আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

নাজাতের ১০ দিনের আমল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

নাজাত শব্দের অর্থ মুক্তি। পবিত্র রমজান মাসে টানা ২০দিন সিয়াম সাধনার পর রোজাদার পরম প্রাপ্তির পর্যায়ে পৌঁছে যান। বান্দার জন্য জাহান্নামের আগুন ও শাস্তি থেকে মুক্তির চেয়ে বড় পাওনা আর কিছু নেই।

রমজানের শেষ দশ দিনকে বলা হয় নাজাতের দিন । রমজান মাসের এ শেষ দশকের বিশেষ ফযিলত রয়েছে। আছে বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য।

এগুলো হল :

(১) এ দশ দিনের মাঝে রয়েছে লাইলাতুল কদর নামের একটি রাত। যা হাজার মাস থেকেও শ্রেষ্ঠ। যে এ রাতে ঈমান ও ইহতিসাবের সাথে ইবাদত-বন্দেগি করবে তার অতীতের পাপগুলো ক্ষমা করে দেয়া হবে।

(২) নবী করিম রাসূলুলুল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ রাতে ইবাদত-বন্দেগিতে বেশি সময় ও শ্রম দিতেন, যা অন্য কোন রাতে দেখা যেত না। যেমন মুসলিম শরীফে আয়েশা রাদিআল্লাহু আনহা বর্ণিত হাদিসে এসেছে যে, তিনি এ রাতে কোরান তিলাওয়াত, জিকির, সালাত ও দুআর মাধ্যমে জাগ্রত থাকতেন এরপর সেহরি গ্রহণ করতেন।

(৩) রমজানের শেষ দশক আসলে রাসূলুলুল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরনের লুঙ্গি শক্ত করে নিতেন। রাত্রি জাগরণ করতেন এবং পরিবারের সকলকে জাগিয়ে দিতেন। যেমন বুখারি ও মুসলিমে আয়েশা রাদিআল্লাহু আনহা বর্ণিত হাদিসে এসেছে। তিনি এ দশদিনের রাতে মোটেই নিদ্রা যেতেন না। পরিবারের সকলকে তিনি এ রাতে ইবাদত-বন্দেগি করার জন্য জাগিয়ে দিতেন। রাসূলুল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম লুঙ্গি শক্ত করে নিতেন কথাটির অর্থ হল তিনি এ দিনগুলোতে স্ত্রীদের থেকে আলাদা হয়ে যেতেন।

(৪) এ দশদিনের একটি বৈশিষ্ট্য হল, রাসূলুল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ শেষ দশদিনে মসজিদে ইতেকাফ করতেন। প্রয়োজন ব্যতীত তিনি মসজিদ থেকে বের হতেন না।

আরও পড়ুন : যেসবকারণে রোজা ভাঙ্গে না

লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব

আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ রাতকে সকল রাতের চেয়ে শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা দিয়েছেন। তিনি তার কালামে এ রাতকে প্রশংসার সাথে উল্লেখ করেছেন। তিনি তাঁর কালাম সম্পর্কে বলতে গিয়ে ইরশাদ করেন :

إِنَّآ أَنزَلۡنَٰهُ فِي لَيۡلَةٖ مُّبَٰرَكَةٍۚ إِنَّا كُنَّا مُنذِرِينَ ٣ فِيهَا يُفۡرَقُ كُلُّ أَمۡرٍ حَكِيمٍ ٤ أَمۡرٗا مِّنۡ عِندِنَآۚ إِنَّا كُنَّا مُرۡسِلِينَ ٥ رَحۡمَةٗ مِّن رَّبِّكَۚ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡعَلِيمُ ٦ رَبِّ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ وَمَا بَيۡنَهُمَآۖ إِن كُنتُم مُّوقِنِينَ ٧ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ يُحۡيِۦ وَيُمِيتُۖ رَبُّكُمۡ وَرَبُّ ءَابَآئِكُمُ ٱلۡأَوَّلِينَ ٨ #الدخان: ٣، ٨]

