ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে সামাজিক তরুণীদের
সঙ্গে পরিচয় হতো যোগাযোগমাধ্যমে । এরপর প্রেমের সম্পর্ক। পরে ঘনিষ্ঠ হয়ে কাটাতো ব্যক্তিগত
সময়। গোপনে সেসব মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করে আদায় করতো মোটা অঙ্কের টাকা। যেসব ভুক্তভোগী
তরুণী টাকা না দিতো, তাদের সেই ভিডিও বিক্রি করে দিতো কোনও পর্ন সাইটে।
এমন প্রতারণার কাজে অভিযুক্ত ম্যাজিস্ট্রেট
পরিচয়দানকারী মেহেদী হাসান (৩০) নামে একজনকে বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সাভার
এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল
ক্রাইম উত্তর বিভাগ।
পুলিশ জানায়, সাত বছর ধরে অন্তত শতাধিক
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণীর সঙ্গে ভুয়া পরিচয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে
নিয়েছে মেহেদী হাসান।
এ প্রসঙ্গে শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে
ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম উত্তর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ তারেক
বিন রশিদ বলেন, মেহেদি হাসান সাত বছরে এভাবে দেশজুড়ে শতাধিক তরুণীর সঙ্গে প্রতারণা
করেছে সে। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন পর্যালোচনা ও ফরেনসিক পরীক্ষা চলছে। আমরা ইতোমধ্যে
কিছু আলামত পেয়েছি।
ডিসি বলেন, তার মোবাইল থেকে তরুণীদের আপত্তিকর
ভিডিও, ছবি ও চ্যাটিং হিস্ট্রি আমরা উদ্ধার করেছি। যাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে, তাদের
অনেকের তথ্য আমরা তার কাছ থেকে পেয়েছি। এসব ভুক্তভোগীর সঙ্গে যোগাযোগ করারও চেষ্টা
করছি।
তিনি বলেন, অভিযুক্ত মেহেদীর টার্গেট ছিল
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও ঢাকা মেডিকেল
কলেজের মতো নামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ধনাঢ্য তরুণীরা। তাদের কাছে সে নিজেকে কখনও নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেট, কখনও সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আবার কখনও বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা
পরিচয় দিয়ে জড়াতো প্রেমের সম্পর্কে। একপর্যায়ে তাদের বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আপত্তিকর
ভিডিও ও ছবি সংগ্রহ করতো।
ডিসি বলেন, অপরাধের কথা স্বীকার করে পুলিশের
কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে মেহেদি। এ ছাড়া পর্নোগ্রাফি, অশ্লীল ভিডিও, ছবি ও সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধের কথাও স্বীকার করেছেন সে।