আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

নাব্যতা সংকটে মোংলা জেটিতে ফিরতে পারছে না বড় জাহাজ

প্রকাশিত:বুধবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আবু বকর সিদ্দিক, মোংলা প্রতিনিধি

Image

নাব্যতা সংকটে জেটিতে বড় জাহাজ ভেড়া নিয়ে শঙ্কা, বালু ডাম্পিংয়ের জায়গা নিয়ে জটিলতায় দীর্ঘ প্রায় দুই বছর ধরে মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের ইনারবার ড্রেজিং কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। নতুন করে জায়গা না পাওয়ায় এই জটিলতার সৃষ্টি হয়। নিয়মিত বন্দর চ্যানেল ড্রেজিং করা না হলে দেশি-বিদেশি বড় জাহাজ প্রবেশে বাধা সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।

বিষয়টি স্বীকার করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষও। কর্তৃপক্ষ বলছে, ড্রেজিংয়ের বালু বা পলি মাটি ফেলার নতুন জায়গা পেতে সময় লাগলেও আপাততো পুরোনো জায়গায় মাটি ফেলে সংকট দূর করা হবে। বিষয়টি খুবই গুরত্ব সহকারে দেখছেন তারা।

এদিকে পুরোনো জায়গা হিসেবে মোংলার জয়মনি এলাকায় বালু ফেলার নীতিগত সিন্ধান্ত নেওয়া হলেও তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। এ অবস্থায় ড্রেজিং প্রকল্পটির ব্যয় বেড়ে গেছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। এছাড়া নাব্যতা সংকটের কারণে বন্দর জেটিতে আসতে পারছে না ৯ মিটার গভীরতার জাহাজ।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়া এলাকা থেকে বন্দর জেটি পর্যন্ত এলাকার নাম ইনারবার। ইনারবারের ২৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার এলাকায় ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের উদ্বোধন করা হয় ২০২১ সালের ১৩ মার্চ। ওই বছরের ১০ এপ্রিল ড্রেজিংয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। সেসময় প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৭৯৩ কোটি টাকা।

ড্রেজিং করা বালু বা পলি মাটি ফেলার জন্য মোংলা উপজেলায় ৭০০ একর জমি ও খুলনার দাকোপ উপজেলার বানীশান্তা এলাকায় ৩০০ একর জমি হুকুম দখল করা হয়। মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের জয়মনি এলাকার জমিতে বালু ফেলা হয়। কিন্তু পশুর নদীর পূর্ব পাশের খুলনার বানীশান্তার তিন ফসলি জমিতে বালু ফেলা ঠেকাতে আন্দোলন করেন এলাকাবাসী ও বিভিন্ন সংগঠন। তাদের আপত্তির মুখে সেখানে বালু ও মাটি ফেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। সেই থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় দুই বছর ধরে ড্রেজিং বন্ধ রয়েছে।

এ অবস্থায় মোংলা উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের সানবান্ধা মৌজায় ২৬২ একর জমিতে বালু ফেলার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হলে সেখান থেকে ভূমি মন্ত্রাণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এরই মধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যায় ২০২২ সালের জুন মাসে। এ পর্যন্ত এ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৩৪ শতাংশ। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় প্রকল্প ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৯২ কোটি টাকায়, যা গত বছরের ৪ এপ্রিল একনেক সভায় অনুমোদন পেয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী (সিভিল ও হাইড্রোলিক্স) শেখ শওকত আলী বলেন, ইনারবারের গভীরতা সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় মিটার। ড্রেজিং করে সাড়ে আট মিটার করার কথা। ড্রেজিং করা স্থানগুলো থেকে যে পরিমাণ পলি অপসারণ করা হয়েছিল গত প্রায় দুই বছরে তার ৭০ ভাগ পলি আবার জমা হয়েছে। এ অবস্থায় ড্রেজিং প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ড্রেজিং কাজ বন্ধ থাকায় এতদিনে পলি পড়ে গভীরতা হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া ড্রেজারের তেলসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রকল্প ব্যয় বেড়েছে।

