আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

নাইট্রোজেন গ্যাসে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করায় জাতিসংঘের নিন্দা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা অঙ্গরাজ্যে খুনি কেনেথ ইউজিন স্মিথকে নাইট্রোজেন গ্যাসে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবার স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিতর্কিত পদ্ধতিতে এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তবে জাতিসংঘ, ইইউ এবং মৃত্যুদণ্ড বিরোধী কর্মীরা নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করে প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নিন্দা জানিয়েছে।

কেনেথ ইউজিন স্মিথকে বৃহস্পতিবার রাতে আলাবামার অ্যাটমোরে একটি রাষ্ট্রীয় উইলিয়াম সি. হলম্যান কারেকশনাল ফ্যাসিলিটিকারাগারে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

১৯৯৬ সাল থেকে কারাগারে বন্দি ছিলেন স্মিথ। কেনেথ ইউজিন স্মিথ ১৯৮৯ সালে এক ধর্ম যাজকের স্ত্রী এলিজাবেথ সেনেটকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন। এলিজাবেথ সেনেটকে খুন করার জন্য কেনেথ স্মিথ এবং তাঁর এক সহযোগীকে ভাড়া করেছিলেন সেনেটের স্বামী চার্লস সেনেট। আইনজিবীরা বলেছেন, স্ত্রীর বিমার টাকা পেতে এ ষড়যন্ত্র করেছিলেন চার্লস।

পরে তিনি আত্মহত্যা করেন। এ হত্যার ঘটনায় স্মিথের সহযোগীকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। সেনেটকে ফায়ারপ্লেসে ব্যবহৃত একটি সরঞ্জামি দিয়ে পিটিয়ে, বুকে এবং ঘাড়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছিল। বাড়ির এমন অবস্থায় করে রেখে যাওয়া হয়েছিল যেনো মনে হয় সেখানে চুরির ঘটনা ঘটেছে।

মৃত্যুদণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী একজন সাংবাদিক বলেছেন, গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ৫৩ মিনিটের দিকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হয়। রাত ৮টা ২৫ মিনিটের দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। মৃত্যুদণ্ড প্রত্যক্ষকারী পাঁচজন সাংবাদিকের একজন বলেছেন, তিনি এতোদিন যা দেখেছেন তা থেকে এই পদ্ধতি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। আলাবামার সাংবাদিক লি হেজেপেথ বলেছেন, আমি এর আগে চারটি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে দেখেছি এবং কেনেথ স্মিথকে নাইট্রোজেন গ্যাস দেওয়া শুরু হলে তিনি যেভাবে এর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন, তা আমি কখনোই কোনো কয়েদির ক্ষেত্রে দেখিনি। তিনি আরো বলেন, স্মিথ বারবার নিশ্বাস নেওয়ার জন্য হাঁপিয়ে উঠছিলেন এবং মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে মোট প্রায় ২৫ মিনিট সময় লেগেছিল।'

নাইট্রোজেন গ্যাস শরীরে প্রবেশ করলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। মৃত্যুদণ্ড তথ্য কেন্দ্রের মতে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিটি আগে কখনো ব্যবহার করা হয়নি। আলাবামার কর্মকর্তারা এর আগে আদালতে বলেছিলেন, স্মিথ সেকেন্ডের মধ্যে জ্ঞান হারাবেন এবং কয়েক মিনিটের মধ্যে মারা যাবেন। তবে স্মিথের একজন উপদেষ্টা রেভারেন্ড জেফ হুড মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবার পর বলেন,আমি মনে করি যারা পুরো প্রক্রিয়াটি প্রত্যক্ষ করেছেন, তারা সবাই জানেন দুই বা তিন সেকেন্ডের মধ্যে আমরা তাঁকে অজ্ঞান হতে দেখিনি। হুড আরো বলেন, আমরা যা দেখেছি তা হলো, বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টা। ওই রুম উপস্থিত কর্মকর্তারাও অবাক হয়েছিলেন, এই পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া কতটা ভয়ংকর।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেছেন, নাইট্রোজেন গ্যাসের মাধ্যমে শ্বাসরোধ করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পদ্ধতিটি  নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ, নির্যাতন করার সমান। তিনি বিষয়টি নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এদিকে এক বিবৃতিতে ইইউ কর্মকর্তারা নাইট্রোজেন গ্যাস নিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়াকে নিষ্ঠুর এবং অস্বাভাবিক শাস্তি বলে অভিহিত করেছেন।

রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। আলাবামা ডিপার্টমেন্ট অফ কারেকশনের কমিশনার জন হ্যাম বলেছেন, ধারণা করা হচ্ছে স্মিথ যতক্ষণ পেরেছেন তাঁর শ্বাস আটকে রেখেছিলেন। তিনি আরো বলেন, অস্বাভাবিক নড়াচড়া এবং শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে দেখা যায় তাঁকে। মৃত্যুদণ্ডের পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এগুলো সবই প্রত্যাশিত ছিল এবং আমরা নাইট্রোজেন হাইপোক্সিয়া নিয়ে গবেষণায় যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কথা জেনেছি তাঁর মধ্যে সবই ছিল।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বাইডেন প্রশাসন মৃত্যুদণ্ড  খুবই উদ্বেগজনক বলে মনে করে। একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে স্মিথের শেষ কথা ছিল, আজ রাতে আলাবামা মানবতাকে এক ধাপ পিছিয়ে নিয়ে গেছে। আমি ভালবাসা, শান্তি এবং আলো নিয়ে চলে যাচ্ছি। আমাকে সমর্থন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনাদের সবাইকে ভালবাসি। তিনি সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে আই লাভ ইউ সাইনও তৈরি করেছিলেন বলে সাংবাদিকরা জানিয়েছেন।

হত্যাকাণ্ডের শিকার সেনেটের ছেলে মাইক সেনেট বলেছেন,স্মিথ তাঁর ঋণ পরিশোধ করেছেন। তিনি বলেন, আজ এখানে যা ঘটেছে তা তাঁর মাকে ফিরিয়ে আনবে না। তবে আমরা আনন্দিত যে, এই দিনটি শেষ হয়েছে। একটি বিবৃতিতে স্মিথের আইনী দল বলেছে, তারা এ ঘটনায় অত্যান্ত দুঃখিত। তিনি তাঁর জীবন বাঁচানোর জন্য আপিল করেছিলেন কিন্তু একজন বিচারক তাঁর সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য করেছেন।

এর আগেও ২০২২ সালে আলাবামা প্রাণঘাতী ইনজেকশন দিয়ে স্মিথের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছিল। তখন দণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়। ২০২৩ সালের মে মাসেও দ্বিতীয় দফায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রচেষ্টা চালানোর এ সিদ্ধান্তকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন স্মিথ। এরপর অঙ্গরাজ্যটির গভর্নর কে আইভি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া নতুন করে পর্যালোচনা করার ঘোষণা দেন এবং এর কয়েক মাস পর নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগ করে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) আলাবামা স্মিথ শেষ ৪৮ ঘণ্টা কীভাবে কাটিয়েছেন তার বিররণ প্রকাশ করা হয়েছে। স্মিথকে তাঁর পরিবারের সদস্য, দুই বন্ধু, তার একজন উপদেষ্টা ও আইনজিবীর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়। তিনি দুটি বিস্কুট, ডিম, আঙ্গুরের জেলি, আপেল সস এবং কমলার জুস দিয়ে নাস্তা করেন। তাঁর শেষ খাবার ছিল স্টেক এবং ডিম।


আরও খবর



৫১ শতাংশ কারখানা এখনো মার্চের বেতন দেয়নি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারঘোষিত ছুটি শুরু হওয়ার একদিন আগেও দেশের ৫১ শতাংশের বেশি মিল-কারখানা এখনো কর্মচারীদের মার্চের বেতন পরিশোধ করতে পারেনি। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে।

তাদের তথ্যে দেখা গেছে, ৯ হাজার ৪৬৯ কারখানার মধ্যে ৪ হাজার ৮৪৯টি সোমবার পর্যন্ত মার্চের বেতন পরিশোধ করতে পারেনি। অর্থাৎ ৫১ দশমিক ২১ শতাংশ কারখানা এখনো মার্চের বেতন দেয়নি।

ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের তথ্যানুযায়ী, গতকাল পর্যন্ত ৪৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ বা চার হাজার ৬২০টি মিল ও কারখানা মার্চের বেতন পরিশোধ করেছে। কারখানা ও মিলগুলো আশুলিয়া, সাভার, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট ও নরসিংদীর শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত।

অন্যদিকে, ঈদের আগে বোনাস পরিশোধ করেছে ৮১ দশমিক ৩৫ শতাংশ কারখানা, যেখানে ১৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ বা এক হাজার ৭৬৬টি মিল-কারখানা এখনো বোনাস দেয়নি।

এক বিবৃতিতে শিল্প পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় ১১৬টি মিল ও কারখানা ঈদের ছুটি ঘোষণা করবে না এবং ৩৫ দশমিক ৭১ শতাংশ বা তিন হাজার ৩৮১টি মিল ও কারখানা ইতোমধ্যেই ছুটি ঘোষণা করেছে। গতকাল পর্যন্ত ৬৩১টি মিল ও কারখানা বন্ধ ছিল এবং ৭১টি আংশিকভাবে খোলা ছিল।

গত ২৭ মার্চ শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী ঈদের ছুটি শুরুর আগে শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস পরিশোধ করতে শিল্প মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান।

শ্রম মন্ত্রণালয়ে জাতীয় ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। তখন কোনো নির্দিষ্ট তারিখের কথা না বললেও ঈদের সরকারি ছুটি শুরুর আগেই অর্থ পরিশোধ করার কথা বলেন তিনি।


আরও খবর



দক্ষিণ গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে ইসরায়েল

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুদ্ধের ছয়মাস পর খান ইউনিসসহ দক্ষিণ গাজা উপত্যকা থেকে স্থল সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। তবে উপত্যকাটির অন্য অঞ্চলগুলোতে তাদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেনা কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে তারা।

যুদ্ধাবস্থার মধ্যে বিচ্ছিন্নতার মাত্রা, সময়কাল সম্পর্কে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদনের মধ্যে দক্ষিণ গাজা উপত্যকা থেকে স্থল সৈন্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় ইসরায়েল।

রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।

রোববার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, আইডিএফ-৯৮ কমান্ডো ডিভিশন খান ইউনিসে নিজেদের মিশন শেষ করেছে। এ বাহিনীর গাজা ছেড়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য, ভবিষ্যতের অভিযানের জন্য প্রস্তুত ও পুনরুদ্ধার করা।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আইডিএফ-১৬২ কমান্ডো ডিভিশন ও নাহাল ব্রিগেডের নেতৃত্বে একটি উল্লেখযোগ্য বাহিনী গাজা উপত্যকায় কাজ করে চলেছে। আইডিএফ তাদের কাজের স্বাধীনতা ও সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা ভিত্তিক অপারেশন পরিচালনার ক্ষমতা রক্ষা করবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি সেনা। তবে বিশদ বিবরণ না দিলেও রয়টার্সকে তারা একটি ব্রিগেড গাজায় রেখে দেওয়া কথা জানিয়েছে। একটি ইসরায়েলি ব্রিগেড সাধারণত কয়েক হাজার সৈন্য দ্বারা গঠিত।

এদিকে খান ইউনিস থেকে সেনা প্রত্যাহার হলেও দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে দীর্ঘ ও হুমকিপূর্ণ অনুপ্রবেশ বিলম্বিত হবে কিনা, সেটি স্পষ্ট হয়নি। কেননা, ইসরায়েল শুরু থেকেই হামাসকে নির্মুলের কথা বলে আসছেন।

অন্যদিকে দক্ষিণ গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের আংশিক প্রত্যাহারের বিষয়ে হোয়াইট হাউসের মন্তব্য যে, সিদ্ধান্তটি সম্ভবত সৈন্যদের "বিশ্রাম ও সংস্কার" করার একটি সুযোগ হতে পারে।


আরও খবর



নাশকতার তিন মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

নাশকতার তিন মামলায় হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হককে জামিন দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক এই আদেশ দেন।

মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল জানিয়েছেন, বুধবার মতিঝিল থানার মামলা ১৪(৫)১৩, পল্টন থানার মামলা ৮(৪)২১, পল্টন থানার মামলা ২৮(৪)২১ সহ তিনটি মামলায় মাওলানা মোহাম্মদ মামুনুল হককে জামিন দিয়েছেন আদালত।

নথি থেকে জানা গেছে, মাওলানা মামুনুল হক গত ২০২১ সালের ২১ এপ্রিল গ্রেপ্তার হয়ে তিন বছরের বেশি সময় জেল হাজতে আটক আছেন।


আরও খবর



কানাডায় শিখনেতা হত্যাকাণ্ডে তিন ভারতীয় গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

কানাডায় শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিন ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কানাডার অ্যালবার্টা প্রদেশের এডমন্টন শহর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছেন দেশটির পুলিশ কর্মকর্তা মনদীপ মুকের। খবর বিবিসি।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার তিনজন হলেন করণ ব্রার (২২), কমল প্রিত সিং (২২) ও করণ প্রিত সিং (২৮)। তারা সবাই এডমন্টন শহরের বাসিন্দা। আদালতের নথিপত্র অনুযায়ী, তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে। ওই হত্যার সঙ্গে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গ্রেপ্তার তিনজনের বাইরে আরও অনেকেই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। তাই সামনে আরও অনেককে গ্রেপ্তার করা হতে পারে এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হতে পারে।

২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সারেতে খুন হন নিজ্জর। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভারত জড়িত বলে অভিযোগ করে কানাডা। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।

ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে স্বাধীন শিখ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে খালিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নিজ্জর। তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদী একটি সশস্ত্র একটি গোষ্ঠীর নেতৃত্বে ছিলেন- এমন অভিযোগে তাকে সন্ত্রাসী তকমা দিয়েছিল ভারত। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন নিজ্জরের সমর্থকেরা। তাদের ভাষ্য, খালিস্তান আন্দোলনের পক্ষে থাকায় একাধিকবার হত্যার হুমকি পেয়েছিলেন নিজ্জর।

গত শতকের সত্তরের দশকে ভারতে বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহ শুরু করেন দেশটির শিখ সম্প্রদায়ের অনেকে। ওই বিদ্রোহের জেরে সে সময় হাজারো মানুষ নিহত হয়েছিলেন। এরপরও কয়েক দশক ধরে ওই বিদ্রোহের রেশ থেকে যায়। বর্তমানে ভারতের বাইরে বিভিন্ন দেশে পাঞ্জাবে স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিখেরা।


আরও খবর



সুন্দরবনে আগুন, নেভানোর চেষ্টায় বনকর্মীরা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

পূর্ব সুন্দরবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৪ মে) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া ও গুলশাখালীর মাঝামাঝি এলাকায় এ আগুনের ঘটনা ঘটে। বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটসহ বনরক্ষীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) আনিসুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। বনের ভিতর মধু সংগ্রহে মৌওয়ালের আগুনে এ আগুনের সূত্রপাত বলেও জানান তিনি।

আনিসুর রহমান বলেন, এরই মধ্যে বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটসহ বনবিভাগের চারটি ফাঁড়ির বনরক্ষীরা মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে। এ ছাড়া পূর্ব সুন্দরবনের বন কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে তদারকির কাজ করছেন।

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আবু তাহের মিয়া জানান, আমুরবুনিয়া ফাঁড়ির কাছেই আগুন লেগেছে। বেশ বড় এলাকা। অন্তত দুই কিলোমিটারজুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। সবাই নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। যেভাবে আগুন ছড়িয়েছে সেটি নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিনই হবে।

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. সাইদুল আলম চৌধুরী জানান, আগুনের খবর পেয়ে এরই মধ্যে মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে। আগুনের এ ঘটনায় বনের পশু এবং কী পরিমাণ বনাঞ্চল পুড়ে গেছে, তা আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না।

এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হবে বলেও জানান তিনি। 

নিউজ ট্যাগ: সুন্দরবনে আগুন

আরও খবর