আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

নাদিয়াকে চাপা দেওয়া বাসের চালক ও সহকারী রিমান্ডে

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ জানুয়ারী 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ জানুয়ারী 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাজধানীর প্রগতি সরণিতে বাসচাপায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাদিয়ার নিহত হওয়ার ঘটনায় ঘাতক বাসের চালক ও সহকারীর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন- চালক লিটন ও সহকারী মো. আবুল খায়ের।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) তাদেরকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদেরকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল ইমাম রাজন। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নূরের আদালত এ আদেশ দেন।

আদালতে সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক রনপ কুমার বিষয়টি জানিয়েছেন।

রোববার দুপুর পৌনে ১টায় প্রগতি সরনিতে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাসের চাপায় নিহত হন নাদিয়া। মাত্র দু’সপ্তাহ আগে নর্দার্ন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। নাদিয়ার মৃত্যুর পর তার বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ভাটারা থানায় নিরাপদ সড়ক আইনে মামলা দায়ের করেন। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

 


আরও খবর
পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




এবার ঈদযাত্রায় যানজট ও দুর্ঘটনা কম হয়েছে : বিআরটিএ চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গত কয়েকবছরের তুলনায় এবার সড়ক-মহাসড়কে যানজট কম হওয়ার পাশাপাশি দুর্ঘটনাও কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার। বুধবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে গাবতলী বাস টার্মিনালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিন।

নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারের ঈদযাত্রা অনেক নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক হয়েছে। যানজট ও দুর্ঘটনা এবার কম ছিল। ফিরতি যাত্রায় যেন এমন নির্বঘ্ন হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।

তিনি বলেন, ভাড়ার তালিকা আপডেট করে আমরা প্রতিটি কাউন্টারে দিয়েছি। তারপরেও কিছু কিছু পরিবহন অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার চেষ্টা করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এদিকে, এদিন দুপুরে রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেন, মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারে সেজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পালন করেছি।

তিনি বলেন, গত ৮ এপ্রিল খুলনা-রাজশাহী রুটে চলাচলকারী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের বগিতে জন্ম নেওয়া নবজাতক শিশুকে রেলওয়ের পক্ষ থেকে উপহার দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের যে সাপোর্ট প্রয়োজন ছিল তার সবই দিয়েছি।


আরও খবর
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




রাজশাহীতে স্যালাইন দেওয়ার পর চার প্রসূতির মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

রাজশাহীতে স্যালাইন দেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে চার নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি সিজারিয়ান অপারেশনের আগে রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের এ স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল। এরপর দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়।

স্যালাইন দেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়া আরও দুই নারী এখনো নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি রয়েছেন। এদিকে, মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দিতে মারা যাওয়া নারীদের মধ্যে দু-একজনের স্বজনদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ম্যানেজ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে

হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, সম্প্রতি সিজারিয়ান অপারেশনের আগে আইভি স্যালাইন দেওয়ার পর ছয় নারীর একই রকমের শারীরিক সমস্যা শুরু হয়। অপারেশনের পরে ধীরে ধীরে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। কমে যায় কিডনির কার্যক্ষমতা, হার্টে দেখা দেয় ব্লক। এতে চার নারীর মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে আরও দুইজন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে সূত্রটি মৃত নারীদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে হাসপাতালের ইনচার্জ ইলিয়াস হোসেনকে তার কক্ষে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনা তদন্তে কমিটি হয়েছে। তারা কাজ করছেন।

বেসরকারি এই হাসপাতালটির ডেপুটি ডাইরেক্টর ডা. সুজন আল হাসান বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের পাশাপাশি ওই স্যালাইন পরীক্ষার জন্য ঢাকায় ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মো. ফারুক বলেন, কিছুক্ষণ আগে ঘটনাটা শুনলাম, সেটাও অন্য মাধ্যমে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের কিছু জানায়নি। আমরা সব তথ্য চেয়েছি হাসপাতাল থেকে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখব। হাসপাতালের গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আনোয়ারুল কবির বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগকে ঘটনাটি না জানিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অন্যায় করেছে। এটা খুবই স্পর্শকাতর ব্যাপার। আমাদের জানানো উচিত ছিল। আমরা জানতে পারলে আমাদের মতো করে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে পারতাম। তারা কেন আমাদের কাছে এটা লুকিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে।


আরও খবর



মুন্সীগঞ্জে সুপারবোর্ড কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মুন্সীগঞ্জের সুপারবোর্ড কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তবে এখনো ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট কাজ করছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও পুরোপুরি নেভানোর কাজ চলছে।

রোববার (২৪ মার্চ) দুপুর সোয়া ১টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হলে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত ১২টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১২টার পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এখনো কারখানার ভেতরে পাটখড়ি থাকায় কিছু জায়গায় আগুন জ্বলছে। যা নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের দল। সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে ৯টার  দিকে ফায়ার সার্ভিসের গজারিয়া ইউনিটের স্টেশন অফিসার রিফাত মল্লিক এসব জানায়।