বালু ফেলার জায়গা সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, নতুন করে কোনো জায়গা না মেলায় পুরোনো জায়গা জয়মনি এলাকায় আপাতত বালু ফেলা হবে। এই কার্যক্রম আগামী সপ্তাহের মধ্যে শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

মোংলা বন্দরের ইনারবারে প্রায় দুই বছর ড্রেজিং বন্ধ থাকার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাশোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, মোংলা বন্দরের সবচেয়ে বড় সমস্যা নাব্য সংকট। বন্দর সচল রাখতে হলে নিয়মিত ড্রেজিংয়ের বিকল্প নেই। ড্রেজিং স্থায়ীভাবে বন্ধ হলে বড় বড় কন্টেইনার জাহাজ আসতে পারবে না। এছাড়া রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আসা কয়লাবাহী বড় জাহাজ আসাও বন্ধ হয়ে যাবে। বন্দর ঘিরে রেললাইনসহ বড় মেগা প্রকল্প কোনো কাজেই আসবে না।

তিনি বলেন, রেলের মালামাল আসে কন্টেইনারবাহী জাহাজে করে। ড্রেজিং কার্যক্রম বন্ধ থাকলে সেই কন্টেইনারবাহী জাহাজ আসতে পারবে না। তাই দ্রুত ইনারবারে ক্যাপিটাল ড্রেজিং সম্পন্ন করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



হাসপাতালগুলোতে জরুরি রোগী ছাড়া ভর্তি না করার নির্দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গরম চরম আকার ধারণ করেছে। তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলায় সারাদেশের হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে জরুরি রোগী ছাড়া ভর্তি না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।

রোববার (২১ এপ্রিল) সচিবালয়ে সারাদেশের হাসপাতালের পরিচালক এবং সিভিল সার্জনদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন বলে জানান মন্ত্রী।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। অনেক জায়গাই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়েছে। গরমে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তাপদাহের কারণে কোল্ড কেস (যাদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়া জরুরি নয়) এ মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি না করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলো প্রতিকূল পরিবেশের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ গরমে সবচেয়ে বেশি ভালনারেবল বয়স্ক এবং বাচ্চারা। এবার এমন একটা জলবায়ু পরিবর্তন হলো যে আমরা জীবনে কখনো শুনিনি যে দুবাই বিমানবন্দর পানিতে ডুবে গেছে। আমাদের এগুলো ফেস করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, আমার কাছে যখন মেসেজ আসলো (হিট এলার্ট) আমি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মেসেজ দিয়ে স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। কারণ সব চেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে বাচ্চা এবং বয়স্করা।

আজ হাসপাতালের পরিচালক এবং সিভিল সার্জনের সঙ্গে মিটিং করেছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমার কয়েকটা নির্দেশনা ছিল তার মধ্যে একটা হলো-বয়স্ক এবং বাচ্চারা প্রয়োজন ছাড়া যেন বাসার বাইরে না যায়। হাসপাতালগুলোতে কোনো কোল্ড কেস এখন ভর্তি করতে না করেছি। কোল্ড কেস অর্থাৎ এক মাস পর অপারেশন করলে অসুবিধা না হয়, সেটা দুই সপ্তাহ পরে করুক। হাসপাতাল খালি রাখার জন্য বলছি যে যদি চাপ হয়, তাহলে বাচ্চা এবং বয়স্কদের জন্য যেন ভর্তি করা হয়। এখন কোল্ড কেস কয়েক দিন বন্ধ থাকবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের ওরাল স্যালাইনের কোথাও কোনো ঘাটতি হলে যেন আমাকে সঙ্গে সঙ্গে জানানো হয়। এখন পর্যন্ত আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। প্রকৃতির সঙ্গেতো আমাদের কারো হাত নেই। এটা আমাদের রেডি রাখতে হবে।

শিশুদের জন্য হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমি গতকাল শিশু হাসপাতালে গিয়েছি। শিশু হাসপাতালগুলোকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখার জন্যই সারাদেশের হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ দিয়েছি। কোল্ড কেসগুলোকে এখন হাসপাতালে ভর্তি না করতে বলা হয়েছে। শিশুদের ব্যাপারে সারাদেশের চিকিৎসকদের নিয়ে আজ থেকে একটি অনলাইন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা জানান, মহাখালীতে করোনা চিকিৎসার জন্য ডিএনসিসি হাসপাতালে শিশু ও বয়স্কদের জন্য আলাদাভাবে বেড রাখতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