নিশ্চয় আমি এটি নাজিল করেছি বরকতময় রাতে; নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। সে রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়, আমার নির্দেশে। নিশ্চয় আমি রাসুল প্রেরণকারী। তোমার রবের কাছ থেকে রহমত হিসেবে; নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। যিনি আসমানসমূহ, জমীন ও এ দুয়ের মধ্যবর্তী সব কিছুর রব; যদি তোমরা দৃঢ় বিশ্বাস পোষণকারী হও। তিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তিনিই জীবন দান করেন এবং তিনিই মৃত্যু দেন। তিনি তোমাদের রব এবং তোমাদের পিতৃপুরুষদের রব। [দুখান : ৩-৮]

আরও পড়ুন : ইফতারেরসময় করণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ দোয়া

বরকতময় রজনি হল লাইলাতুল কদর। আল্লাহ তাআলা একে বরকতময় বলে অভিহিত করেছেন। কারণ এ রাতে রয়েছে যেমন বরকত তেমনি কল্যাণ ও তাৎপর্য। বরকতের প্রধান কারণ হল এ রাতে আল-কোরান নাজিল হয়েছে। এ রাতে প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়-সিদ্ধান্ত লওহে মাহফুজ থেকে ফেরেশতাদের হাতে অর্পণ করা হয় বাস্তবায়নের জন্য। এ রাতের অপর একটি বৈশিষ্ট্য হল আল্লাহ তাআলা এ রাত সম্পর্কে একটি পূর্ণ সূরা অবতীর্ণ করেছেন। যা কিয়ামত পর্যন্ত পঠিত হতে থাকবে।

إِنَّآ أَنزَلۡنَٰهُ فِي لَيۡلَةِ ٱلۡقَدۡرِ ١ وَمَآ أَدۡرَىٰكَ مَا لَيۡلَةُ ٱلۡقَدۡرِ ٢ لَيۡلَةُ ٱلۡقَدۡرِ خَيۡرٞ مِّنۡ أَلۡفِ شَهۡرٖ ٣ تَنَزَّلُ ٱلۡمَلَٰٓئِكَةُ وَٱلرُّوحُ فِيهَا بِإِذۡنِ رَبِّهِم مِّن كُلِّ أَمۡرٖ ٤ سَلَٰمٌ هِيَ حَتَّىٰ مَطۡلَعِ ٱلۡفَجۡرِ ٥ #القدر: ١، ٥

নিশ্চয় আমি এটি আমি নাজিল করেছি লাইলাতুল কদরে। তোমাকে কিসে জানাবে লাইলাতুল কদর কী? লাইলাতুল কদর হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। সে রাতে ফেরেশতারা ও রূহ (জিবরাইল) তাদের রবের অনুমতিক্রমে সকল সিদ্ধান্ত নিয়ে অবতরণ করে। শান্তিময় সে রাত ফজরের সূচনা পর্যন্ত। [সূরা কদর : ১-৫]

এ সূরা থেকে যে বিষয়গুলো জানা গেল :

(১) এ রাত এমন এক রজনি যাতে মানবজাতির হেদায়াতের আলোকবর্তিকা মহা গ্রন্থ আল-কোরান অবতীর্ণ হয়েছে।

(২) এ রজনি হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। অর্থাৎ তিরাশি বছরের চেয়েও এর মূল্য বেশি।

(৩) এ রাতে ফেরেশতাগণ রহমত, বরকত ও কল্যাণ নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করে থাকে।

(৪) এ রজনি শান্তির রজনি। আল্লাহর বান্দারা এ রাতে জাহান্নামের শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে শান্তি অর্জন করে থাকে।

(৫) সময়ের প্রতি গুরুত্ব দেয়া। এ আয়াতগুলোতে অল্প সময়ে বেশি কাজ করার জন্য উৎসাহ প্রদান করা হল। যত সময় বেশি তত বেশি কাজ করতে হবে। সময় নষ্ট করা চলবে না।

(৬) গুনাহ ও পাপ থেকে ক্ষমা লাভ। এ রাতের এই ফযিলত সম্পর্কে বুখারি ও মুসলিম বর্ণিত হাদিসে এসেছে

مَنْ قَامَ لَيْلَةُ الْقَدْرِ إِيْمَانًا وَّاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ

যে ব্যক্তি ঈমান ও সাওয়াব লাভের আশায় কদরের রাতে নফল সালাত আদায় ও রাত জেগে ইবাদত করবে আল্লাহ তার ইতোপূর্বের সকল সগীরা (ছোট) গুনাহ ক্ষমা করেদেন। [বুখারি : ১৯০১; মুসলিম : ৭৬০]

আরও পড়ুন : কিয়ামতেরদিন সর্বপ্রথম যার বিচার করা হবে

লাইলাতুল কদর কখন ?

