আজঃ বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

নাজিরপুর আ.লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে আ.লীগ-কৃষকলীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রাহাত (পিরোজপুর)

Image

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোশারেফ হোসেন খান গণমাধ্যমে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিরুদ্ধে  মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য দিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের পক্ষে বক্তব্য প্রদানের  প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

আজ বুধবার বেলা ১১টায় নাজিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, মৎস্যজীবীলীগের নেতাদের স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম খোকন কাজী।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ০৮ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সন্ধ্যার কিছু আগে পিরোজপুর জেলা যুবদল, নাজিরপুর উপজেলা যুবদল ও বিএনপির সমন্বয়ে উশৃঙ্খল মিছিল শুরু করে। এসময় মিছিল থেকে প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগ সম্পর্কে শিষ্টাচারহীন স্লোগান দিতে থাকে। জঘন্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেয়।

উদ্ভুত পরিস্থিতিতে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নাজিরপুরের নেতাকর্মীরা ওই পরিস্থিতিতে প্রতিবাদ করে। বিএনপি-যুবদলের উল্লেখিত জঘন্য অশ্লিল স্লোগান এবং বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হতে বাধ্য হয়। প্রধানমন্ত্রীর নাম এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামকে বিকৃত করে অশ্লিল ভাষায় দেয়া স্লোগানের তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ জানায় ।

মিছিলকারী বিএনপি-যুবদল নেতা-কর্মীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপর আক্রমণ চালায়। এতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের অনেক নেতা কর্মীকে আহত হন। এসময় জেলা যুবদলের নেতৃত্বদানকারী রিয়াজ শিকদার প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের খুঁজতে থাকে। তার ঔদ্বত্যপূর্ণ বক্তব্যের ভিডিও একটি দৈনিকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়। রিয়াজ শিকদার গণমাধ্যমে দেয়া স্বাক্ষাতকারে তার দাম্ভিকতার সঙ্গে সব স্বীকার করেন।

এ সংবাদের একাংশে দেখা যায় নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোশারেফ হোসেন খান স্বাক্ষাতকার দিয়ে বলেন যে, ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির উপরে আক্রমনণ করেছে। তার এই বক্তব্য ছিল, যুবদলের পিরোজপুর জেলার যুগ্ম আহবায়ক রিয়াজ শিকদারের বক্তব্যের একইরূপ বক্তব্য। বিএনপি-যুবদল যে ভাষায় কথা বলেছেন, তিনিও (মোশারেফ) একই ভাষায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মীদের অভিযুক্ত করেছেন। প্রকৃত পক্ষে ঘটনাস্থলে মোশারেফ হোসেন খান উপস্থিত ছিলেন না। অথচ তিনি দোষ চাপিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মীদের উপর। যা, কার্যতঃ বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিএনপি-জামাত এর বক্তব্যের অনুকরণ। জনাব মোশারেফ হোসেন খান বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মীদের অভিযুক্ত করে বক্তব্য দানের মধ্য দিয়ে বিএনপি-জামাতকে সহায়তা করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খোকন কাজী বলেন, আমাদের কর্মীরা যুবদলের কুরুচিপূর্ণ শ্লোগান এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। আমরা তাদের (যুবদল)  উপর হামলা করিনি। বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, রুহুল কবীর রিজভী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ যেভাবে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে দোষারপ করে মিথ্যাচার করে চলেছেন তেমনি নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির মোশারেফ হোসেনের বক্তব্য তারই প্রতিধ্বনি। দলের ভিতরে ঘাপটি মেরে থেকে বিএনপি-জামাতের বক্তব্যের সমর্থনের দ্বারা মোশারেফ হোসেন খান দলের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন ।

উল্লেখ্য যে, তিনি (মোশারেফ) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অনুপ্রবেশকারী তথা হাইব্রীড। সামরিক স্বৈরাচার জেনারেল এরশাদের শাসনামলে তিনি উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে তার নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি ও পুলিশ কর্তৃক আওয়ামী লীগ- ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর নির্মম নির্যাতন চালায়। তিনি এক সময়ে বিএনপির স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিশেষ সখ্যতা সৃষ্টি করে নিজের অবস্থান ও ব্যবসা ঠিক রাখেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করে বর্তমান পদ বাগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে তার পুরানো দল জাতীয় পার্টি ও ব্যক্তিগত অনুসারীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে একটি ভিন্ন বলয় সৃষ্টি করছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে নাজিরপুরে বিএনপি-জামাত জোট একাধিকবার ভয়াবহ সন্ত্রাস সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মারধর করা সহ নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। এ জাতীয় ঘটনাতেও তার কোন ভূমিকা দেখা যায়নি। তিনি বিএনপি জামাত জোটের অপরাজনীতি, উশৃঙ্খলতা, সন্ত্রাস এবং আওয়ামী লীগ বিরোধী কর্মকাণ্ডে নীরব ভুমিকা পালন করে চলেছেন। এতে প্রতিয়মান হয় যে, তিনি আওয়ামী লীগের পদে অধিষ্ঠিত থেকে কার্যত বিএনপি-জামাতের কর্মকাণ্ডকে প্রকারন্তরে সমর্থন করে চলেছেন। এসময় উপস্থিত নেতা কর্মিরা মোশারেফ হোসেনকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দেয়া মিথ্যা স্বাক্ষাৎকার প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে বলেন।