৭৫ বছরের মধ্যে রেকর্ড বৃষ্টিপাত, ডুবলো সংযুক্ত আরব আমিরাত

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গত ৭৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের সাক্ষী হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত দেশটিতে বৃষ্টিপাত হয়েছে। ১৯৪৯ সালের পর থেকে দেশটি কখনোই আর এতো বৃষ্টি প্রত্যক্ষ করেনি।

প্লাবিত হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনেক এলাকা। তলিয়ে গেছে দুবাইয়ের প্রধান সড়কগুলো। এমনকি দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কিছু অংশও পানির নীচে চলে যায়।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে আল শাকলা এলাকায়। আল আইনের ওই অঞ্চলটিতে ২৪ ঘণ্টার কম সময়ে ২৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে একক অঞ্চল হিসেবে শুয়াইব স্টেশনে ২৮৭.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিলো। এই অবস্থায় বিপর্যয় এড়াতে পরিবারের সব সদস্যদের একসাথে থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

সামনে আরো বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে শঙ্কা করছে আমিরাতের আবহাওয়া দপ্তর। তারা জানিয়েছে, আবহাওয়ার রেকর্ড লিপিবদ্ধ করার পর থেকেই এ পর্যন্ত এবারই সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। কোথাও কোথাও গাছপালাও ভেঙে পড়েছে।

এমন বৃষ্টিপাতের ফলে দেশটির বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণও বেড়েছে। সেই সাথে দেশটির মাটির অভ্যন্তরের পানির রিজার্ভের পরিমাণও বাড়বে বলে প্রত্যাশা করছেন স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা।


আরও খবর



রাফাহ শহরে ইসরায়েলের ব্যাপক গোলাবর্ষণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আন্তর্জাতিক হুঁশিয়ারিকে অবজ্ঞা করে, পরিকল্পিত স্থল অভিযানের অংশ হিসেবে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার রাফাহ শহরের পূর্ব প্রান্তে ইসরায়েল ব্যাপক কামানের গোলাবর্ষণ করছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ তথ্য দিয়েছেন। খবর আলজাজিরার।

ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চলে তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু নতুন করে নির্ধারণ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে শরণার্থী শিবিরগুলো এখন আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এক্ষেত্রে হামলার প্রধান লক্ষ্যবস্তু এখন নুসেইরাত ও বুরেজি শরণার্থী শিবির ও দেইর এল-বালাহ শহর।

এদিকে, গাজার গণকবর পাওয়ার খবরে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেছেন, সব ধরনের ফরেনসিক প্রমাণ সংরক্ষণ করা এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্ত আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘকে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের আইনি দখল নেওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য এখন আইন প্রণয়ন বিভাগের আদেশ নিতে হবে।

অন্যদিকে, গাজা উপত্যকায় সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহের জন্য আন্তর্জাতিক তদন্তকারীদের প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল।

এ প্রসঙ্গে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং প্রফেসর ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সাবেক পরিচালক রথ বলেছেন, যুদ্ধের মধ্যেও তদন্তের জন্য গণকবর থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করা অসম্ভব নয়। বিষয়টি দুই পক্ষের সহযোগিতার ওপর নির্ভর করছে। তবে ইসরায়েল এমন স্বাধীন তদন্ত হোক, তা চাইবে না।

জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন গাজার গণকবরে ৩৯২টি মরদেহ পাওয়ার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছে।


আরও খবর



মেহেরপুরে ট্রাকচাপায় দুই বাইসাইকেল আরোহী নিহত

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের চাঁদবিল নামক স্থানে ফ্রেস কোম্পানির সিমেন্ট বোঝায় ট্রাক চাপায় এক কলেজ ছাত্রসহ দুই বাইসাইকেল আরোহীর নিহত হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত অনার্স ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী হাসান আলী সদর উপজেলার চাঁদবিল গ্রামের লিটন আলীর ছেলে। নিহত অপর একজনের নাম ও ঠিকানা এখন পর্যন্ত শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।