তিনি বলেন, রাতভর চেষ্টার পর রাত ১২টার দিকে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। এখন আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট এখনো কাজ করছে। ভিতরে পাটখড়িসহ দাহ্য পদার্থ থাকায় ওগুলোর মধ্যে এখনো অল্প পরিমাণে আগুন জ্বলছে। সেগুলোর স্তুপ ভেঙে ভেঙে আগুন নেভাতে হচ্ছে।

তবে আগুনের লেলিহান শিখা এখন আর নেই। তারপরেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আপাতত চারটি ইউনিট কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, গতকাল রাত ৮টার দিকে যখন ঝড় হয় তখন আমরা এই আগুন নিয়ে খুব শঙ্কিত ছিলাম। ঝড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। পড়ে আমরা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হয়েছি। আগুনের উৎস সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও নির্ধারণ করা যায়নি।

প্রসঙ্গত, রোববার দুপুর সোয়া ১টার দিকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দি ইউনিয়নের জামালদি এলাকায় মেঘনা নদীর তীরে সুপারবোর্ড কারখানার গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মুহুর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে ধসে পড়ে গোডাউনের কাঠামো। খবর পেয়ে মুন্সীগঞ্জ-নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে একে একে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। আগুন নেভানোর কাজে ৭ জন আহত হয়। একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে কারখানাটি পুড়ে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। কারখানাটি পোড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই কারখানার পাশে মেঘনা নদীতে রাখা মাল বোঝাই তিনটি ট্রালার পুড়ে ছাই হয়ে যায়।


আরও খবর



র‍্যাবের মধ্যস্থতায় সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজার উদ্ধার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

র‌্যাবের মধ্যস্থতায় সোনালী ব্যাংক রুমা শাখার অপহৃত ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার র‌্যাব সদর দপ্তর এবং র‌্যাব-১৫ এর পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল এস এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, দুই দিনের অভিযানের পর রুমা বাজারের পাশের এলাকা থেকে সোনালী ব্যাংক রুমা শাখার ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

২ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে বান্দরবানের রুমায় উপজেলা প্রশাসন কমপ্লেক্স ভবনে হামলা চালিয়ে সোনালী ব্যাংক থেকে অস্ত্র ও টাকা লুট করে নিয়ে যায় একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল। এ সময় তারা ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

ওইদিন রুমা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারুল আলম জানান, নেজাম উদ্দীনের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায়।

অপহরণের বিষয়ে তিনি বলেন, রাত ৮টার দিকে দুবৃর্ত্তরা উপজেলা প্রশাসন কমপ্লেক্সের মসজিদে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। তখন নামাজের জন্য অনেক কর্মকর্তা সেখানে ছিলেন। তাদেরকে সবাইকে বন্দি করে সন্ত্রাসীরা প্রচণ্ড মারধর করে। তারা অস্ত্র হাতে ব্যাংক ম্যানেজারকে জিম্মি করে ব্যাংকে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, ডাকাতরা ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্রও লুট করেছে। তারা পুলিশের দুটি এসএমজি ও ৬০ রাউন্ড গুলি, আটটি চীনা রাইফেল ও ৩২০ রাউন্ড গুলি এবং আনসারের চারটি শর্টগান ও ৩৫ রাউন্ড গুলি লুট করেছে।

ঘটনাটি কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করেন তিনি।


আরও খবর
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ ও মাকরুহ হয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

সারা বিশ্বজুড়ে রমজানের আমেজ বিরাজ করছে, একযোগে পালিত হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান। ইসলামের মূল পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে রোজা হচ্ছে তৃতীয় স্তম্ভ। মুসলিমদের জন্য রোজা একটি অন্যতম ফরজ ইবাদত যা ভঙ্গ করা কবিরা গুনাহ। রোজা ভঙ্গকারী নিকৃষ্ট পাপী।

ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী রোজার শুদ্ধাতা অর্জন ও যথাযথভাবে পালনের জন্য কিছু বিধিমালা আছে যার ব্যতিক্রম হলে রোজা ভঙ্গ কিংবা মাকরুহ হয়ে যায়। রোজার নিয়তে সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকার পর যদি অসর্তকতাবশত কোনো ব্যক্তির রোজা ভঙ্গ বা মাকরুহ হয়ে যায়; তাহলে তার চেয়ে দুর্ভাগা আর কে আছে?

