আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

ময়মনসিংহে যুবলীগ নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

প্রকাশিত:শনিবার ০২ জুলাই 2০২2 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ জুলাই 2০২2 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ময়মনসিংহ নগরীতে পারভেজ নামে এক যুবলীগ নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের গন্দ্রপা এলাকায় শুক্রবার (১ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত পারভেজ ওই এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। বিলুপ্ত আকুয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান ২৯নং ওয়ার্ডের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন পারভেজ।

পুলিশ জানায়, পারভেজের বাড়ির কাছের মোড়ে টং দোকান করেন দিলিপ নামে একজন ব্যবসায়ী। তার সঙ্গে বুধবার দিলিপের বাগবিতণ্ডা হয়। তখন পারভেজ দিলিপকে গালাগালি করেন। পরে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পারভেজ বাড়িতে যাওয়ার পথে আবার বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে দিলিপ ছুরিকাঘাত করে পারভেজকে। এতে দিলিপের সঙ্গে আরও কয়েকজন যুক্ত হয়। গুরুতর আহত পারভেজকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মারা যান।

মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক শাহীনুর রহমান খান গণমাধ্যমকে জানান, গালাগালি করাকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে যুবলীগের এই নেতাকে হত্যা করা হয়েছে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, আপত্তিকর মন্তব্য নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে এ হত্যার ঘটেছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।


আরও খবর



গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের: মঈন খান

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আজকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও কথা বলার অধিকার নিয়ে মানুষের সংগ্রাম করতে হচ্ছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার সব দায়দায়িত্ব সরকারের। কারণ, সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় সাধারণ মানুষ বাধা দেয় না, মানুষের কথায় বলায় আরেকজন বাধা দেয় না, বাধা দেয় সরকার।

রবিবার (৫ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্রের আদর্শে সৃষ্টি হয়েছিল। আর গণতন্ত্র রক্ষার মূল কবজ হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম। আজকে সেই গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে নতুন করে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করবো। এটাই হোক বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে আমাদের শপথ।

তিনি বলেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। কিন্তু বিশ্বে এমনও আলোচনা হয়েছে গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ নয়, প্রথম স্তম্ভ। মিডিয়া একটি রাষ্ট্রের শক্তির চেয়েও বেশি শক্তিশালী। কারণ, সরকার যত বড় শক্তিশালী হোক না কেন, মিডিয়া অন্যায়কে প্রকাশ করে দিয়ে একটি রাষ্ট্রকে ভাঙতে পারে, নতুনভাবে গড়তেও পারে। এই সত্য আজকের সরকার যতই উপলব্ধি করবে, ততই তাদের জন্য ভালো হবে।

মঈন খান বলেন, বর্তমান সরকার নিজেদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে দাবি করে। সেই স্বাধীনতা যুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিল গণতন্ত্র। দেশে যদি গণতন্ত্র না থাকে, একদলীয় শাসন কায়েম হয়ে থাকে, মুক্ত চিন্তা বিকাশের সুযোগ না থাকে, ১৮ কোটি মানুষকে যদি আওয়ামী লীগের চিন্তা-ভাবনা অনুযায়ী একই লাইনে চলতে বাধ্য করা হয় সেখানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকে না।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের অবকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনিই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠাতা করেছিলেন। আজকে আওয়ামী লীগ তাকে সৈনিক বলে সম্বোধন করে। একজন সৈনিক যদি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারেন, তাহলে আওয়ামী লীগ কেন গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বাধা দেয়?

