আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

মূল্যস্ফীতির হার সংশোধন কাটছাঁট হচ্ছে এডিপি

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ সব ধরনের খাদ্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখীর কারণে সরকার মুদ্রাস্ফীতির আগের হার সংশোধন করেছে। দুদফা বাড়িয়ে সংশোধিত মূল্যস্ফীতির হার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে অর্থ বিভাগ। যদিও চলতি অর্থবছরের শুরুতে প্রত্যাশা ছিল এটি ৫ দশমিক ৪ শতাংশের ঘরে থাকবে। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাবসহ নানা কারণে তা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়নি। অপরদিকে অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে এসে লক্ষ্যমাত্রা এক শতাংশ কমিয়ে জিডিপির প্রবৃদ্ধির হারও ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। শুরুতে প্রবৃদ্ধি ধরা হয় ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এছাড়া চলতি বাজেটের আকারও ২০ হাজার ৯৩ কোটি টাকা কাটছাঁট করা হয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল বৈঠকে উল্লিখিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এদিকে এই কাটছাঁটের কারণে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা থেকে কমে সংশোধিত বাজেটের আকার দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫৭ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা। এ বিষয়ে অর্থ বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, অর্থনীতির বেশ কয়েকটি সূচক নতুন করে সমন্বয় করা হয়েছে। তবে চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আয় খাতে হাত দেওয়া হয়নি। কারণ, বছরের শুরুতে যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, সেটি অর্জন করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে অর্থ বিভাগ। এছাড়া বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) সরকারি অংশের বরাদ্দও কাটছাঁট করা হচ্ছে। সে অঙ্ক কমপক্ষে ২০ হাজার কোটি টাকা হবে।

অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, এডিপির এই কাটছাঁট মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কোনো ভূমিকা রাখবে না। বাজেট প্রণয়নের শুরুতে অনুমানের ভিত্তিতে প্রাক্কলন সঠিক ছিল না। জানতে চাইলে অর্থ বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ বলেন, এ মুহূর্তে বিশেষ নজর দিতে হবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে। মূল্যস্ফীতির হার অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে নিু ও মধ্যম আয়ের শ্রেণির মানুষ কষ্টে আছে। তবে এডিপি থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট মূল্যস্ফীতিতে কোনো প্রভাব ফেলবেন না। তিনি আরও বলেন, জিডিপির প্রবৃদ্ধি কম বা বেশি হচ্ছে, এটি মানুষ দেখবে না। সাধারণ মানুষ দেখবে চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য কমছে কি না। বর্তমান মূল্যস্ফীতির হার সরকারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি বিরাজ করছে। ফলে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতির নতুন যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটিও অনেক বেশি। এটি আরও কমিয়ে আনতে হবে।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সরকার এডিপির অংশ থেকে কাটছাঁট করছে ২০ হাজার কোটি টাকা। এটি মোট বাজেটের তুলনায় কিছুই না। এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতি কমাতে কোনো কাজে আসবে না। তিনি আরও বলেন, বাজেট প্রণয়নের আগেই বৈশ্বিক সংকটের আলামত ছিল। কারণ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ গত ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়। ওই সময় মুদ্রার বিনিময় হার, বৈশ্বিক কারণে মূল্যস্ফীতি এবং টাকার অবমূল্যায়নে মূল্যস্ফীতি উসকে যেতে পারে, সেগুলো আমলে নেওয়া দরকার ছিল। ফলে অনুমানের ভিত্তিতে যে প্রাক্কলন করা হয়েছে, তা সঠিক হয়নি। এই অর্থনীতিবিদ মনে করেন, গড় মূল্যস্ফীতি কমলেও ভোক্তা মূল্যস্ফীতি কমছে না। মূল্যস্তর উঁচুতে থেকে যাচ্ছে; কিন্তু মূল্যস্ফীতি কমছে। এতে ভোক্তার উপকার আসবে না। এখন সরকারকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বেষ্টনীর আকার শক্তিশালী, খোলাবাজারে পণ্য বিক্রি কর্মসূচি সম্প্রসারণের পাশাপাশি পণ্যের বাজার ব্যবস্থাপনাকে আরও উন্নত করতে হবে।