সংবাদ সম্মেলন থেকে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও  কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।  অন্যথায় তারা তার (মোশারেফ) বিরুদ্ধে পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হবেন।

নিউজ ট্যাগ: নাজিরপুর

আরও খবর



কেউ ‘আন্টি’ বললে মামলা করবেন অভিনেত্রী!

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

পুষ্পার দৌলতে অভিনয় দুনিয়ায় বর্তমানে বেশ পরিচিত মুখ দক্ষিন ভারতীয় অভিনেত্রী অনসূয়া ভরদ্বাজ। সম্প্রতি দক্ষিণী অভিনেতা বিজয় দেবেরাকোন্ডার সংলাপ নিয়ে প্রকাশ্যে খোঁচা দিয়েছেন অনসূয়া। আর তাই অভিনেত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল করতে ছাড়েননি অভিনেতার ভক্তরা। অনেকে তাকে আন্টি বলেও কটাক্ষ করেন। এমনকি আন্টি শব্দটিকে রীতিমতো এক্সে (টুইটার) ট্রেন্ডে পরিণত করেন তারা। এবার আন্টি বলাতেই বেজায় চটেছেন অনসূয়া।

হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিনেত্রী অনসূয়া ভরদ্বাজ সাফ জানিয়েছেন এবার তাকে কেউ আন্টি বললে, তিনি তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে মামলা দায়ের করবেন।

নিজের বক্তব্য স্পষ্ট করে অনসূয়া ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, শব্দটি ভুল নয়। বাচ্চারা বা ছোটরা তাকে আন্টি বললে অসুবিধা নেই। কিন্তু যারা একই বয়সী তারাও ইচ্ছাকৃতভাবে এই শব্দ ব্যবহার করছেন এর অর্থটা অসম্মানজনক বলে মনে করেন তিনি।


অনুসূয়ার কথায়, আমি জানি না ট্রোলাররা মুখোমুখি হয়ে তাকে নিয়ে এমন মন্তব্য করার সাহস পাবে কিনা। কিন্তু, নারীদের প্রতি এভাবে ঘৃণা দেখানো অপরাধ। এছাড়া অনুসূয়া মনে করেন তাকে আক্রমণ করার জন্য বিজয় দেবেরাকোন্ডা ট্রোলারদের টাকা দেন।

এদিকে এই মুহূর্তে তার হাতে কোনও ছবি নেই। এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে অনসূয়া ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, তিনি একই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে চান না। চ্যালেঞ্জিং চরিত্রেই তিনি কাজ করতে আগ্রহী।

পুষ্পা: দ্য রাইজ, পুষ্পা: দ্য রুল ছাড়াও খুশি, ফ্ল্যাশব্য়াকমাইকেল, খিলাড়ি সহ দক্ষিণের একাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন অনসূয়া। অভিনয় করেছেন টেলিভিশনের পর্দাতেও।


আরও খবর



শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে জাপার ৩ নেতা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন বণ্টনের আলোচনার মধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতারা। আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় গণভবনে যান জাপার তিন নেতা।

জাপার একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্রটি জানায়, জাপা চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের, কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু গণভবনে গেছেন।

গত ২৭ নভেম্বর দলীয় প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮৭টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দলটি।

আরও পড়ুন>> জি এম কাদেরের সম্পদ বেড়েছে তিন গুণ, স্ত্রীর দ্বিগুণ

অন্যদিকে, গত ২৬ নভেম্বর দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।

ওবায়দুল কাদের ২৯৮ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছেন। নারায়ণগঞ্জ-৫ ও কুষ্টিয়া-২ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেননি তিনি। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য জাপার এ কে এম সেলিম ওসমান, কুষ্টিয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু।


আরও খবর



সোমবার মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানি

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রমনা মডেল থানায় করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন শুনানির জন্য আগামীকাল সোমবার দিন ধার্য রয়েছে।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে এ জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে গত ২ নভেম্বর তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।

গত ২৯ অক্টোবর এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মির্জা ফখরুলকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে এ মামলায় কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষ জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে বিএনপির নেতাকর্মীরা গাছের ডাল ভেঙে ও হাতের লাঠি দিয়ে নামফলক, গেটে হামলা চালায়। তারা ভেতরে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এ ঘটনায় মির্জা ফখরুলসহ ৫৯ বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।