প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক, মুসলিম নর নারীর জন্য রোজা রাখা আবশ্যক। শুধুমাত্র পানাহার থেকে বিরত থাকালেই রোজা আদায় হয়ে যায় না; বরং রোজা অবস্থায় মেনে চলতে হয় বেশ কিছু নিয়মকানুনও। আল্লাহ তায়ালা রোজাদারকে তিনটি বিষয় থেকে বিরত থাকতে বলেছেন ১. স্ত্রী-সহবাস, ২. খাবার গ্রহণ, ৩. পানীয় গ্রহণ। (সূরা বাকারা, আয়াত : ১৮৭)

সুতরাং কেউ স্ত্রী-সহবাস ও পানাহারে লিপ্ত হলে তার রোজা ভেঙে যাবে। এছাড়া নারীদের ঋতুস্রাবের কারণেও রোজা ভেঙে যায়। এসব কারণ ছাড়াও আরও বেশকিছু কারণ আছে, যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ হয়ে যায়।

রোজা ভঙ্গের কারণসমূহ

১. মুখ ভরে বমি করা। ২. ইচ্ছা করে বমি করা। ৩. বমির বেশির ভাগ মুখে আসার পর তা গিলে ফেলা। ৪. মেয়েদের মাসিক ও সন্তান প্রসব। ৫. ইসলাম ত্যাগ করা। ৬. রোজাদারকে জোর করে কিছু খাওয়ানো। ৭. প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে ওষুধ বা অন্য কিছু শরীরে প্রবেশ করানো।

৮. গ্লুকোজ, শক্তিবর্ধক ইনজেকশন বা সেলাইন নেওয়া। ৯. ভুলবশত কোনো কিছু খেয়ে রোজা ভেঙে গেছে ভেবে আরও কিছু খাওয়া। ১০. ইফতারের সময় হয়েছে ভেবে সূর্যাস্তের আগে ইফতার করা।

১১. বৃষ্টির পানি মুখে পড়ার পর তা খেয়ে ফেলা। ১২. কান বা নাক দিয়ে ওষুধ প্রবেশ করানো। ১৩. দাঁতের ফাঁক থেকে ছোলা পরিমাণ কোনো কিছু বের করে খাওয়া। ১৪. রোজা স্মরণ থাকা অবস্থায় অজুতে কুলি বা নাকে পানি দেওয়ার সময় ভেতরে পানি চলেগেলে। (ফাতাওয়ায়ে শামি ও ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি)।

১৫. রাত অবশিষ্ট আছে মনে করে সুবহে সাদিকের পর পানাহার করা। ১৬. হস্তমৈথুন বা অন্য কোনোভাবে বীর্যপাত করা ১৮. শিঙ্গা লাগানো কিংবা এ জাতীয় অন্য কোনো কারণে রক্ত বের হলে।

এই কারণগুলো ছাড়াও এমন কিছু কাজ আছে যা করলে রোজা ভঙ্গ হবে না; তবে রোজার পূর্ণ সওয়াব পাওয়া যাবে না, বরং রোজা মাকরুহ হয়ে যাবে। রোজার পূর্ণ সওয়াব অর্জন করতে অন্যান্য আমল ঠিক রাখার পাশাপাশি অশ্লীল কাজ, পাপাচার, সুদ-ঘুষ, হারাম পানাহার, অন্যের হক নষ্ট করা, ওজনে কম দেওয়া সহ সকল প্রকার পাপ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।

রোজা মাকরুহ হওয়ার কারণ

১. কোনো কারণ ছাড়াই কিছু চিবানো। ২. সারাদিন রোজা সঠিকভাবে পালন করার পরেও ইফতারির সময় এমন কোনো খাবার গ্রহণ করা যা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম। ৩. গড়গড়া করা বা নাকের ভেতর পানি টেনে নেওয়া। ৪. কোনো কিছু শুধু মুখে পুরে রাখা, সেক্ষেত্রে না খেলেও রোজা মাকরুহ হবে।

৫. মুখের লালা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় পেটে গেলে ক্ষতি নেই, তবে ইচ্ছাকৃত দীর্ঘ সময় মুখে থুথু ধরে রেখে পরে গিলে ফেললে রোজা মাকরুহ হবে। ৬. রমজানে সারা দিন অপবিত্র শরীরে থাকা। ৮. পাউডার, পেস্ট ও মাজন দিয়ে দাঁত পরিস্কার করা।

৯. রোজা রেখে কারো গিবত বা পরনিন্দা করা। ১০. মুখে গুল ব্যবহার করা এবং থুথুর সঙ্গে গুল গলার ভেতর চলে যাওয়া। ১১. মিথ্যা কথা বলা মহাপাপ। রোজা রেখে মিথ্যা বলা মাকরুহ।

১২. ঝগড়া-বিবাদ করা ১৪. রান্নার সময় কোনো কিছুর স্বাদ নেওয়াযেমন, লবণ চেখে দেখা, ঝাল পরখ করা, তবে বিশেষ প্রয়োজনের কারণে তা বৈধ। ১৫. নাচ, গান, সিনেমা দেখা। ১৬. যৌন উদ্দীপক কিছু দেখা বা শোনা। ১৭. উচ্চস্বরে চিৎকার কিংবা গালিগালাজ করা।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