আল-কুরআনে নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি লাইলাতুল কদর কোন রাত। তবে কুরআনের ভাষ্য হল লাইলাতুল কদর রমজান মাসে। কিয়ামত পর্যন্ত রমজান মাসে লাইলাতুল কদর অব্যাহত থাকবে। এবং এ রজনি রমজানের শেষ দশকে হবে বলে সহি হাদিসে এসেছে। এবং তা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে হাদিসে এসেছে,

تَحَرُّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْعَشْرِ الأوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ

রমাযানের শেষ দশদিনে তোমরা কদরের রাত তালাশ কর। [বুখারি : ২০২০; মুসলিম : ১১৬৯]

এবং রমজানের শেষ সাত দিনে লাইলাতুল কদর থাকার সম্ভাবনা অধিকতর। যেমন হাদিসে এসেছে,

تَحَرُّوْا لَيْلَةُ الْقَدْرِ فِي الْوِتْرِ مِنَ الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ

তোমরা রমাযানের শেষ ১০ দিনের বেজোড় রাতগুলোতে কদরের রাত খোঁজ কর। [বুখারি : ২০১৭]

অধিকতর সম্ভাবনার দিক দিয়ে প্রথম হল রমজান মাসের সাতাশ তারিখ। দ্বিতীয় হল পঁচিশ তারিখ। তৃতীয় হল ঊনত্রিশ তারিখ। চতুর্থ হল একুশ তারিখ। পঞ্চম হল তেইশ তারিখ। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ রাতকে গোপন রেখেছেন আমাদের উপর রহম করে। তিনি দেখতে চান এর বরকত ও ফযিলত লাভের জন্য কে কত প্রচেষ্টা চালাতে পারে।

লাইলাতুল কদরে আমাদের কর্তব্য হল বেশি করে দুআ করা। আয়েশা রাদিআল্লাহু আনহা নবী করিম রাসূলুলুল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেন, লাইলাতুল কদরে আমি কি দুআ করতে পারি? তিনি বললেন, বলবে

اللَّهُمَّ إِنَّكَ عُفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي

হে আল্লাহ, আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমাকে ভালোবাসেন, অতএব আমাকে ক্ষমা করুন। [তিরমিযি : ৩৫১৩]

ইতেকাফ :

ইতেকাফ হল সকল কাজ থেকে মুক্ত হয়ে আল্লাহর ইবাদতের জন্য মসজিদে অবস্থান করা। এটা হল সুন্নত। আয়েশা রাদিআল্লাহু আনহা বলেন :

«أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَانَ يَعْتَكِفُ العَشْرَ الأَوَاخِرَ مِنْ رَمَضَانَ حَتَّى تَوَفَّاهُ اللَّهُ، ثُمَّ اعْتَكَفَ أَزْوَاجُهُ مِنْ بَعْدِهِ»

রাসূলুল্লাহ রাসূলুলুল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজান মাসের শেষ দশকে মসজিদে ইতেকাফ করতেন। যতদিন না আল্লাহ তাকে মৃত্যু দান করেছেন ততদিন তিনি এ আমল অব্যাহত রেখেছেন। তার ইন্তেকালের পর তার স্ত্রী-গণ ইতেকাফ করেছেন। [বুখারি : ২০২৫]

ইতেকাফের উদ্দেশ্য :