সভাপতির বক্তব্যে বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, গত ১৫ বছরে ৬০ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। সাগর-রুনির হত্যার আজও বিচার হয়নি। এমপি-মন্ত্রী বা সরকার দলীয় লোকজনের দুর্নীতির রিপোর্ট প্রকাশ করলেই সাংবাদিকের ওপর নেমে আসে নির্মম নির্যাতন।  গণতন্ত্র ও দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হলে আজকে গণমাধ্যমের স্বাধীন সর্বপ্রথম নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের মহাসচিব ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সহসভাপতি রাশেদুল হক, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব বাছির জামাল প্রমুখ।


আরও খবর



মিল্টন সমাদ্দারের বৃদ্ধাশ্রমে ‘টর্চার সেল’ আবিষ্কার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মানুষের দানের টাকায় নির্মাণ করা বৃদ্ধাশ্রমের মধ্যেই তিন কক্ষ বিশিষ্ট টর্চার সেল গড়ে তুলেছেন মিল্টন সমাদ্দার। চাইল্ড এন্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ নামের প্রতিষ্ঠানের ভবনের ওই টর্চার সেলে মানুষকে ধরে নিয়ে পেটানো হয় নির্মমভাবে। টর্চার সেলের মধ্যে মানুষ পেটানোর জন্য রয়েছে নানা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র। সেলের মধ্যে নির্যাতনের একাধিক ঘটনা উঠে এসেছে অনুসন্ধানে। সেখানে কিভাবে নির্যাতন চালানো হয় সেই বর্ণনা দিয়েছেন নির্যাতনের শিকার হওয়া একাধিক ব্যক্তি।

সর্বশেষ গত ঈদুল ফিতরের আগের দিন ১০ এপ্রিল সাভারের কমলাপুর এলাকার বাহেরটেকে নিজের কেনা জমি দেখতে গিয়ে বেধড়ক মারধরের স্বীকার হন মো. সামসুদ্দিন চৌধুরী নামের ৬৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন মেয়ে এবং মেয়ের জামাই। বাধা দিতে গিয়ে মারধরের স্বীকার হন তারাও। মারধরে মেয়ের জামাই ফয়েজ আহমেদের হাতের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায় এবং সামসুদ্দিন চৌধুরীর একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। সামসুদ্দিনের মেয়ে সেলিনা বেগমও মারধর থেকে রক্ষা পাননি। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে প্রায় এক ঘণ্টা পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

ওই দিনের ঘটনা সম্পর্কে ভুক্তভোগী সেলিনা বেগম জানান, আমাদের জমি সে কম দামে ক্রয় করতে চেয়েছে। জমি না বিক্রি করায় সে আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। মিল্টন সরকারি রাস্তায় বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে রেখেছে। যে কারণে আমাদের গাড়ি যাচ্ছিল না। পরে সরকারি রাস্তায় বেড়া দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তার লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে বেধড়ক মারধর করে। এরপর আমার বাবা আর স্বামীকে মিল্টনের আশ্রমের ভেতরে নিয়ে একটি রুমের মধ্যে আটকে রাখে। ওখানে ৩টা রুম পাশাপাশি, একটা দিয়ে আরেকটায় যাওয়া যায়। রুমের মধ্যে অনেক লাঠিসোঁটা, পাইপ ও ছুরি ছিল। পাইপ দিয়ে একজনের পর একজন করে পেটাতে থাকে। মিল্টন নিজেও একটু পরপর এসে মারধর করে। আমি তখন মিল্টনের পায়ে ধরে আমার স্বামী ও বাবাকে ছেড়ে দিতে বললে আমাকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে লোকজন এগিয়ে এলে আমাদের ছেড়ে দেয়।

মিল্টন সমাদ্দার নিজেকে মানবতার ফেরিওয়ালা এবং বয়স্কদের সেবা করার দাবি করলেও নিজের হাতেই বৃদ্ধদের নির্যাতন চালান তিনি। এমনকি হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকেও কোনো দয়া দেখায়নি এ কথিত মানবতার ফেরিওয়ালা।

মিল্টনের হাতে মারধরের শিকার ইঞ্জিনিয়ার ফয়েজ বলেন, আমার হার্টে রিং বসানো; আমার স্ত্রী এটা বারবার তাদের বলে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা আমার বুকে দফায় দফায় লাথি মারে। আমার স্ত্রী মিল্টনের হাতে-পায়ে ধরলেও কাজ হয়নি।