সূত্রমতে, আগামী দিনের মূল্যস্ফীতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, সেটি বিবেচনায় আনতে বিগত ৫ মাসের মূল্যস্ফীতির ওপর একটি সমীক্ষা করেছে অর্থ বিভাগ। সেখানে দেখানো হয়, আগামী অর্থবছরে (২০২৩-২৪) মূল্যস্ফীতি পর্যায়ক্রমে কমে আসবে। তবে চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) মূল্যস্ফীতির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় তার তুলনায় বেশি হবে। সমীক্ষায় বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শিগগিরই বন্ধ হবে-এমনটি প্রত্যাশা মাথায় রেখে অর্থবছরের শুরুতে সরকার ৫ দশমিক ৪ শতাংশ মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। কিন্তু আগস্টে সর্বকালের মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশে ওঠে। তবে সেপ্টেম্বর থেকে সেটি পর্যায়ক্রমে কমে আসে। সেপ্টেম্বরে একটু কমে তা হয়েছে ৯.১ শতাংশ, অক্টোবরে এই হার ছিল ৮.৯১ শতাংশ। সর্বশেষ পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) বরাত দিয়ে বলেছেন, নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমে ৮.৮৫ শতাংশ হয়েছে।

পর্যায়ক্রমে মূল্যস্ফীতির হার কমে আসার প্রবণতা বিশ্লেষণ করে অর্থ বিভাগ মনে করছে, শেষ পর্যন্ত গড় মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসবে। এজন্য সংশোধিত মূল্যস্ফীতির হার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়, মূল্যস্ফীতির বড় অংশ নির্ভর করে চালের মূল্যের ওপর। অপরদিকে দেশে খাদ্যশস্যের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধরে নেওয়া হচ্ছে, চলতি মাসে চালের মূল্য কমবে। এছাড়া প্রত্যাশা করা হচ্ছে আগামী দিনে আউসের ফলনও বাম্পার হবে। কারণ, ঐতিহাসিকভাবে দেখা গেছে, বন্যার পর কৃষিজমির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। এ বছর একটি বড় বন্যা হয়েছে। ফলে জমির উর্বরতা বাড়বে। এতে ফসলের উৎপাদনও ভালো হবে। আর অধিক উৎপাদনের প্রভাবে চালের মূল্য হ্রাস পেয়ে মূল্যস্ফীতির হার কমিয়ে আনতে নিয়ামক হিসাবে কাজ করবে।

এ বছরের শুরুতে রাজস্ব আয় ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা ধরা হয়। এটি অর্জন হবে-এমনটি ধরে অর্থ বিভাগ রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা কাটছাঁট না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সর্বশেষ তথ্যমতে, গত অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসের (জুলাই-নভেম্বর) তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত রাজস্ব আহরণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ২ হাজার ২৬৪ দশমিক ৮২ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে আদায় হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৬২০ দশমিক ৭৭ কোটি টাকা। তবে এ বছর এডিপি থেকে কিছুটা কাটছাঁট করা হচ্ছে। এ বছর এডিপির আকার হচ্ছে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা।

অর্থ বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, কৃচ্ছ সাধনের জন্য অর্থ বিভাগ থেকে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এসব পদক্ষেপের কারণে এমনিতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কম হবে। বিশেষ করে আগামী দিনগুলোয় আমদানি আরও হ্রাস পাবে। কারণ, ইতোমধ্যে আমদানি ব্যয় কমাতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তার প্রতিফলন গত নভেম্বর থেকে ঘটছে। এরই মধ্যে আমদানি ব্যয় কমতে শুরু করেছে। এছাড়া নানা কারণে একধরনের সংকট রয়েছে অর্থনীতিতে। যে কারণে চলতি অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা এক শতাংশ কমিয়েছে সরকার।

নিউজ ট্যাগ: মূল্যস্ফীতি

আরও খবর



ঢাকাসহ ৩ বিভাগে ঝড় ও শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকাসহ তিন বিভাগে ঝড় ও শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে হতে পারে বজ্রপাতও। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টায় দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহ: বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলা সমূহের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