মানুষের ঝামেলা থেকে দূরে থেকে আল্লাহ তাআলার ইবাদতে একাগ্রচিত্তে নিয়োজিত হওয়া। এ লক্ষ্যে কোন মসজিদে অবস্থান করে আল্লাহর তরফ থেকে সওয়াব ও লাইলাতুল কদর লাভ করার আশা করা। ইতেকাফকারীর কর্তব্য হল অনর্থক কথা ও কাজ পরিহার করে সালাত, কোরান তিলাওয়াত, জিকির-আজকার, ইস্তিগফার, দুআ ইত্যাদি ইবাদত-বন্দেগিতে লিপ্ত থাকা। তবে পরিবার পরিজন বা অন্য কারো সাথে অতিপ্রয়োজনীয় কথা বলতে দোষ নেই। ইতেকাফকারী নিজ অন্তরকে সর্বদা আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত রাখতে চেষ্টা করবে। নিজের অবস্থার দিকে খেয়াল করবে। আল্লাহর আদেশ-নিষেধ পালনের ব্যাপারে নিজের অলসতা ও অবহেলা করার কথা মনে করবে। নিজের পাপাচার সত্ত্বেও আল্লাহ যে কত নেয়ামত দিয়েছেন তা স্মরণ করে তার প্রতি কৃতজ্ঞ হবে। গভীরভাবে আল্লাহর কালাম অধ্যয়ন করবে। খাওয়া-দাওয়া, নিদ্রা ও গল্প গুজব কমিয়ে দেবে। কেননা এ সকল কাজ-কর্ম আল্লাহর স্মরণ থেকে অন্তরকে ফিরিয়ে রাখে। অনেকে ইতেকাফকে অত্যধিক খাওয়া-দাওয়া ও সাথিদের সাথে গল্প-গুজব করে সময় কাটানোর সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে থাকেন। এতে ইতেকাফের ক্ষতি হয় না বটে তবে আল্লাহর রাসূলের ইতেকাফ ছিল অন্য রকম।

ইতেকাফ অবস্থায় স্ত্রী সহবাস, চুম্বন, স্পর্শ নিষেধ। যেমন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন :

وَلَا تُبَٰشِرُوهُنَّ وَأَنتُمۡ عَٰكِفُونَ فِي ٱلۡمَسَٰجِدِۗ #البقرة: ١٨٧

তোমরা মসজিদে ইতেকাফরত অবস্থায় স্ত্রীদের সাথে মিলিত হবে না। [সূরা আল-বাকারা : ১৮৭]

শরীরের কিছু অংশ যদি মসজিদ থেকে বের করা হয় তাতে দোষ নেই। নবী করিম রাসূলুলুল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইতেকাফ অবস্থায় নিজ মাথা মসজিদ থেকে বের করতেন। তখন আম্মাজান আয়েশা রা. তাঁর মাথার চুল বিন্যস্ত করে দিতেন।

ইতেকাফ অবস্থায় মসজিদ থেকে বের হওয়ার বিধান :

ইতেকাফ অবস্থায় মসজিদ থেকে বের হওয়া তিন ধরনের হতে পারে :

এক. মানবীয় প্রয়োজনে বের হওয়ার অনুমতি আছে। যেমন পায়খানা, প্রস্রাবের জন্য, খাওয়া-দাওয়ার জন্য, পবিত্রতা অর্জনের জন্য। তবে শর্ত হল এ সকল বিষয় যদি মসজিদের গণ্ডির মাঝে সেরে নেয়া যায় তবে মসজিদ থেকে বের হওয়া যাবে না।

দুই. এমন সকল নেক আমল বা ইবাদত-বন্দেগির জন্য বের হওয়া যাবে না যা তার জন্য অপরিহার্য নয়। যেমন রোগীর সেবা করা, জানাজাতে অংশ নেয়া ইত্যাদি।

তিন. এমন সকল কাজের জন্য মসজিদ থেকে বের হওয়া যাবে না যা ইতেকাফের বিরোধী। যেমন ক্রয়-বিক্রয়, চাষাবাদ ইত্যাদি। ইতেকাফ অবস্থায় এ সকল কাজের জন্য মসজিদ থেকে বের হলে ইতেকাফ বাতিল হয়ে যায়।


আরও খবর
ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




রেলের ২৩ হাজার একর জমি বেদখলে: রেলমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, রেলের আওতাধীন জমি দখলমুক্ত করার কাজ শুরু করেছি। ভুয়া কাগজ তৈরি করে অনেকেই রেলের জমি ভোগ দখল করছেন। সারাদেশে এ রকম ২৩ হাজার একর জমি আছে, যেগুলো বেদখল হয়ে গেছে। ধাপে ধাপে সব দখলদারকে উচ্ছেদ করা হবে।’

শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে রাজবাড়ি জেলার পাংশা উপজেলা পরিষদের হল রুমে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