মানবসেবার নামে গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠানে মানুষকে নির্যাতনের জন্য মিল্টন সমাদ্দারের রয়েছে বিশেষ সন্ত্রাসী বাহিনী। যাদের মানুষের দানের টাকা দিয়ে পেলেপুষে রাখেন মিল্টন সমাদ্দার। জমি দখল ও নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে এই বাহিনীকেই ব্যবহার করেন তিনি।

ইঞ্জিনিয়ার ফয়েজ আরও জানান, মিল্টন সমাদ্দার নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে বিশেষ সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে। যাদের মাসিক ভাতাও দেওয়া হয়। এই সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন জমি দখল ও আধিপত্য বজায় রাখে।

আরেক ভুক্তভোগী হেমন্ত রোজারিও জানান, আমি গরিব মানুষ। মিল্টন আমার জমি কিনতে চাইছে। আমি বেচি নাই। আমার জমি জোর করে দখল করে একটা ঘর বানাইছে। বাধা দেওয়ায় আমারে ধইরা মারছে। পরে আমারে বলছে, তুই ওই জমিতে আসবি না। এলে তোরে মাইরালামু।

নন্দন রোজারিও নামের আরেক ব্যক্তি জানান, ওকে এখানে আশ্রম বানাতে আমরাই সাহায্য করেছি। আমার জায়গায় জিনিসপত্র রেখে আশ্রমের কাজ করেছে। ভালো কাজ করে বলে আমরা কিছু বলিনি। পরে দেখি এসবের আড়ালে তার অন্য উদ্দেশ্য। তিনি এখানকার খ্রিস্টানদের জমি দখলের উদ্দেশ্যে এসেছে। কেউ জমি বেচতে না চাইলেই তার ওপরে নেমে আসে নির্যাতন। ওর লোকজন তাকে মারধর করে।

মিল্টনের মারধরের হাত থেকে রক্ষা পায়নি তার জন্মদাতা পিতাও। ২০০১ সালে নিজের পিতাকে বেধড়ক মারধর করে মিল্টন। সেই ঘটনার জেরে তাকে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল বলে এলাকাবাসীরা জানান।

মিল্টন সমাদ্দারের গ্রামের শাহাদাত হোসেন পলাশ নামে একজন জানায়, মিল্টন সমাদ্দার তার বাবাকে বেধড়ক মারধর করে। এ কারণে তাকে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে সে পালিয়ে ঢাকায় গিয়ে ওঠে। এখন শুনতাছি, ও না কি মানবতার ফেরিওয়ালা। এটা শুনে আমরা আশ্চর্য হয়েছি।

বরিশালে চন্দ্রকোনা খ্রিস্টান মিশনারি চার্চ’ দখল চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে। দখলের উদ্দেশ্যে তিনি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিল-স্বাক্ষর জাল করে চার্চের নতুন কমিটি গঠন করে বরিশাল জেলা প্রশাসকে একটি চিঠি দেন। ওই কমিটিতে সভাপতি করা হয় মিল্টন সমাদ্দারকে। কমিটির বাকি সদস্যদের প্রায় সবাই মিল্টনের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজন। তবে এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না চার্চের দায়িত্বরত যাজকরা। পরে তারা ধর্ম মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করলে মন্ত্রণালয় থেকে তাদের জানানো হয়, এ ধরনের কোনো চিঠি ইস্যু করা হয়নি। এরপর তারা কোর্টে মামলা করলে কোর্ট জালিয়াতি করে চার্চ দখল করতে চাওয়া ব্যক্তিদের ওই চার্চের সীমানায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেন।

হেনসন দানিল হাজরা নামে এক সহকারী যাজক বলেন, চার্চ দখল করার জন্য আমাকে গুম করে যাজকদের নামে মামলা দিয়েছিল মিল্টন। মামলায় আমি গুম হয়ে গেছি দেখানো হয়। আসামি করা হয় আমার সহকর্মীকে। আমার বাবাকে ম্যানেজ করে মিল্টন এ কাজ করে। তারা আমাকে গুম করে ফেলতে চেয়েছিল; কিন্তু পারেনি। পরে আমি পালিয়ে এসপি অফিসে হাজির হয়ে জানাই, আমি গুম হইনি।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিল্টন ও তার বড় ভাই মোল্লা বাড়ির ব্রিজের ওপরে মসজিদের পাশে আমাকে একবার বেধড়ক মারধর করেন।