আরও খবর



ইইউ না দিলেও এককভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে স্পেন

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন যদি স্বীকৃতি  না দেয়, তা হলে এককভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে স্পেন। শুক্রবার গাজার রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ে মিশরের দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।

সানচেজ মনে করেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং এর সদস্য দেশগুলোর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সময় এসেছে।

তিনি বলেন, আদর্শভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তত কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্র একসঙ্গে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে পারে। যদি সেটি না হয় তা হলে স্পেন একাই তার সিদ্ধান্ত নেবে।

সম্প্রতি স্পেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন সানচেজ। নির্বাচনের আগে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, নির্বাচনে জিতলে তিনি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেবেন।

আরও পড়ুন>> যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ঢুকছে ত্রাণবাহী ট্রাক

বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডি ক্রুর সঙ্গে ইসরাইল, ফিলিস্তিন ও মিশর সফর করেন সানচেজ। সফরের সময় উভয় নেতাই গাজার বেসামরিক জনগণের সুরক্ষা এবং ইসরাইলকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনকে সম্মান করার আহ্বান জানান।

তবে স্পেন ও বেলজিয়ামের এমন সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসরাইল। ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন বলেন, আমরা স্পেন এবং বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রীদের মিথ্যা দাবির নিন্দা জানাই, যারা সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন দিচ্ছেন। তার দাবি, ইসরাইল আন্তর্জাতিক আইন মানছে।

এদিকে শুক্রবার থেকে হামাস ও ইসরাইলের সম্মতিতে শুক্রবার থেকে চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে হামাস ২৫ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। আর ইসরাইল মুক্তি দিয়েছে ৩৯ ফিলিস্তিনিকে। এ ছাড়া গাজায় শুক্রবার ত্রাণবাহী ২০০ ট্রাক প্রবেশ করেছে।

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের গত ৭ অক্টোবরের আকস্মিক হামলায় ১৪০০ জন নিহত হয়েছে বলে জানায় ইসরাইল। তবে সম্প্রতি সেই সংখ্যা কমিয়ে ১২০০ করা হয়েছে। এ ছাড়া হামাস ইসরাইল থেকে ২৪০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে গেছে বলে জানায় নেতানিয়াহু প্রশাসন।


আরও খবর



চট্টগ্রামে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ৬৮৪টি আবাসিক ফ্ল্যাট উদ্বোধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম সিজিএস কলোনিতে জরাজীর্ণ ১১টি ভবনের স্থলে ৯টি বহুতল আবাসিক ভবনে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৬৮৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এসব প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে চট্টগ্রামে আগ্রাবাদস্থ সিজিএস কলোনির মাঠে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন গর্ণপূর্ত বিভাগ।

এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ৪৮২৯৩.৫৭ লক্ষ টাকা। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে তাদের জীবন যাত্রার মানোন্নয়নের উদ্দেশ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়েছে। সুউচ্চ ভবন নির্মাণের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় সকল প্রকার আধুনিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করায় আবাসন সমস্যা অনেকটাই পূরণ হবে। এতে শহরের শহরাঞ্চলের জমির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।