জিল্লুল হাকিম বলেন, ঢাকায় একেকটি জমির মূল্য ১০০ কোটি টাকার ওপরে। বঙ্গবাজারের মতো জায়গাসহ ঢাকার ১১টি বড় স্থান রেলের, যেগুলো বেদখল হয়ে আছে। একটি স্বায়িত্বশাসিত সংস্থা বঙ্গবাজারে মার্কেট নির্মাণ করতে চাইছিল। আমি দ্বায়িত্ব পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে ওইসব মার্কেটের কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। রেলের জমি ভোগ করলে প্রথমে রেলের জমিদারি দখলত্ব মানতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, রেলের জায়গা পুনরুদ্ধারের জন্য আমি আমার নিজের নির্বাচনী এলাকা রাজবাড়ী-২ থেকে শুরু করেছি। এরই মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। রেলের কার্যক্রমকে বেগবান করার জন্য রেল ভবনসহ স্থাপনা তৈরিতে রেলের প্রচুর জমির প্রয়োজন। যে কারণে দ্রুতই সারাদেশে অভিযান শুরু হবে। একটি মহল রেলের জমি দখল করে ভুয়া কাগজ তৈরি করেছে তারাও পার পাবে না। জেলা প্রশাসনসহ রেলের লোকজনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যাদের সঠিক কাগজপত্র আছে সেগুলো যাচাই-বাছাই করে অবৈধদখল মুক্ত করা হবে।’

রেলমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সবচেয়ে কম টাকায় যাতায়াতের বাহন রেলকে ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়া চলমান আছে। ভাঙ্গা থেকে পায়রা বন্দরের নতুন রেললাইনের কাজ দ্রুত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রেলের সুদিন ফিরিয়ে আনতে নতুন নতুন কোচ, ইঞ্জিন আমদানি করা হয়েছে। জনবল বাড়াতে নিয়োগ কার্যক্রম চলমান আছে।’

সভায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সফিকুল মোরশেদ আরুজ, রেলওয়ে পশ্চিমের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুজ্জামান, পাংশা উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



সমুদ্রের নিচে মিলল বুর্জ খলিফার তিনগুণ উঁচু পর্বত

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সমুদ্রের নিচে অন্তত চারটি নতুন পর্বত খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যেগুলোর উচ্চতা পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু ভবন হিসাবে বিখ্যাত দুবাইয়ের বুর্জ খলিফার তিনগুণ।রোববার (৩ মার্চ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে শ্মিট ওশান ইনস্টিটিউটের (মার্কিন সমুদ্রবিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠান) গবেষকরা গুয়াতেমালার উপকূলে সমুদ্রের বেড ম্যাপ করার সময় চারটি পর্বত আবিষ্কার করেন। যেগুলোর গুলোর উচ্চতা প্রায় ১ হাজার ৫৯১ মিটার থেকে প্রায় ২ হাজার ৬৮১ মিটার পর্যন্ত। যা বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন বুর্জ খলিফার উচ্চতার তিনগুণ বেশি। চারটি পর্বতের মধ্যে সবচেয়ে উঁচু পর্বতটির উচ্চতা ২ দশমিক ৫ কিলোমিটারেরও বেশি বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

গবেষকদের একজন জন ফুলমার বলেছেন, আমরা সৌভাগ্যবান যে স্যাটেলাইট অলটাইমেট্রি ডেটাতে মাধ্যাকর্ষণ অসঙ্গতিগুলো ব্যবহার করে আমরা একটি সুবিধাজনক ম্যাপিং রুট পরিকল্পনা করতে সক্ষম হয়েছি।

শ্মিট ওশান ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত সমুদ্রতলের ১৫ লাখ বর্গকিলোমিটার এলাকা জরিপ করেছেন। এর আগে, গত বছরের নভেম্বরে গুয়াতেমালা উপকূলে ১৬০০ মিটার উঁচু আরও একটি পর্বত খুঁজে পেয়েছিলেন তারা। এ ছাড়া ওই অঞ্চলগুলোতে মোট ২৯টি পাহাড়, পর্বত এবং গভীর খাদ শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা।

নিউজ ট্যাগ: বিজ্ঞানী

আরও খবর



প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের জানাজায় বিএনপি নেতা চাঁদ

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

আড়াই ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের জানাজায় অংশ নিয়েছেন রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক ও চারঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাঈদ চাঁদ।