তাপমাত্রা: সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

সিনপটিক অবস্থা: লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

দ্বিতীয় দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপমাত্রা: সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিবৃদ্ধি পেতে পারে।

তৃতীয় দিনের আবহাওয়া সম্পর্কে জানানো হয়েছে, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপমাত্রা: সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিবৃদ্ধি পেতে পারে।

বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



নতুন গাড়ি কিনে আলোচনায় নীতা আম্বানি

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নীতা মুকেশ আম্বানি একজন ভারতীয় ব্যবসায়ী ও জনহিতৈষী। তিনি রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন, ধীরুভাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের চেয়ারপার্সন ও প্রতিষ্ঠাতা এবং রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের একজন পরিচালক। তিনি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুকেশ আম্বানির স্ত্রী।

বিলাসবহুল জীবনযাত্রার জন্য সুপরিচিত নীতা আম্বানি। দামি শাড়ি, গয়না, জিনিসপত্র, বিমান, জুতা, ঘড়ি সব কিছুর প্রতি বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে নীতা আম্বানির। সম্প্রতি ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানির বিবাহ অনুষ্ঠানের পর ফের আলোচনায় এলেন তিনি।

সম্প্রতি বিলাসবহুল রোজ কোয়ার্টজ শেডের Rolls Royce Phantom VIII EWB গাড়ি কিনেছেন নীতা আম্বানি। প্রায় ১২ কোটি টাকা দামের গাড়িটির ডিজাইনেও রয়েছে বিশেষত্ব। সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল চর্চা চলছে এই গাড়ি নিয়ে। গাড়িটি কাস্টোমাইজ করা, তাই আসলে কত দাম পড়েছে সেটা এই মুহূর্ত অনুমান করা যাচ্ছে না।

ভারতে এই বিলাসবহুল সেডানের গাড়ির দাম প্রায় ১২ কোটি টাকা (অন-রোড)। কাস্টমাইজেশন বিকল্পগুলির জন্য আলাদা মূল্য দিতে হবে। নীতা আম্বানি যে বিলাসবহুল সেডানটি কিনেছেন সেটিক সবচেয়ে বিশেষ জিনিস হল এর রং। এর লোয়ার বডি রোজ কোয়ার্টজ এবং আপার বডি ভেলভেট অর্কিড।


আরও খবর



শনিবারও চলবে ক্লাস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্ধ অ্যাসেম্বলি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রমজান, ঈদুল ফিতর, নববর্ষের সঙ্গে তীব্র গরমে ঘোষিত ছুটি শেষে আগামী ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে। অর্থাৎ দাবদাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আর বাড়াচ্ছে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এদিকে ঘাটতি পূরণ করতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির ধারাবাহিকতায় তাপপ্রবাহের কারণে গত ২০ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ঘোষিত ছুটি শেষ হওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপণে ২৮ এপ্রিল রবিবার থেকে যথারীতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে এবং শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এ সময় তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং শিক্ষার্থীদের সূর্যের সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে। তাপপ্রবাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পূরণ এবং নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহের শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।


আরও খবর



ফের মাউশির ডিজি হলেন অধ্যাপক নেহাল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ফের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী অধ্যাপক নেহাল আহমেদের অভোগকৃত অবসরউত্তর ছুটি ও তৎসংশ্লিষ্ট সুবিধা স্থগিত ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী এক বছর মেয়াদে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলো।

মাউশিতে অধ্যাপক নেহাল আহমেদের চাকরির মেয়াদ শেষ হয় গত ১৩ এপ্রিল। ওই দিন ঈদের ছুটি থাকার কারণে তিনি শেষ অফিস করেন ৯ এপ্রিল। এরপর থেকে মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন কলেজ ও প্রশাসন শাখার পরিচালক অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী।

এর আগে গত ১ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ অধ্যাপক নেহাল আহমেদকে গ্রেড-১ এ পদোন্নতি দিয়ে মাউশির মহাপরিচালক পদে পদায়ন করা হয়।