প্রকল্পের আওতায় ৬৫০ বর্গফুট বিশিষ্ট ২টি ২০ তলা ভবনে ১৫২টি ফ্ল্যাট, ৮৫০ বর্গফুট বিশিষ্ট ৪টি ২০ তলা ভবনে ৩০৪টি ফ্ল্যাট, ১০০০ বর্গফুট বিশিষ্ট ৩টি ২০ তলা ভবনে ২২৮টি ফ্ল্যাট সহ মোট ৬৮৪টি ফ্ল্যাট এবং ১টি কমিউনিটি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পের ৭৫ শতাংশ ফাঁকা জায়গায় সবুজ আচ্ছাদিত স্থান, মাত্র ২৫ শতাংশ স্থানে ভবনসমূহ নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পে মোট ৯৪৬০টি ফলজ, ঔষধি, বনজ এবং সৌন্দর্যবর্ধনকারী গাছসহ অসংখ্য ফুল গাছ রোপণ করা হয়। প্রকল্পের অন্যান্য সুবিধার মধ্যে রয়েছে খেলার মাঠ, হাঁটার জন্য ওয়াকওয়ে, ১টি মনোরম জলাধার ও এর চারপাশে বসা ও হাঁটার স্থান, ৩ তলা বিশিষ্ট কমিউনিটি ভবনে কমিউনিটি হল, গণপূর্ত সিভিল ও ই/এম এর রক্ষণাবেক্ষণ অফিস, নিজস্ব গভীর নলকূপ দ্বারা সুপেয় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা, সিসিটিভি দ্বারা সার্বক্ষণিক মনিটরিং ব্যবস্থা, সাব-স্টেশন এর ব্যবস্থা, ১টি ৫০০ কেভিএ ও ১টি ৪০০ কেভিএ ডিজেল জেনারেটরের ব্যবস্থা, ডিজেল জেনারেটরের ব্যবস্থা, আধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, প্রতিটি ফ্ল্যাটে পিএবিএক্স, ইন্টারকম এবং এলইডি বাতি ব্যবহার করা হয়েছে, সেন্ট্রাল ডাষ্টবিন ও ওয়েস্ট কালেকশন পয়েন্ট, প্রতিটি ভবনে সোলার প্যানেলের সংস্থান করা হয়েছে, প্রতিটি ভবনে তিনটি করে ৯টি ভবনে মোট ২৭টি এবং কমিউনিটি ভবনে একটি সহ মোট ২৮টি লিফট, স্যুয়েজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, জলাধার, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণাগার, পরিকল্পিত বৃক্ষ রোপণ, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, জ্বালানী গ্যাস সাশ্রয়ের জন্য রেটিকুলেটেড প্রি-পেইড এলপিজি গ্যাস সিস্টেমের ব্যবস্থা প্রভৃতি।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম শহরে পরিত্যক্ত বাড়িতে সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাট ও ডরমিটরি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৪৭৬৬০.৯৫ লক্ষ টাকা। সরকারি জমির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা, সরকারি রাজস্ব বৃদ্ধি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য মানসম্পন্ন আবাসন নিশ্চিত হওয়ায় সেবার মান বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা ও বেদখল হওয়া থেকে সরকারী জমি রক্ষা করা প্রকল্পটির উদ্দেশ্য। প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত অনুশাসন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সুবিধা উন্নীতকরণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে জানান গর্ণপূত বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা।

প্রকল্পের আওতায় ১৫০০ বর্গফুট ফ্ল্যাট বিশিষ্ট ১০টি ভবনে ৪১৪টি ফ্ল্যাট, ১২৫০ বর্গফুট ফ্ল্যাট বিশিষ্ট ৪টি ভবনে ১৬২টি ফ্ল্যাটসহ ৫৭৬টি ফ্ল্যাট এবং ১টি ভবনে ৬৪টি ডরমিটরি রুম (প্রতি ইউনিট ২৫০ বর্গফুট ফ্ল্যাট বিশিষ্ট) নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটির সর্বমোট ৪টি ভবনে ১৬০টি ফ্ল্যাট ও ৬৪টি ডরমিটরি রুম নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পের অন্যান্য সুবিধার মধ্যে রয়েছে সাব-ষ্টেশন, ভূগর্ভস্থ জলাধার, গভীর নলকূপ, সুয়েজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (এসটিপি), পাম্প হাউজ, অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা, কম্পাউন্ড ড্রেন, ভূমি উন্নয়ন, আরবরিকালচার/ ল্যান্ডস্ক্যাপিং, এলপিজি গ্যাস সংযোগ, সিকিউরিটি লাইট ও লাইটেনিং এরেস্টর, সিসিটিভি, জেনারেটর, অত্যাধুনিক ফায়ার হাইড্রেন্ট সিস্টেম ও সৌরবিদ্যুৎ, কমিউনিটি স্পেস, প্রতিটি ভবনে ২টি করে লিফট, প্রতিটি ভবনে টেলিফোন সংযোগ, ইন্টারকম, পিএবিএক্স, ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম, ইন্টারনেট সংযোগ, ওয়াকওয়ে, বসার স্থান, সুপরিসর সবুজ ব্যবস্থাসহ প্রভৃতি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম গণপূর্ত জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবুল খায়ের, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব মোহাম্মদ মোতাহার হোসেন, প্রকল্প পরিচালক ও চট্টগ্রাম গণপূর্ত সার্কেল-২ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুহম্মদ আশিফ ইমরোজ, চট্টগ্রাম গণপূর্ত সার্কেল-১ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বদরুল আলম খান, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোক্তার হোসেন দেওয়ান, চট্টগ্রাম গণপূর্ত ই/এম সার্কেল  তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ কায়কোবাদ, ২৭ নং ওয়ার্ড এলাকার কাউন্সিলর মো: শেখ জাফরুল হায়দার চৌধুরী, আবাসন পরিদপ্তরের উপ-পরিচালক, চট্টগ্রাম আইইবির সাধারণ সম্পাদকসহ চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগের সকল নির্বাহী প্রকৌশলী, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী, চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযুদ্ধ সংসদের কমান্ডার, চট্টগ্রাম জেলা মুক্তিযুদ্ধ সংসদের কমান্ডার, সিজিএস কলোনী এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।


আরও খবর