উপজেলা প্রশাসন ওই জনপ্রতিনিধিকে তার অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য বারবার তাগাদা দিলেও এখন পর্যন্ত সেসব অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। অনেকে লিখছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রকল্পের কাজে এমন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি প্রকারান্তরে সরকারের বিরোধিতার শামিল। নাজিরপুর উপজেলার সাধারণ জনগণের কাক্সিক্ষত এই প্রকল্প নির্বিঘ্নে বাস্তবায়নের জন্য নাজিরপুর উপজেলা ও পিরোজপুর জেলা প্রশাসন এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

আরেকজন লিখেছেন উপজেলায় প্রবেশদ্বারের মুখে অবৈধ স্থাপনার কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশের গাড়ি ঢুকতে পারে না।

সরকারি ওই খাস সম্পত্তি পুরোটাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন খান দখল করে দোকানসহ বাসাবাড়ি করে বছরের পর বছর ভাড়া দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম খোকন কাজী বলেন, সরকারি খাস জমি যার দখলেই থাকুক, উন্নয়নের স্বার্থে সে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

নাজিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন মিয়া বলেন, নাজিরপুর উপজেলা সদরের দৃশ্যমান সুন্দর্যবর্ধক প্রকল্প হিসেবে নাজিরপুর উপজেলা হেডকোয়াটার থেকে হুমায়ুন হাজরার বাড়ি পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ৪ কোটি টাকা ব্যয় হবে। তবে সড়কটি শুরু স্থান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে নদীর তীর পর্যন্ত প্রায় তিনশমিটার লম্বা ও ১শ মিটার চওড়া সরকারি খাস জমিটি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দখল করে অবৈধ স্থাপনা করে রেখেছে। সেগুলো অপসারণ না করায় ডিজাইন অনুযায়ি প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রকল্পের অন্য অংশের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাখাওয়াত জামিল সৈকত বলেন, যারা ওই জায়গা দখল করে আছে। তাদের ইতোমধ্যে নোটিশ করা হয়েছে এবং উচ্ছেদ মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন দখলকারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান সেই প্রভাবে তিনি নোটিশ পেয়ে তার অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছেন না। এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারি সম্পত্তি যেই অবৈধভাবে দখল করে রাখুক, আমরা যথাযথ আইনী প্রক্রিয়ায় তা উচ্ছেদের ব্যবস্থা করবো এবং তা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান বলেন, ওই জায়গাটি সরকারি খাস জমি। কে দখল করে মার্কেট করেছেন বা ভাড়া দিয়েছেন সেটা বড় বিষয় নয়। যারা বর্তমানে দখলে রয়েছেন তারাই অবৈধ দখলদার। ইতোমধ্যে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা জন্য উচ্ছেদ মামলা করে অনুমোদনের জন্য ডিসি অফিসে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদনের পর উচ্ছেদের জন্য ডিসি অফিস থেকেই ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে।

নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারেফ হোসেন খান বলেন, ওই সম্পত্তিটা আমার ক্রয় করা সম্পত্তি ছিলো। একপর্যায়ে সরকার অধিগ্রহণ করে নিলে আমি সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করি। কিন্তু আমি মামলায় হেরে যাই। পরে বাধ্য হয়ে সরকারের কাছে একসনা লিজ নিয়ে ভোগ দখলে আছি। তবে সরকার নতুন লিজ না দেয়ায় নাবায়ন করা সম্ভব হয়নি। উন্নয়নের জন্য কর্তৃপক্ষ আমাকে যতটুকু ছেড়ে দিতে বলবে আমি ছেড়ে দিবো।


আরও খবর



শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মাজারে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মাজারে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৮টায় সমাধিতে ফুল দিয়ে এ শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পরে আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় নেতারা।

ফুল দেওয়া শেষে কেন্দ্রীয় নেতারা এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজীসহ অনেকে।


আরও খবর
প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরছেন আজ

সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪




ইসরায়েলে হামলা: উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ইরানে মিছিল

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলে সরাসরি হামলায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মিছিল করেছে শত শত ইরানি নাগরিক। দেশটির বিভিন্ন স্থানে এই মিছিল হয়েছে।