রোববার দুপুরে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের মাড়িয়ায় নিজ গ্রামে মায়ের জানাজায় অংশ নেন তিনি।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল জানান, মায়ের মৃত্যুর পর জানাজায় অংশ নিতে আবু সাঈদ চাঁদ আবেদন করেন। মানবিক কারণে আবেদনটি বিবেচনায় নিয়ে আড়াই ঘণ্টার জন্য তাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। বেলা ১২টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় তাকে মায়ের জানাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুর ২টা ১৬ মিনিটে তাকে আবারো কারাগারে নেওয়া হয়।

গত বছর বিএনপির এক সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে আবু সাঈদ চাঁদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় তার বিরুদ্ধে মামলা হতে থাকে। এ অবস্থায় আত্মগোপনে থাকা চাঁদকে গত বছরের ২৫ মে গ্রেফতার করে রাজশাহী মহানগর পুলিশ। সেই থেকে বিএনপির এই নেতা কারাগারেই রয়েছেন।

এরই মধ্যে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার আলাদা একটি মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন তিনি। আবু সাঈদ চাঁদ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিরও সদস্য। তার বিরুদ্ধে এখন প্রায় শতাধিক মামলা রয়েছে। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদ বিএনপির প্রার্থী হিসেবে কারাগার থেকেই রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।


আরও খবর



দেশে ফিরেই শুটিংয়ে নুসরাত ফারিয়া

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

গত মাসে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল নুসরাত ফারিয়াকে। এর ঠিক দুই দিন পরই কাজে ফিরেছিলেন। চিকিৎসক তখন জানিয়েছিলেন- ফারিয়াকে কয়েক দিন বিশ্রাম নিতে হবে, নইলে পুরোপুরি সুস্থ হতে পারবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে অবকাশ যাপনের জন্য তুরস্কে যান নায়িকা। দেশটির রাজধানী ইস্তান্বুলে ১০ দিন কাটিয়ে ৩ মার্চ ঢাকায় ফেরেন তিনি। ফিরেই নেমে পড়েছেন শুটিংয়ে। ফারিয়া বলেন, এখন আমি পুরোপুরি সুস্থ। দেশে ফিরেই আর সময় নষ্ট করতে চাইনি। চলে এসেছি শুটিং ফ্লোরে।’ তবে কিসের শুটিং- তা জানাতে চাননি ফারিয়া।

এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়লে দ্রুত রাজধানীর বনানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ফারিয়াকে। অসুস্থতার পর সম্প্রতি তাকে ব্রাইডাল কোম্পানির একটি ফটোশুটে দেখা গেছে। তথ্য অনুযায়ী, এই কাজটি করেই তুরস্কে উড়াল দেন নায়িকা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যে বেশ কিছু ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি। যেসব ছবিতে দেখা যায়, ফারিয়া ভ্যাকেশন মুডে ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: নুসরাত ফারিয়া

আরও খবর



এমভি আবদুল্লাহর ওপর নজর রাখছে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সোমালিয়ান দস্যুরা জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগে সাহায্য চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন এমভি আব্দুল্লাহর ক্যাপ্টেন।

আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, সাহায্যের আবেদন পেয়ে জাহাজটির কাছে প্রথমে তাদের একটি নজরদারি বিমান গিয়েছিল। কিন্তু ওইদিন (১২ মার্চ) বিমানটি নাবিকদের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেনি। মূলত এমভি আব্দুল্লাহ থেকে কোনো উত্তর দেওয়া হয়নি তাদের।

এরপর ছিনতাই হওয়া জাহাজটিকে গতকাল অবরুদ্ধ করে তাদের যুদ্ধজাহাজ। তখন নাবিকদের অবস্থান ও পরিস্থিতি নিরূপণ করে যুদ্ধজাহাজটি। কিন্তু দস্যুদের কিছু করতে পারেনি ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ। ফলে ছিনতাই হওয়া জাহাজটির পিছু নেয় ভারতীয় নৌ সেনারা। সোমালিয়ার জলসীমায় পৌঁছানো পর্যন্ত বাংলাদেশি জাহাজটির কাছাকাছি অবস্থান করে ভারতের যুদ্ধজাহাজ।

বাংলাদেশ সময় গত মঙ্গলবার দুপুরে জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে কেবিনে আটকে রাখা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জাহাজের ইন্টারনেট সংযোগও। ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে নাবিকদের কাছে থাকা মোবাইল, সঙ্গে থাকা ডলার।

জাহাজটি ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।


আরও খবর