অন্য আরেক যাজক বলেন, এই চার্চ দখল করার জন্য মিল্টন সমাদ্দার আমাদের শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করেছে। মারধর করেছে। আমাদের নামে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। যদিও সব মামলাই কোর্টে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আমাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



ভোজ্যতেলের দাম বাড়বে কি না জানা যাবে আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ভোজ্য তেলের দাম লিটার প্রতি ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। সে বিষয়ে সিন্ধান্ত নিতে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে বৈঠকে বসছে ট্যারিফ কমিশন, বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সার্বিক দিক বিবেচনা করে মিল মালিক ও ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে আজ এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। ব্যবসায়ীদের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব ট্যারিফ কমিশন নাকচ করলেও ভোজ্য তেলের মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে কমিশন তার নিজস্ব পর্যালোচনা অব্যাহত রেখেছে। ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা হায়দার চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে আরও আলোচনা হবে ট্যারিফ কমিশন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে। এখনই ভোজ্য তেলের বর্ধিত মূল্য কার্যকর হবে না এবং মিল মালিকরাও বর্ধিত মূল্যের লেবেল সংবলিত তেলের বোতল বাজারে ছাড়বেন না। অর্থাৎ, গত ১৬ এপ্রিল থেকে ভোজ্য তেলে লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, সেটি আপাতত স্থগিত থাকবে। তবে সরকার যেহেতু ৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফের মেয়াদ আর বাড়ায়নি এবং ইতোমধ্যে বিশ্ববাজারেও বাড়তে শুরু করেছে সয়াবিন-পামওয়েলের দাম, তাই ব্যবসায়ীদের দাবি বিবেচনা করে দ্রুত ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।’

এদিকে বিশ্ববাজারে গত টানা ৫ মাস দাম কমেছে সয়াবিন তেলের। প্রতি টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম বিশ্ববাজারে গত নভেম্বরে ছিল ১ হাজার ১১৮ ডলার। সর্বশেষ গত মার্চ মাসে সে দাম কমে হয়েছে ৯১০ ডলার। অর্থাৎ গত ৫ মাসে বিশ্ববাজারে টনপ্রতি সয়াবিন তেলের দাম কমেছে ২০৮ ডলার। অথচ দেশের বাজারে ঘটছে ঠিক তার উল্টো চিত্র। ৫ শতাংশ ভ্যাট ছাড়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা বলে ভোজ্য তেল শোধনকারী মিল মালিকরা সয়াবিন তেলের দাম এক লাফে লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। গত মঙ্গলবার থেকে এ দাম কার্যকর করারও ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।

গত সোমবার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের চিঠিতে আবারও সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। লিটার প্রতি ১০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ১৭৩ টাকা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে লেখা চিঠিতে বলা হয়, আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, ভোজ্য তেলের কাঁচামাল আমদানি, উৎপাদন পর্যায়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারিতে জারি করা এসআরওদ্বয়ের মেয়াদ ১৫ এপ্রিলে শেষ হচ্ছে। তাই আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে বাজারে ভোজ্য তেল (পরিশোধিত পাম তেল ও পরিশোধিত সয়াবিন তেল) সরবরাহে ভ্যাট অব্যাহতি পূর্ববর্তী মূল্যে পণ্য সরবরাহ হবে।’

চিঠিতে ১৬ এপ্রিল থেকে বোতলজাত ১ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৭৩ টাকা, ৫ লিটার ৮৪৫ টাকা এবং খোলা ১ লিটার পাম তেলের দাম ১৩২ টাকা প্রস্তাব করা হয়। ট্যারিফ কমিশন প্রস্তাব নাকচ করায় আপাতত এ দাম কার্যকর হয়নি।


আরও খবর



‘নারীদের এগিয়ে নিতে কার্যকর পরিকল্পনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী’