ইসরায়েলে চালানো হামলা উদযাপন করতে অনেকেই জড়ো হন তেহরানে অবস্থিত ব্রিটিশ দূতাবাসের সামনে। সেখানে বহু মানুষকে ইরানের পতাকা হাতে দেখা যায়। তাছাড়া ফিলিস্তিনিরে বড় একটি পতাকা নিয়ে অনেকেই জড়ো হন তেহরানের ফিলিস্তিন স্কয়ারে।

প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা যায়, ফিলিস্তিন স্কয়ারের কাছে মোটরসাইকেলের পেছনে দাঁড়িয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াচ্ছেন একজন। এ সময় একজন ডামি বুলেট হাতে নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে তারা।

ইসরায়েলও হামলার তথ্য নিশ্চিত করে বলেছে, তেহরান হামলা শুরু করেছে।

ইরানের হামলা শুরু হওয়ার পরই তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলজুড়ে সতর্ক সংকেত বাজানো হয়। তবে ইরানের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের অধিকাংশই ভূ-পাতিত করা হয়েছে। এঘটনায় এখনো নিহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে অনেকেই আহত হয়েছেন।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানীতে ইরানি কনস্যুলেটে হামলায় ইরানের দুই জেনারেলসহ ১৩ জন নিহত হন। কেউ দায়ভার স্বীকার না করলেও এ হামলা ইসরায়েল চালিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এ ঘটনার পরপরই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেয় তেহরান।


আরও খবর
লেবানন থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা

সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪




নাশকতার তিন মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

নাশকতার তিন মামলায় হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হককে জামিন দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক এই আদেশ দেন।

মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল জানিয়েছেন, বুধবার মতিঝিল থানার মামলা ১৪(৫)১৩, পল্টন থানার মামলা ৮(৪)২১, পল্টন থানার মামলা ২৮(৪)২১ সহ তিনটি মামলায় মাওলানা মোহাম্মদ মামুনুল হককে জামিন দিয়েছেন আদালত।

নথি থেকে জানা গেছে, মাওলানা মামুনুল হক গত ২০২১ সালের ২১ এপ্রিল গ্রেপ্তার হয়ে তিন বছরের বেশি সময় জেল হাজতে আটক আছেন।


আরও খবর



মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সেনাদের ফেরত পাঠানো হবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মিয়ানমার থেকে সেনাবাহিনী তিন কর্মকর্তা পালিয়ে এসেছেন। খুব সহসাই তাদের নৌপথে ফেরত পাঠানো হবে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পালিয়ে আসা মিয়ানমারের তিনজন সেনাবাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে আছে। আগের থাকা বিজেপির ১৭৭ জনকে নৌপথে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মারমা ইতোমধ্যে প্রস্তাব করেছে। তাদের সঙ্গে এই তিনজনকেও ফেরত পাঠানো হবে।

বাংলাদেশি জাহাজের নাবিকদের উদ্ধারের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সোমালিয়ার জলদস্যুরদের সঙ্গে ইতোমধ্যে যোগাযোগ হয়েছে, তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। আলাপ আলোচনা মাধ্যমে আমার আশা করছি সহসাই আমাদের নাগরিকদের মুক্ত করতে পারব, জাহাজটিও মুক্ত করতে পারব।

তিনি আরও বলেন, আমাদের নাবিকরা সবাই ভালো আছে। তারা কেবিনে আছে। তাদের খাবারদাবারের কোনো সমস্যা নেই। নাবিকদের সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ এ পর্যন্ত করা হয় নাই।

আজ ভোরে মিয়ানমারের রাখাইনে বিদ্রোহীদের হামলায় টিকতে না পেরে জান্তা বাহিনীর আরও তিন সেনাসদস্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন।

বিজিবির সদস্যরা তাদের নিরস্ত্র করে তুমব্রু বিওপিতে নিয়ে যান। বান্দরবান জেলা প্রশাসক মো. মুজাহিদ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।