এ ঘটনায় ট্রাকচালক বাবুল আলীকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি মাগুরা জেলার শালীকা গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে। তিনি ফ্রেশ সিমেন্ট কোম্পানিতে কর্মরত রয়েছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আব্দুল করিম জানান, সকালে দুই যুবক বাইসাইকেল নিয়ে মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের চাঁদবিল গ্রাম থেকে মেহেরপুরের দিকে আসছিলেন। এ সময় ফ্রেশ কোম্পানির সিমেন্টবাহী একটি ট্রাকও মেহেরপুরের দিকে আসছিল। ট্রাকটি একটি তেলপাম্পের আগে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই দুই বাইসাইকেলের আরোহীকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় ওই দুইজন।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের দুটি দল ঘটনাস্থলে আসে। সেখান থেকে ট্রাকচালক বাবুলকে আটক করে পুলিশ। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা লাশ উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে সড়ক পরিবহন আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় পুলিশ।


আরও খবর



শিক্ষক নিয়োগে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, পদ ৯৬৭৩৬

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এতে ৯৬ হাজার ৭৩৬টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ হবে। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজে ৪৩ হাজার ২৮৬ এবং মাদরাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫৩ হাজার ৪৫০টি পদ রয়েছে।

রোববার (৩১ মার্চ) বিকেলে এনটিআরসিএর নিজস্ব ওয়েবসাইটে এ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সংস্থাটি।

এতে বলা হয়েছে, আগামী ১৭ এপ্রিল দুপুর ১২টায় এনটিআরসিএ ও টেলিটকের ওয়েবসাইটে গণবিজ্ঞপ্তির শূন্যপদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। ওইদিন থেকেই প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনকারীর যোগ্যতা গণবিজ্ঞপ্তির শূন্যপদে আবেদন করতে সংশ্লিষ্ট বিষয়, পদ ও প্রতিষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী এনটিআরসিএর নিবন্ধন সনদধারী হতে হবে। ৯ মে রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদন এবং ১০ মে রাত ১২টা পর্যন্ত ফি পরিশোধ করা যাবে। আবেদনের জন্য সর্বস্তরের প্রার্থীকে এক হাজার টাকা ফি পরিশোধ করতে হবে। নির্ধারিত ফি পরিশোধ না করলে আবেদন বাতিল বলে বিবেচিত হবে।

আবেদনকারী প্রার্থীর বয়স ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি তারিখে ৩৫ বছর বা তার চেয়ে কম হতে হবে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি তারিখে যাদের বয়স ৩৫ বছরের বেশি হয়েছে, তারা কোনোভাবেই আবেদন করার সুযোগ পাবেন না।

কোনো প্রার্থীর যদি স্কুল ও কলেজ উভয় পর্যায়ের সনদ থাকে এবং তিনি যদি উভয় পর্যায়ের পদে আবেদন করেন। তাহলে প্রথমে তাকে কলেজ পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে। কলেজ পর্যায়ে নির্বাচিত না হলে স্কুল পর্যায়ে বিবচেনা করা হবে। এমপিওভুক্ত প্রার্থীর এক পর্যায়ের (স্কুল বা কলেজ) একাধিক নিবন্ধন সনদ থাকলে ওই প্রার্থী একই পর্যায়ে আবেদন করতে পারবেন না।

সহকারী শিক্ষক (ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা) পদে চাকরিপ্রত্যাশী আবেদনকারীকে অবশ্যই সেই ধর্মের অনুসারী হতে হবে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে আবেদন করলে তা বাতিল করা হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া, ফি পরিশোধসহ বিস্তারিত নিয়মাবলী গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে। গণবিজ্ঞপ্তির যেকোনো শর্ত এবং প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি এনটিআরসিএ যেকোনো সময় সংযোজন, বিয়োজন ও পরিবর্তন এবং স্থগিত করতে পারবে। একইসঙ্গে মামলা বা আইনগত অন্য কোনো জটিলতার কারণে অনলাইনে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির কোনো পদে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব না হলে এনটিআরসিএ দায়ী থাকবে না বলেও গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: এনটিআরসিএ

আরও খবর