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের এগিয়ে নিতে কার্যকর পরিকল্পনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নারীদের প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অপরাজিতা নেটওয়ার্কের উদ্যোগে আয়োজিত 'জাতীয় অপরাজিতা সম্মেলন' এর উদ্বোধনী  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বাগেরহাট জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট জেলা অপরাজিতা নেটওয়ার্কের সভাপতি শরীফা খানমের সভাপতিত্বে খান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট রোকসানা খন্দকারের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর জেলা অপরাজিতা নেটওয়ার্কের সদস্য জেসমিন আক্তার রিভা এবং হেলভেটাস বাংলাদেশের প্রকল্প পরিচালক প্রশান্ত ত্রিপুরা।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আসাদুজ্জামান নূর, আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, আরমা দত্ত, নাছিমা জামান ববি এবং সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেঙ্গলি। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ঝালকাঠির উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও বরিশাল বিভাগীয় অপরাজিতা নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক ইসরাত জাহান সোনালী।

স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের এগিয়ে নিতে কার্যকর আইনগত মডেল ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নারীদের প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে যেন ডিজিটাল সুযোগ প্রাপ্তিতে কোন ধরনের বৈষম্য তৈরি না হয়। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। এ দেশে নারী ভোটারের সংখ্যাও বেশি। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে যা ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারে।

স্পিকার বলেন, অপরাজিতা নেটওয়ার্ক ৯ হাজার নারীর একটি সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম। এক সঙ্গে কাজ করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ, সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ঐক্য বজায় রেখে এই নেটওয়ার্ককে এগিয়ে যেতে হবে। বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে এই নেটওয়ার্ক নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে- যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

এ সময় ১৬ জেলার ১৬ জন নারীকে অগ্রগামী অপরাজিতা হিসেবে এবং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের পথিকৃৎ অপরাজিতা হিসেবে সম্মাননা প্রদান করা হয়। জাতীয় অপরাজিতা সম্মেলনে দেশের ১৬টি জেলার ৩০০ জন অপরাজিতা, বিশিষ্ট নারী নেতৃবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



আমিরাতে পৌঁছাতে এক সপ্তাহ লাগতে পারে এমভি আবদুল্লাহর

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে গতকাল ভোরে মুক্তি পেয়ে এখন আরব আমিরাতের দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত জাহাজটি সোমালিয়া উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত দূরত্ব অতিক্রম করতে পেরেছে।

এখনো উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ নৌ সীমানার মধ্যে থাকায় জাহাজটির জন্য সতর্কতামূলক নিরাপত্তা ব্যবস্থা বহাল আছে। ইতালির নৌ-বাহিনীর একটি ফ্রিগেট জাহাজটিকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, জাহাজটি এখনো উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা দিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

জাহাজের রেলিংয়ে কাঁটাতার দেওয়া হয়েছে, ডেকে উচ্চ চাপের ফায়ার হোস, সিটাডেল, জরুরি ফায়ার পাম্প, সাউন্ড সিগন্যাল প্রস্তুত আছে। এছাড়া, নাবিকদের থাকার জায়গা এবং ইঞ্জিন রুমের দরজা ও ঢোকার পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

জাহাজের সবচেয়ে সুরক্ষিত জায়গা হিসেবে সিটাডেল প্রস্তুত করা হয়। এর মোটা স্টিলের পাত ভেদ করে ঢোকা প্রায় অসম্ভব। নাবিকরা এর ভেতরে প্রবেশ করে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নিজেদের সুরক্ষিত করে রাখতে পারেন। জাহাজটি বর্তমানে প্রতি ঘণ্টায় ৮ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলছে।

মেহেরুল করিম বলেন, আমিরাতের আল হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছাতে জাহাজটির আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে।

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুর কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। মোজাম্বিক থেকে কয়লা পরিবহন করে জাহাজটি আমিরাত যাচ্ছিল। ৩২ দিন জিম্মি থাকার পর রবিবার ভোরে ২৩ নাবিকসহ মুক্তি পায় এমভি আবদুল্লাহ।


আরও খবর