আরও খবর
প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরছেন আজ

সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪




রূপপুরে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সুযোগ থাকলে পাবনার রূপপুরে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করার জন্য রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন রোসাটমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে প্রধানমন্ত্রী এ অনুরোধ জানান।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনা চলমান প্রকল্পের কাজ শেষ করার পর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (আরএনপিপি) জায়গায় নতুন আরেকটি প্ল্যান্ট নির্মাণের আহ্বান জানিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, দুটি নতুন ইউনিট স্থাপনের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে প্রযুক্তিগত জরিপ করা দরকার। প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ান ফেডারেশনে আরএনপিপির প্রথম এবং দ্বিতীয় ইউনিটের স্পেন্ট নিউক্লিয়ার ফুয়েল’  ফিরিয়ে নেওয়ার সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

তার উত্তরে রোসাটম মহাপরিচালক রাশিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে আরএনপিপি’র প্রথম এবং দ্বিতীয় ইউনিটে ব্যয় করা পারমাণবিক জ্বালানি রাশিয়ান ফেডারেশনে ফেরত নেওয়ার আশ্বাস দেন।

বাংলাদেশ সরকার এবং রাশিয়ান ফেডারেশন সরকার ইতোমধ্যেই রাশিয়ান ফেডারেশনে আরএনপিপির ব্যয়িত পারমাণবিক জ্বালানি ফেরত দেওয়ার বিষয়ে একটি আন্তঃরাষ্ট্রীয় চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

শেখ হাসিনা জ্বালানি নিরাপত্তা বিশেষ করে বাংলাদেশে এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য রাশিয়াকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল এবং তা বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং এজন্য তিনি রাশিয়াকে ধন্যবাদ জানান।

শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালে রাশিয়ার সহায়তার কথা এবং এবং মুক্তিযুদ্ধের পর যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে দেশটির সহযোগিতার কথা স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় তাকে শুভেচ্ছা জানান।

আলেক্সি লিখাচেভ প্রধানমন্ত্রীকে আরএনপিপির অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন এবং বলেন যে, ২০২৫ সালের মধ্যে আরএনপিপি উৎপাদনে আসবে এবং জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুত যোগ করতে সক্ষম হবে। তিনি আরও বলেন, আরএনপিপির ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

রোসাটম মহাপরিচালক আরএনপিপি এলাকায় দুটি নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিট (ইউনিট-৩ ও ইউনিট-৪) নির্মাণের প্রস্তাবও দেন। তিনি বলেন, প্রথম দুটি ইউনিটের নির্মাণকাজ শেষ হলেই নতুন ইউনিট-৩ ও ইউনিট-৪-এর নির্মাণকাজ শুরু করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে আলেক্সি লিখাচেভ আরও বলেন, বিদ্যমান পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের সম্প্রসারণ আর্থিক দৃষ্টিকোণ থেকে এবং প্রযুক্তিগত ও পারমাণবিক নিরাপত্তার আলোকে অধিক লাভজনক এবং যুক্তিসঙ্গত যা আন্তর্জাতিকভাবে বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশি ও রাশিয়ানসহ প্রায় ২৫০০ কর্মী এই প্রকল্পে কাজ করছেন যারা তাদের দক্ষতা অর্জন করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী রোসাটম মহাপরিচালককে বিভিন্ন দেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে বাংলাদেশের দক্ষতা কাজে লাগাতে বলেন।

আলেক্সি লিখাচেভ বলেন, মহামারি এবং স্যাংশনের জন্য প্রতিবন্ধকতা ছিল। কিন্তু এরপরও স্বাভাবিক গতিতেই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৌশলগতভাবে এই বাধা এড়ানো গেছে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব মো. আলী হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বর্তমানে আরএনপিপি এলাকায় ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি ইউনিটের (১২০০ x ২ = ২৪০০ মেগাওয়াট) নির্মাণকাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। প্রথম ইউনিটের ফিজিক্যাল স্টার্ট-আপ এই বছরের ডিসেম্বরে শুরু হবে। আর ইউনিট-১ এবং ইউনিট-২ থেকে বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ২০২৫ এবং ২০২৬ সালে শুরু হবে।


আরও খবর
প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরছেন আজ

সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