অধ্যাপক নেহাল আহমেদ ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক। তিনি ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে তিনি একই প্রতিষ্ঠানের উপাধ্যক্ষ ছিলেন। মাউশির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পাওয়ার আগে তিনি ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।


আরও খবর



গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: স্টেশন মাস্টারসহ বরখাস্ত ৩

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের জয়দেবপুরে যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে তেলবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় স্টেশন মাস্টারসহ তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এই ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসন ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

এদিকে ঘটনার পর থেকে জয়দেবপুর স্টেশন দিয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম রুটের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়েছে অন্তত ৬টি ট্রেন।

জয়দেবপুরের স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী মিয়া বলেন, আজ পৌনে ১১টার দিকে টাঙ্গাইল কমিউটার ও তেলবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে। রেললাইনের পয়েন্টের ভুলের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে তেলবাহী ট্রেনের পাঁচটি এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়। কমিউটার ট্রেনটিতে যাত্রী কম থাকায় হতাহতের সংখ্যা কম। কমিউটার ট্রেনের লোকোমাস্টারসহ চারজন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

তিনি বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে আপঘুন্টি স্টেশন মাস্টার হাশেম ও পয়েন্টসম্যান সাদ্দাম হোসেনসহ তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বগি উদ্ধারের জন্য ১২টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা থেকে রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আব্দুস সামাদ বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। এরই মধ্যে রেলের সব বগি তল্লাশি করা হয়েছে। তবে ভেতরে কেউ আটকা নেই। ট্রেনের চালক ও সহকারী চালকসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

তিনি বলেন, জয়দেবপুরে ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিগন্যাল ভুল, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন স্টেশনে বেশ কয়েকটি ট্রেন যাত্রা বিরতি করা হয়েছে। দ্রুত উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু করতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

এরআগে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে জয়দেবপুর স্টেশনের আউটার সিগনালে যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের সঙ্গে একটি তেলবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

তিনি জানান, রেল দুর্ঘটনায় দুই ট্রেনের চালক ও সহকারীরা আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া রেল দুর্ঘটনায় ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে কমলাপুর রেলস্টেশনে আটকা পড়েছেন ৪-৫টি ট্রেনের যাত্রী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে এসে গাজীপুর হয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনের আউটার সিগনালে পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তবে টাঙ্গাইল কমিউটারে খুব বেশি যাত্রী ছিল না।

একজন উদ্ধারকর্মী জানান, শুক্রবার টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি বন্ধ থাকে। অন্যান্য দিন ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনে থামে। আজ বন্ধ থাকায় এটির থ্রোপাস করার কথা। আর অপরদিকে ঢাকা থেকে আসা তেলবাহী ট্রেনটি স্টেশনে দাঁড়ানো ছিল। এখানে আপলাইন ও ডাউনলাইন আছে, কিন্তু কী কারণে ট্রেন দুটি মুখোমুখি হল সে বিষয়ে তদন্তের পর জানা যাবে।

এর আগে গতকাল রাজবাড়ীতে মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে ৩ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উদ্ধারকারী রিজার্ভ ট্রেন এসে লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধার করে।

রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রেনটি সকালে ২ নম্বর রেলগেট এলাকার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে ঢোকার সময় লাইনচ্যুত হয়। তখন এ রুটে সব রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। উদ্ধারকারী রিজার্ভ ট্রেন সাড়ে ১০টার দিকে লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধার করে। বর্তমানে রাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকা, রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া ও রাজবাড়ী-খুলনা রুটে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।

এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় ২ নম্বর রেলগেট এলাকার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে ঢোকার সময় মালবাহী ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। এতে মেইন লাইন ব্লক হয়ে যাওয়ায় রাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকা, রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া ও রাজবাড়ী-খুলনা রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

খবর পেয়ে তিন ঘণ্টা পর ট্রেনটি উদ্ধার করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রাজবাড়ীর সঙ্গে স্বাভাবিক হয়েছে ট্রেন চলাচল।


আরও খবর