আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

নাজিরপুরে একসঙ্গে বিষপানে প্রেমিক-প্রেমিকার মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ এপ্রিল 20২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ এপ্রিল 20২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি:

পিরোজপুরের নাজিরপুরে তরুণ-তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। বিষপানে তাদের মৃত্যু হতে পারে বলে চিকিৎসক ধারণা করছে। এদিকে ওই তরুণ-তরুণীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

মারা যাওয়া তরুণীর নাম মারিয়া আক্তার (১৫)। তার বাড়ি নাজিরপুর উপজেলার উত্তর  কলারদোয়ানিয়া গ্রামে। অন্যদিকে মারা যাওয়া তরুণের নাম ইয়াছিন(১৭)। তার বাড়ি নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের উরিবুনিয়া গ্রামে।

উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসানাত ডালিম জানান, ইয়াছিনের ফুফার বাড়ি উত্তর কলারদোয়ানিয়া গ্রামে। ফুফার বাড়িতে আসা-যাওয়ার মধ্যে মারিয়ার সঙ্গে ইয়াসিনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মাঝে মধ্যে ইয়াসিন তার ফুফার বাড়িতে বেড়াতে আসতো। চারদিন আগে ইয়াছিন তার ফুফার বাড়ি বেড়াতে আসে। বৃহস্পতিবার মারিয়ার সঙ্গে ইয়াসিনের মনোমালিন্য হয়। এক পর্যায়ে মারিয়ার বাড়ির কাছে পুরাতন কবর স্থানের পাশেই দুজনে বিষপান করে। পরে তাদের চিৎকার আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে নাজিরপুর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. অসিত কুমার মিস্ত্রি জানান, মেয়েটিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ছেলেটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টার দিকে মারা যায়। বিষপানে তাদের মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, হাসপাতাল সূত্রে খবর পেয়ে মরদেহ দুটি থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পিরোজপুর মর্গে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে নাজিরপুর থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।


আরও খবর



বেইলি রোডে আগুন: নিহত ৩৮ জনকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গেছেন। এরমধ্যে ৪০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৮ জনের মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার (০১ মার্চ) সকাল ১১টা পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে এসব মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়। ঢাকা জেলা প্রসাশকের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম হেদায়েতুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

এদিকে আজ সকালে অগ্নিদগ্ধদের দেখতে হাসপাতালে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি জানান, অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জন মারা যান। আর অগ্নিদগ্ধ ১২ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে বার্ন ইউনিটে ১০ জন ও ঢাকা মেডিক্যালে দুইজন শঙ্কটাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন।


আরও খবর



মুক্তিপণে সন্তুষ্ট জলদস্যুরা, কততে নির্ধারিত হল জিম্মি জাহাজ ও ২৩ নাবিকের জীবন?

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদের আগেই মুক্তি পেতে যাচ্ছে সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া ২৩ বাংলাদেশি নাবিক। মুক্তির পর বিমানযোগে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। একই সঙ্গে কয়লাবাহী এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটিকেও দুবাইয়ে পৌঁছাতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে নাবিকদের আরেকটি দলকে। জলদস্যুদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার পর তাদের মুক্তিপণ দিয়েই ফিরিয়ে আনা হচ্ছে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটিকে।

জলদস্যুদের হাতে আটক জাহাজ ও নাবিকদের মুক্তিপণের বিষয়ে কথা বলতে এরই মধ্যে জাহাজে আনা হয়েছে ইংরেজি জানা দোভাষিকে। তার মাধ্যমেই জাহাজের মালিকপক্ষ কবীর গ্রুপের সাথে দর কষাকষি করে চূড়ান্ত হয়েছে মুক্তিপণ। ফলে যে কোনো মুহূর্তে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক। তবে কততে নির্ধারিত হয়েছে জিম্মি জাহাজ ও ২৩ নাবিকের জীবন তা এখনো জানা যায়নি।

জানা গেছে, মুক্তিপণ আলোচনায় সন্তুষ্ট হয়েই জলদস্যুরা বুধবার থেকে নাবিকদের কেবিনে থাকার পাশাপাশি জাহাজে কাজ করার সুযোগও দিচ্ছে। ঈদের আগেই নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে চায় বলে জানিয়েছেন কবীর গ্রুপের মুখপাত্র মিজানুল ইসলাম।

তিনি আরও জানান, জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পেলেই ২৩ নাবিককেই বিমানযোগে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে। আর জাহাজটিতে থাকা ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা দুবাইয়ের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে জাহাজের মালিক পক্ষ কবির স্টিল এরই মধ্যে ২৩ নাবিকের আরেকটি দলকে প্রস্তুত রেখেছে। তারাই নতুন করে এমভি আবদুল্লাহর দায়িত্ব নেবে।’

 সোমালি জলদস্যুদের ওপর যেমন নানামুখী চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিলো, তেমনি নাবিকদের অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে মুক্তিপণ দেয়ারও কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করছেন মেরিন বিশেষজ্ঞরা।

মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টায় জাহাজটিতে উঠে নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জাহাজটি চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন। পণ্যবাহী জাহাজটি কয়লা নিয়ে ভারত মহাসাগর হয়ে মোজাম্বিক থেকে আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। গন্তব্য ছিল দুবাই।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে একই গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি জাহান মণি ছিনতাই হওয়ার তিন মাস পর মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে এনেছিল গ্রুপটি। আবার কোনো জাহাজ ছয় থেকে আট মাস পর মুক্ত হওয়ার নজির রয়েছে। এদিক থেকে এবার বেশ দ্রুতই মুক্তিপণের আলোচনা হয়েছে। সে হিসেবে ঈদের আগেই সবাই মুক্তি পাবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।


আরও খবর



হাজারী গলিতে জেলা প্রশাসনের অভিযান

বিপুল পরিমাণ নস্ট ইনসুলিন ও টিটেনাস ভ্যাক্সিন জব্দ

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

হাজারী গলিতে তিনটি ঔষুদের দোকানে অভিযান চালিয়ে ৯ লাখ টাকার নস্ট ইনসুলিন ও টিটেনাস ভ্যাক্সিন জব্দ করা হয়েছে।

শনিবার (১৬ মার্চ) জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এবং কোতোয়ালি থানা পুলিশ যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করেন।

এসময় হাজারী গলির ছবিলা কমপ্লেক্সে অবস্থিত প্যাসিফিক ট্রেডার্স নামের একটি দোকান থেকে ৩ লাখ টাকার নস্ট ইনসুলিন জব্দ করা হয়।

প্রতিটি ইনসুলিন এর গায়ে ইনসুলিন ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করার নির্দেশনা থাকলেও কক্ষ তাপমাত্রায় ফেলে রাখা হয়েছিল ইনসুলিন গুলো, যার ফলে এগুলোর কার্যকরীতা অনেক আগেই নস্ট হয়ে গেছে।

মূলত বেশি লাভের আশায় ব্যবসায়ীরা সঠিক তাপমাত্রায় ইনসুলিনগুলো সংরক্ষণ না করে পাইকারি দরে বিক্রি করত। এসময় দোকান মালিক পল্লব বিশ্বাসকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এরপর একই অভিযোগে নিরুপমা ড্রাগ হাউজ এবং রাজীব ড্রাগ হাউজে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দুটি দোকান থেকে আনুমানিক আরো ৬ লাখ টাকার নস্ট ইনসুলিন জব্দ করা হয়।

পাশাপাশি রাজীব ড্রাগ হাউজে প্রচুর পরিমাণ টিটিনাস এর টিকা পাওয়া যায়, যেগুলোও ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা উচিত, কিন্তু ফেলে রাখা হয়েছে সাধারণ তাপমাত্রায়।


আরও খবর



আশুলিয়ায় জাল ডলারসহ ৩ প্রতারক আটক

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

ঢাকার আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়ে জাল ডলারসহ তিন প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচ ডলার ও ১০ ডলার মূল্যের বিপুল পরিমাণ জাল নোট উদ্ধার করা হয়।

রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে গ্রেফতার ব্যক্তিদের আশুলিয়া থানা থেকে ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে শনিবার রাতে আশুলিয়ার শ্রীপুর এলাকার মুক্তা সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে তাদেরকে আটক করে পুলিশ।

আটকরা হলেন সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানার রতনদিয়া এলাকার মরহুম নবাব আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী (৫৫), একই থানার চানতারা এলাকার মরহুম কাদের আলী শেখের ছেলে মজিবর রহমান (৩৫) ও ছোট মহারাজপুর এলাকার মরহুম আনোয়ার হোসেনের ছেলে সানোয়ার হোসেন (৪০)। তারা সবাই আশুলিয়ার কলতাসুতি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকত বলে জানা যায়।

পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কতিপয় জাল ডলার কারবারি জাল ডলার দিয়ে প্রতারণার উদ্দেশে আশুলিয়ার শ্রীপুর মুক্তা সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সামনে অবস্থান করছে। পরে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ জাল ডলারসহ তিনজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের হেফাজতে থাকা একটি কালো রঙের সাইড ব্যাগ থেকে ১০ ডলার মূল্যের ২২৯টি জাল নোট ও পাঁচ ডলার মূল্যের ২৩৩টি জাল নোট উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ আরো জানায়, আটকরা সঙ্গবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা পরস্পর যোগসাজসে প্রতারণামূলক নকল ইউএস ডলার দিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করত।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ আল মামুন বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। একইসাথে আজ তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ১৭ কিলোমিটার যানজট

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

Image

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বাড়তি পরিবহনের চাপের কারণে প্রায় ১৭ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন চালক ও যাত্রীরা। বুধবার (০৬ মার্চ) ভোর থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব হতে কালিহাতির রসুলপুর পর্যন্ত প্রায় ১৭ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়কের এলেঙ্গা হতে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব টোলপ্লাজা পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দুই লেনেই পরিবহনের চাপ রয়েছে। তবে এলেঙ্গা হতে ঢাকাগামী লেনে তেমন পরিবহন নেই। যানজটের কারণে উত্তরবঙ্গগামী এবং ঢাকাগামী পরিবহনগুলো এলেঙ্গা হতে ভুঞাপুর-তারাকান্দি-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার করে সেতু গোলচত্বর হয়ে চলাচল করছে।

মহাসড়কের এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর মো. সাজেদুর রহমান বলেন, যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশের সদস্যরা কাজ করছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট নিরসন হবে।


আরও খবর